কুরআন ও ছহীহ হাদীছে বর্ণিত কতিপয় যিক্র-আযকার ও দো‘আ
· ﴿ ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮۡﺍْ ﻓَﻘُﻞۡ ﺣَﺴۡﺒِﻲَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَۖ ﻋَﻠَﻴۡﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﺖُۖ ﻭَﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِ ﭐﻟۡﻌَﻈِﻴﻢِ ١٢٩ ﴾ [ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ : ١٢٩ ]
( উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রব্বুল আরশিল আযীম),
অর্থ: ‘আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কোনো (হক্ব) মা‘বূদ নেই। আমি তাঁরই উপর ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের রব্ব’ (তওবাহ ১২৯) ।
· ﴿ ﻓَﺘَﻌَٰﻠَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟۡﻤَﻠِﻚُ ﭐﻟۡﺤَﻖُّۖ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِ ﭐﻟۡﻜَﺮِﻳﻢِ
﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ١١٦ ]
( উচ্চারণ: ফাতা‘আ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্ব, লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, রব্বুল আরশিল কারীম)
অর্থ: ‘অতএব, শীর্ষ মহিমায় আল্লাহ, তিনি সত্যিকার মালিক, তিনি ব্যতীত কোন
(হক্ব) মা‘বূদ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের
রব্ব’ (আল-মুমিনূন ১১৬) ।
· ﴿ ﭐﻟۡﺤَﻤۡﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﺳَﻠَٰﻢٌ ﻋَﻠَﻰٰ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﭐﺻۡﻄَﻔَﻰٰٓۗ ﴾ [ ﺍﻟﻨﻤﻞ : ٥٩ ]
( উচ্চারণ: আল-হামদু লিল্লা-হি ওয়া সালা-মুন ‘আলা- ইবা-দিহিল্লাযীনাছ্ত্বফা-)
অর্থ: ‘সকল প্রশংসাই আল্লাহ্র এবং শান্তি তাঁর মনোনীত বান্দাগণের প্রতি’ (নামল ৫৯) ।
· ﴿ ﭐﻟۡﺤَﻤۡﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﻟَﻪُۥ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﻟَﻪُ ﭐﻟۡﺤَﻤۡﺪُ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮَﺓِۚ ﻭَﻫُﻮَ ﭐﻟۡﺤَﻜِﻴﻢُ ﭐﻟۡﺨَﺒِﻴﺮُ ١ ﴾ [ ﺳﺒﺎ : ١ ]
( উচ্চারণ: আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী লাহূ মা- ফিস্সামাওয়া-তি ওয়ামা- ফিল-আরযি, ওয়ালাহুল হাম্দু ফিলআ-খিরতি, ওয়াহুওয়াল হাকীমুল খাবীর),
অর্থ: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি
আসমান ও যমীনের সব কিছুর মালিক। তাঁরই প্রশংসা পরকালে। তিনি প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবহিত’ (সাবা ১) ।
· ﴿ﺣَﺴۡﺒِﻲَ ﭐﻟﻠَّﻪُۖ ﻋَﻠَﻴۡﻪِ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻞُ ﭐﻟۡﻤُﺘَﻮَﻛِّﻠُﻮﻥَ ٣٨ ﴾ [ ﺍﻟﺰﻣﺮ : ٣٨ ]
( উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লা-হু ‘আলাইহি ইয়াতাওয়াক্কালুল মুতাওয়াক্কিলূন),
অর্থ: ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ভরসাকারীরা তাঁরই উপর ভরসা করে’ (যুমার ৩৮) ।
· ﴿ ﻗُﻞۡ ﻫُﻮَ ﭐﻟﺮَّﺣۡﻤَٰﻦُ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﺑِﻪِۦ ﻭَﻋَﻠَﻴۡﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﻨَﺎۖ ﴾ [ ﺍﻟﻤﻠﻚ : ٢٩ ]
( উচ্চারণ: হুওয়ার্ রহমা-নু আ-মান্না- বিহী ওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কালনা-),
অর্থ: ‘তিনিই পরম করুণাময়। আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনি এবং তাঁরই উপর ভরসা করি’ (মুলক ২৯) ।
· « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ
ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ »
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হাম্দু, ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর),
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই।
তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁরই এবং তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।
[1]
· « ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ »
( উচ্চারণ: লা- হাওলা ওয়ালা- ক্বুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ),
অর্থ: ‘নেই কোন ক্ষমতা এবং নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’। [2]
· « ﺣَﺴْﺒُﻨَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﻮَﻛِﻴﻞُ »
( উচ্চারণ: হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল),
অর্থ: ‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
তিনি কতই না চমৎকার রক্ষাকারী’। [3]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, সুবহা-নাল্লা-হিল ‘আযীম),
অর্থ: ‘আমি আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং তাঁর প্রশংসা আদায় করছি। আমি মহান আল্লাহ্র পবিত্রতা বর্ণনা করছি’। [4]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদু লিল্লা-হি, ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার),
অর্থ: ‘আমি আল্লাহ্র পবিত্রতা বর্ণনা করছি। যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই নিমিত্তে। আল্লাহ ব্যতীত কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়’। [5]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ﻋَﺪَﺩَ ﺧَﻠْﻘِﻪِ ﻭَﺭِﺿَﺎ ﻧَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﺯِﻧَﺔَ ﻋَﺮْﺷِﻪِ
ﻭَﻣِﺪَﺍﺩَ ﻛَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী ‘আদাদা খল্ক্বিহী ওয়া রিযা- নাফসিহী ওয়া যিনাতা আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহ্), অর্থ: ‘আমি আল্লাহ্র পবিত্রতা ও প্রশংসা জ্ঞাপন করছি তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমপরিমাণ, তাঁর সত্ত্বার সন্তুষ্টির সমতুল্য এবং তাঁর আরশের ওযন ও কালেমাসমূহের ব্যাপ্তি সমপরিমাণ’।
[6]
· « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮًﺍ ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰِ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢِ ، ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲْ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲْ ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲْ ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲْ »
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, আল্লা-হু আকবারু কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাছীরান, সুবহা-নাল্লা-হি রব্বিল ‘আলামীন, লা- হাওলা ওয়ালা- ক্বুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল আযীযিল হাকীম, আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহ্দিনী ওয়ারযুক্বনী),
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। যাবতীয় এবং অগণিত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নেই কোন ক্ষমতা এবং নেই কোন শক্তি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ব্যতীত। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, আমাকে হেদায়াত দান করুন এবং আমাকে রিযিক্ব দান করুন’। [7]
· « ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً »
( উচ্চারণ: রযীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন রাসূলা),
অর্থ: ‘আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম আল্লাহকে রব্ব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদকে রাসূল হিসেবে গ্রহণ করে’। [8]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ ﻭَﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﺳْﻤُﻚَ ﻭَﺗَﻌَﺎﻝَﻯ ﺟَﺪُّﻙَ ﻭَﻝَﺍ ﺇِﻟَﻪَ ﻏَﻴْﺮُﻙَ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা- জাদ্দুকা ওয়ালা ইলা-হা গয়রুক্),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং আপনার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। আপনার নাম অতি বরকতময় এবং আপনার সম্মান সুমহান। আপনি ছাড়া কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই’। [9]
· « ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺭَﺏُّ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ
ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢِ »
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস্সামাওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরযি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল কারীম),
অর্থ: ‘মহান এবং পরম সহিষ্ণু আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো (হক্ব) মা‘বূদ নেই। মহান আরশের প্রতিপালক আল্লাহ ব্যতীত আর কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই। সম্মানিত আরশের প্রতিপালক এবং আসমান ও যমীনের প্রতিপালক আল্লাহ ব্যতীত কোনো (হক্ব) মা‘বূদ নেই’।
[10]
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺗَﻘَﺒَّﻞۡ ﻣِﻨَّﺎٓۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﭐﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﭐﻟۡﻌَﻠِﻴﻢُ ١٢٧ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٢٧ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- তাক্বাব্বাল মিন্না- ইন্নাকা আনতাস্ সামী‘উল ‘আলীম),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ থেকে ক্ববূল করে নিন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (বাক্বারাহ ১২৭) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ٓ ﺀَﺍﺗِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔٗ ﻭَﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮَﺓِ ﺣَﺴَﻨَﺔٗ ﻭَﻗِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﭐﻟﻨَّﺎﺭِ ٢٠١ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٠١ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাহ ওয়া ফিলআ-খিরতি হাসানাহ ওয়া ক্বিনা- ‘আযা-বান্না-র),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে দুনিয়া ও পরকাল উভয় জীবনে কল্যাণ দান করুন। আর আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন’
(বাক্বারাহ ২০১) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬۡﻧَﺎٓ ﺇِﻥ ﻧَّﺴِﻴﻨَﺎٓ ﺃَﻭۡ ﺃَﺧۡﻄَﺄۡﻧَﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤۡﻤِﻞۡ ﻋَﻠَﻴۡﻨَﺎٓ ﺇِﺻۡﺮٗﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠۡﺘَﻪُۥ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒۡﻠِﻨَﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺤَﻤِّﻠۡﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪِۦۖ ﻭَﭐﻋۡﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ﻭَﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻤۡﻨَﺎٓۚ ﺃَﻧﺖَ ﻣَﻮۡﻟَﻯٰﻨَﺎ ﻓَﭑﻧﺼُﺮۡﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻘَﻮۡﻡِ ﭐﻟۡﻜَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ٢٨٦ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٨٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- লা-তুআ-খিয্না- ইন নাসীনা- আও আখত্বা’না-, রব্বানা- ওয়ালা- তাহমিল ‘আলাইনা- ইছরান কামা- হামাল্তাহূ ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা-, রব্বানা- ওয়ালা- তুহাম্মিল্না- মা- লা- ত্ব-ক্বাতা লানা- বিহ্, ওয়া‘ফু আন্না- ওয়াগফির লানা- ওয়ার হামনা-, আনতা মাওলা-না- ফানছুরনা- ‘আলাল ক্বওমিল কাফিরীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর এমন কিছু চাপিয়ে দায়িত্ব অর্পণ করবেন না,
যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছেন। হে আমাদের প্রভু! আপনি আমাদের উপর এমন বোঝা চাপাবেন না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। অতএব, আপনি আমাদের পাপ মোচন করে দিন।
আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের প্রভু।
সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
আপনি আমাদেরকে সাহায্য করুন’
(বাক্বারাহ ২৮৬) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺰِﻍۡ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﺑَﻌۡﺪَ ﺇِﺫۡ ﻫَﺪَﻳۡﺘَﻨَﺎ ﻭَﻫَﺐۡ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣۡﻤَﺔًۚ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﭐﻟۡﻮَﻫَّﺎﺏُ ٨ ﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- লা-তুযিগ্ ক্বুলূবানা- বা‘দা ইয্ হাদায়তানা-, ওয়া হাব্ লানা- মিল্লাদুনকা রহমাহ্, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্হা-ব),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে বক্র করবেন না এবং আপনি আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দান করুন।
নিশ্চয়ই আপনি বড় দাতা’ (আলে ইমরান ৮) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺇِﻧَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮﺑَﻨَﺎ ﻭَﻗِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﭐﻟﻨَّﺎﺭِ ١٦ ﴾ [ ﺍﻝ
ﻋﻤﺮﺍﻥ : ١٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- ইন্নানা- আ-মান্না- ফাগফির্ লানা- যুনূবানা-, ওয়া ক্বিনা-
‘আযা-বান্না-র),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, আপনি আমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন। আর আমাদেরকে আপনি জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন’ (আলে ইমরান ১৬) ।
· ﴿ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﻫَﺐۡ ﻟِﻲ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺫُﺭِّﻳَّﺔٗ ﻃَﻴِّﺒَﺔًۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺳَﻤِﻴﻊُ ﭐﻟﺪُّﻋَﺎٓﺀِ
]﴾ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ٣٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বি হাব্ লী মিল্লাদুন্কা যুর্রিইয়াতান ত্বইয়্যেবাহ, ইন্নাকা সামী‘উদ্ দু‘আ-),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’ (আলে ইমরান ৩৮) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﺑِﻤَﺎٓ ﺃَﻧﺰَﻟۡﺖَ ﻭَﭐﺗَّﺒَﻌۡﻨَﺎ ﭐﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﭑﻛۡﺘُﺒۡﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﭐﻟﺸَّٰﻬِﺪِﻳﻦَ٥٣﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ٥٣ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-মান্না- বিমা- আন্যালতা, ওয়াত্তাবা‘নার্ রসূলা ফাকতুবনা- মা‘আশ্শা-হিদীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা সে বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছি, যা আপনি নাযিল করেছেন। আর আমরা রাসূলের আনুগত্য করেছি। অতএব, আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্যদাতাদের তালিকাভুক্ত করে নিন’
(আলে ইমরান ৫৩) ।
· ﴿ ﺭَّﺑَّﻨَﺎٓ ﺇِﻧَّﻨَﺎ ﺳَﻤِﻌۡﻨَﺎ ﻣُﻨَﺎﺩِﻳٗﺎ ﻳُﻨَﺎﺩِﻱ ﻟِﻠۡﺈِﻳﻤَٰﻦِ ﺃَﻥۡ ﺀَﺍﻣِﻨُﻮﺍْ ﺑِﺮَﺑِّﻜُﻢۡ ﻓََٔﺎﻣَﻨَّﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮﺑَﻨَﺎ ﻭَﻛَﻔِّﺮۡ ﻋَﻨَّﺎ ﺳَﻴَِّٔﺎﺗِﻨَﺎ ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﭐﻟۡﺄَﺑۡﺮَﺍﺭِ ١٩٣
﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ١٩٣ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- ইন্নানা- সামি‘না মুনা-দিইয়াই্ ইউনা-দী লিল্ঈমা-নি আন আ-মিনূ বিরব্বিকুম ফাআ-মান্না-, রব্বানা- ফাগ্ফির লানা- যুনূবানা-, ওয়া কাফ্ফির আন্না- সাইয়্যেআ-তিনা-, ওয়া তাওয়াফ্ফানা- মা‘আল আবরা-র, রব্বানা- ওয়া আ-তিনা- মা- ওয়াদ্তানা- ‘আলা- রুসুলিকা ওয়ালা- তুখযিনা- ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাহ, ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আদ),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে একজন আহ্বানকারীকে ঈমানের প্রতি এভাবে আহ্বান করতে
শুনেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন। ফলে আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের গোনাহসমূহ মাফ করে দিন এবং আমাদের
পাপসমূহ মোচন করে দিন। আর আপনি
আমাদেরকে নেক লোকদের অন্তর্ভুক্ত অবস্থায় মৃত্যু দান করুন। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের জন্য আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে যার ওয়াদা করেছেন, তা আমাদেরকে দান করুন এবং ক্বিয়ামতের দিন আপনি আমাদেরকে অপমানিত করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি ভঙ্গ করেন না অঙ্গীকার’ (আলে ইমরান ১৯৩-১৯৪) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻇَﻠَﻤۡﻨَﺎٓ ﺃَﻧﻔُﺴَﻨَﺎ ﻭَﺇِﻥ ﻟَّﻢۡ ﺗَﻐۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﺗَﺮۡﺣَﻤۡﻨَﺎ ﻟَﻨَﻜُﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﭐﻟۡﺨَٰﺴِﺮِﻳﻦَ ٢٣]﴾ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ٢٣ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- যলামনা- আনফুসানা-, ওয়া ইল্লাম তাগফির্ লানা- ওয়া তারহাম্না- লানাকূনান্না মিনাল খ-সিরীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের প্রতি যুলম করেছি। আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তাহলে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’ (আ‘রাফ ২৩) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﭐﻟۡﻘَﻮۡﻡِ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ ٤٧ ﴾ [ ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ٤٧ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- লা- তাজ‘আল্না- মা‘আল ক্বওমিয্ য-লিমীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে যালেমদের সঙ্গী করবেন না’
(আ‘রাফ ৪৭) ।
· ﴿ ﺃَﻧﺖَ ﻭَﻟِﻴُّﻨَﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻤۡﻨَﺎۖ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴۡﺮُ ﭐﻟۡﻐَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ١٥٥ ۞ﻭَﭐﻛۡﺘُﺐۡ ﻟَﻨَﺎ ﻓِﻲ ﻫَٰﺬِﻩِ ﭐﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔٗ ﻭَﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮَﺓِ﴾ [ ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ١٥٥، ١٥٦ ]
( উচ্চারণ: আনতা ওয়ালিই্য়ুনা- ফাগফির্ লানা- ওয়ার্হাম্না-, ওয়া আনতা খয়রুল গ-ফিরীন, ওয়াক্তুব্ লানা- ফী হা-যিহিদ্ দুন্ইয়া হাসানাহ ওয়া ফিল্আ-খিরাহ),
অর্থ: ‘আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের
প্রতি অনুগ্রহ করুন। আপনিইতো সর্বোত্তম ক্ষমাকারী। আর দুনিয়াতে এবং আখেরাতে আমাদের জন্য কল্যাণ লিখে দিন’ (আ‘রাফ ১৫৫-১৫৬) ।
· ﴿ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﻨَﺎ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻓِﺘۡﻨَﺔٗ ﻟِّﻠۡﻘَﻮۡﻡِ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ ٨٥
﴾ [ ﻳﻮﻧﺲ : ٨٥ ]
( উচ্চারণ: ‘আলাল্লা-হি তাওয়াক্কাল্না-, রব্বানা- লা-তাজ‘আল্না- ফিতনাতান লিল্ক্বওমিয্ য-লিমীন, ওয়া নাজ্জিনা- বিরহমাতিকা মিনাল ক্বওমিল কাফিরীন),
অর্থ: ‘আমরা আল্লাহ্র উপর ভরসা করেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি
আমাদেরকে অত্যাচারীদের উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না। আর আমাদেরকে
আপনার অনুগ্রহ দ্বারা কাফেরগোষ্ঠীর কবল থেকে উদ্ধার করুন’ (ইউনুস ৮৫-৮৬) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﭐﺟۡﻌَﻠۡﻨِﻲ ﻣُﻘِﻴﻢَ ﭐﻟﺼَّﻠَﻮٰﺓِ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﻘَﺒَّﻞۡ ﺩُﻋَﺎٓﺀِ ٤٠ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟِﻲ ﻭَﻟِﻮَٰﻟِﺪَﻱَّ ﻭَﻟِﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻮۡﻡَ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﭐﻟۡﺤِﺴَﺎﺏُ ٤١
﴾ [ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ : ٤٠، ٤١ ]
( উচ্চারণ: রব্বিজ্‘আল্নী মুক্বীমাছ্ ছলা-তি ওয়া মিন যুর্রিইয়াতি, রব্বানা- ওয়া তাক্বাব্বাল্ দু‘আ-, রব্বানা-গ্ফির্ লী ওয়া লিওয়া-লিদাইয়া ওয়া লিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াক্বূমুল হিসা-ব),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে
ছালাত ক্বায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি দো‘আ ক্ববূল করুন। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনকে হিসাব-নিক্বাশের দিন ক্ষমা করুন’ (ইবরাহীম ৪০-৪১) ।
· ﴿ﺭَّﺏِّ ﭐﺭۡﺣَﻤۡﻬُﻤَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﺭَﺑَّﻴَﺎﻧِﻲ ﺻَﻐِﻴﺮٗﺍ﴾ [ ﺍﻻﺳﺮﺍﺀ : ٢٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বির্হামহুমা- কামা- রব্বাইয়া-নী ছগীরা),
অর্থ: ‘হে আমার রব! আপনি তাদের উভয়ের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন’ (ইসরা ৩৪) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﺗِﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣۡﻤَﺔٗ ﻭَﻫَﻴِّﺊۡ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦۡ ﺃَﻣۡﺮِﻧَﺎ ﺭَﺷَﺪٗﺍ ١٠ ﴾
[ ﺍﻟﻜﻬﻒ : ١٠ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-তিনা- মিল্লাদুন্কা রহমাহ, ওয়া হাইয়ি’ লানা- মিন আমরিনা- রশাদা),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন’ (কাহ্ফ ১০) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﭐﺷۡﺮَﺡۡ ﻟِﻲ ﺻَﺪۡﺭِﻱ ٢٥ ﻭَﻳَﺴِّﺮۡ ﻟِﻲٓ ﺃَﻣۡﺮِﻱ ٢٦ ﴾ [ ﻃﻪ : ٢٥، ٢٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বিশ্রহ লী ছদ্রী ওয়া ইয়াস্সির লী আমরী),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন এবং আমার কাজ সহজ করে দিন’ (ত্ব-হা ২৫-২৬) ।
· ﴿ ﺭَّﺏِّ ﺯِﺩۡﻧِﻲ ﻋِﻠۡﻤٗﺎ ]﴾ﻃﻪ : ١١٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বি যিদ্নী ‘ইলমা),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন’ (ত্ব-হা ১১৪) ।
· ﴿ﻟَّﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎٓ ﺃَﻧﺖَ ﺳُﺒۡﺤَٰﻨَﻚَ ﺇِﻧِّﻲ ﻛُﻨﺖُ ﻣِﻦَ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻻﻧﺒﻴﺎﺀ : ٨٧ ]
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ য-লিমীন),
অর্থ: ‘আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।’
(আম্বিয়া ৮৭) ।
· ﴿ﺭَّﺏِّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦۡ ﻫَﻤَﺰَٰﺕِ ﭐﻟﺸَّﻴَٰﻄِﻴﻦِ ٩٧ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﺭَﺏِّ ﺃَﻥ ﻳَﺤۡﻀُﺮُﻭﻥِ ٩٨ ﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ٩٧، ٩٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন হামাযা-তিশ্ শায়া-ত্বীন, ওয়া আ‘ঊযুবিকা রব্বি আইইয়াহ্যুরূন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানদের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আমার পালনকর্তা! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’
