Header Ads Widget

Responsive Advertisement

৭০ হাজার মানুষ বিনা হিসাবে জান্নাতী!



♥ হতাশ হবেন না, স্বপ্নকে বড় করুনঃ
৭০ হাজার মানুষ বিনা হিসাবে জান্নাতী!
:
♦আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত।
একিদন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘আমার কাছে সকল উম্মতের লোকদেরকে পেশ করা হল। আমি দেখলাম, কোন নবীর সাথে মাত্র সামান্য কয়জন (৩ থেকে ৭ জন অনুসারী) লোক রয়েছে। কোন নবীর সাথে একজন অথবা দুইজন লোক রয়েছে। কোন নবীকে দেখলাম তাঁর সাথে কেউই নেই! ইতোমধ্যে বিরাট একটি জামাআ’ত আমার সামনে পেশ করা হল।
:


আমি মনে করলাম, এটাই বুঝি আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হল যে, এটা হল মুসা আ’লাইহি হিস সালাম ও তাঁর উম্মতের জামাআ’ত। কিন্তু আপনি অন্য দিগন্তে তাকান। অতঃপর আমি সেইদিকে তাকাতেই আরও একটি বিরাট জামাআ’ত দেখতে পেলাম। আমাকে বলা হল যে, ‘‘এটি হল আপনার উম্মত। আর তাদের সঙ্গে এমন ৭০ হাজার লোক রয়েছে, যারা বিনা হিসাবে ও বিনা আযাবে সরাসরি জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’
:
এ কথা বলে তিনি (আল্লাহর রাসুল) উঠে নিজ ঘরে প্রবেশ করলেন। এদিকে লোকেরা (উপস্থিত সাহাবীরা) ঐ সমস্ত জান্নাতী লোকদের ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা শুরু করে দিল, (কারা হবে সেই লোক) যারা বিনা হিসাবে ও বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে?
:
কেউ কেউ বলল, “সম্ভবতঃ ঐ লোকেরা হল তারা, যারা আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাহাবা তারা।” কিছু লোক বলল, “বরং সম্ভবতঃ ওরা হল তারা, যারা ইসলামে জন্মগ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর সাথে কখনো কাউকে শরীক করেনি।” আরো অনেকে অনেক কিছু বলল। কিছুক্ষণ পরে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের নিকট বের হয়ে এসে বললেন, ‘‘তোমরা কি ব্যাপারে আলোচনা করছ?’’
:
– তারা ব্যাপার খুলে বললে, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “(বিনা বিচাসে জান্নাতী লোক) হলো তারা, যারা (ক) দাগ কেটে রোগের চিকিৎসা করায় না, (খ) অন্যের কাছে রুকইয়া বা ঝাড়ফুঁক করে দিতে বলেনা এবং (গ) কোন জিনিসকে অশুভ লক্ষণ বলে মনে করে না, (ঘ) বরং তারা কেবল আল্লাহর প্রতি ভরসা রাখে।”
:
এ কথা শুনে উক্কাশাহ ইবনু মিহসান নামক একজন সাহাবী উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন, “(হে আল্লাহর রাসূল!) আপনি আমার জন্য দুয়া করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাদের দলভুক্ত করে দেন!” তিনি বললেন, ‘‘তুমি তাদের মধ্যে একজন।’’ অতঃপর আর এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, “আপনি আমার জন্যও দুয়া করুন, যেন আল্লাহ আমাকেও তাদের দলভুক্ত করে দেন।”
:
তিনি বললেন, “উক্কাশাহ (এ ব্যাপারে) তোমার অগ্রগামী হয়ে গেছে।”
:
তথ্যসূত্রঃ রিয়াদুস স্বা-লিহীনঃ ৭৫; সহীহ বুখারীঃ ৩৪১০; তিরমিযীঃ ২৪৪৬, মুসনাদে আহমাদঃ ২৪৪৪।

Post a Comment

0 Comments