Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মন্দ আখলাক জান্নাতে যেতে বাধার কারণ



>>> মন্দ আখলাক জান্নাতে যেতে বাধার কারণ <<<
হারিসা ইবনে ওয়াহব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন;
لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ الْجَوَّاظُ وَلَا الْجَعْظَرِيُّ قَالَ: وَالْجَوَّاظُ: الْغَلِيظُ الْفَظُّ
জাওয়ায (কঠিন হৃদয়) ও জা'যারি (অসৎ চরিত্রের ব্যক্তি) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। তিনি বলেন, জাওয়ায হলো নির্দয়, অসভ্য। (আবু দাঊদ: ৪৭২৬; ৪৮০১)
.
হুযাইফাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু  হতে বর্ণিত; তিনি বললেন; আমি নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি;
لايَدْخُلُ الجَّنَّةَ قَتَّاتٌ
চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহীহুল বুখারী: ৬০৫৬, সহিহ মুসলিম: ১৯২,১৯৩)


জুবায়র ইবনু মুতাইম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন;
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। (সহিহ মুসলিম: ৬৪১৫)
.
আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন;
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ لاَ يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ
যে ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।  (সহিহ মুসলিম; ৭৬)
.
আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন;
لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالُ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ
যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহিহ মুসলিম: ১৬৮)
.
আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু  হতে বর্ণিত; নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 
أَسْفَلَ مِنْ الْكَعْبَيْنِ مِنْ الإِزَارِ فَفِي النَّارِ
(পুরুষের) পরিধেয় বস্ত্রের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নীচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে। (সহীহুল বুখারী: ৫৭৮৭)
.
আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন;
ثَلاَثَةٌ لاَ يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلاَ يُزَكِّيهِمْ - وَلاَ يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ - وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ شَيْخٌ زَانٍ وَمَلِكٌ كَذَّابٌ وَعَائِلٌ مُسْتَكْبِرٌ
তিন ব্যক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়াআলা কথা বলবেন না, তাদের (গুনাহ থেকে) পবিত্র করবেন না, তাদের প্রতি তাকাবেনও না আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। বৃদ্ধ যিনাকারী, মিথ্যাবাদী বাদশাহ ও অহংকারী দরিদ্র ব্যক্তি। (সহিহ মুসলিম; ১৯৬)
.
সুতরাং আমাদের মধ্যে যত ছোট-বড় বদ স্বভাব ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে, এগুলোকে গুরুত্বের সাথে নাফসে লওয়্যামার পর্যবেক্ষণে আনতে হবে। অতঃপর তাক্বওয়া নামক শক্তিশালী ক্লিনার দিয়ে ক্রমে এগুলো পরিস্কার করে ফেলতে হবে। যারা তাতে অক্ষম হবে তাদেরকে উপরোক্ত হাদীছের পরিণাম ফল ভোগ করতে হবে।

Post a Comment

0 Comments