(মুমিনূন ৮৭-৮৮) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻤۡﻨَﺎ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴۡﺮُ ﭐﻟﺮَّٰﺣِﻤِﻴﻦَ
﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ١٠٩ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-মান্না- ফাগফির্ লানা- ওয়ার্হামনা- ওয়া আনতা খয়রুর্ র-হিমীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনিইতো সর্বোত্তম দয়ালু’ (মুমিনূন ১০৯) ।
· ﴿ﺭَّﺏِّ ﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻢۡ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴۡﺮُ ﭐﻟﺮَّٰﺣِﻤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ١١٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বিগ্ফির্ ওয়ার্হাম্ ওয়া আনতা খয়রুর্ র-হিমীন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি ক্ষমা করুন ও রহম করুন। আপনিইতো সর্বোত্তম দয়ালু’ (মুমিনূন ১১৮) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﭐﺻۡﺮِﻑۡ ﻋَﻨَّﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَۖ ﺇِﻥَّ ﻋَﺬَﺍﺑَﻬَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻏَﺮَﺍﻣًﺎ ٦٥
﴾ [ ﺍﻟﻔﺮﻗﺎﻥ : ٦٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বানাছ্রিফ্ ‘আন্না-‘আযা-বা জাহান্নামা, ইন্না ‘আযা-বাহা কা-না গরা-মা),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি সরিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এর শাস্তি অপ্রতিহত’
(ফুরক্বান ৬৫) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻫَﺐۡ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦۡ ﺃَﺯۡﻭَٰﺟِﻨَﺎ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّٰﺘِﻨَﺎ ﻗُﺮَّﺓَ ﺃَﻋۡﻴُﻦٖ ﻭَﭐﺟۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻟِﻠۡﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﺇِﻣَﺎﻣًﺎ ﴾ [ ﺍﻟﻔﺮﻗﺎﻥ : ٧٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- হাব্ লানা- মিন আয্ওয়া-জিনা- ওয়া যুর্রিইয়া-তিনা- ক্বুর্রাতা আ‘য়ুন, ওয়াজ্‘আলনা- লিলমুত্তাক্বীনা ইমা-মা),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রী এবং আমাদের সন্তান-সন্ততির পক্ষ থেকে আমাদেরকে চোখ জুড়ানো আনন্দ প্রদান করুন। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাক্বীদের জন্য আদর্শস্বরূপ করুন’
(ফুরক্বান ৭৪) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﺃَﻭۡﺯِﻋۡﻨِﻲٓ ﺃَﻥۡ ﺃَﺷۡﻜُﺮَ ﻧِﻌۡﻤَﺘَﻚَ ﭐﻟَّﺘِﻲٓ ﺃَﻧۡﻌَﻤۡﺖَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﻋَﻠَﻰٰ ﻭَٰﻟِﺪَﻱَّ ﻭَﺃَﻥۡ ﺃَﻋۡﻤَﻞَ ﺻَٰﻠِﺤٗﺎ ﺗَﺮۡﺿَﻯٰﻪُ ﻭَﺃَﺩۡﺧِﻠۡﻨِﻲ ﺑِﺮَﺣۡﻤَﺘِﻚَ ﻓِﻲ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﭐﻟﺼَّٰﻠِﺤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻟﻨﻤﻞ : ١٩ ]
( উচ্চারণ: রব্বি আওযি‘নী আন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতী আন‘আমতা ‘আলাইয়া ওয়া ‘আলা- ওয়া-লিদাইয়া, ওয়া আন আ‘মালা ছ-লিহান তারযা-হু, ওয়া আদ্খিলনী বিরহমাতিকা ফী ইবা-দিকাছ্ ছ-লিহীন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে সামর্থ্য দান করুন, যাতে আমি আমার প্রতি এবং আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনার প্রদত্ত নে‘মতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি।
আপনি আমাকে নিজ অনুগ্রহে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন’ (নামল ১৯) ।
· ﴿ﺭَﺏِّ ﺇِﻧِّﻲ ﻇَﻠَﻤۡﺖُ ﻧَﻔۡﺴِﻲ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟِﻲ﴾ [ ﺍﻟﻘﺼﺺ : ١٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বি ইন্নী যলামতু নাফসী ফাগফির লী),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমিতো নিজের উপর যুলম করে ফেলেছি। অতএব,
আপনি আমাকে ক্ষমা করুন’ (ক্বাছাছ ১৬) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﻫَﺐۡ ﻟِﻲ ﻣِﻦَ ﭐﻟﺼَّٰﻠِﺤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻟﺼﺎﻓﺎﺕ : ١٠٠ ]
( উচ্চারণ: রব্বি হাব্ লী মিনাছ্ ছ-লিহীন),
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সৎসন্তান দান করুন’ (ছফ্ফা-ত ১০০) ।
· ﴿ﺭَﺏِّ ﺃَﻭْﺯِﻋْﻨِﻲ ﺃَﻥْ ﺃَﺷْﻜُﺮَ ﻧِﻌْﻤَﺘَﻚَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﻋَﻠَﻰٰ ﻭَﺍﻟِﺪَﻱَّ ﻭَﺃَﻥْ ﺃَﻋْﻤَﻞَ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﺗَﺮْﺿَﺎﻩُ ﻭَﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲ ﺇِﻧِّﻲ ﺗُﺒْﺖُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻭَﺇِﻧِّﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻻﺣﻘﺎﻑ : ١٥ ]
( উচ্চারণ: রব্বি আওযি‘নী আন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতী আন‘আমতা ‘আলাইয়া ওয়া ‘আলা- ওয়া-লিদাইয়া, ওয়া আন আ‘মালা ছ-লিহান তারযা-হু, ওয়া আছলিহ্ লী ফী যুর্রিইয়াতি, ইন্নী তুবতু ইলাইকা, ওয়া ইন্নী মিনাল মুসলিমীন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে সামর্থ্য দান করুন, যাতে আমি আমার প্রতি এবং আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনার প্রদত্ত নে‘মতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি।
আপনি আমাকে আমার সন্তানদের ক্ষেত্রে সৎকর্মপরায়ণ করুন, আমি আপনার নিকট তওবা করলাম এবং আমি মুসলিমদের অন্যতম’
(আহক্বাফ ১৫) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﻟِﺈِﺧۡﻮَٰﻧِﻨَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺳَﺒَﻘُﻮﻧَﺎ ﺑِﭑﻟۡﺈِﻳﻤَٰﻦِ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻞۡ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻨَﺎ ﻏِﻠّٗﺎ ﻟِّﻠَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺇِﻧَّﻚَ ﺭَﺀُﻭﻑٞ ﺭَّﺣِﻴﻢٌ ١٠ ﴾ [ ﺍﻟﺤﺸﺮ : ١٠ ]
( উচ্চারণ: রব্বানাগ্ফির্ লানা- ওয়া লিইখ্ওয়া-নিনাল্লাযীনা সাবাক্বূনা- বিলঈমা-ন, ওয়ালা- তাজ‘আল ফী ক্বুলূবিনা- গিল্লাল্ লিল্লাযীনা আ-মানূ রব্বানা- ইন্নাকা রঊফুর রহীম),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা!
আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের
অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন। ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোনো বিদ্বেষ আপনি রাখবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই আপনি
অতিশয় দয়ালু, পরম করুণাময়’’ (হাশর ১০) ।
· ﴿ﺭَّﺑَّﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴۡﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴۡﻚَ ﺃَﻧَﺒۡﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴۡﻚَ ﭐﻟۡﻤَﺼِﻴﺮُ ٤ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻓِﺘۡﻨَﺔٗ ﻟِّﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﻭَﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﭐﻟۡﻌَﺰِﻳﺰُ ﭐﻟۡﺤَﻜِﻴﻢُ ٥]﴾ﺍﻟﻤﻤﺘﺤﻨﺔ : ٤، ٥ ]
(উচ্চারণ: রব্বানা- ‘আলাইকা তাওয়াক্কাল্না- ওয়া ইলাইকা আনাব্না- ওয়া ইলাইকাল্ মাছীর, রব্বানা- লা-তাজ‘আল্না- ফিতনাতাল্ লিল্লাযীনা কাফারূ, ওয়াগ্ফির্ লানা- রব্বানা-, ইন্নাকা আনতাল আযীযুল হাকীম),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা
আপনার উপরই ভরসা করেছি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছি এবং আপনার নিকটেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে কাফেরদের পরীক্ষার পাত্র বানাবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়’ (মুমতাহানাহ ৩-৪) ।
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আব্দুকা ওয়া আনা ‘আলা-‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্ব‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা ছনা‘তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ লাকা বিযাম্বী ফাগফির লী, ফাইন্নাহু লা-ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আনতা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ব্যতীত আর কোন (সত্যিকার) উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আর সাধ্যানুযায়ী আমি আপনার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমি আপনার কাছে আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার প্রতি আপনার প্রদত্ত নে‘মতের স্বীকৃতি প্রদান করছি এবং আপনার নিকট আমার গোনাহ স্বীকার করে নিচ্ছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কেননা আপনি ব্যতীত আর কেউ গোনাহসমূহ মার্জনা করতে পারে না’। [11]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻇَﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻇُﻠْﻤًﺎ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓً ﻣِﻦْ ﻋِﻨْﺪِﻙَ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ ﺇِﻧَّﻚ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻐَﻔُﻮﺭُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাছীরান, ওয়ালা- ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আনতা, ফাগফির লী মাগফিরাতাম্ মিন ‘ইনদিকা ওয়ার্হামনী, ইন্নাকা আনতাল গফূরুর্ রহীম),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক যুলম করেছি, আর আপনি ব্যতীত অন্য কেউ ঐসব গোনাহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব, আপনার পক্ষ থেকে আপনি আমাকে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি রহম করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরম ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু’। [12]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻬَﻢِّ ﻭَﺍﻟْﺤَﺰَﻥِ ﻭَﺍﻟْﻌَﺠْﺰِ ﻭَﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ ﻭَﺿَﻠَﻊِ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦِ ﻭَﻏَﻠَﺒَﺔِ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আয্জি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুব্নি ওয়াল বুখ্লি ওয়া যলাইদ্ দাইনি ওয়া গলাবাতির্ রিজা-ল),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে (ঘটিত কোনো বিষয়ে) দুশ্চিন্তা, (আগত কোনো বিষয়ে) চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা এবং ঋণের বোঝা ও দুষ্ট লোকের প্রাধান্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [13]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃُﺭَﺩَّ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺭْﺫَﻝِ ﺍﻟْﻌُﻤُﺮِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্লি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা আন উরাদ্দা ইলা- আরযালিল্ উমুর, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিদ্ দুন্ইয়া-, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন
‘আযা-বিল ক্বব্র),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, জরাজীর্ণ বয়স থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, দুনিয়ার ফেৎনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং ক্ববরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [14]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺍﻟْﻬَﺮَﻡِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺄْﺛَﻢِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮَﻡِ ﻭَﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻭَﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻐِﻨَﻰ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﺴِﻞْ ﻋَﻨِّﻲ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﺑِﻤَﺎﺀِ ﺍﻟﺜَّﻠْﺞِ ﻭَﺍﻟْﺒَﺮَﺩِ ﻭَﻧَﻖِّ ﻗَﻠْﺒِﻲ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺨَﻄَﺎﻳَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﻧَﻘَّﻴْﺖَ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺪَّﻧَﺲِ ﻭَﺑَﺎﻋِﺪْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻦَ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﻋَﺪْﺕَ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟْﻤَﺸْﺮِﻕِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়াল মা’ছামি ওয়াল মাগরামি, ওয়া মিন ফিতনাতিল ক্বব্রি ওয়া ‘আযা-বিল ক্বব্র, ওয়া মিন ফিতনাতিন্ না-রি ওয়া ‘আযা-বিন না-র, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল গিনা-, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল ফাক্বরি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল। আল্লা-হুম্মাগ্সিল ‘ আন্নী খত্বা-ইয়া-ইয়া বিমা-ইছ্ ছালজি ওয়াল বারাদ, ওয়া নাক্বি ক্বলবী মিনাল খত্বা-ইয়া- কামা নাক্কায়তাছ্ ছাওবাল আবইয়াযা মিনাদ্ দানাস, ওয়া বা-‘ইদ বায়নী ওয়া বায়না খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদ্তা বায়নাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অলসতা, অশীতিপর বৃদ্ধাবস্থা, পাপ ও ঋণ থেকে এবং ক্ববরের ফেৎনা, ক্ববরের আযাব, জাহান্নামের ফেৎনা, জাহান্নামের আযাব ও ধন-সম্পদের ফেৎনার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট দরিদ্রতার ফেৎনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট আরো প্রার্থনা করছি দাজ্জালের ফেৎনা থেকে। হে আল্লাহ! আপনি আমার পাপরাশিকে বরফ ও শিশিরের পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। আপনি আমার অন্তরকে পাপরাশি থেকে এমনভাবে ছাফ করে দিন, যেমনিভাবে ময়লা থেকে সাদা কাপড়কে ছাফ করে দেন। আপনি আমার এবং পাপরাশির মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যেমনিভাবে আপনি পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন’। [15]
· « ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺧَﻄِﻴﺌَﺘِﻲ ﻭَﺟَﻬْﻠِﻲ ﻭَﺇِﺳْﺮَﺍﻓِﻲ ﻓِﻲ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﻛُﻠِّﻪِ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻨِّﻲ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻭَﻋَﻤْﺪِﻱ ﻭَﺟَﻬْﻠِﻲ ﻭَﻫَﺰْﻟِﻲ ﻭَﻛُﻞُّ ﺫَﻟِﻚَ ﻋِﻨْﺪِﻱ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣْﺖُ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺕُ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﺭْﺕُ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻨْﺖُ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪِّﻡُ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﺆَﺧِّﺮُ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ »
( উচ্চারণ: রব্বিগ্ফির্ লী খত্বীআতী ওয়া জাহ্লী ওয়া ইসরা-ফী ফী আমরী কুল্লিহী ওয়ামা- আনতা আ‘লামু বিহী মিন্নী, আল্লা-হুম্মাগ্ফির লী খত্বা-ইয়া-ইয়া ওয়া ‘আম্দী ওয়া জাহ্লী ওয়া হায্লী ওয়া কুল্লু যা-লিকা ‘ইনদী, আল্লা-হুম্মাগ্ফির লী মা- ক্বদ্দামতু ওয়ামা- আখ্খারতু ওয়ামা- আসরারতু ওয়ামা- আ‘লানতু, আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু ওয়া আনতা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর),
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার পাপ, আমার অজ্ঞতা, সর্ব বিষয়ে আমার সীমালংঘন এবং যে পাপ সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে বেশী জানেন, তা ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমার পাপরাশি, আমার ইচ্ছাকৃত পাপ, অজ্ঞতা ও হালকামিবশতঃ ঘটিত পাপ এবং আমার যাবতীয় পাপ ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আমার পূর্বে কৃত, ভবিষ্যতে ঘটিতব্য, গোপনীয় এবং প্রকাশ্য যাবতীয় পাপ আপনি ক্ষমা করে দিন। আপনিই অগ্রসরকারী এবং পশ্চাতকারী এবং আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান’। [16]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﻓَﺎﻟِﻖَ ﺍﻟْﺤَﺐِّ ﻭَﺍﻟﻨَّﻮَﻯ ﻭَﻣُﻨْﺰِﻝَ ﺍﻟﺘَّﻮْﺭَﺍﺓِ ﻭَﺍﻹِﻧْﺠِﻴﻞِ ﻭَﺍﻟْﻔُﺮْﻗَﺎﻥِ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﺃَﻧْﺖَ ﺁﺧِﺬٌ ﺑِﻨَﺎﺻِﻴَﺘِﻪِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻷَﻭَّﻝُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻗَﺒْﻠَﻚَ ﺷَﻰْﺀٌ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻵﺧِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑَﻌْﺪَﻙَ ﺷَﻰْﺀٌ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻰْﺀٌ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺩُﻭﻧَﻚَ ﺷَﻰْﺀٌ ﺍﻗْﺾِ ﻋَﻨَّﺎ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦَ ﻭَﺃَﻏْﻨِﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামাওয়া-তি ওয়া রব্বাল আরযি ওয়া রব্বাল ‘আরশিল আযীম, রব্বানা- ওয়া রব্বা কুল্লি শাই, ফা-লিক্বাল হাব্বি ওয়ান্ নাওয়া-, ওয়া মুনযিলাত তাওরা-তি ওয়াল ইনজীলি ওয়াল ফুরক্বা-ন, আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি কুল্লি শাইয়িন আনতা আ-খিযুন বিনা-ছিয়াতিহী। আল্লা-হুম্মা আনতাল আওওয়ালু ফালায়সা ক্ববলাকা শাই, ওয়া আনতাল আ-খিরু ফালায়সা বা‘দাকা শাই, ওয়া আনতায্ য-হিরু ফালায়সা ফাওক্বাকা শাই, ওয়া আনতাল বা-ত্বিনু ফালায়সা দূনাকা শাই, ইক্বযি ‘আন্নাদ্ দায়না ওয়া আগ্নিনা- মিনাল ফাক্বর),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আকাশমণ্ডলীর প্রভু, পৃথিবীর প্রভু, মহান আরশের প্রভু, আমাদের প্রভু এবং সবকিছুর প্রভু! বীজ এবং আঠি থেকে চারা অঙ্কুরিতকারী! তাওরাত, ইনজীল এবং কুরআন অবতীর্ণকারী! আমি আপনার কাছে ঐসবকিছুর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেগুলি আপনারই হস্তগত। হে আল্লাহ! আপনিই আদি, আপনার পূর্বে কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না; আপনিই অন্ত, আপনার পরে কোন কিছুই নেই বা থাকবে না; আপনিই প্রকাশমান ও সবকিছুর উপর বিজয়ী, আপনার উপরে কিছুই নেই; আপনিই অপ্রকাশমান, আপনি ছাড়া কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। আপনি আমার ঋণ পরিশোধ করে দিন এবং আপনি আমাকে দারিদ্র্যমুক্ত করুন’। [17]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃَﻋْﻤَﻞْ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা ‘আমিলতু ওয়া মিন শাররি মা লাম আ‘মাল),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! যা আমি করেছি, তার অনিষ্ট থেকে এবং যা করিনি, তার অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [18]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻰ ﺩِﻳﻨِﻰَ ﺍﻟَّﺬِﻯ ﻫُﻮَ ﻋِﺼْﻤَﺔُ ﺃَﻣْﺮِﻯ ﻭَﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻰ ﺩُﻧْﻴَﺎﻯَ ﺍﻟَّﺘِﻰ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣَﻌَﺎﺷِﻰ ﻭَﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻰ ﺁﺧِﺮَﺗِﻰ ﺍﻟَّﺘِﻰ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣَﻌَﺎﺩِﻯ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞِ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓَ ﺯِﻳَﺎﺩَﺓً ﻟِﻰ ﻓِﻰ ﻛُﻞِّ ﺧَﻴْﺮٍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞِ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕَ ﺭَﺍﺣَﺔً ﻟِﻰ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﺮٍّ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আছলেহ্ লী দ্বীনিয়াল্লাযী হুওয়া ‘ইছমাতু আমরী, ওয়া আছলেহ্ লী দুন্ইয়া-ইয়াল্লাতী ফীহা মা‘আ-শী, ওয়া আছলেহ্ লী আ-খেরতিল্লাতী ফীহা মা‘আ-দী, ওয়াজ্‘আলিল হায়া-তা যিয়া-দাতান লী ফী কুল্লি খায়ের, ওয়াজ্‘আলিল মাওতা রা-হাতান লী মিন কুল্লি শার্র),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার দ্বীনকে সঠিক করে দিন, যা আমার সবকিছুর উপায়। আর আপনি আমার জন্য আমার দুনিয়াকে সঠিক করে দিন, যাতে রয়েছে আমার জীবিকা। আমার জন্য আমার আখেরাতকেও শুদ্ধ করে দিন, যেখানে হবে আমার প্রত্যাবর্তন। আপনি আমার জীবনকালকে প্রত্যেক কল্যাণকর কাজে বৃদ্ধি করুন এবং আমার মৃত্যুকে সকল অনিষ্টতা থেকে প্রশান্তি লাভের উপায় করে দিন’। [19]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻬُﺪَﻯ ﻭَﺍﻟﺘُّﻘَﻰ ﻭَﺍﻟْﻌَﻔَﺎﻑَ ﻭَﺍﻟْﻐِﻨَﻰ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত্ তুক্বা ওয়াল আফা-ফা ওয়াল গিনা-),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট সৎপথের নির্দেশনা, আল্লাহভীরুতা, চারিত্রিক নিষ্কলুষতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি’। [20]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻌَﺠْﺰِ ﻭَﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ ﻭَﺍﻟْﻬَﺮَﻡِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺁﺕِ ﻧَﻔْﺴِﻰ ﺗَﻘْﻮَﺍﻫَﺎ ﻭَﺯَﻛِّﻬَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻴْﺮُ ﻣَﻦْ ﺯَﻛَّﺎﻫَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﻟِﻴُّﻬَﺎ ﻭَﻣَﻮْﻻَﻫَﺎ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋِﻠْﻢٍ ﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﻭَﻣِﻦْ ﻗَﻠْﺐٍ ﻻَ ﻳَﺨْﺸَﻊُ ﻭَﻣِﻦْ ﻧَﻔْﺲٍ ﻻَ ﺗَﺸْﺒَﻊُ ﻭَﻣِﻦْ ﺩَﻋْﻮَﺓٍ ﻻَ ﻳُﺴْﺘَﺠَﺎﺏُ ﻟَﻬَﺎ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল আজ্যি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়াল হারামি ওয়া ‘আযা-বিল ক্ববরি, আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা- ওয়া যাক্কিহা- আনতা খয়রু মান যাক্কা-হা- আনতা ওয়ালিইয়ুহা- ওয়া মাওলা-হা, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘ইলমিন লা- ইয়ান্ফা‘ ওয়া মিন ক্বলবিন লা- ইয়াখ্শা‘ ওয়া মিন নাফসিন লা- তাশবা‘ ওয়া মিন দা‘ওয়াতিন লা- য়ুসতাজা-বু লাহা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপারগতা, অলসতা, ভীরুতা, দরিদ্রতা, অশীতিপর বৃদ্ধাবস্থা এবং ক্ববরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে আপনি তাক্বওয়া প্রদান করুন এবং ইহাকে করুন কলুষমুক্ত। ইহাকে নিষ্কলুষ করার সর্বোত্তম সত্ত্বাতো আপনিই এবং আপনিই এর অভিভাবক ও মুনিব।
