=== বিষয়ঃ কুরআনে তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ব ===
أَجَعَلَ الآلِهَةَ إِلَهًا وَاحِدًا إِنَّ هَذَا لَشَيْءٌ عُجَابٌ
(তারা বলে) সে-কি সবগুলো ইলাহকে এক ইলাহ বানিয়ে ফেলেছে? নিশ্চয় এতো এক আশ্চর্য ব্যাপার? (সোয়াদ, ৩৮/৫)
وَجَعَلْنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمْ أَكِنَّةً أَنْ يَفْقَهُوهُ وَفِي آذَانِهِمْ وَقْرًا ۚ وَإِذَا ذَكَرْتَ رَبَّكَ فِي الْقُرْآنِ وَحْدَهُ وَلَّوْا عَلَىٰ أَدْبَارِهِمْ نُفُورًا
আর আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়েছি, যাতে তারা তা (কুরআন) বুঝতে না পারে এবং তাদের কানে দিয়েছি বধিরতা আর যখন তুমি কুরআনে তোমার রবের একত্বের উল্লেখ কর, তখন তারা (সত্য থেকে) পালিয়ে পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। (আল-ইসরা, ১৭/৪৬)
إِنَّ إِلَهَكُمْ لَوَاحِدٌ
অবশ্যই তোমাদের ইলাহ এক ও একক। (আস-সাফ্ফাত, ৩৭/৪)
إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ
তোমাদের ইলাহ হলেন এক ইলাহ। (আন-নাহল, ১৬/২২, ১৮/১১০)
وَإِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
আর তোমাদের ইলাহ হচ্ছেন এক ইলাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই, তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। (আল-বাকারাহ, ২/১৬৩)
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ – قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
তুমি বল, তিনি আল্লাহ এক, অদ্বিতীয়। আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেন না আর তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি। আর তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। (ইখলাস, ১১২/১-৪)
=== বিষয়ঃ তাওহীদে ইবাদত ===
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لَا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ ۖ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
হে আদম সন্তান! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দেইনি যে, তোমরা শয়তানের ইবাদত কর না, নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
وَأَنِ اعْبُدُونِي ۚ هَٰذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ
আর আমারই এবাদত কর, এটাই সরল পথ। (ইয়া-সীন, ৩৬/৬০-৬১)
وَإِنَّ اللَّهَ رَبِّي وَرَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ ۚ هَٰذَا صِرَاطٌ مُسْتَقِيمٌ
আর নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার রব এবং তোমাদেরও রব, তাই তাঁরই ইবাদত কর, এটাই সরল পথ। (মারইয়াম, ১৯/৩৬, আলে-‘ইমরান, ৩/৫১)
وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
আর জ্বিন ও মানুষকে আমি সৃষ্টি করেছি কেবলমাত্র তারা আমারই ইবাদত করবে। (আয-যারিয়াত, ৫১/৫৬)
ذَٰلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ فَاعْبُدُوهُ ۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
আল্লাহই তোমাদের প্রতিপালক, সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদত কর, তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? (ইউনুস, ১০/৩)
وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلًّا كَثِيرًا ۖ أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
আর অবশ্যই শয়তান তোমাদের বহু দলকে পথভ্রষ্ট করেছে, তবুও কি তোমরা বুঝবে না? (ইয়া-সীন, ৩৬/৬২)
বই: প্রশ্ন-উত্তরে আহসানাল হাদীছ। সংকলন: মোহাম্মদ সাইদুর রহমান; প্রকাশনায়ঃ তাকওয়া পাবলিকেশন্স। প্রথম অধ্যায়ঃ প্রশ্ন-উত্তরে কুরআন; পৃষ্ঠাঃ ১৫ হতে ১৭।
0 Comments