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এমন ইলম থেকে, যা কল্যাণ বয়ে আনে না; এমন হৃদয় থেকে, যা আল্লাহ্র ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয় না; এমন অন্তর থেকে, যা কোন কিছুতেই পরিতৃপ্ত হয় না এবং এমন দো‘আ থেকে, যা ক্ববূল হয় না’। [21]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻧَﺒْﺖُ ﻭَﺑِﻚَ ﺧَﺎﺻَﻤْﺖُ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻌِﺰَّﺗِﻚَ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻥْ ﺗُﻀِﻠَّﻨِﻰ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟَّﺬِﻯ ﻻَ ﻳَﻤُﻮﺕُ ﻭَﺍﻟْﺠِﻦُّ ﻭَﺍﻹِﻧْﺲُ ﻳَﻤُﻮﺗُﻮﻥَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু ওয়া বিকা আ-মানতু ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইকা আনাবতু ওয়া বিকা খ-ছামতু, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিইয্যাতিকা, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা আন তুযিল্লানী, আনতাল হাইয়ুল্লাযী লা-ইয়ামূত ওয়াল জিন্নু ওয়াল ইনসু ইয়ামূতূন),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনারই বশ্যতা স্বীকার করেছি, আপনার প্রতিই ঈমান এনেছি, আপনার উপরই ভরসা করেছি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছি এবং আপনার জন্যই আপনার দলীল-প্রমাণাদি দ্বারা বিবাদ-লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হয়েছি। হে আল্লাহ! আমাকে পথভ্রষ্ট করা থেকে আপনার ইয্যতের দোহাই দিয়ে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি ব্যতীত কোনো হক্ক ইলাহ নেই। আপনি এমন এক চিরঞ্জীব সত্ত্বা, যার কোন মৃত্যু নেই; কিন্তু মানব এবং জিন জাতি মরণশীল’। [22]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺯَﻭَﺍﻝِ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﺗَﺤَﻮُّﻝِ ﻋَﺎﻓِﻴَﺘِﻚَ ﻭَﻓُﺠَﺎﺀَﺓِ ﻧِﻘْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﺟَﻤِﻴﻊِ ﺳَﺨَﻄِﻚَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিকা ওয়া তাহাওউলি ‘আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজা-আতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামী‘ই সাখাত্বিকা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনার নে‘মত বিলুপ্ত হওয়া থেকে, আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন থেকে, আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ থেকে এবং আপনার সকল ক্রোধ-অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [23]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻣُﺼَﺮِّﻑَ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏِ ﺻَﺮِّﻑْ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻃَﺎﻋَﺘِﻚَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা মুছার্রিফাল ক্বুলূব ছর্রিফ ক্বুলূবানা- ‘আলা- ত্ব-‘আতিক),
অর্থ: ‘হে অন্তরসমূহের পরিবর্তন সাধনকারী আল্লাহ! আপনি আমাদের অন্তরসমূহকে আপনার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দিন’।
[24]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻰ ﺫَﻧْﺒِﻰ ﻛُﻠَّﻪُ ﺩِﻗَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَّﻪُ ﻭَﺃَﻭَّﻟَﻪُ ﻭَﺁﺧِﺮَﻩُ ﻭَﻋَﻼَﻧِﻴَﺘَﻪُ ﻭَﺳِﺮَّﻩُ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগ্ফির লী যাম্বী কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওওয়ালাহু ওয়া আ-খেরাহু ওয়া
‘আলানিয়াতাহু ওয়া সির্রাহু),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার ছোট-বড়, আগের-পরের এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় গোনাহ ক্ষমা করে দিন’। [25]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺟِﺒْﺮَﺍﺋِﻴﻞَ ﻭَﻣِﻴﻜَﺎﺋِﻴﻞَ ﻭَﺇِﺳْﺮَﺍﻓِﻴﻞَ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻧْﺖَ ﺗَﺤْﻜُﻢُ ﺑَﻴْﻦَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻳَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮﻥَ ﺍﻫْﺪِﻧِﻰ ﻟِﻤَﺎ ﺍﺧْﺘُﻠِﻒَ ﻓِﻴﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻚَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗَﻬْﺪِﻯ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺎﺀُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রব্বা জিবরা-ঈল ওয়া মীকা-ঈল ওয়া ইসরা-ফীল, ফা-তিরাস সামাওয়া-তি ওয়াল আরযি, ‘আ-লিমাল গয়বি ওয়াশ শাহা-দাহ, আনতা তাহকুমু বায়না ‘ইবা-দিকা ফীমা- কা-নূ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন, ইহ্দিনী লিমাখ্তুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বি বিইযনিকা, ইন্নাকা তাহদী মান তাশা-উ ইলা- ছিরা-তিম মুস্তাক্বীম),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! জিবরীল, মীকাঈল এবং ইসরাফীলের প্রভু! আসমানসমূহ এবং যমীনের সৃষ্টিকর্তা! গায়েব ও উপস্থিত সবকিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ! আপনার বান্দারা যেসব বিষয়ে মতানৈক্য করত, আপনি সেসব বিষয়ে তাদের মধ্যে ফায়ছালা দিবেন। হক্বের যে ক্ষেত্রে মতানৈক্য হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আপনি আমাকে সঠিক পথটি প্রদর্শন করুন। নিশ্চয়ই আপনি যাকে ইচ্ছা সরল-সঠিক পথ প্রদর্শন করে থাকেন’। [26]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮِﺿَﺎﻙَ ﻣِﻦْ ﺳَﺨَﻄِﻚَ ﻭَﺑِﻤُﻌَﺎﻓَﺎﺗِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋُﻘُﻮﺑَﺘِﻚَ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻨْﻚَ ﻻَ ﺃُﺣْﺼِﻰ ﺛَﻨَﺎﺀً ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﺛْﻨَﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻚَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আ‘ঊযু বিরিযা-কা মিন সাখাত্বিক ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন উক্বূবাতিক, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনকা লা- উহ্ছী ছানা‘আন ‘আলাইকা, আনতা কামা আছনায় ‘আলা- নাফসিক),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার অসন্তুষ্টি থেকে এবং আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আপনার শাস্তি ও ক্রোধ থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আরো আশ্রয় প্রার্থনা করছি আপনার থেকে আপনারই কাছে। আমি আপনার গুণ-গান করে শেষ করতে পারব না। যেরূপ প্রশংসা আপনি আপনার নিজের জন্য বর্ণনা করেছেন, আপনি ঠিক তদ্রুপ’। [27]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺟَﻬْﺪِ ﺍﻟْﺒَﻼَﺀِ، ﻭَﺩَﺭَﻙِ ﺍﻟﺸَّﻘَﺎﺀِ، ﻭَﺳُﻮﺀِ ﺍﻟْﻘَﻀَﺎﺀِ، ﻭَﺷَﻤَﺎﺗَﺔِ ﺍﻷَﻋْﺪَﺍﺀِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আ‘ঊযুবিকা মিন জাহ্দিল বালা- ওয়া দারাকিশ শাক্বা- ওয়া সূইল ক্বাযা- ওয়া শামা-তাতিল আ‘দা-),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কঠিন বালা-মুছীবত, চরম কষ্ট, ফয়সালার অনিষ্ট এবং (আমার বিরুদ্ধে) শত্রুদের মনতুষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [28]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻰ ﻓِﻰ ﻗَﻠْﺒِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻓِﻰ ﻟِﺴَﺎﻧِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻓِﻰ ﺳَﻤْﻌِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻓِﻰ ﺑَﺼَﺮِﻯ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﺑَﻴْﻦِ ﻳَﺪَﻯَّ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻰ ﻧَﻔْﺴِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﺃَﻋْﻈِﻢْ ﻟِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাজ্‘আল লী ফী ক্বলবী নূরান, ওয়া ফী লিসা-নী নূরান, ওয়া ফী সাম‘ঈ নূরান, ওয়া ফী বাছারী নূরান, ওয়া মিন ফাওক্বী নূরান, ওয়া মিন তাহ্তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমা-লী নূরান, ওয়া মিন বাইনি ইয়াদাইয়া নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ্‘আল ফী নাফসী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার অন্তরে নূর দিন, যবানে নূর দিন, শ্রবণ শক্তিতে নূর দিন, দৃষ্টি শক্তিতে নূর দিন, আমার উপরে নূর দিন ও নীচে নূর দিন, আমার ডানে নূর দিন ও বামে নূর দিন, আমার সামনে নূর দিন ও পেছনে নূর দিন এবং আমার আত্মায় আপনি নূর দিন। আপনি আমার জন্য জ্যোতিকে অনেক বৃদ্ধি করে দিন’। [29]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ , ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ছল্লি ‘আলা- মুহাম্মাদ ওয়া ‘আলা- আ-লি মুহাম্মাদ কামা ছল্লায়তা ‘আলা- ইবরা-হীম ওয়া ‘আলা- আ-লি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা- মুহাম্মাদ ওয়া
‘আলা- আ-লি মুহাম্মাদ কামা বা-রকতা
‘আলা- ইবরাহীম ওয়া ‘আলা- আ-লি ইবরাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর সালাত প্রেরণ (তাদেরকে ভালো হিসেবে স্মরণ) করুন, যেমনিভাবে আপনি ইবরাহীমের উপর এবং ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনের উপর সালাত প্রেরণ করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি মহা প্রশংসিত, মহা সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর, যেমনিভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীমের উপর এবং ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয়ই আপনি মহা প্রশংসিত, মহা সম্মানিত’। [30]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻛُﻠِّﻪِ ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ، ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖُ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃَﻋْﻠَﻢْ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﺮِّ ﻛُﻠِّﻪِ ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ، ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖُ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃَﻋْﻠَﻢْ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺳَﺄَﻟَﻚَ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﻧَﺒِﻴُّﻚَ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻋَﺎﺫَ ﺑِﻪِ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﻧَﺒِﻴُّﻚَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﻣَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻗَﻮْﻝٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻤَﻞٍ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻣَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻗَﻮْﻝٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻤَﻞٍ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺃَﻥْ ﺗَﺠْﻌَﻞَ ﻛُﻞَّ ﻗَﻀَﺎﺀٍ ﻗَﻀَﻴْﺘَﻪُ ﻟِﻲ ﺧَﻴْﺮًﺍ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিনাল খয়রি কুল্লিহী ‘আ-জিলিহী ওয়া আ-জিলিহ্, মা ‘আলিমতু মিনহু ওয়ামা- লাম আ‘লাম, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাশ শার্রি কুল্লিহী ‘আ-জিলিহী ওয়া আ-জিলিহ্, মা ‘আলিমতু মিনহু ওয়ামা- লাম আ‘লাম, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খয়রি মা- সাআলাকা ‘আব্দুকা ওয়া নাবিইয়ুক, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা- ‘আ-যা বিহী ‘আব্দুকা ওয়া নাবিইয়ুক, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়ামা- ক্বর্রাবা ইলাইহা- মিন ক্বওলিন ওয়া আমাল, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনান্না-রি ওয়ামা- ক্বর্রাবা ইলাইহা- মিন ক্বওলিন ওয়া আমাল, ওয়া আসআলুকা আন তাজ্‘আলা কুল্লা ক্বাযা-ইন ক্বাযাইতাহূ লী খয়রা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জানা-অজানা সকল কল্যাণ প্রার্থনা করছি। পক্ষান্তরে আমি আপনার কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জানা-অজানা সকল অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন কল্যাণ প্রার্থনা করছি, যা আপনার বান্দা ও নবী আপনার কাছে প্রার্থনা করেছেন। হে আল্লাহ! আমি এমন অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, যা থেকে আপনার বান্দা ও নবী আপনার কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে জান্নাত এবং যে কথা বা কাজ জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেয়, তা প্রার্থনা করছি। পক্ষান্তরে আমি আপনার কাছে জাহান্নাম এবং যে কথা বা কাজ জাহান্নামের নিকটবর্তী করে দেয়, তা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে, আপনি যা কিছু আমার জন্য নির্ধারণ করেন, তা যেন আমার জন্য কল্যাণকর করেন’। [31]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﻌِﻠْﻤِﻚَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺨَﻠْﻖِ ﺃَﺣْﻴِﻨِﻲ ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻟِﻲ، ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨِﻲ ﺇِﺫَﺍ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﻮَﻓَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻟِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﺸْﻴَﺘَﻚَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻛَﻠِﻤَﺔَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎ ﻭَﺍﻟْﻐَﻀَﺐِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻘَﺼْﺪَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ ﻭَﺍﻟْﻐِﻨَﻰ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻧَﻌِﻴﻤًﺎ ﻟَﺎ ﻳَﻨْﻔَﺪُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻗُﺮَّﺓَ ﻋَﻴْﻦٍ ﻟَﺎ ﺗَﻨْﻘَﻄِﻊُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎﺀَ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻘَﻀَﺎﺀِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺑَﺮْﺩَ ﺍﻟْﻌَﻴْﺶِ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻟَﺬَّﺓَ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮِ ﺇِﻟَﻰ ﻭَﺟْﻬِﻚَ، ﻭَﺍﻟﺸَّﻮْﻕَ ﺇِﻟَﻰ ﻟِﻘَﺎﺋِﻚَ ﻓِﻲ ﻏَﻴْﺮِ ﺿَﺮَّﺍﺀَ ﻣُﻀِﺮَّﺓٍ ﻭَﻟَﺎ ﻓِﺘْﻨَﺔٍ ﻣُﻀِﻠَّﺔٍ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺯَﻳِّﻨَّﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔِ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻫُﺪَﺍﺓً ﻣُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বি‘ইলমিকাল গয়বি ওয়া ক্বুদরাতিকা ‘আলাল খলক্বি আহ্ইনী মা- ‘আলিমতাল হায়া-তা খয়রান লী, ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা- ‘আলিমতাল ওয়াফা-তা খয়রান লী, আল্লা-হুম্মা ওয়া আসআলুকা খশ্ইয়াতাকা ফিল গয়বি ওয়াশ শাহা-দাহ, ওয়া আসআলুকা কালিমাতাল হাক্কি ফির্রিযা-ই ওয়াল গযাব, ওয়া আসআলুকাল ক্বছদা ফিল ফাক্বরি ওয়াল গিনা-, ওয়া আসআলুকা না‘ঈমান লা- ইয়ান্ফাদ, ওয়া আসআলুকা ক্বুর্রাতা ‘আইনিন লা- তানক্বাতে‘, ওয়া আসআলুকার রিযা- বা‘দাল ক্বাযা-, ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশি বা‘দাল মাউত, ওয়া আসআলুকা লাযযাতান্ নাযারি ইলা- ওয়াজ্হিক, ওয়াশ শাওক্বা ইলা- লিক্বা-ইকা ফী গয়রি যর্রা-ইন মুযির্রাহ্ ওয়ালা- ফিতনাতিন মুযিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা যাইয়্যিন্না- বিযীনাতিল ঈমা-ন, ওয়াজ্‘আলনা- হুদা-তান মুহতাদীন),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনার গায়েবের জ্ঞান এবং সৃষ্টিকুলের উপর আপনার সার্বভৌম ক্ষমতার মাধ্যমে আপনার নিকট এমর্মে প্রার্থনা করছি যে, আপনি আমাকে ততদিন জীবিত রাখুন, যতদিনের জীবনকাল আপনি আমার জন্য কল্যাণকর মনে করেন। পক্ষান্তরে আপনি আমাকে এমন সময় মৃত্যু দান করুন, যে সময়ের মৃত্যু আপনি আমার জন্য কল্যাণকর মনে করেন। হে আল্লাহ! গোপনে এবং প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আমি আপনার নিকট আপনার ভীতি প্রার্থনা করছি। সন্তুষ্ট এবং ক্রোধান্বিত উভয় অবস্থায় আমি আপনার নিকট হক্ব কথা বলার তাওফীক্ব প্রার্থনা করছি। দরিদ্রতা এবং ধনাঢ্যতার ক্ষেত্রে আমি আপনার নিকট মধ্যমপন্থা অবলম্বনের তাওফীক্ব প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট অফুরন্ত নে‘মত প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট অবিচ্ছিন্ন চোখ জুড়ানো বস্তু প্রার্থনা করছি। আপনার নিকট আমি তাক্বদীরের প্রতি সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট মৃত্যুর পরে সুখসমৃদ্ধ জীবন প্রার্থনা করছি। অনিষ্টকারীর অনিষ্টতা এবং পথভ্রষ্টকারীর ফেৎনা ছাড়াই আমি আপনার নিকট আপনার চেহারা দর্শনের স্বাদ এবং আপনার সাক্ষাত লাভের আকাঙ্খা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ঈমানের শোভায় সুশোভিত করুন এবং আমাদেরকে একদিকে করুন সঠিক পথের দিশারী, অন্যদিকে করুন সুপথপ্রাপ্ত’। [32]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ ﻓِﻰ ﺩِﻳﻨِﻰ ﻭَﺩُﻧْﻴَﺎﻯَ ﻭَﺃَﻫْﻠِﻰ ﻭَﻣَﺎﻟِﻰ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺳْﺘُﺮْ ﻋَﻮْﺭَﺍﺗِﻰ، ﻭَﺁﻣِﻦْ ﺭَﻭْﻋَﺎﺗِﻰ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺣْﻔَﻈْﻨِﻰ ﻣِﻦْ ﺑَﻴْﻦِ ﻳَﺪَﻯَّ ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻰ ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻰ ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻰ ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻰ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻌَﻈَﻤَﺘِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃُﻏْﺘَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻰ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্ দুন্ইয়া- ওয়াল আ-খেরাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফী দ্বীনী ওয়া দুন্ইয়া-ইয়া ওয়া আহ্লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাস্তুর ‘আওরা-তী, ওয়া আ-মিন রও‘আ-তী, আল্লা-হুম্মাহ্ফায্নী মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খলফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া ‘আন শিমা-লী ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আ‘ঊযু বিআযামাতিকা আন উগ্তা-লা মিন তাহ্তী),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি দুনিয়া ও আখেরাতে আপনার ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, আমার পরিবারে ও ধন-সম্পদে আপনার ক্ষমা এবং নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপনীয়তা রক্ষা করুন এবং ভয়-ভীতিকে নিরাপত্তায় রূপান্তরিত করুন। আপনি আমাকে আমার সামনের-পেছনের, ডানের-বামের এবং উপরের সকল বিপদাপদ থেকে হেফাযত করুন। আপনার মহত্ত্বের দোহাই দিয়ে আপনার নিকট আমার নিম্নদেশ থেকে মাটি ধ্বসে আকস্মিক মৃত্যু হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [33]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﻭَﻣَﻠِﻴﻜَﻪُ ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻧَﻔْﺴِﻰ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻭَﺷِﺮْﻛِﻪِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গয়বি ওয়াশ শাহা-দাহ, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি রব্বা কুল্লি শাইয়িন ওয়া মালীকাহূ আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি নাফসী ওয়া মিন শাররিশ্ শায়ত্বা-নি ওয়া শিরকিহী),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! দৃশ্য এবং অদৃশ্য সবকিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ! আসমানসমূহ এবং যমীনের সৃষ্টিকর্তা! সবকিছুর প্রভু এবং মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তান ও তার শির্কের [34] অনিষ্ট থেকে আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [35]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﺜَّﺒَﺎﺕَ ﻓِﻲ ﺍﻷَﻣْﺮِ , ﻭَﺍﻟْﻌَﺰِﻳﻤَﺔَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺮُّﺷْﺪِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣُﻮﺟِﺒَﺎﺕِ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ , ﻭَﻋَﺰَﺍﺋِﻢَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺗِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺷُﻜْﺮَ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻚَ , ﻭَﺣُﺴْﻦَ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻗَﻠْﺒًﺎ ﺳَﻠِﻴﻤًﺎ , ﻭَﻟِﺴَﺎﻧًﺎ ﺻَﺎﺩِﻗًﺎ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺗَﻌْﻠَﻢُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺗَﻌْﻠَﻢُ، ﻭَﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻟِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻠَﻢُ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﻋَﻼﻡُ ﺍﻟْﻐُﻴُﻮﺏِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাছ ছাবা-তা ফিল আমরি, ওয়াল আযীমাতা
‘আলার রুশদি, ওয়া আসআলুকা মূজিবা-তি রহমাতিক ওয়া ‘আযা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়া আসআলুকা শুকরা নি‘মাতিকা ওয়া হুসনা ‘ইবা-দাতিক, ওয়া আসআলুকা ক্বলবান সালীমান ওয়া লিসা-নান ছ-দিক্বান, ওয়া আসআলুকা মিন খয়রি মা- তা‘লাম, ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা- তা‘লাম, ইন্নাকা আনতা আল্লা-মুল গুয়ূব),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দ্বীনের ব্যাপারে দৃঢ়তা এবং হক্বের উপরে ঋজুতা প্রার্থনা করছি। আমি আপনার কাছে এমন আমল প্রার্থনা করছি, যা আপনার রহমত লাভ নিশ্চিত করবে এবং যা আমার জন্য আপনার নিশ্চিত ক্ষমা বয়ে আনবে। আমি আপনার নিকট নিষ্কলুষ অন্তর এবং সত্যবাদী যবান প্রার্থনা করছি। আমি আপনার জানা কল্যাণ প্রার্থনা করছি।
অপরপক্ষে আপনার জানা অকল্যাণ থেকে পানাহ চাচ্ছি। আমার সম্পর্কে আপনার জানা ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য আমি আপনার ক্ষমা ভিক্ষা করছি। নিশ্চয়ই আপনি গায়েবী বিষয়সমূহ সম্পর্কে সম্যক অবগত’। [36]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻛْﻔِﻨِﻰ ﺑِﺤَﻼَﻟِﻚَ ﻋَﻦْ ﺣَﺮَﺍﻣِﻚَ ﻭَﺃَﻏْﻨِﻨِﻰ ﺑِﻔَﻀْﻠِﻚَ ﻋَﻤَّﻦْ ﺳِﻮَﺍﻙَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিক, ওয়া আগনিনী বিফাযলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হারাম থেকে রক্ষা করে আপনার হালালের মাধ্যমে পরিতুষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ভিন্ন অন্য সবার থেকে আমাকে মুখাপেক্ষীহীন করুন’। [37]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻰ ﻓِﻰ ﺑَﺪَﻧِﻰ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻰ ﻓِﻰ ﺳَﻤْﻌِﻰ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻰ ﻓِﻰ ﺑَﺼَﺮِﻯ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜُﻔْﺮِ ﻭَﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ »
( উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম‘ঈ, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাছারী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাক্বরি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্ববরি, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা) ,
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার কানের সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার চোখের সুস্থতা দান করুন। আপনি ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। হে আল্লাহ! কুফরী এবং দারিদ্র্য থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! ক্ববরের আযাব থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি ব্যতীত আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই’। [38]
· « ﺭَﺏِّ ﺃَﻋِﻨِّﻰ ﻭَﻻَ ﺗُﻌِﻦْ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺍﻧْﺼُﺮْﻧِﻰ ﻭَﻻَ ﺗَﻨْﺼُﺮْ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺍﻣْﻜُﺮْ ﻟِﻰ ﻭَﻻَ ﺗَﻤْﻜُﺮْ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻰ ﻭَﻳَﺴِّﺮِ ﺍﻟْﻬُﺪَﻯ ﻟِﻰ ﻭَﺍﻧْﺼُﺮْﻧِﻰ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﺑَﻐَﻰ ﻋَﻠَﻰَّ ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻰ ﻟَﻚَ ﺷَﻜَّﺎﺭًﺍ ﻟَﻚَ ﺫَﻛَّﺎﺭًﺍ ﻟَﻚَ ﺭَﻫَّﺎﺑًﺎ ﻟَﻚَ ﻣِﻄْﻮَﺍﻋًﺎ ﻟَﻚَ ﻣُﺨْﺒِﺘًﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻭَّﺍﻫًﺎ ﻣُﻨِﻴﺒًﺎ ﺭَﺏِّ ﺗَﻘَﺒَّﻞْ ﺗَﻮْﺑَﺘِﻰ ﻭَﺍﻏْﺴِﻞْ ﺣَﻮْﺑَﺘِﻰ ﻭَﺃَﺟِﺐْ ﺩَﻋْﻮَﺗِﻰ ﻭَﺛَﺒِّﺖْ ﺣُﺠَّﺘِﻰ ﻭَﺳَﺪِّﺩْ ﻟِﺴَﺎﻧِﻰ ﻭَﺍﻫْﺪِ ﻗَﻠْﺒِﻰ ﻭَﺍﺳْﻠُﻞْ ﺳَﺨِﻴﻤَﺔَ ﺻَﺪْﺭِﻯ »
( উচ্চারণ: রব্বি আ‘ইন্নী ওয়ালা- তু‘ইন
‘আলাইয়া, ওয়ানছুরনী ওয়ালা- তানছুর
‘আলাইয়া, ওয়ামকুর লী ওয়ালা- তামকুর
‘আলাইয়া, ওয়াহ্দিনী ওয়া ইয়াস্সিরিল হুদা- লী, ওয়ানছুরনী ‘আলা- মান বাগা- ‘আলাইয়া। রব্বিজ‘আলনী লাকা শাক্কা-রান, লাকা যাক্কা-রান, লাকা রাহ্হা-বান, লাকা মিত্বওয়া-‘আন, লাকা মুখবিতান, ইলাইকা আওওয়া-হান মুনীবান। রব্বি তাক্বাব্বাল তাওবাতী ওয়াগসিল হাওবাতী ওয়া আজিব দা‘ওয়াতী ওয়া ছাব্বিত হুজ্জাতী ওয়া সাদ্দিদ লিসা-নী ওয়াহ্দি ক্বলবী ওয়াস্লুল সাখীমাতা ছদ্রী),
অর্থ: ‘হে আমার রব! আপনি আমাকে সাহায্য করুন; আমার বিরুদ্ধে কাউকে আপনি সাহায্য করবেন না। আপনি আমাকে বিজয়ী করুন; আমার বিরুদ্ধে কাউকে আপনি বিজয়ী করবেন না। আপনি আপনার কৌশল দ্বারা আমাকে সাহায্য করুন; আমার বিরুদ্ধে কাউকে আপনার কৌশল দ্বারা সাহায্য করবেন না। আপনি আমাকে হেদায়াত দান করুন এবং হেদায়াতের পথকে আমার জন্য সহজ করে দিন। আমার প্রতি যে ব্যক্তি অবিচার করে, তার বিরুদ্ধে আপনি আমাকে সহযোগিতা করুন। হে আমার রব! আপনি আমাকে আপনার অধিক কৃতজ্ঞ, অধিক যিক্রকারী, অধিক ভীত-সন্ত্রস্ত, অধিক আনুগত্যশীল, অধিক নম্র এবং আপনার দিকে অধিক প্রত্যাবর্তনকারী বান্দায় পরিণত করুন। হে আমার রব! আপনি আমার তওবা ক্ববূল করুন, আমার পাপ ধুয়ে-মুছে ছাফ করে দিন, আমার প্রার্থনা ক্ববূল করুন, আমার প্রমাণাদি দৃঢ় করুন, আমার যবানকে সঠিক বলার তাওফীক্ব দিন, আমার হৃদয়কে সঠিক পথ দেখিয়ে দিন এবং আমার মনের কালিমা দূর করে দিন’। [39]
· « ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻛُﻠُّﻪُ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻟَﺎ ﻗَﺎﺑِﺾَ ﻟِﻤَﺎ ﺑَﺴَﻄْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﺑَﺎﺳِﻂَ ﻟِﻤَﺎ ﻗَﺒَﻀْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻫَﺎﺩِﻱَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﺿْﻠَﻠْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﻀِﻞَّ ﻟِﻤَﻦْ ﻫَﺪَﻳْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﻌْﻄِﻲَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﻘَﺮِّﺏَ ﻟِﻤَﺎ ﺑَﺎﻋَﺪْﺕَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﺒَﺎﻋِﺪَ ﻟِﻤَﺎ ﻗَﺮَّﺑْﺖَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺍﺑْﺴُﻂْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﺑَﺮَﻛَﺎﺗِﻚَ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﻓَﻀْﻠِﻚَ ﻭَﺭِﺯْﻗِﻚَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻨَّﻌِﻴﻢَ ﺍﻟْﻤُﻘِﻴﻢَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﻳَﺤُﻮﻝُ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺰُﻭﻝُ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻨَّﻌِﻴﻢَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻌَﻴْﻠَﺔِ ﻭَﺍﻟْﺄَﻣْﻦَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﺨَﻮْﻑِ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻋَﺎﺋِﺬٌ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺘَﻨَﺎ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺣَﺒِّﺐْ ﺇِﻟَﻴْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥَ ﻭَﺯَﻳِّﻨْﻪُ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻨَﺎ، ﻭَﻛَﺮِّﻩْ ﺇِﻟَﻴْﻨَﺎ ﺍﻟْﻜُﻔْﺮَ، ﻭَﺍﻟْﻔُﺴُﻮﻕَ، ﻭَﺍﻟْﻌِﺼْﻴَﺎﻥَ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﺪِﻳﻦَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ، ﻭَﺃَﺣْﻴِﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ، ﻭَﺃَﻟْﺤِﻘْﻨَﺎ ﺑِﺎﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻏَﻴْﺮَ ﺧَﺰَﺍﻳَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻣَﻔْﺘُﻮﻧِﻴﻦَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻗَﺎﺗِﻞِ ﺍﻟْﻜَﻔَﺮَﺓَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻜَﺬِّﺑُﻮﻥَ ﺭُﺳُﻠَﻚَ، ﻭَﻳَﺼُﺪُّﻭﻥَ ﻋَﻦْ ﺳَﺒِﻴﻠِﻚَ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺭِﺟْﺰَﻙَ ﻭَﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻗَﺎﺗِﻞِ ﺍﻟْﻜَﻔَﺮَﺓَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃُﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ ﺇِﻟَﻪَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু কুল্লুহূ, আল্লা-হুম্মা লা- ক্ব-বিযা লিমা- বাসাত্ত্বা ওয়ালা- বা-সেত্বা লিমা- ক্ববাযতা, ওয়ালা- হা-দিয়া লিমা- আযলালতা ওয়ালা- মুযিল্লা লিমান হাদায়তা, ওয়ালা- মু‘ত্বিয়া লিমা- মানা‘তা ওয়ালা- মা-নে‘আ লিমা আ‘ত্বয়তা, ওয়ালা- মুক্বর্রিবা লিমা- বা-‘আদতা ওয়ালা- মুবা-‘ইদা লিমা- ক্বররাবতা, আল্লা-হুম্মাবসুত্ব ‘আলাইনা- মিন বারাকা-তিকা ওয়া রহমাতিকা ওয়া ফাযলিকা ওয়া রিয্ক্বিক, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকান না‘ঈমাল মুক্বীমাল্লাযী লা- ইয়াহূলু ওয়ালা- ইয়াযূল, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকান না‘ঈমা ইয়াওমাল ‘আয়লাহ্ ওয়াল আমনা ইয়াওমাল খয়ফি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আ-ইযুন বিকা মিন শাররি মা- আ‘ত্বয়তানা- ওয়া শাররি মা- মানা‘তা, আল্লা-হুম্মা হাব্বিব্ ইলাইনাল ঈমা-না ওয়া যাইয়্যিন্হু ফী ক্বুলূবিনা-, ওয়া কাররিহ্ ইলাইনাল কুফরা ওয়াল ফুসূক্বা ওয়াল ‘ইছ্ইয়া-ন, ওয়াজ্‘আলনা- মিনার রা-শিদীন, আল্লা-হুম্মা তাওয়াফফানা- মুসলিমীন ওয়া আহ্ইনা- মুসলিমীন, ওয়া আল্হিক্বনা- বিছ্ছ-লেহীন গয়রা খযা-ইয়া ওয়ালা- মাফতূনীন, আল্লা-হুম্মা ক্ব-তিলাল কাফারাতাল্লাযীনা ইউকায্যিবূনা রুসুলাক ওয়া ইয়াছুদ্দূনা ‘আন সাবীলিক, ওয়াজ্‘আল ‘আলাইহিম রিজ্যাকা ওয়া ‘আযা-বাক, আল্লা-হুম্মা ক্ব-তিলাল কাফারাতাল্লাযীনা উতুল কিতা-বা ইলা-হাল হাক্ব),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা আপনার জন্য। হে আল্লাহ! আপনি যাকে প্রসারিত করেছেন, তার সংকোচনকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে সংকোচন করেছেন, তার প্রসারকারী কেউ নেই। আপনি যাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তার পথপ্রদর্শনকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে পথপ্রদর্শন করেছেন, তার পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আপনি যাকে মাহরূম করেছেন, তাকে দানকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে দান করেছেন, তাকে মাহরূমকারী কেউ নেই। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে নিকটবর্তীকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে নিকটবর্তী করেছেন, তাকে দূরবর্তীকারী কেউ নেই। হে আল্লাহ! আপনার বরকত, রহমত, অনুগ্রহ এবং রিযিক্ব থেকে আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে দান করুন। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন স্থায়ী নে‘মত চাচ্ছি, যা পরিবর্তিত হয় না এবং শেষ হয়েও যায় না। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রয়োজনের দিনে আপনার নে‘মত এবং ভয়ের দিনে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যা দিয়েছেন, তার অনিষ্ট থেকে এবং যা দেননি, তার অনিষ্ট থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! ঈমানকে আপনি আমাদের নিকট প্রিয় করে দিন এবং ইহাকে আপনি আমাদের অন্তরের শোভা করে দিন। পক্ষান্তরে কুফরী, ফাসেক্বী এবং নাফরমানীকে আপনি আমাদের নিকটে ঘৃণিত করে দিন; আর আপনি আমাদেরকে হেদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন। হে আল্লাহ! মুসলিম অবস্থায় আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন এবং মুসলিম অবস্থায় আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখুন। আর কোনরূপ লাঞ্ছনা-বিভ্রান্তি ছাড়াই আপনি আমাদেরকে নেককারগণের সঙ্গে মিলিত করুন। আপনার রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী এবং আপনার পথ থেকে বাধাদানকারী কাফের সম্প্রদায়কে নিধনকারী হে আল্লাহ! আপনি তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। কিতাবধারী কাফের সম্প্রদায়কে নিধনকারী হে আল্লাহ! হে সত্য মা‘বূদ!’। [40]
[1] তিরমিযী, হা/৩৫৮৫, ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে বর্ণিত, হাদীছটি ‘হাসান লিগায়িরিহী’ (দেখুন: আলবানী (রহঃ) প্রণীত সিলসিলাহ ছহীহাহ, হা/১৫০৩)।
[2] বুখারী, হা/৪২০২; মুসলিম, হা/৬৮৬৮, আবূ মূসা আশ‘আরী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত, উক্ত হাদীছে এই বাক্যটিকে জান্নাতের সঞ্চিত ধন বলা হয়েছে।
[3] বুখারী, হা/৪৫৬৩, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে।
[4] বুখারী, হা/৬৬৮২; মুসলিম, হা/৬৮৪৬, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। হাদীছটির শব্দগুলি এরূপ: « ﻛَﻠِﻤَﺘَﺎﻥِ ﺧَﻔِﻴﻔَﺘَﺎﻥِ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥِ، ﺛَﻘِﻴﻠَﺘَﺎﻥِ ﻓِﻰ ﺍﻟْﻤِﻴﺰَﺍﻥِ، ﺣَﺒِﻴﺒَﺘَﺎﻥِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ » ‘এমন দু’টি বাক্য আছে, যা মুখে বলতে সহজ, অথচ দাড়িপাল্লায় তা ভারী এবং দয়াময় আল্লাহ্র নিকট প্রিয়। বাক্য দু’টি হচ্ছে, ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ।
[5] মুসলিম, হা/৫৬০১, সামুরাহ ইবনে জুনদাব (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত, হাদীছটিতে উক্ত চারটি বাক্যকে আল্লাহ্র নিকট সবচেয়ে প্রিয় বলা হয়েছে।
[6] মুসলিম, হা/৬৯১৩, জুওয়াইরিইয়া (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[7] মুসলিম, হা/৬৮৪৮, সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত।
[8] আবূ দাঊদ, হা/১৫২৯, সনদ ‘ছহীহ’, আবূ সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত, আবূ দাঊদের শব্দগুলি এরূপ: « ﻣَﻦْ ﻗَﺎﻝَ
ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً ﻭَﺟَﺒَﺖْ ﻟَﻪُ
ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ » ‘যে ব্যক্তি ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ
ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً বলল, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গেল’; ইমাম মুসলিম হাদীছটি একই অর্থে বর্ণনা করেন (হা/৪৮৭৯), তিনি আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন এভাবে, « ﺫَﺍﻕَ ﻃَﻌْﻢَ
ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ ﻣَﻦْ ﺭَﺿِﻰَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً »
‘যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট হয়ে গেল প্রতিপালক হিসাবে আল্লাহ্র প্রতি, দ্বীন হিসাবে ইসলামের প্রতি এবং রাসূল হিসাবে মুহাম্মাদের প্রতি, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করল’ (হা/১৫১)।
[9] নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লায়লাহ, হা/৮৪৯, সনদ ‘ছহীহ’, সিলসিলাহ ছহীহাহ, হা/২৫৯৮ দ্রষ্টব্য, রাসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাক্য চারটিকে আল্লাহ্র নিকট প্রিয়তর বলে উল্লেখ করেছেন।
[10] বুখারী, হা/৬৩৪৬; মুসলিম, হা/৬৯২১, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[11] বুখারী, হা/৬৩০৬, শাদ্দাদ ইবনে আওস
(রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত; রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই দো‘আটিকে ‘সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার’ বা ‘ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আ’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
[12] বুখারী, হা/৮৩৪; মুসলিম, হা/৬৮৬৯, আবূ বকর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[13] বুখারী, হা/৬৩৬৯, আনাস (রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[14] বুখারী, হা/৬৩৬৫, সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত।
[15] বুখারী, হা/৬৩৬৮; মুসলিম, হা/৬৮৭১, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[16] বুখারী, হা/৬৩৯৮; মুসলিম, হা/৬৯০১, আবূ মূসা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[17] মুসলিম, হা/৬৮৮৯, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[18] মুসলিম, হা/৬৮৯৫, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[19] মুসলিম, হা/৬৯০৩, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[20] মুসলিম, হা/৬৯০৪, ইবনে মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[21] মুসলিম, হা/৬৯০৬, যায়েদ ইবনে আরক্বাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[22] বুখারী, হা/৭৩৮৩; মুসলিম, হা/৬৮৯৯, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে বর্ণিত।
[23] মুসলিম, হা/৬৯৪৩, ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[24] মুসলিম, হা/৬৭৫০, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[25] মুসলিম, হা/১০৮৪, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[26] মুসলিম, হা/১৮১১, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[27] মুসলিম, হা/১০৯০, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত।
[28] বুখারী, হা/৬৩৪৭; মুসলিম, হা/৬৮৭৭, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। হাদীছটির শব্দ এরূপ: ‘রাসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন .....হতে’।
[29] বুখারী, হা/৬৩১৬; মুসলিম, হা/১৭৯৭, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[30] বুখারী, হা/৩৩৭০; মুসলিম, হা/৯০৮, কাব ইবনে উজরাহ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[31] ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪৬, সনদ ‘ছহীহ’,
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত। আলবানী প্রণীত ‘সিলসিলাহ ছহীহাহ’, হা/১৫৪২।
[32] নাসাঈ, হা/১৩০৫, সনদ ‘হাসান’, আম্মার ইবনে ইয়াসের (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[33] আবূ দাঊদ, হা/৫০৭৪, সনদ ‘ছহীহ’, ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[34] অথবা শয়তান ও তার জাল এর অনিষ্ট থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। [সম্পাদক]
[35] তিরমিযী, হা/৩৩৯২, সনদ ‘ছহীহ’, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[36] ত্ববারানী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৭১৩৫, শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু) থেকে বর্ণিত, সনদ ‘হাসান’, আলবানী (রহঃ) প্রণীত ‘সিলসিলাহ ছহীহাহ’-এর ৩২২৮ নং হাদীছ দ্রষ্টব্য।
[37] তিরমিযী, হা/৩৫৬৩, সনদ ‘হাসান’, আলী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত; আলবানী (রহঃ) প্রণীত ‘সিলসিলাহ ছহীহাহ’-এর ২৬৬ নং হাদীছ দ্রষ্টব্য।
[38] আবূ দাঊদ, হা/৫০৯০, সনদ ‘হাসান’, আবূ বাকরাহ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[39] তিরমিযী, হা/৩৫৫১, সনদ ‘ছহীহ’, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে বর্ণিত।
[40] আহমাদ, হা/১৫৪৯২; বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৯৯, সনদ ‘ছহীহ’, রিফা‘আহ যুরাক্বী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত।
_________________________________________________________________________
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
· ﴿ ﻓَﺈِﻥ ﺗَﻮَﻟَّﻮۡﺍْ ﻓَﻘُﻞۡ ﺣَﺴۡﺒِﻲَ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَۖ ﻋَﻠَﻴۡﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﺖُۖ ﻭَﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِ ﭐﻟۡﻌَﻈِﻴﻢِ ١٢٩ ﴾ [ ﺍﻟﺘﻮﺑﺔ : ١٢٩ ]
( উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লা-হু লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রব্বুল আরশিল আযীম),
অর্থ: ‘আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কোনো (হক্ব) মা‘বূদ নেই। আমি তাঁরই উপর ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের রব্ব’ (তওবাহ ১২৯) ।
· ﴿ ﻓَﺘَﻌَٰﻠَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪُ ﭐﻟۡﻤَﻠِﻚُ ﭐﻟۡﺤَﻖُّۖ ﻟَﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﭐﻟۡﻌَﺮۡﺵِ ﭐﻟۡﻜَﺮِﻳﻢِ
﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ١١٦ ]
( উচ্চারণ: ফাতা‘আ-লাল্লা-হুল মালিকুল হাক্ব, লা- ইলা-হা ইল্লা- হুওয়া, রব্বুল আরশিল কারীম)
অর্থ: ‘অতএব, শীর্ষ মহিমায় আল্লাহ, তিনি সত্যিকার মালিক, তিনি ব্যতীত কোন
(হক্ব) মা‘বূদ নেই। তিনি সম্মানিত আরশের
রব্ব’ (আল-মুমিনূন ১১৬) ।
· ﴿ ﭐﻟۡﺤَﻤۡﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﺳَﻠَٰﻢٌ ﻋَﻠَﻰٰ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﭐﺻۡﻄَﻔَﻰٰٓۗ ﴾ [ ﺍﻟﻨﻤﻞ : ٥٩ ]
( উচ্চারণ: আল-হামদু লিল্লা-হি ওয়া সালা-মুন ‘আলা- ইবা-দিহিল্লাযীনাছ্ত্বফা-)
অর্থ: ‘সকল প্রশংসাই আল্লাহ্র এবং শান্তি তাঁর মনোনীত বান্দাগণের প্রতি’ (নামল ৫৯) ।
· ﴿ ﭐﻟۡﺤَﻤۡﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﭐﻟَّﺬِﻱ ﻟَﻪُۥ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺴَّﻤَٰﻮَٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄَﺭۡﺽِ ﻭَﻟَﻪُ ﭐﻟۡﺤَﻤۡﺪُ ﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮَﺓِۚ ﻭَﻫُﻮَ ﭐﻟۡﺤَﻜِﻴﻢُ ﭐﻟۡﺨَﺒِﻴﺮُ ١ ﴾ [ ﺳﺒﺎ : ١ ]
( উচ্চারণ: আল-হামদু লিল্লা-হিল্লাযী লাহূ মা- ফিস্সামাওয়া-তি ওয়ামা- ফিল-আরযি, ওয়ালাহুল হাম্দু ফিলআ-খিরতি, ওয়াহুওয়াল হাকীমুল খাবীর),
অর্থ: ‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি
আসমান ও যমীনের সব কিছুর মালিক। তাঁরই প্রশংসা পরকালে। তিনি প্রজ্ঞাময়, সম্যক অবহিত’ (সাবা ১) ।
· ﴿ﺣَﺴۡﺒِﻲَ ﭐﻟﻠَّﻪُۖ ﻋَﻠَﻴۡﻪِ ﻳَﺘَﻮَﻛَّﻞُ ﭐﻟۡﻤُﺘَﻮَﻛِّﻠُﻮﻥَ ٣٨ ﴾ [ ﺍﻟﺰﻣﺮ : ٣٨ ]
( উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লা-হু ‘আলাইহি ইয়াতাওয়াক্কালুল মুতাওয়াক্কিলূন),
অর্থ: ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ভরসাকারীরা তাঁরই উপর ভরসা করে’ (যুমার ৩৮) ।
· ﴿ ﻗُﻞۡ ﻫُﻮَ ﭐﻟﺮَّﺣۡﻤَٰﻦُ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﺑِﻪِۦ ﻭَﻋَﻠَﻴۡﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﻨَﺎۖ ﴾ [ ﺍﻟﻤﻠﻚ : ٢٩ ]
( উচ্চারণ: হুওয়ার্ রহমা-নু আ-মান্না- বিহী ওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কালনা-),
অর্থ: ‘তিনিই পরম করুণাময়। আমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনি এবং তাঁরই উপর ভরসা করি’ (মুলক ২৯) ।
· « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ
ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ »
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হাম্দু, ওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর),
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই।
তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব তাঁরই এবং তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।
[1]
· « ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ »
( উচ্চারণ: লা- হাওলা ওয়ালা- ক্বুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ),
অর্থ: ‘নেই কোন ক্ষমতা এবং নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’। [2]
· « ﺣَﺴْﺒُﻨَﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﻮَﻛِﻴﻞُ »
( উচ্চারণ: হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল),
অর্থ: ‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
তিনি কতই না চমৎকার রক্ষাকারী’। [3]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, সুবহা-নাল্লা-হিল ‘আযীম),
অর্থ: ‘আমি আল্লাহ্র পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং তাঁর প্রশংসা আদায় করছি। আমি মহান আল্লাহ্র পবিত্রতা বর্ণনা করছি’। [4]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়ালহামদু লিল্লা-হি, ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার),
অর্থ: ‘আমি আল্লাহ্র পবিত্রতা বর্ণনা করছি। যাবতীয় প্রশংসা তাঁরই নিমিত্তে। আল্লাহ ব্যতীত কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়’। [5]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ﻋَﺪَﺩَ ﺧَﻠْﻘِﻪِ ﻭَﺭِﺿَﺎ ﻧَﻔْﺴِﻪِ ﻭَﺯِﻧَﺔَ ﻋَﺮْﺷِﻪِ
ﻭَﻣِﺪَﺍﺩَ ﻛَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী ‘আদাদা খল্ক্বিহী ওয়া রিযা- নাফসিহী ওয়া যিনাতা আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহ্), অর্থ: ‘আমি আল্লাহ্র পবিত্রতা ও প্রশংসা জ্ঞাপন করছি তাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমপরিমাণ, তাঁর সত্ত্বার সন্তুষ্টির সমতুল্য এবং তাঁর আরশের ওযন ও কালেমাসমূহের ব্যাপ্তি সমপরিমাণ’।
[6]
· « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮًﺍ ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰِ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢِ ، ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲْ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲْ ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲْ ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲْ »
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, আল্লা-হু আকবারু কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাছীরান, সুবহা-নাল্লা-হি রব্বিল ‘আলামীন, লা- হাওলা ওয়ালা- ক্বুওওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল আযীযিল হাকীম, আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াহ্দিনী ওয়ারযুক্বনী),
অর্থ: ‘আল্লাহ ছাড়া কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই। তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। যাবতীয় এবং অগণিত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। সমগ্র সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নেই কোন ক্ষমতা এবং নেই কোন শক্তি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় আল্লাহ ব্যতীত। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, আমাকে হেদায়াত দান করুন এবং আমাকে রিযিক্ব দান করুন’। [7]
· « ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً »
( উচ্চারণ: রযীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন রাসূলা),
অর্থ: ‘আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম আল্লাহকে রব্ব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদকে রাসূল হিসেবে গ্রহণ করে’। [8]
· « ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ ﻭَﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﺳْﻤُﻚَ ﻭَﺗَﻌَﺎﻝَﻯ ﺟَﺪُّﻙَ ﻭَﻝَﺍ ﺇِﻟَﻪَ ﻏَﻴْﺮُﻙَ »
( উচ্চারণ: সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা- জাদ্দুকা ওয়ালা ইলা-হা গয়রুক্),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং আপনার প্রশংসা জ্ঞাপন করছি। আপনার নাম অতি বরকতময় এবং আপনার সম্মান সুমহান। আপনি ছাড়া কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই’। [9]
· « ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢُ ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺭَﺏُّ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ
ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢِ »
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস্সামাওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরযি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল কারীম),
অর্থ: ‘মহান এবং পরম সহিষ্ণু আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো (হক্ব) মা‘বূদ নেই। মহান আরশের প্রতিপালক আল্লাহ ব্যতীত আর কোন (হক্ব) মা‘বূদ নেই। সম্মানিত আরশের প্রতিপালক এবং আসমান ও যমীনের প্রতিপালক আল্লাহ ব্যতীত কোনো (হক্ব) মা‘বূদ নেই’।
[10]
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﺗَﻘَﺒَّﻞۡ ﻣِﻨَّﺎٓۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﭐﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﭐﻟۡﻌَﻠِﻴﻢُ ١٢٧ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٢٧ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- তাক্বাব্বাল মিন্না- ইন্নাকা আনতাস্ সামী‘উল ‘আলীম),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পক্ষ থেকে ক্ববূল করে নিন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ’ (বাক্বারাহ ১২৭) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ٓ ﺀَﺍﺗِﻨَﺎ ﻓِﻲ ﭐﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔٗ ﻭَﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮَﺓِ ﺣَﺴَﻨَﺔٗ ﻭَﻗِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﭐﻟﻨَّﺎﺭِ ٢٠١ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٠١ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-তিনা ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাহ ওয়া ফিলআ-খিরতি হাসানাহ ওয়া ক্বিনা- ‘আযা-বান্না-র),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে দুনিয়া ও পরকাল উভয় জীবনে কল্যাণ দান করুন। আর আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন’
(বাক্বারাহ ২০১) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬۡﻧَﺎٓ ﺇِﻥ ﻧَّﺴِﻴﻨَﺎٓ ﺃَﻭۡ ﺃَﺧۡﻄَﺄۡﻧَﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤۡﻤِﻞۡ ﻋَﻠَﻴۡﻨَﺎٓ ﺇِﺻۡﺮٗﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠۡﺘَﻪُۥ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒۡﻠِﻨَﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺤَﻤِّﻠۡﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪِۦۖ ﻭَﭐﻋۡﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ﻭَﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻤۡﻨَﺎٓۚ ﺃَﻧﺖَ ﻣَﻮۡﻟَﻯٰﻨَﺎ ﻓَﭑﻧﺼُﺮۡﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟۡﻘَﻮۡﻡِ ﭐﻟۡﻜَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ٢٨٦ ﴾ [ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ٢٨٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- লা-তুআ-খিয্না- ইন নাসীনা- আও আখত্বা’না-, রব্বানা- ওয়ালা- তাহমিল ‘আলাইনা- ইছরান কামা- হামাল্তাহূ ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা-, রব্বানা- ওয়ালা- তুহাম্মিল্না- মা- লা- ত্ব-ক্বাতা লানা- বিহ্, ওয়া‘ফু আন্না- ওয়াগফির লানা- ওয়ার হামনা-, আনতা মাওলা-না- ফানছুরনা- ‘আলাল ক্বওমিল কাফিরীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর এমন কিছু চাপিয়ে দায়িত্ব অর্পণ করবেন না,
যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছেন। হে আমাদের প্রভু! আপনি আমাদের উপর এমন বোঝা চাপাবেন না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। অতএব, আপনি আমাদের পাপ মোচন করে দিন।
আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের প্রভু।
সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে
আপনি আমাদেরকে সাহায্য করুন’
(বাক্বারাহ ২৮৬) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺰِﻍۡ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﺑَﻌۡﺪَ ﺇِﺫۡ ﻫَﺪَﻳۡﺘَﻨَﺎ ﻭَﻫَﺐۡ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣۡﻤَﺔًۚ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﭐﻟۡﻮَﻫَّﺎﺏُ ٨ ﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- লা-তুযিগ্ ক্বুলূবানা- বা‘দা ইয্ হাদায়তানা-, ওয়া হাব্ লানা- মিল্লাদুনকা রহমাহ্, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহ্হা-ব),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে বক্র করবেন না এবং আপনি আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দান করুন।
নিশ্চয়ই আপনি বড় দাতা’ (আলে ইমরান ৮) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺇِﻧَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮﺑَﻨَﺎ ﻭَﻗِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﭐﻟﻨَّﺎﺭِ ١٦ ﴾ [ ﺍﻝ
ﻋﻤﺮﺍﻥ : ١٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- ইন্নানা- আ-মান্না- ফাগফির্ লানা- যুনূবানা-, ওয়া ক্বিনা-
‘আযা-বান্না-র),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, আপনি আমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন। আর আমাদেরকে আপনি জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন’ (আলে ইমরান ১৬) ।
· ﴿ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺏِّ ﻫَﺐۡ ﻟِﻲ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺫُﺭِّﻳَّﺔٗ ﻃَﻴِّﺒَﺔًۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺳَﻤِﻴﻊُ ﭐﻟﺪُّﻋَﺎٓﺀِ
]﴾ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ٣٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বি হাব্ লী মিল্লাদুন্কা যুর্রিইয়াতান ত্বইয়্যেবাহ, ইন্নাকা সামী‘উদ্ দু‘আ-),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী’ (আলে ইমরান ৩৮) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﺑِﻤَﺎٓ ﺃَﻧﺰَﻟۡﺖَ ﻭَﭐﺗَّﺒَﻌۡﻨَﺎ ﭐﻟﺮَّﺳُﻮﻝَ ﻓَﭑﻛۡﺘُﺒۡﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﭐﻟﺸَّٰﻬِﺪِﻳﻦَ٥٣﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ٥٣ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-মান্না- বিমা- আন্যালতা, ওয়াত্তাবা‘নার্ রসূলা ফাকতুবনা- মা‘আশ্শা-হিদীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা সে বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছি, যা আপনি নাযিল করেছেন। আর আমরা রাসূলের আনুগত্য করেছি। অতএব, আপনি আমাদেরকে সাক্ষ্যদাতাদের তালিকাভুক্ত করে নিন’
(আলে ইমরান ৫৩) ।
· ﴿ ﺭَّﺑَّﻨَﺎٓ ﺇِﻧَّﻨَﺎ ﺳَﻤِﻌۡﻨَﺎ ﻣُﻨَﺎﺩِﻳٗﺎ ﻳُﻨَﺎﺩِﻱ ﻟِﻠۡﺈِﻳﻤَٰﻦِ ﺃَﻥۡ ﺀَﺍﻣِﻨُﻮﺍْ ﺑِﺮَﺑِّﻜُﻢۡ ﻓََٔﺎﻣَﻨَّﺎۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮﺑَﻨَﺎ ﻭَﻛَﻔِّﺮۡ ﻋَﻨَّﺎ ﺳَﻴَِّٔﺎﺗِﻨَﺎ ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﭐﻟۡﺄَﺑۡﺮَﺍﺭِ ١٩٣
﴾ [ ﺍﻝ ﻋﻤﺮﺍﻥ : ١٩٣ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- ইন্নানা- সামি‘না মুনা-দিইয়াই্ ইউনা-দী লিল্ঈমা-নি আন আ-মিনূ বিরব্বিকুম ফাআ-মান্না-, রব্বানা- ফাগ্ফির লানা- যুনূবানা-, ওয়া কাফ্ফির আন্না- সাইয়্যেআ-তিনা-, ওয়া তাওয়াফ্ফানা- মা‘আল আবরা-র, রব্বানা- ওয়া আ-তিনা- মা- ওয়াদ্তানা- ‘আলা- রুসুলিকা ওয়ালা- তুখযিনা- ইয়াওমাল ক্বিয়া-মাহ, ইন্নাকা লা-তুখলিফুল মী‘আদ),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিশ্চিতরূপে একজন আহ্বানকারীকে ঈমানের প্রতি এভাবে আহ্বান করতে
শুনেছি, তোমরা তোমাদের পালনকর্তার প্রতি ঈমান আন। ফলে আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের গোনাহসমূহ মাফ করে দিন এবং আমাদের
পাপসমূহ মোচন করে দিন। আর আপনি
আমাদেরকে নেক লোকদের অন্তর্ভুক্ত অবস্থায় মৃত্যু দান করুন। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের জন্য আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে যার ওয়াদা করেছেন, তা আমাদেরকে দান করুন এবং ক্বিয়ামতের দিন আপনি আমাদেরকে অপমানিত করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি ভঙ্গ করেন না অঙ্গীকার’ (আলে ইমরান ১৯৩-১৯৪) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻇَﻠَﻤۡﻨَﺎٓ ﺃَﻧﻔُﺴَﻨَﺎ ﻭَﺇِﻥ ﻟَّﻢۡ ﺗَﻐۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﺗَﺮۡﺣَﻤۡﻨَﺎ ﻟَﻨَﻜُﻮﻧَﻦَّ ﻣِﻦَ ﭐﻟۡﺨَٰﺴِﺮِﻳﻦَ ٢٣]﴾ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ٢٣ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- যলামনা- আনফুসানা-, ওয়া ইল্লাম তাগফির্ লানা- ওয়া তারহাম্না- লানাকূনান্না মিনাল খ-সিরীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের প্রতি যুলম করেছি। আপনি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তাহলে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব’ (আ‘রাফ ২৩) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﭐﻟۡﻘَﻮۡﻡِ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ ٤٧ ﴾ [ ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ٤٧ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- লা- তাজ‘আল্না- মা‘আল ক্বওমিয্ য-লিমীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদেরকে যালেমদের সঙ্গী করবেন না’
(আ‘রাফ ৪৭) ।
· ﴿ ﺃَﻧﺖَ ﻭَﻟِﻴُّﻨَﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻤۡﻨَﺎۖ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴۡﺮُ ﭐﻟۡﻐَٰﻔِﺮِﻳﻦَ ١٥٥ ۞ﻭَﭐﻛۡﺘُﺐۡ ﻟَﻨَﺎ ﻓِﻲ ﻫَٰﺬِﻩِ ﭐﻟﺪُّﻧۡﻴَﺎ ﺣَﺴَﻨَﺔٗ ﻭَﻓِﻲ ﭐﻟۡﺄٓﺧِﺮَﺓِ﴾ [ ﺍﻻﻋﺮﺍﻑ : ١٥٥، ١٥٦ ]
( উচ্চারণ: আনতা ওয়ালিই্য়ুনা- ফাগফির্ লানা- ওয়ার্হাম্না-, ওয়া আনতা খয়রুল গ-ফিরীন, ওয়াক্তুব্ লানা- ফী হা-যিহিদ্ দুন্ইয়া হাসানাহ ওয়া ফিল্আ-খিরাহ),
অর্থ: ‘আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের
প্রতি অনুগ্রহ করুন। আপনিইতো সর্বোত্তম ক্ষমাকারী। আর দুনিয়াতে এবং আখেরাতে আমাদের জন্য কল্যাণ লিখে দিন’ (আ‘রাফ ১৫৫-১৫৬) ।
· ﴿ ﻋَﻠَﻰ ﭐﻟﻠَّﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﻨَﺎ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻓِﺘۡﻨَﺔٗ ﻟِّﻠۡﻘَﻮۡﻡِ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ ٨٥
﴾ [ ﻳﻮﻧﺲ : ٨٥ ]
( উচ্চারণ: ‘আলাল্লা-হি তাওয়াক্কাল্না-, রব্বানা- লা-তাজ‘আল্না- ফিতনাতান লিল্ক্বওমিয্ য-লিমীন, ওয়া নাজ্জিনা- বিরহমাতিকা মিনাল ক্বওমিল কাফিরীন),
অর্থ: ‘আমরা আল্লাহ্র উপর ভরসা করেছি। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি
আমাদেরকে অত্যাচারীদের উৎপীড়নের পাত্র বানাবেন না। আর আমাদেরকে
আপনার অনুগ্রহ দ্বারা কাফেরগোষ্ঠীর কবল থেকে উদ্ধার করুন’ (ইউনুস ৮৫-৮৬) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﭐﺟۡﻌَﻠۡﻨِﻲ ﻣُﻘِﻴﻢَ ﭐﻟﺼَّﻠَﻮٰﺓِ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﻘَﺒَّﻞۡ ﺩُﻋَﺎٓﺀِ ٤٠ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟِﻲ ﻭَﻟِﻮَٰﻟِﺪَﻱَّ ﻭَﻟِﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳَﻮۡﻡَ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﭐﻟۡﺤِﺴَﺎﺏُ ٤١
﴾ [ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ : ٤٠، ٤١ ]
( উচ্চারণ: রব্বিজ্‘আল্নী মুক্বীমাছ্ ছলা-তি ওয়া মিন যুর্রিইয়াতি, রব্বানা- ওয়া তাক্বাব্বাল্ দু‘আ-, রব্বানা-গ্ফির্ লী ওয়া লিওয়া-লিদাইয়া ওয়া লিলমু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াক্বূমুল হিসা-ব),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে
ছালাত ক্বায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি দো‘আ ক্ববূল করুন। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনকে হিসাব-নিক্বাশের দিন ক্ষমা করুন’ (ইবরাহীম ৪০-৪১) ।
· ﴿ﺭَّﺏِّ ﭐﺭۡﺣَﻤۡﻬُﻤَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﺭَﺑَّﻴَﺎﻧِﻲ ﺻَﻐِﻴﺮٗﺍ﴾ [ ﺍﻻﺳﺮﺍﺀ : ٢٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বির্হামহুমা- কামা- রব্বাইয়া-নী ছগীরা),
অর্থ: ‘হে আমার রব! আপনি তাদের উভয়ের প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, যেমন তাঁরা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন’ (ইসরা ৩৪) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﺗِﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻟَّﺪُﻧﻚَ ﺭَﺣۡﻤَﺔٗ ﻭَﻫَﻴِّﺊۡ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦۡ ﺃَﻣۡﺮِﻧَﺎ ﺭَﺷَﺪٗﺍ ١٠ ﴾
[ ﺍﻟﻜﻬﻒ : ١٠ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-তিনা- মিল্লাদুন্কা রহমাহ, ওয়া হাইয়ি’ লানা- মিন আমরিনা- রশাদা),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন’ (কাহ্ফ ১০) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﭐﺷۡﺮَﺡۡ ﻟِﻲ ﺻَﺪۡﺭِﻱ ٢٥ ﻭَﻳَﺴِّﺮۡ ﻟِﻲٓ ﺃَﻣۡﺮِﻱ ٢٦ ﴾ [ ﻃﻪ : ٢٥، ٢٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বিশ্রহ লী ছদ্রী ওয়া ইয়াস্সির লী আমরী),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন এবং আমার কাজ সহজ করে দিন’ (ত্ব-হা ২৫-২৬) ।
· ﴿ ﺭَّﺏِّ ﺯِﺩۡﻧِﻲ ﻋِﻠۡﻤٗﺎ ]﴾ﻃﻪ : ١١٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বি যিদ্নী ‘ইলমা),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন’ (ত্ব-হা ১১৪) ।
· ﴿ﻟَّﺎٓ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎٓ ﺃَﻧﺖَ ﺳُﺒۡﺤَٰﻨَﻚَ ﺇِﻧِّﻲ ﻛُﻨﺖُ ﻣِﻦَ ﭐﻟﻈَّٰﻠِﻤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻻﻧﺒﻴﺎﺀ : ٨٧ ]
( উচ্চারণ: লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, সুবহা-নাকা ইন্নী কুনতু মিনায্ য-লিমীন),
অর্থ: ‘আপনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই।
আমি আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি।
নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।’
(আম্বিয়া ৮৭) ।
· ﴿ﺭَّﺏِّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦۡ ﻫَﻤَﺰَٰﺕِ ﭐﻟﺸَّﻴَٰﻄِﻴﻦِ ٩٧ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﺭَﺏِّ ﺃَﻥ ﻳَﺤۡﻀُﺮُﻭﻥِ ٩٨ ﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ٩٧، ٩٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন হামাযা-তিশ্ শায়া-ত্বীন, ওয়া আ‘ঊযুবিকা রব্বি আইইয়াহ্যুরূন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানদের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আমার পালনকর্তা! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’
(মুমিনূন ৮৭-৮৮) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺀَﺍﻣَﻨَّﺎ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻤۡﻨَﺎ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴۡﺮُ ﭐﻟﺮَّٰﺣِﻤِﻴﻦَ
﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ١٠٩ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- আ-মান্না- ফাগফির্ লানা- ওয়ার্হামনা- ওয়া আনতা খয়রুর্ র-হিমীন),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের প্রতি রহম করুন। আপনিইতো সর্বোত্তম দয়ালু’ (মুমিনূন ১০৯) ।
· ﴿ﺭَّﺏِّ ﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻭَﭐﺭۡﺣَﻢۡ ﻭَﺃَﻧﺖَ ﺧَﻴۡﺮُ ﭐﻟﺮَّٰﺣِﻤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻮﻥ : ١١٨ ]
( উচ্চারণ: রব্বিগ্ফির্ ওয়ার্হাম্ ওয়া আনতা খয়রুর্ র-হিমীন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি ক্ষমা করুন ও রহম করুন। আপনিইতো সর্বোত্তম দয়ালু’ (মুমিনূন ১১৮) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﭐﺻۡﺮِﻑۡ ﻋَﻨَّﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺟَﻬَﻨَّﻢَۖ ﺇِﻥَّ ﻋَﺬَﺍﺑَﻬَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻏَﺮَﺍﻣًﺎ ٦٥
﴾ [ ﺍﻟﻔﺮﻗﺎﻥ : ٦٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বানাছ্রিফ্ ‘আন্না-‘আযা-বা জাহান্নামা, ইন্না ‘আযা-বাহা কা-না গরা-মা),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি সরিয়ে দিন। নিশ্চয়ই এর শাস্তি অপ্রতিহত’
(ফুরক্বান ৬৫) ।
· ﴿ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻫَﺐۡ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦۡ ﺃَﺯۡﻭَٰﺟِﻨَﺎ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّٰﺘِﻨَﺎ ﻗُﺮَّﺓَ ﺃَﻋۡﻴُﻦٖ ﻭَﭐﺟۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻟِﻠۡﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﺇِﻣَﺎﻣًﺎ ﴾ [ ﺍﻟﻔﺮﻗﺎﻥ : ٧٤ ]
( উচ্চারণ: রব্বানা- হাব্ লানা- মিন আয্ওয়া-জিনা- ওয়া যুর্রিইয়া-তিনা- ক্বুর্রাতা আ‘য়ুন, ওয়াজ্‘আলনা- লিলমুত্তাক্বীনা ইমা-মা),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের স্ত্রী এবং আমাদের সন্তান-সন্ততির পক্ষ থেকে আমাদেরকে চোখ জুড়ানো আনন্দ প্রদান করুন। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাক্বীদের জন্য আদর্শস্বরূপ করুন’
(ফুরক্বান ৭৪) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﺃَﻭۡﺯِﻋۡﻨِﻲٓ ﺃَﻥۡ ﺃَﺷۡﻜُﺮَ ﻧِﻌۡﻤَﺘَﻚَ ﭐﻟَّﺘِﻲٓ ﺃَﻧۡﻌَﻤۡﺖَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﻋَﻠَﻰٰ ﻭَٰﻟِﺪَﻱَّ ﻭَﺃَﻥۡ ﺃَﻋۡﻤَﻞَ ﺻَٰﻠِﺤٗﺎ ﺗَﺮۡﺿَﻯٰﻪُ ﻭَﺃَﺩۡﺧِﻠۡﻨِﻲ ﺑِﺮَﺣۡﻤَﺘِﻚَ ﻓِﻲ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﭐﻟﺼَّٰﻠِﺤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻟﻨﻤﻞ : ١٩ ]
( উচ্চারণ: রব্বি আওযি‘নী আন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতী আন‘আমতা ‘আলাইয়া ওয়া ‘আলা- ওয়া-লিদাইয়া, ওয়া আন আ‘মালা ছ-লিহান তারযা-হু, ওয়া আদ্খিলনী বিরহমাতিকা ফী ইবা-দিকাছ্ ছ-লিহীন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে সামর্থ্য দান করুন, যাতে আমি আমার প্রতি এবং আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনার প্রদত্ত নে‘মতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি।
আপনি আমাকে নিজ অনুগ্রহে আপনার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন’ (নামল ১৯) ।
· ﴿ﺭَﺏِّ ﺇِﻧِّﻲ ﻇَﻠَﻤۡﺖُ ﻧَﻔۡﺴِﻲ ﻓَﭑﻏۡﻔِﺮۡ ﻟِﻲ﴾ [ ﺍﻟﻘﺼﺺ : ١٦ ]
( উচ্চারণ: রব্বি ইন্নী যলামতু নাফসী ফাগফির লী),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আমিতো নিজের উপর যুলম করে ফেলেছি। অতএব,
আপনি আমাকে ক্ষমা করুন’ (ক্বাছাছ ১৬) ।
· ﴿ ﺭَﺏِّ ﻫَﺐۡ ﻟِﻲ ﻣِﻦَ ﭐﻟﺼَّٰﻠِﺤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻟﺼﺎﻓﺎﺕ : ١٠٠ ]
( উচ্চারণ: রব্বি হাব্ লী মিনাছ্ ছ-লিহীন),
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সৎসন্তান দান করুন’ (ছফ্ফা-ত ১০০) ।
· ﴿ﺭَﺏِّ ﺃَﻭْﺯِﻋْﻨِﻲ ﺃَﻥْ ﺃَﺷْﻜُﺮَ ﻧِﻌْﻤَﺘَﻚَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﺃَﻧْﻌَﻤْﺖَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﻋَﻠَﻰٰ ﻭَﺍﻟِﺪَﻱَّ ﻭَﺃَﻥْ ﺃَﻋْﻤَﻞَ ﺻَﺎﻟِﺤًﺎ ﺗَﺮْﺿَﺎﻩُ ﻭَﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲ ﺇِﻧِّﻲ ﺗُﺒْﺖُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻭَﺇِﻧِّﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ﴾ [ ﺍﻻﺣﻘﺎﻑ : ١٥ ]
( উচ্চারণ: রব্বি আওযি‘নী আন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতী আন‘আমতা ‘আলাইয়া ওয়া ‘আলা- ওয়া-লিদাইয়া, ওয়া আন আ‘মালা ছ-লিহান তারযা-হু, ওয়া আছলিহ্ লী ফী যুর্রিইয়াতি, ইন্নী তুবতু ইলাইকা, ওয়া ইন্নী মিনাল মুসলিমীন),
অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে সামর্থ্য দান করুন, যাতে আমি আমার প্রতি এবং আমার পিতা-মাতার প্রতি আপনার প্রদত্ত নে‘মতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি এবং যাতে আমি আপনার পছন্দনীয় সৎকর্ম করতে পারি।
আপনি আমাকে আমার সন্তানদের ক্ষেত্রে সৎকর্মপরায়ণ করুন, আমি আপনার নিকট তওবা করলাম এবং আমি মুসলিমদের অন্যতম’
(আহক্বাফ ১৫) ।
· ﴿ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﻭَﻟِﺈِﺧۡﻮَٰﻧِﻨَﺎ ﭐﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺳَﺒَﻘُﻮﻧَﺎ ﺑِﭑﻟۡﺈِﻳﻤَٰﻦِ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻞۡ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻨَﺎ ﻏِﻠّٗﺎ ﻟِّﻠَّﺬِﻳﻦَ ﺀَﺍﻣَﻨُﻮﺍْ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺇِﻧَّﻚَ ﺭَﺀُﻭﻑٞ ﺭَّﺣِﻴﻢٌ ١٠ ﴾ [ ﺍﻟﺤﺸﺮ : ١٠ ]
( উচ্চারণ: রব্বানাগ্ফির্ লানা- ওয়া লিইখ্ওয়া-নিনাল্লাযীনা সাবাক্বূনা- বিলঈমা-ন, ওয়ালা- তাজ‘আল ফী ক্বুলূবিনা- গিল্লাল্ লিল্লাযীনা আ-মানূ রব্বানা- ইন্নাকা রঊফুর রহীম),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা!
আমাদেরকে এবং ঈমানে আমাদের
অগ্রবর্তী ভ্রাতাগণকে ক্ষমা করুন। ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোনো বিদ্বেষ আপনি রাখবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয়ই আপনি
অতিশয় দয়ালু, পরম করুণাময়’’ (হাশর ১০) ।
· ﴿ﺭَّﺑَّﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴۡﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠۡﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴۡﻚَ ﺃَﻧَﺒۡﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴۡﻚَ ﭐﻟۡﻤَﺼِﻴﺮُ ٤ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺠۡﻌَﻠۡﻨَﺎ ﻓِﺘۡﻨَﺔٗ ﻟِّﻠَّﺬِﻳﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭﺍْ ﻭَﭐﻏۡﻔِﺮۡ ﻟَﻨَﺎ ﺭَﺑَّﻨَﺎٓۖ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧﺖَ ﭐﻟۡﻌَﺰِﻳﺰُ ﭐﻟۡﺤَﻜِﻴﻢُ ٥]﴾ﺍﻟﻤﻤﺘﺤﻨﺔ : ٤، ٥ ]
(উচ্চারণ: রব্বানা- ‘আলাইকা তাওয়াক্কাল্না- ওয়া ইলাইকা আনাব্না- ওয়া ইলাইকাল্ মাছীর, রব্বানা- লা-তাজ‘আল্না- ফিতনাতাল্ লিল্লাযীনা কাফারূ, ওয়াগ্ফির্ লানা- রব্বানা-, ইন্নাকা আনতাল আযীযুল হাকীম),
অর্থ: ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা
আপনার উপরই ভরসা করেছি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছি এবং আপনার নিকটেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে কাফেরদের পরীক্ষার পাত্র বানাবেন না। হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী,
প্রজ্ঞাময়’ (মুমতাহানাহ ৩-৪) ।
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আব্দুকা ওয়া আনা ‘আলা-‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্ব‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা ছনা‘তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ লাকা বিযাম্বী ফাগফির লী, ফাইন্নাহু লা-ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আনতা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক, আপনি ব্যতীত আর কোন (সত্যিকার) উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আর সাধ্যানুযায়ী আমি আপনার প্রতিশ্রুতিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমি আপনার কাছে আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আমার প্রতি আপনার প্রদত্ত নে‘মতের স্বীকৃতি প্রদান করছি এবং আপনার নিকট আমার গোনাহ স্বীকার করে নিচ্ছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। কেননা আপনি ব্যতীত আর কেউ গোনাহসমূহ মার্জনা করতে পারে না’। [11]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻇَﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻇُﻠْﻤًﺎ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟَّﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓً ﻣِﻦْ ﻋِﻨْﺪِﻙَ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ ﺇِﻧَّﻚ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻐَﻔُﻮﺭُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাছীরান, ওয়ালা- ইয়াগ্ফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আনতা, ফাগফির লী মাগফিরাতাম্ মিন ‘ইনদিকা ওয়ার্হামনী, ইন্নাকা আনতাল গফূরুর্ রহীম),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক যুলম করেছি, আর আপনি ব্যতীত অন্য কেউ ঐসব গোনাহ ক্ষমা করতে পারে না। অতএব, আপনার পক্ষ থেকে আপনি আমাকে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি রহম করুন। নিশ্চয়ই আপনি পরম ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু’। [12]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻬَﻢِّ ﻭَﺍﻟْﺤَﺰَﻥِ ﻭَﺍﻟْﻌَﺠْﺰِ ﻭَﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ ﻭَﺿَﻠَﻊِ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦِ ﻭَﻏَﻠَﺒَﺔِ ﺍﻟﺮِّﺟَﺎﻝِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি ওয়াল আয্জি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুব্নি ওয়াল বুখ্লি ওয়া যলাইদ্ দাইনি ওয়া গলাবাতির্ রিজা-ল),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে (ঘটিত কোনো বিষয়ে) দুশ্চিন্তা, (আগত কোনো বিষয়ে) চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা এবং ঋণের বোঝা ও দুষ্ট লোকের প্রাধান্য থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [13]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃُﺭَﺩَّ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺭْﺫَﻝِ ﺍﻟْﻌُﻤُﺮِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্লি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা আন উরাদ্দা ইলা- আরযালিল্ উমুর, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিদ্ দুন্ইয়া-, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন
‘আযা-বিল ক্বব্র),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, জরাজীর্ণ বয়স থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, দুনিয়ার ফেৎনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এবং ক্ববরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [14]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺍﻟْﻬَﺮَﻡِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺄْﺛَﻢِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮَﻡِ ﻭَﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻭَﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻐِﻨَﻰ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﺴِﻞْ ﻋَﻨِّﻲ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﺑِﻤَﺎﺀِ ﺍﻟﺜَّﻠْﺞِ ﻭَﺍﻟْﺒَﺮَﺩِ ﻭَﻧَﻖِّ ﻗَﻠْﺒِﻲ ﻣِﻦْ ﺍﻟْﺨَﻄَﺎﻳَﺎ ﻛَﻤَﺎ ﻧَﻘَّﻴْﺖَ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾَ ﻣِﻦْ ﺍﻟﺪَّﻧَﺲِ ﻭَﺑَﺎﻋِﺪْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻦَ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﻋَﺪْﺕَ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟْﻤَﺸْﺮِﻕِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল হারামি ওয়াল মা’ছামি ওয়াল মাগরামি, ওয়া মিন ফিতনাতিল ক্বব্রি ওয়া ‘আযা-বিল ক্বব্র, ওয়া মিন ফিতনাতিন্ না-রি ওয়া ‘আযা-বিন না-র, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল গিনা-, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল ফাক্বরি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-ল। আল্লা-হুম্মাগ্সিল ‘ আন্নী খত্বা-ইয়া-ইয়া বিমা-ইছ্ ছালজি ওয়াল বারাদ, ওয়া নাক্বি ক্বলবী মিনাল খত্বা-ইয়া- কামা নাক্কায়তাছ্ ছাওবাল আবইয়াযা মিনাদ্ দানাস, ওয়া বা-‘ইদ বায়নী ওয়া বায়না খত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদ্তা বায়নাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অলসতা, অশীতিপর বৃদ্ধাবস্থা, পাপ ও ঋণ থেকে এবং ক্ববরের ফেৎনা, ক্ববরের আযাব, জাহান্নামের ফেৎনা, জাহান্নামের আযাব ও ধন-সম্পদের ফেৎনার অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট দরিদ্রতার ফেৎনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট আরো প্রার্থনা করছি দাজ্জালের ফেৎনা থেকে। হে আল্লাহ! আপনি আমার পাপরাশিকে বরফ ও শিশিরের পানি দিয়ে ধুয়ে দিন। আপনি আমার অন্তরকে পাপরাশি থেকে এমনভাবে ছাফ করে দিন, যেমনিভাবে ময়লা থেকে সাদা কাপড়কে ছাফ করে দেন। আপনি আমার এবং পাপরাশির মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যেমনিভাবে আপনি পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন’। [15]
· « ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺧَﻄِﻴﺌَﺘِﻲ ﻭَﺟَﻬْﻠِﻲ ﻭَﺇِﺳْﺮَﺍﻓِﻲ ﻓِﻲ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﻛُﻠِّﻪِ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻨِّﻲ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻭَﻋَﻤْﺪِﻱ ﻭَﺟَﻬْﻠِﻲ ﻭَﻫَﺰْﻟِﻲ ﻭَﻛُﻞُّ ﺫَﻟِﻚَ ﻋِﻨْﺪِﻱ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣْﺖُ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺕُ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﺭْﺕُ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻨْﺖُ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪِّﻡُ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﺆَﺧِّﺮُ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ »
( উচ্চারণ: রব্বিগ্ফির্ লী খত্বীআতী ওয়া জাহ্লী ওয়া ইসরা-ফী ফী আমরী কুল্লিহী ওয়ামা- আনতা আ‘লামু বিহী মিন্নী, আল্লা-হুম্মাগ্ফির লী খত্বা-ইয়া-ইয়া ওয়া ‘আম্দী ওয়া জাহ্লী ওয়া হায্লী ওয়া কুল্লু যা-লিকা ‘ইনদী, আল্লা-হুম্মাগ্ফির লী মা- ক্বদ্দামতু ওয়ামা- আখ্খারতু ওয়ামা- আসরারতু ওয়ামা- আ‘লানতু, আনতাল মুক্বাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু ওয়া আনতা ‘আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর),
অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার পাপ, আমার অজ্ঞতা, সর্ব বিষয়ে আমার সীমালংঘন এবং যে পাপ সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে বেশী জানেন, তা ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমার পাপরাশি, আমার ইচ্ছাকৃত পাপ, অজ্ঞতা ও হালকামিবশতঃ ঘটিত পাপ এবং আমার যাবতীয় পাপ ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ! আমার পূর্বে কৃত, ভবিষ্যতে ঘটিতব্য, গোপনীয় এবং প্রকাশ্য যাবতীয় পাপ আপনি ক্ষমা করে দিন। আপনিই অগ্রসরকারী এবং পশ্চাতকারী এবং আপনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান’। [16]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﻓَﺎﻟِﻖَ ﺍﻟْﺤَﺐِّ ﻭَﺍﻟﻨَّﻮَﻯ ﻭَﻣُﻨْﺰِﻝَ ﺍﻟﺘَّﻮْﺭَﺍﺓِ ﻭَﺍﻹِﻧْﺠِﻴﻞِ ﻭَﺍﻟْﻔُﺮْﻗَﺎﻥِ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﺃَﻧْﺖَ ﺁﺧِﺬٌ ﺑِﻨَﺎﺻِﻴَﺘِﻪِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻷَﻭَّﻝُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻗَﺒْﻠَﻚَ ﺷَﻰْﺀٌ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻵﺧِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑَﻌْﺪَﻙَ ﺷَﻰْﺀٌ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻰْﺀٌ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺩُﻭﻧَﻚَ ﺷَﻰْﺀٌ ﺍﻗْﺾِ ﻋَﻨَّﺎ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦَ ﻭَﺃَﻏْﻨِﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামাওয়া-তি ওয়া রব্বাল আরযি ওয়া রব্বাল ‘আরশিল আযীম, রব্বানা- ওয়া রব্বা কুল্লি শাই, ফা-লিক্বাল হাব্বি ওয়ান্ নাওয়া-, ওয়া মুনযিলাত তাওরা-তি ওয়াল ইনজীলি ওয়াল ফুরক্বা-ন, আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি কুল্লি শাইয়িন আনতা আ-খিযুন বিনা-ছিয়াতিহী। আল্লা-হুম্মা আনতাল আওওয়ালু ফালায়সা ক্ববলাকা শাই, ওয়া আনতাল আ-খিরু ফালায়সা বা‘দাকা শাই, ওয়া আনতায্ য-হিরু ফালায়সা ফাওক্বাকা শাই, ওয়া আনতাল বা-ত্বিনু ফালায়সা দূনাকা শাই, ইক্বযি ‘আন্নাদ্ দায়না ওয়া আগ্নিনা- মিনাল ফাক্বর),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আকাশমণ্ডলীর প্রভু, পৃথিবীর প্রভু, মহান আরশের প্রভু, আমাদের প্রভু এবং সবকিছুর প্রভু! বীজ এবং আঠি থেকে চারা অঙ্কুরিতকারী! তাওরাত, ইনজীল এবং কুরআন অবতীর্ণকারী! আমি আপনার কাছে ঐসবকিছুর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি, যেগুলি আপনারই হস্তগত। হে আল্লাহ! আপনিই আদি, আপনার পূর্বে কোন কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না; আপনিই অন্ত, আপনার পরে কোন কিছুই নেই বা থাকবে না; আপনিই প্রকাশমান ও সবকিছুর উপর বিজয়ী, আপনার উপরে কিছুই নেই; আপনিই অপ্রকাশমান, আপনি ছাড়া কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। আপনি আমার ঋণ পরিশোধ করে দিন এবং আপনি আমাকে দারিদ্র্যমুক্ত করুন’। [17]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻋَﻤِﻠْﺖُ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃَﻋْﻤَﻞْ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা ‘আমিলতু ওয়া মিন শাররি মা লাম আ‘মাল),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! যা আমি করেছি, তার অনিষ্ট থেকে এবং যা করিনি, তার অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [18]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻰ ﺩِﻳﻨِﻰَ ﺍﻟَّﺬِﻯ ﻫُﻮَ ﻋِﺼْﻤَﺔُ ﺃَﻣْﺮِﻯ ﻭَﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻰ ﺩُﻧْﻴَﺎﻯَ ﺍﻟَّﺘِﻰ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣَﻌَﺎﺷِﻰ ﻭَﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻰ ﺁﺧِﺮَﺗِﻰ ﺍﻟَّﺘِﻰ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻣَﻌَﺎﺩِﻯ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞِ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓَ ﺯِﻳَﺎﺩَﺓً ﻟِﻰ ﻓِﻰ ﻛُﻞِّ ﺧَﻴْﺮٍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞِ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕَ ﺭَﺍﺣَﺔً ﻟِﻰ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺷَﺮٍّ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আছলেহ্ লী দ্বীনিয়াল্লাযী হুওয়া ‘ইছমাতু আমরী, ওয়া আছলেহ্ লী দুন্ইয়া-ইয়াল্লাতী ফীহা মা‘আ-শী, ওয়া আছলেহ্ লী আ-খেরতিল্লাতী ফীহা মা‘আ-দী, ওয়াজ্‘আলিল হায়া-তা যিয়া-দাতান লী ফী কুল্লি খায়ের, ওয়াজ্‘আলিল মাওতা রা-হাতান লী মিন কুল্লি শার্র),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার দ্বীনকে সঠিক করে দিন, যা আমার সবকিছুর উপায়। আর আপনি আমার জন্য আমার দুনিয়াকে সঠিক করে দিন, যাতে রয়েছে আমার জীবিকা। আমার জন্য আমার আখেরাতকেও শুদ্ধ করে দিন, যেখানে হবে আমার প্রত্যাবর্তন। আপনি আমার জীবনকালকে প্রত্যেক কল্যাণকর কাজে বৃদ্ধি করুন এবং আমার মৃত্যুকে সকল অনিষ্টতা থেকে প্রশান্তি লাভের উপায় করে দিন’। [19]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻬُﺪَﻯ ﻭَﺍﻟﺘُّﻘَﻰ ﻭَﺍﻟْﻌَﻔَﺎﻑَ ﻭَﺍﻟْﻐِﻨَﻰ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত্ তুক্বা ওয়াল আফা-ফা ওয়াল গিনা-),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট সৎপথের নির্দেশনা, আল্লাহভীরুতা, চারিত্রিক নিষ্কলুষতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি’। [20]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻌَﺠْﺰِ ﻭَﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ ﻭَﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ ﻭَﺍﻟْﻬَﺮَﻡِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺁﺕِ ﻧَﻔْﺴِﻰ ﺗَﻘْﻮَﺍﻫَﺎ ﻭَﺯَﻛِّﻬَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻴْﺮُ ﻣَﻦْ ﺯَﻛَّﺎﻫَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﻟِﻴُّﻬَﺎ ﻭَﻣَﻮْﻻَﻫَﺎ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋِﻠْﻢٍ ﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﻭَﻣِﻦْ ﻗَﻠْﺐٍ ﻻَ ﻳَﺨْﺸَﻊُ ﻭَﻣِﻦْ ﻧَﻔْﺲٍ ﻻَ ﺗَﺸْﺒَﻊُ ﻭَﻣِﻦْ ﺩَﻋْﻮَﺓٍ ﻻَ ﻳُﺴْﺘَﺠَﺎﺏُ ﻟَﻬَﺎ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল আজ্যি ওয়াল কাসালি ওয়াল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়াল হারামি ওয়া ‘আযা-বিল ক্ববরি, আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা- ওয়া যাক্কিহা- আনতা খয়রু মান যাক্কা-হা- আনতা ওয়ালিইয়ুহা- ওয়া মাওলা-হা, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘ইলমিন লা- ইয়ান্ফা‘ ওয়া মিন ক্বলবিন লা- ইয়াখ্শা‘ ওয়া মিন নাফসিন লা- তাশবা‘ ওয়া মিন দা‘ওয়াতিন লা- য়ুসতাজা-বু লাহা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপারগতা, অলসতা, ভীরুতা, দরিদ্রতা, অশীতিপর বৃদ্ধাবস্থা এবং ক্ববরের আযাব থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমার আত্মাকে আপনি তাক্বওয়া প্রদান করুন এবং ইহাকে করুন কলুষমুক্ত। ইহাকে নিষ্কলুষ করার সর্বোত্তম সত্ত্বাতো আপনিই এবং আপনিই এর অভিভাবক ও মুনিব।
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি এমন ইলম থেকে, যা কল্যাণ বয়ে আনে না; এমন হৃদয় থেকে, যা আল্লাহ্র ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয় না; এমন অন্তর থেকে, যা কোন কিছুতেই পরিতৃপ্ত হয় না এবং এমন দো‘আ থেকে, যা ক্ববূল হয় না’। [21]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻧَﺒْﺖُ ﻭَﺑِﻚَ ﺧَﺎﺻَﻤْﺖُ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻌِﺰَّﺗِﻚَ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻥْ ﺗُﻀِﻠَّﻨِﻰ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟَّﺬِﻯ ﻻَ ﻳَﻤُﻮﺕُ ﻭَﺍﻟْﺠِﻦُّ ﻭَﺍﻹِﻧْﺲُ ﻳَﻤُﻮﺗُﻮﻥَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু ওয়া বিকা আ-মানতু ওয়া ‘আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়া ইলাইকা আনাবতু ওয়া বিকা খ-ছামতু, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিইয্যাতিকা, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা আন তুযিল্লানী, আনতাল হাইয়ুল্লাযী লা-ইয়ামূত ওয়াল জিন্নু ওয়াল ইনসু ইয়ামূতূন),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনারই বশ্যতা স্বীকার করেছি, আপনার প্রতিই ঈমান এনেছি, আপনার উপরই ভরসা করেছি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করেছি এবং আপনার জন্যই আপনার দলীল-প্রমাণাদি দ্বারা বিবাদ-লড়াইয়ে প্রবৃত্ত হয়েছি। হে আল্লাহ! আমাকে পথভ্রষ্ট করা থেকে আপনার ইয্যতের দোহাই দিয়ে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি ব্যতীত কোনো হক্ক ইলাহ নেই। আপনি এমন এক চিরঞ্জীব সত্ত্বা, যার কোন মৃত্যু নেই; কিন্তু মানব এবং জিন জাতি মরণশীল’। [22]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺯَﻭَﺍﻝِ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﺗَﺤَﻮُّﻝِ ﻋَﺎﻓِﻴَﺘِﻚَ ﻭَﻓُﺠَﺎﺀَﺓِ ﻧِﻘْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﺟَﻤِﻴﻊِ ﺳَﺨَﻄِﻚَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিকা ওয়া তাহাওউলি ‘আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজা-আতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামী‘ই সাখাত্বিকা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনার নে‘মত বিলুপ্ত হওয়া থেকে, আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন থেকে, আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ থেকে এবং আপনার সকল ক্রোধ-অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [23]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻣُﺼَﺮِّﻑَ ﺍﻟْﻘُﻠُﻮﺏِ ﺻَﺮِّﻑْ ﻗُﻠُﻮﺑَﻨَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻃَﺎﻋَﺘِﻚَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা মুছার্রিফাল ক্বুলূব ছর্রিফ ক্বুলূবানা- ‘আলা- ত্ব-‘আতিক),
অর্থ: ‘হে অন্তরসমূহের পরিবর্তন সাধনকারী আল্লাহ! আপনি আমাদের অন্তরসমূহকে আপনার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দিন’।
[24]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻰ ﺫَﻧْﺒِﻰ ﻛُﻠَّﻪُ ﺩِﻗَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَّﻪُ ﻭَﺃَﻭَّﻟَﻪُ ﻭَﺁﺧِﺮَﻩُ ﻭَﻋَﻼَﻧِﻴَﺘَﻪُ ﻭَﺳِﺮَّﻩُ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগ্ফির লী যাম্বী কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওওয়ালাহু ওয়া আ-খেরাহু ওয়া
‘আলানিয়াতাহু ওয়া সির্রাহু),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার ছোট-বড়, আগের-পরের এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যাবতীয় গোনাহ ক্ষমা করে দিন’। [25]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺟِﺒْﺮَﺍﺋِﻴﻞَ ﻭَﻣِﻴﻜَﺎﺋِﻴﻞَ ﻭَﺇِﺳْﺮَﺍﻓِﻴﻞَ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻧْﺖَ ﺗَﺤْﻜُﻢُ ﺑَﻴْﻦَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻳَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮﻥَ ﺍﻫْﺪِﻧِﻰ ﻟِﻤَﺎ ﺍﺧْﺘُﻠِﻒَ ﻓِﻴﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻚَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗَﻬْﺪِﻯ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺎﺀُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُﺴْﺘَﻘِﻴﻢٍ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রব্বা জিবরা-ঈল ওয়া মীকা-ঈল ওয়া ইসরা-ফীল, ফা-তিরাস সামাওয়া-তি ওয়াল আরযি, ‘আ-লিমাল গয়বি ওয়াশ শাহা-দাহ, আনতা তাহকুমু বায়না ‘ইবা-দিকা ফীমা- কা-নূ ফীহি ইয়াখ্তালিফূন, ইহ্দিনী লিমাখ্তুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বি বিইযনিকা, ইন্নাকা তাহদী মান তাশা-উ ইলা- ছিরা-তিম মুস্তাক্বীম),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! জিবরীল, মীকাঈল এবং ইসরাফীলের প্রভু! আসমানসমূহ এবং যমীনের সৃষ্টিকর্তা! গায়েব ও উপস্থিত সবকিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ! আপনার বান্দারা যেসব বিষয়ে মতানৈক্য করত, আপনি সেসব বিষয়ে তাদের মধ্যে ফায়ছালা দিবেন। হক্বের যে ক্ষেত্রে মতানৈক্য হয়েছে, সে ক্ষেত্রে আপনি আমাকে সঠিক পথটি প্রদর্শন করুন। নিশ্চয়ই আপনি যাকে ইচ্ছা সরল-সঠিক পথ প্রদর্শন করে থাকেন’। [26]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮِﺿَﺎﻙَ ﻣِﻦْ ﺳَﺨَﻄِﻚَ ﻭَﺑِﻤُﻌَﺎﻓَﺎﺗِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋُﻘُﻮﺑَﺘِﻚَ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻨْﻚَ ﻻَ ﺃُﺣْﺼِﻰ ﺛَﻨَﺎﺀً ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﺛْﻨَﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻚَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আ‘ঊযু বিরিযা-কা মিন সাখাত্বিক ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন উক্বূবাতিক, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনকা লা- উহ্ছী ছানা‘আন ‘আলাইকা, আনতা কামা আছনায় ‘আলা- নাফসিক),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে আপনার অসন্তুষ্টি থেকে এবং আপনার ক্ষমার মাধ্যমে আপনার শাস্তি ও ক্রোধ থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আরো আশ্রয় প্রার্থনা করছি আপনার থেকে আপনারই কাছে। আমি আপনার গুণ-গান করে শেষ করতে পারব না। যেরূপ প্রশংসা আপনি আপনার নিজের জন্য বর্ণনা করেছেন, আপনি ঠিক তদ্রুপ’। [27]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺟَﻬْﺪِ ﺍﻟْﺒَﻼَﺀِ، ﻭَﺩَﺭَﻙِ ﺍﻟﺸَّﻘَﺎﺀِ، ﻭَﺳُﻮﺀِ ﺍﻟْﻘَﻀَﺎﺀِ، ﻭَﺷَﻤَﺎﺗَﺔِ ﺍﻷَﻋْﺪَﺍﺀِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আ‘ঊযুবিকা মিন জাহ্দিল বালা- ওয়া দারাকিশ শাক্বা- ওয়া সূইল ক্বাযা- ওয়া শামা-তাতিল আ‘দা-),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কঠিন বালা-মুছীবত, চরম কষ্ট, ফয়সালার অনিষ্ট এবং (আমার বিরুদ্ধে) শত্রুদের মনতুষ্টি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [28]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻰ ﻓِﻰ ﻗَﻠْﺒِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻓِﻰ ﻟِﺴَﺎﻧِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻓِﻰ ﺳَﻤْﻌِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻓِﻰ ﺑَﺼَﺮِﻯ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﺑَﻴْﻦِ ﻳَﺪَﻯَّ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻰ ﻧَﻔْﺴِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ ﻭَﺃَﻋْﻈِﻢْ ﻟِﻰ ﻧُﻮﺭًﺍ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাজ্‘আল লী ফী ক্বলবী নূরান, ওয়া ফী লিসা-নী নূরান, ওয়া ফী সাম‘ঈ নূরান, ওয়া ফী বাছারী নূরান, ওয়া মিন ফাওক্বী নূরান, ওয়া মিন তাহ্তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমা-লী নূরান, ওয়া মিন বাইনি ইয়াদাইয়া নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ্‘আল ফী নাফসী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার অন্তরে নূর দিন, যবানে নূর দিন, শ্রবণ শক্তিতে নূর দিন, দৃষ্টি শক্তিতে নূর দিন, আমার উপরে নূর দিন ও নীচে নূর দিন, আমার ডানে নূর দিন ও বামে নূর দিন, আমার সামনে নূর দিন ও পেছনে নূর দিন এবং আমার আত্মায় আপনি নূর দিন। আপনি আমার জন্য জ্যোতিকে অনেক বৃদ্ধি করে দিন’। [29]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ , ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ছল্লি ‘আলা- মুহাম্মাদ ওয়া ‘আলা- আ-লি মুহাম্মাদ কামা ছল্লায়তা ‘আলা- ইবরা-হীম ওয়া ‘আলা- আ-লি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বা-রিক ‘আলা- মুহাম্মাদ ওয়া
‘আলা- আ-লি মুহাম্মাদ কামা বা-রকতা
‘আলা- ইবরাহীম ওয়া ‘আলা- আ-লি ইবরাহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর সালাত প্রেরণ (তাদেরকে ভালো হিসেবে স্মরণ) করুন, যেমনিভাবে আপনি ইবরাহীমের উপর এবং ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনের উপর সালাত প্রেরণ করেছিলেন। নিশ্চয়ই আপনি মহা প্রশংসিত, মহা সম্মানিত। হে আল্লাহ! আপনি বরকত নাযিল করুন মুহাম্মাদের উপর এবং মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনের উপর, যেমনিভাবে আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীমের উপর এবং ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয়ই আপনি মহা প্রশংসিত, মহা সম্মানিত’। [30]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻛُﻠِّﻪِ ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ، ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖُ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃَﻋْﻠَﻢْ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﺮِّ ﻛُﻠِّﻪِ ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ، ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖُ ﻣِﻨْﻪُ ﻭَﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺃَﻋْﻠَﻢْ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺳَﺄَﻟَﻚَ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﻧَﺒِﻴُّﻚَ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻋَﺎﺫَ ﺑِﻪِ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﻧَﺒِﻴُّﻚَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﻣَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻗَﻮْﻝٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻤَﻞٍ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻣَﺎ ﻗَﺮَّﺏَ ﺇِﻟَﻴْﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻗَﻮْﻝٍ ﺃَﻭْ ﻋَﻤَﻞٍ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺃَﻥْ ﺗَﺠْﻌَﻞَ ﻛُﻞَّ ﻗَﻀَﺎﺀٍ ﻗَﻀَﻴْﺘَﻪُ ﻟِﻲ ﺧَﻴْﺮًﺍ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিনাল খয়রি কুল্লিহী ‘আ-জিলিহী ওয়া আ-জিলিহ্, মা ‘আলিমতু মিনহু ওয়ামা- লাম আ‘লাম, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাশ শার্রি কুল্লিহী ‘আ-জিলিহী ওয়া আ-জিলিহ্, মা ‘আলিমতু মিনহু ওয়ামা- লাম আ‘লাম, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন খয়রি মা- সাআলাকা ‘আব্দুকা ওয়া নাবিইয়ুক, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা- ‘আ-যা বিহী ‘আব্দুকা ওয়া নাবিইয়ুক, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়ামা- ক্বর্রাবা ইলাইহা- মিন ক্বওলিন ওয়া আমাল, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনান্না-রি ওয়ামা- ক্বর্রাবা ইলাইহা- মিন ক্বওলিন ওয়া আমাল, ওয়া আসআলুকা আন তাজ্‘আলা কুল্লা ক্বাযা-ইন ক্বাযাইতাহূ লী খয়রা),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জানা-অজানা সকল কল্যাণ প্রার্থনা করছি। পক্ষান্তরে আমি আপনার কাছে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জানা-অজানা সকল অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাচ্ছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন কল্যাণ প্রার্থনা করছি, যা আপনার বান্দা ও নবী আপনার কাছে প্রার্থনা করেছেন। হে আল্লাহ! আমি এমন অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, যা থেকে আপনার বান্দা ও নবী আপনার কাছে আশ্রয় চেয়েছেন। হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে জান্নাত এবং যে কথা বা কাজ জান্নাতের নিকটবর্তী করে দেয়, তা প্রার্থনা করছি। পক্ষান্তরে আমি আপনার কাছে জাহান্নাম এবং যে কথা বা কাজ জাহান্নামের নিকটবর্তী করে দেয়, তা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে, আপনি যা কিছু আমার জন্য নির্ধারণ করেন, তা যেন আমার জন্য কল্যাণকর করেন’। [31]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﻌِﻠْﻤِﻚَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺨَﻠْﻖِ ﺃَﺣْﻴِﻨِﻲ ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻟِﻲ، ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨِﻲ ﺇِﺫَﺍ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﻮَﻓَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻟِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﺸْﻴَﺘَﻚَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻛَﻠِﻤَﺔَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎ ﻭَﺍﻟْﻐَﻀَﺐِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻘَﺼْﺪَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ ﻭَﺍﻟْﻐِﻨَﻰ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻧَﻌِﻴﻤًﺎ ﻟَﺎ ﻳَﻨْﻔَﺪُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻗُﺮَّﺓَ ﻋَﻴْﻦٍ ﻟَﺎ ﺗَﻨْﻘَﻄِﻊُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎﺀَ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻘَﻀَﺎﺀِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺑَﺮْﺩَ ﺍﻟْﻌَﻴْﺶِ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻟَﺬَّﺓَ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮِ ﺇِﻟَﻰ ﻭَﺟْﻬِﻚَ، ﻭَﺍﻟﺸَّﻮْﻕَ ﺇِﻟَﻰ ﻟِﻘَﺎﺋِﻚَ ﻓِﻲ ﻏَﻴْﺮِ ﺿَﺮَّﺍﺀَ ﻣُﻀِﺮَّﺓٍ ﻭَﻟَﺎ ﻓِﺘْﻨَﺔٍ ﻣُﻀِﻠَّﺔٍ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺯَﻳِّﻨَّﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔِ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻫُﺪَﺍﺓً ﻣُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা বি‘ইলমিকাল গয়বি ওয়া ক্বুদরাতিকা ‘আলাল খলক্বি আহ্ইনী মা- ‘আলিমতাল হায়া-তা খয়রান লী, ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা- ‘আলিমতাল ওয়াফা-তা খয়রান লী, আল্লা-হুম্মা ওয়া আসআলুকা খশ্ইয়াতাকা ফিল গয়বি ওয়াশ শাহা-দাহ, ওয়া আসআলুকা কালিমাতাল হাক্কি ফির্রিযা-ই ওয়াল গযাব, ওয়া আসআলুকাল ক্বছদা ফিল ফাক্বরি ওয়াল গিনা-, ওয়া আসআলুকা না‘ঈমান লা- ইয়ান্ফাদ, ওয়া আসআলুকা ক্বুর্রাতা ‘আইনিন লা- তানক্বাতে‘, ওয়া আসআলুকার রিযা- বা‘দাল ক্বাযা-, ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশি বা‘দাল মাউত, ওয়া আসআলুকা লাযযাতান্ নাযারি ইলা- ওয়াজ্হিক, ওয়াশ শাওক্বা ইলা- লিক্বা-ইকা ফী গয়রি যর্রা-ইন মুযির্রাহ্ ওয়ালা- ফিতনাতিন মুযিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা যাইয়্যিন্না- বিযীনাতিল ঈমা-ন, ওয়াজ্‘আলনা- হুদা-তান মুহতাদীন),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনার গায়েবের জ্ঞান এবং সৃষ্টিকুলের উপর আপনার সার্বভৌম ক্ষমতার মাধ্যমে আপনার নিকট এমর্মে প্রার্থনা করছি যে, আপনি আমাকে ততদিন জীবিত রাখুন, যতদিনের জীবনকাল আপনি আমার জন্য কল্যাণকর মনে করেন। পক্ষান্তরে আপনি আমাকে এমন সময় মৃত্যু দান করুন, যে সময়ের মৃত্যু আপনি আমার জন্য কল্যাণকর মনে করেন। হে আল্লাহ! গোপনে এবং প্রকাশ্যে সর্বাবস্থায় আমি আপনার নিকট আপনার ভীতি প্রার্থনা করছি। সন্তুষ্ট এবং ক্রোধান্বিত উভয় অবস্থায় আমি আপনার নিকট হক্ব কথা বলার তাওফীক্ব প্রার্থনা করছি। দরিদ্রতা এবং ধনাঢ্যতার ক্ষেত্রে আমি আপনার নিকট মধ্যমপন্থা অবলম্বনের তাওফীক্ব প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট অফুরন্ত নে‘মত প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট অবিচ্ছিন্ন চোখ জুড়ানো বস্তু প্রার্থনা করছি। আপনার নিকট আমি তাক্বদীরের প্রতি সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছি। আমি আপনার নিকট মৃত্যুর পরে সুখসমৃদ্ধ জীবন প্রার্থনা করছি। অনিষ্টকারীর অনিষ্টতা এবং পথভ্রষ্টকারীর ফেৎনা ছাড়াই আমি আপনার নিকট আপনার চেহারা দর্শনের স্বাদ এবং আপনার সাক্ষাত লাভের আকাঙ্খা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ঈমানের শোভায় সুশোভিত করুন এবং আমাদেরকে একদিকে করুন সঠিক পথের দিশারী, অন্যদিকে করুন সুপথপ্রাপ্ত’। [32]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ ﻓِﻰ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ ﻓِﻰ ﺩِﻳﻨِﻰ ﻭَﺩُﻧْﻴَﺎﻯَ ﻭَﺃَﻫْﻠِﻰ ﻭَﻣَﺎﻟِﻰ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺳْﺘُﺮْ ﻋَﻮْﺭَﺍﺗِﻰ، ﻭَﺁﻣِﻦْ ﺭَﻭْﻋَﺎﺗِﻰ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺣْﻔَﻈْﻨِﻰ ﻣِﻦْ ﺑَﻴْﻦِ ﻳَﺪَﻯَّ ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻰ ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻰ ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻰ ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻰ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻌَﻈَﻤَﺘِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃُﻏْﺘَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻰ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্ দুন্ইয়া- ওয়াল আ-খেরাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফী দ্বীনী ওয়া দুন্ইয়া-ইয়া ওয়া আহ্লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাস্তুর ‘আওরা-তী, ওয়া আ-মিন রও‘আ-তী, আল্লা-হুম্মাহ্ফায্নী মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খলফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া ‘আন শিমা-লী ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আ‘ঊযু বিআযামাতিকা আন উগ্তা-লা মিন তাহ্তী),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি দুনিয়া ও আখেরাতে আপনার ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, আমার পরিবারে ও ধন-সম্পদে আপনার ক্ষমা এবং নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপনীয়তা রক্ষা করুন এবং ভয়-ভীতিকে নিরাপত্তায় রূপান্তরিত করুন। আপনি আমাকে আমার সামনের-পেছনের, ডানের-বামের এবং উপরের সকল বিপদাপদ থেকে হেফাযত করুন। আপনার মহত্ত্বের দোহাই দিয়ে আপনার নিকট আমার নিম্নদেশ থেকে মাটি ধ্বসে আকস্মিক মৃত্যু হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [33]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻰْﺀٍ ﻭَﻣَﻠِﻴﻜَﻪُ ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻧَﻔْﺴِﻰ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻭَﺷِﺮْﻛِﻪِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গয়বি ওয়াশ শাহা-দাহ, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি রব্বা কুল্লি শাইয়িন ওয়া মালীকাহূ আশহাদু আল্লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আ‘ঊযুবিকা মিন শাররি নাফসী ওয়া মিন শাররিশ্ শায়ত্বা-নি ওয়া শিরকিহী),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! দৃশ্য এবং অদৃশ্য সবকিছু সম্পর্কে সর্বজ্ঞ! আসমানসমূহ এবং যমীনের সৃষ্টিকর্তা! সবকিছুর প্রভু এবং মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তান ও তার শির্কের [34] অনিষ্ট থেকে আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি’। [35]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﺜَّﺒَﺎﺕَ ﻓِﻲ ﺍﻷَﻣْﺮِ , ﻭَﺍﻟْﻌَﺰِﻳﻤَﺔَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺮُّﺷْﺪِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣُﻮﺟِﺒَﺎﺕِ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ , ﻭَﻋَﺰَﺍﺋِﻢَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺗِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺷُﻜْﺮَ ﻧِﻌْﻤَﺘِﻚَ , ﻭَﺣُﺴْﻦَ ﻋِﺒَﺎﺩَﺗِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻗَﻠْﺒًﺎ ﺳَﻠِﻴﻤًﺎ , ﻭَﻟِﺴَﺎﻧًﺎ ﺻَﺎﺩِﻗًﺎ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺗَﻌْﻠَﻢُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺗَﻌْﻠَﻢُ، ﻭَﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻟِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻠَﻢُ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﻋَﻼﻡُ ﺍﻟْﻐُﻴُﻮﺏِ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাছ ছাবা-তা ফিল আমরি, ওয়াল আযীমাতা
‘আলার রুশদি, ওয়া আসআলুকা মূজিবা-তি রহমাতিক ওয়া ‘আযা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়া আসআলুকা শুকরা নি‘মাতিকা ওয়া হুসনা ‘ইবা-দাতিক, ওয়া আসআলুকা ক্বলবান সালীমান ওয়া লিসা-নান ছ-দিক্বান, ওয়া আসআলুকা মিন খয়রি মা- তা‘লাম, ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা- তা‘লাম, ইন্নাকা আনতা আল্লা-মুল গুয়ূব),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দ্বীনের ব্যাপারে দৃঢ়তা এবং হক্বের উপরে ঋজুতা প্রার্থনা করছি। আমি আপনার কাছে এমন আমল প্রার্থনা করছি, যা আপনার রহমত লাভ নিশ্চিত করবে এবং যা আমার জন্য আপনার নিশ্চিত ক্ষমা বয়ে আনবে। আমি আপনার নিকট নিষ্কলুষ অন্তর এবং সত্যবাদী যবান প্রার্থনা করছি। আমি আপনার জানা কল্যাণ প্রার্থনা করছি।
অপরপক্ষে আপনার জানা অকল্যাণ থেকে পানাহ চাচ্ছি। আমার সম্পর্কে আপনার জানা ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য আমি আপনার ক্ষমা ভিক্ষা করছি। নিশ্চয়ই আপনি গায়েবী বিষয়সমূহ সম্পর্কে সম্যক অবগত’। [36]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻛْﻔِﻨِﻰ ﺑِﺤَﻼَﻟِﻚَ ﻋَﻦْ ﺣَﺮَﺍﻣِﻚَ ﻭَﺃَﻏْﻨِﻨِﻰ ﺑِﻔَﻀْﻠِﻚَ ﻋَﻤَّﻦْ ﺳِﻮَﺍﻙَ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাকফিনী বিহালা-লিকা ‘আন হারা-মিক, ওয়া আগনিনী বিফাযলিকা ‘আম্মান সিওয়া-ক),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হারাম থেকে রক্ষা করে আপনার হালালের মাধ্যমে পরিতুষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ভিন্ন অন্য সবার থেকে আমাকে মুখাপেক্ষীহীন করুন’। [37]
· « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻰ ﻓِﻰ ﺑَﺪَﻧِﻰ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻰ ﻓِﻰ ﺳَﻤْﻌِﻰ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻰ ﻓِﻰ ﺑَﺼَﺮِﻯ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜُﻔْﺮِ ﻭَﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻰ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ »
( উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম‘ঈ, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাছারী, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাক্বরি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ‘আযা-বিল ক্ববরি, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা) ,
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার কানের সুস্থতা দান করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমার চোখের সুস্থতা দান করুন। আপনি ছাড়া আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই। হে আল্লাহ! কুফরী এবং দারিদ্র্য থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! ক্ববরের আযাব থেকে আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আপনি ব্যতীত আর কোন হক্ব মা‘বূদ নেই’। [38]
· « ﺭَﺏِّ ﺃَﻋِﻨِّﻰ ﻭَﻻَ ﺗُﻌِﻦْ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺍﻧْﺼُﺮْﻧِﻰ ﻭَﻻَ ﺗَﻨْﺼُﺮْ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺍﻣْﻜُﺮْ ﻟِﻰ ﻭَﻻَ ﺗَﻤْﻜُﺮْ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻰ ﻭَﻳَﺴِّﺮِ ﺍﻟْﻬُﺪَﻯ ﻟِﻰ ﻭَﺍﻧْﺼُﺮْﻧِﻰ ﻋَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﺑَﻐَﻰ ﻋَﻠَﻰَّ ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻰ ﻟَﻚَ ﺷَﻜَّﺎﺭًﺍ ﻟَﻚَ ﺫَﻛَّﺎﺭًﺍ ﻟَﻚَ ﺭَﻫَّﺎﺑًﺎ ﻟَﻚَ ﻣِﻄْﻮَﺍﻋًﺎ ﻟَﻚَ ﻣُﺨْﺒِﺘًﺎ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻭَّﺍﻫًﺎ ﻣُﻨِﻴﺒًﺎ ﺭَﺏِّ ﺗَﻘَﺒَّﻞْ ﺗَﻮْﺑَﺘِﻰ ﻭَﺍﻏْﺴِﻞْ ﺣَﻮْﺑَﺘِﻰ ﻭَﺃَﺟِﺐْ ﺩَﻋْﻮَﺗِﻰ ﻭَﺛَﺒِّﺖْ ﺣُﺠَّﺘِﻰ ﻭَﺳَﺪِّﺩْ ﻟِﺴَﺎﻧِﻰ ﻭَﺍﻫْﺪِ ﻗَﻠْﺒِﻰ ﻭَﺍﺳْﻠُﻞْ ﺳَﺨِﻴﻤَﺔَ ﺻَﺪْﺭِﻯ »
( উচ্চারণ: রব্বি আ‘ইন্নী ওয়ালা- তু‘ইন
‘আলাইয়া, ওয়ানছুরনী ওয়ালা- তানছুর
‘আলাইয়া, ওয়ামকুর লী ওয়ালা- তামকুর
‘আলাইয়া, ওয়াহ্দিনী ওয়া ইয়াস্সিরিল হুদা- লী, ওয়ানছুরনী ‘আলা- মান বাগা- ‘আলাইয়া। রব্বিজ‘আলনী লাকা শাক্কা-রান, লাকা যাক্কা-রান, লাকা রাহ্হা-বান, লাকা মিত্বওয়া-‘আন, লাকা মুখবিতান, ইলাইকা আওওয়া-হান মুনীবান। রব্বি তাক্বাব্বাল তাওবাতী ওয়াগসিল হাওবাতী ওয়া আজিব দা‘ওয়াতী ওয়া ছাব্বিত হুজ্জাতী ওয়া সাদ্দিদ লিসা-নী ওয়াহ্দি ক্বলবী ওয়াস্লুল সাখীমাতা ছদ্রী),
অর্থ: ‘হে আমার রব! আপনি আমাকে সাহায্য করুন; আমার বিরুদ্ধে কাউকে আপনি সাহায্য করবেন না। আপনি আমাকে বিজয়ী করুন; আমার বিরুদ্ধে কাউকে আপনি বিজয়ী করবেন না। আপনি আপনার কৌশল দ্বারা আমাকে সাহায্য করুন; আমার বিরুদ্ধে কাউকে আপনার কৌশল দ্বারা সাহায্য করবেন না। আপনি আমাকে হেদায়াত দান করুন এবং হেদায়াতের পথকে আমার জন্য সহজ করে দিন। আমার প্রতি যে ব্যক্তি অবিচার করে, তার বিরুদ্ধে আপনি আমাকে সহযোগিতা করুন। হে আমার রব! আপনি আমাকে আপনার অধিক কৃতজ্ঞ, অধিক যিক্রকারী, অধিক ভীত-সন্ত্রস্ত, অধিক আনুগত্যশীল, অধিক নম্র এবং আপনার দিকে অধিক প্রত্যাবর্তনকারী বান্দায় পরিণত করুন। হে আমার রব! আপনি আমার তওবা ক্ববূল করুন, আমার পাপ ধুয়ে-মুছে ছাফ করে দিন, আমার প্রার্থনা ক্ববূল করুন, আমার প্রমাণাদি দৃঢ় করুন, আমার যবানকে সঠিক বলার তাওফীক্ব দিন, আমার হৃদয়কে সঠিক পথ দেখিয়ে দিন এবং আমার মনের কালিমা দূর করে দিন’। [39]
· « ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻛُﻠُّﻪُ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻟَﺎ ﻗَﺎﺑِﺾَ ﻟِﻤَﺎ ﺑَﺴَﻄْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﺑَﺎﺳِﻂَ ﻟِﻤَﺎ ﻗَﺒَﻀْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻫَﺎﺩِﻱَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﺿْﻠَﻠْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﻀِﻞَّ ﻟِﻤَﻦْ ﻫَﺪَﻳْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﻌْﻄِﻲَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﻘَﺮِّﺏَ ﻟِﻤَﺎ ﺑَﺎﻋَﺪْﺕَ، ﻭَﻟَﺎ ﻣُﺒَﺎﻋِﺪَ ﻟِﻤَﺎ ﻗَﺮَّﺑْﺖَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺍﺑْﺴُﻂْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﺑَﺮَﻛَﺎﺗِﻚَ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﻓَﻀْﻠِﻚَ ﻭَﺭِﺯْﻗِﻚَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻨَّﻌِﻴﻢَ ﺍﻟْﻤُﻘِﻴﻢَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﻳَﺤُﻮﻝُ ﻭَﻟَﺎ ﻳَﺰُﻭﻝُ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻨَّﻌِﻴﻢَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻌَﻴْﻠَﺔِ ﻭَﺍﻟْﺄَﻣْﻦَ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﺨَﻮْﻑِ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻋَﺎﺋِﺬٌ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺘَﻨَﺎ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺣَﺒِّﺐْ ﺇِﻟَﻴْﻨَﺎ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥَ ﻭَﺯَﻳِّﻨْﻪُ ﻓِﻲ ﻗُﻠُﻮﺑِﻨَﺎ، ﻭَﻛَﺮِّﻩْ ﺇِﻟَﻴْﻨَﺎ ﺍﻟْﻜُﻔْﺮَ، ﻭَﺍﻟْﻔُﺴُﻮﻕَ، ﻭَﺍﻟْﻌِﺼْﻴَﺎﻥَ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﺪِﻳﻦَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ، ﻭَﺃَﺣْﻴِﻨَﺎ ﻣُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ، ﻭَﺃَﻟْﺤِﻘْﻨَﺎ ﺑِﺎﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻏَﻴْﺮَ ﺧَﺰَﺍﻳَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻣَﻔْﺘُﻮﻧِﻴﻦَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻗَﺎﺗِﻞِ ﺍﻟْﻜَﻔَﺮَﺓَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳُﻜَﺬِّﺑُﻮﻥَ ﺭُﺳُﻠَﻚَ، ﻭَﻳَﺼُﺪُّﻭﻥَ ﻋَﻦْ ﺳَﺒِﻴﻠِﻚَ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻢْ ﺭِﺟْﺰَﻙَ ﻭَﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ، ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﻗَﺎﺗِﻞِ ﺍﻟْﻜَﻔَﺮَﺓَ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺃُﻭﺗُﻮﺍ ﺍﻟْﻜِﺘَﺎﺏَ ﺇِﻟَﻪَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ »
( উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু কুল্লুহূ, আল্লা-হুম্মা লা- ক্ব-বিযা লিমা- বাসাত্ত্বা ওয়ালা- বা-সেত্বা লিমা- ক্ববাযতা, ওয়ালা- হা-দিয়া লিমা- আযলালতা ওয়ালা- মুযিল্লা লিমান হাদায়তা, ওয়ালা- মু‘ত্বিয়া লিমা- মানা‘তা ওয়ালা- মা-নে‘আ লিমা আ‘ত্বয়তা, ওয়ালা- মুক্বর্রিবা লিমা- বা-‘আদতা ওয়ালা- মুবা-‘ইদা লিমা- ক্বররাবতা, আল্লা-হুম্মাবসুত্ব ‘আলাইনা- মিন বারাকা-তিকা ওয়া রহমাতিকা ওয়া ফাযলিকা ওয়া রিয্ক্বিক, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকান না‘ঈমাল মুক্বীমাল্লাযী লা- ইয়াহূলু ওয়ালা- ইয়াযূল, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকান না‘ঈমা ইয়াওমাল ‘আয়লাহ্ ওয়াল আমনা ইয়াওমাল খয়ফি, আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আ-ইযুন বিকা মিন শাররি মা- আ‘ত্বয়তানা- ওয়া শাররি মা- মানা‘তা, আল্লা-হুম্মা হাব্বিব্ ইলাইনাল ঈমা-না ওয়া যাইয়্যিন্হু ফী ক্বুলূবিনা-, ওয়া কাররিহ্ ইলাইনাল কুফরা ওয়াল ফুসূক্বা ওয়াল ‘ইছ্ইয়া-ন, ওয়াজ্‘আলনা- মিনার রা-শিদীন, আল্লা-হুম্মা তাওয়াফফানা- মুসলিমীন ওয়া আহ্ইনা- মুসলিমীন, ওয়া আল্হিক্বনা- বিছ্ছ-লেহীন গয়রা খযা-ইয়া ওয়ালা- মাফতূনীন, আল্লা-হুম্মা ক্ব-তিলাল কাফারাতাল্লাযীনা ইউকায্যিবূনা রুসুলাক ওয়া ইয়াছুদ্দূনা ‘আন সাবীলিক, ওয়াজ্‘আল ‘আলাইহিম রিজ্যাকা ওয়া ‘আযা-বাক, আল্লা-হুম্মা ক্ব-তিলাল কাফারাতাল্লাযীনা উতুল কিতা-বা ইলা-হাল হাক্ব),
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা আপনার জন্য। হে আল্লাহ! আপনি যাকে প্রসারিত করেছেন, তার সংকোচনকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে সংকোচন করেছেন, তার প্রসারকারী কেউ নেই। আপনি যাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তার পথপ্রদর্শনকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে পথপ্রদর্শন করেছেন, তার পথভ্রষ্টকারী কেউ নেই। আপনি যাকে মাহরূম করেছেন, তাকে দানকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে দান করেছেন, তাকে মাহরূমকারী কেউ নেই। আপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে নিকটবর্তীকারী কেউ নেই আর আপনি যাকে নিকটবর্তী করেছেন, তাকে দূরবর্তীকারী কেউ নেই। হে আল্লাহ! আপনার বরকত, রহমত, অনুগ্রহ এবং রিযিক্ব থেকে আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে দান করুন। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এমন স্থায়ী নে‘মত চাচ্ছি, যা পরিবর্তিত হয় না এবং শেষ হয়েও যায় না। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রয়োজনের দিনে আপনার নে‘মত এবং ভয়ের দিনে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যা দিয়েছেন, তার অনিষ্ট থেকে এবং যা দেননি, তার অনিষ্ট থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! ঈমানকে আপনি আমাদের নিকট প্রিয় করে দিন এবং ইহাকে আপনি আমাদের অন্তরের শোভা করে দিন। পক্ষান্তরে কুফরী, ফাসেক্বী এবং নাফরমানীকে আপনি আমাদের নিকটে ঘৃণিত করে দিন; আর আপনি আমাদেরকে হেদায়াতপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন। হে আল্লাহ! মুসলিম অবস্থায় আমাদেরকে মৃত্যু দান করুন এবং মুসলিম অবস্থায় আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখুন। আর কোনরূপ লাঞ্ছনা-বিভ্রান্তি ছাড়াই আপনি আমাদেরকে নেককারগণের সঙ্গে মিলিত করুন। আপনার রাসূলগণকে মিথ্যা প্রতিপন্নকারী এবং আপনার পথ থেকে বাধাদানকারী কাফের সম্প্রদায়কে নিধনকারী হে আল্লাহ! আপনি তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন। কিতাবধারী কাফের সম্প্রদায়কে নিধনকারী হে আল্লাহ! হে সত্য মা‘বূদ!’। [40]
[1] তিরমিযী, হা/৩৫৮৫, ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে বর্ণিত, হাদীছটি ‘হাসান লিগায়িরিহী’ (দেখুন: আলবানী (রহঃ) প্রণীত সিলসিলাহ ছহীহাহ, হা/১৫০৩)।
[2] বুখারী, হা/৪২০২; মুসলিম, হা/৬৮৬৮, আবূ মূসা আশ‘আরী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত, উক্ত হাদীছে এই বাক্যটিকে জান্নাতের সঞ্চিত ধন বলা হয়েছে।
[3] বুখারী, হা/৪৫৬৩, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে।
[4] বুখারী, হা/৬৬৮২; মুসলিম, হা/৬৮৪৬, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। হাদীছটির শব্দগুলি এরূপ: « ﻛَﻠِﻤَﺘَﺎﻥِ ﺧَﻔِﻴﻔَﺘَﺎﻥِ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠِّﺴَﺎﻥِ، ﺛَﻘِﻴﻠَﺘَﺎﻥِ ﻓِﻰ ﺍﻟْﻤِﻴﺰَﺍﻥِ، ﺣَﺒِﻴﺒَﺘَﺎﻥِ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ » ‘এমন দু’টি বাক্য আছে, যা মুখে বলতে সহজ, অথচ দাড়িপাল্লায় তা ভারী এবং দয়াময় আল্লাহ্র নিকট প্রিয়। বাক্য দু’টি হচ্ছে, ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ।
[5] মুসলিম, হা/৫৬০১, সামুরাহ ইবনে জুনদাব (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত, হাদীছটিতে উক্ত চারটি বাক্যকে আল্লাহ্র নিকট সবচেয়ে প্রিয় বলা হয়েছে।
[6] মুসলিম, হা/৬৯১৩, জুওয়াইরিইয়া (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[7] মুসলিম, হা/৬৮৪৮, সাদ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত।
[8] আবূ দাঊদ, হা/১৫২৯, সনদ ‘ছহীহ’, আবূ সাঈদ খুদরী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত, আবূ দাঊদের শব্দগুলি এরূপ: « ﻣَﻦْ ﻗَﺎﻝَ
ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً ﻭَﺟَﺒَﺖْ ﻟَﻪُ
ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ » ‘যে ব্যক্তি ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ
ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً বলল, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে গেল’; ইমাম মুসলিম হাদীছটি একই অর্থে বর্ণনা করেন (হা/৪৮৭৯), তিনি আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে হাদীছটি বর্ণনা করেন এভাবে, « ﺫَﺍﻕَ ﻃَﻌْﻢَ
ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ ﻣَﻦْ ﺭَﺿِﻰَ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑًّﺎ ﻭَﺑِﺎﻹِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨًﺎ ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً »
‘যে ব্যক্তি সন্তুষ্ট হয়ে গেল প্রতিপালক হিসাবে আল্লাহ্র প্রতি, দ্বীন হিসাবে ইসলামের প্রতি এবং রাসূল হিসাবে মুহাম্মাদের প্রতি, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করল’ (হা/১৫১)।
[9] নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল-লায়লাহ, হা/৮৪৯, সনদ ‘ছহীহ’, সিলসিলাহ ছহীহাহ, হা/২৫৯৮ দ্রষ্টব্য, রাসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাক্য চারটিকে আল্লাহ্র নিকট প্রিয়তর বলে উল্লেখ করেছেন।
[10] বুখারী, হা/৬৩৪৬; মুসলিম, হা/৬৯২১, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[11] বুখারী, হা/৬৩০৬, শাদ্দাদ ইবনে আওস
(রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত; রাসূল
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই দো‘আটিকে ‘সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার’ বা ‘ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দো‘আ’ হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন।
[12] বুখারী, হা/৮৩৪; মুসলিম, হা/৬৮৬৯, আবূ বকর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[13] বুখারী, হা/৬৩৬৯, আনাস (রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[14] বুখারী, হা/৬৩৬৫, সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত।
[15] বুখারী, হা/৬৩৬৮; মুসলিম, হা/৬৮৭১, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[16] বুখারী, হা/৬৩৯৮; মুসলিম, হা/৬৯০১, আবূ মূসা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[17] মুসলিম, হা/৬৮৮৯, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[18] মুসলিম, হা/৬৮৯৫, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[19] মুসলিম, হা/৬৯০৩, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[20] মুসলিম, হা/৬৯০৪, ইবনে মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[21] মুসলিম, হা/৬৯০৬, যায়েদ ইবনে আরক্বাম (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[22] বুখারী, হা/৭৩৮৩; মুসলিম, হা/৬৮৯৯, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে বর্ণিত।
[23] মুসলিম, হা/৬৯৪৩, ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[24] মুসলিম, হা/৬৭৫০, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[25] মুসলিম, হা/১০৮৪, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[26] মুসলিম, হা/১৮১১, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত।
[27] মুসলিম, হা/১০৯০, আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) থেকে বর্ণিত।
[28] বুখারী, হা/৬৩৪৭; মুসলিম, হা/৬৮৭৭, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত। হাদীছটির শব্দ এরূপ: ‘রাসূল (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন .....হতে’।
[29] বুখারী, হা/৬৩১৬; মুসলিম, হা/১৭৯৭, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[30] বুখারী, হা/৩৩৭০; মুসলিম, হা/৯০৮, কাব ইবনে উজরাহ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[31] ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৪৬, সনদ ‘ছহীহ’,
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা) হতে বর্ণিত। আলবানী প্রণীত ‘সিলসিলাহ ছহীহাহ’, হা/১৫৪২।
[32] নাসাঈ, হা/১৩০৫, সনদ ‘হাসান’, আম্মার ইবনে ইয়াসের (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[33] আবূ দাঊদ, হা/৫০৭৪, সনদ ‘ছহীহ’, ইবনে ওমর (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) হতে বর্ণিত।
[34] অথবা শয়তান ও তার জাল এর অনিষ্ট থেকে আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। [সম্পাদক]
[35] তিরমিযী, হা/৩৩৯২, সনদ ‘ছহীহ’, আবূ হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[36] ত্ববারানী, আল-মু‘জামুল কাবীর, হা/৭১৩৫, শাদ্দাদ ইবনে আওস (রাদিয়াল্লাহু
‘আনহু) থেকে বর্ণিত, সনদ ‘হাসান’, আলবানী (রহঃ) প্রণীত ‘সিলসিলাহ ছহীহাহ’-এর ৩২২৮ নং হাদীছ দ্রষ্টব্য।
[37] তিরমিযী, হা/৩৫৬৩, সনদ ‘হাসান’, আলী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত; আলবানী (রহঃ) প্রণীত ‘সিলসিলাহ ছহীহাহ’-এর ২৬৬ নং হাদীছ দ্রষ্টব্য।
[38] আবূ দাঊদ, হা/৫০৯০, সনদ ‘হাসান’, আবূ বাকরাহ (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) হতে বর্ণিত।
[39] তিরমিযী, হা/৩৫৫১, সনদ ‘ছহীহ’, ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে বর্ণিত।
[40] আহমাদ, হা/১৫৪৯২; বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ, হা/৬৯৯, সনদ ‘ছহীহ’, রিফা‘আহ যুরাক্বী (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) থেকে বর্ণিত।
_________________________________________________________________________
পোস্টটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু।
0 Comments