হিসনুল মুসলিম বা কুরআন ও হাদীস থেকে সংকলিত দৈনন্দিন যিকর ও দোআর সমাহার (১ম পর্ব)
2য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সূচিপত্র
ক্রম বিষয়সূচি
ভূমিকা
যিক্রের ফযীলত
যিক্র ও দো‘আসমূহ
1. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্রসমূহ
2. কাপড় পরিধানের দো‘আ
3. নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ
4. অপরকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দো‘আ
5. কাপড় খুলে রাখার সময় কী বলবে
6. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ
7. পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ
8. ওযুর পূর্বে যিক্র
9. ওযু শেষ করার পর যিক্র
10. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্র
11. ঘরে প্রবেশের সময় যিক্র
12. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ
13. মসজিদে প্রবেশের দো‘আ
14. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ
15. আযানের যিক্রসমূহ
16. সালাতের শুরুতে দো‘আ
17. রুকূ‘র দো‘আ
18. রুকু থেকে উঠার দো‘আ
19. সিজদার দো‘আ
20. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ
21. সিজদার আয়াত তেলাওয়াতের পর সিজদায় দো‘আ
22. তাশাহ্হুদ
23. তাশাহ্হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ
24. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দো‘আ
25. সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ
26. ইসতিখারার সালাতের দো‘আ
27. সকাল ও বিকালের যিক্রসমূহ
28. ঘুমানোর যিক্রসমূহ
29. রাতে যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করে তখন পড়ার দো‘আ
30. ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় এবং একাকিত্বের অস্বস্তিতে পড়ার দো‘আ
31. খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে
32. বিত্রের কুনুতের দো‘আ
33. বিত্রের নামায থেকে সালাম ফিরানোর পরের যিক্র
34. দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো‘আ
35. দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দো‘আ
36. শত্রু এবং শক্তিধর ব্যক্তির সাক্ষাতকালে দো‘আ
37. শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে পড়ার দো‘আ
38. শত্রুর উপর বদ-দো‘আ
39. কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে
40. ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
41. ঋণ মুক্তির জন্য দো‘আ
42. সালাতে ও কেরাআতে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তির দো‘আ
43. কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
44. পাপ করে ফেললে যা বলবে এবং যা করবে
45. শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা দূর করার দো‘আ
46. যখন অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে, বা যা করতে চায় তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন পড়ার দো‘আ
47. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাব
48. যা দ্বারা শিশুদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়
49. রোগী দেখতে গিয়ে তার জন্য দো‘আ
50. রোগী দেখতে যাওয়ার ফযিলত
51. জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া রোগীর দো‘আ
52. মরণাপন্ন ব্যক্তিকে তালক্বীন (কালেমা স্মরণ করিয়ে দেওয়া)
53. কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
54. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ
55. মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
56. নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
57. শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো‘আ
58. মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো‘আ
59. মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ
60. কবর যিয়ারতের দো‘আ
61. বায়ূ প্রবাহিত হলে পড়ার দো‘আ
62. মেঘের গর্জন শুনলে পড়ার দো‘আ
63. বৃষ্টি চাওয়ার কিছু দো‘আ
64. বৃষ্টি দেখলে দো‘আ
65. বৃষ্টি বর্ষণের পর যিকর
66. অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য কিছু দো‘আ
67. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ
68. ইফতারের সময় রোযাদারের দো‘আ
69. খাওয়ার পূর্বে দো‘আ
70. আহার শেষ করার পর দো‘আ
71. আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দো‘আ
72. দো‘আর মাধ্যমে খাবার বা পানীয় চাওয়ার ইঙ্গিত করা
73. কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো‘আ
74. রোযাদারের নিকট যদি খাবার উপস্থিত হয়, আর সে রোযা না ভাঙ্গে তখন তার দো‘আ করা
75. রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবে
76. ফলের কলি দেখলে পড়ার দো‘আ
77. হাঁচির দো‘আ
78. কাফের ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে যা বলা হবে
79. নব বিবাহিতের জন্য দো‘আ
80. বিবাহিত ব্যক্তির দো‘আ এবং বাহন ক্রয়ের পর দো‘আ
81. স্ত্রী-সহবাসের পুর্বের দো‘আ
82. ক্রোধ দমনের দো‘আ
83. বিপন্ন লোক দেখলে পড়ার দো‘আ
84. মজলিসে যা বলতে হয়
85. বৈঠকের কাফ্ফারা (ক্ষতিপূরণ)
86. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন’, তার জন্য দো‘আ
87. কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দো‘আ
88. আল্লাহ যা দ্বারা দাজ্জাল থেকে হেফাযত করবেন
89. যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দো‘আ
90. আপনাকে কেউ তার সম্পদ দান করার জন্য পেশ করলে তার জন্য দো‘আ
91. কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দো‘আ
92. শির্কের ভয়ে দো‘আ
93. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনার উপর বরকত দিন’, তার জন্য দো‘আ
94. অশুভ লক্ষণ গ্রহণকে অপছন্দ করে দো‘আ
95. বাহনে আরোহণের দো‘আ
96. সফরের দো‘আ
97. গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দো‘আ
98. বাজারে প্রবেশের দো‘আ
99. বাহন হোঁচট খেলে পড়ার দো‘আ
100. মুক্বীম বা অবস্থানকারীদের জন্য মুসাফিরের দো‘আ
101. মুসাফিরের জন্য মুক্বীম বা অবস্থানকারীর দো‘আ
102. সফরে চলার সময় তাকবীর ও তাসবীহ
103. রাত্রির শেষ প্রহরে মুসাফিরের দো‘আ
104. সফরে বা অন্য অবস্থায় কোনো ঘরে নামলে পড়ার দো‘আ
105. সফর থেকে ফেরার যিক্র
106. আনন্দদায়ক অথবা অপছন্দনীয় কিছুর সম্মুখীন হলে যা বলবে
107. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠের ফযীলত
108. সালামের প্রসার
109. কাফের সালাম দিলে কীভাবে জবাব দিবে
110. মোরগের ডাক ও গাধার স্বর শুনলে পড়ার দো‘আ
111. রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে দো‘আ
112. যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দো‘আ
113. কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে প্রশংসা করলে যা বলবে
114. কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে
115. হজ্জ বা উমরায় মুহরিম ব্যক্তি কিভাবে তালবিয়াহ পড়বে
116. হাজরে আসওয়াদের কাছে আসলে তাকবীর বলা
117. রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে দো‘আ
118. সাফা ও মারওয়ায় দাঁড়িয়ে যা পড়বে
119. আরাফাতের দিনে দো‘আ
120. মাশ‘আরুল হারাম তথা মুযদালিফায় যিক্র
121. জামরাসমূহে প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপকালে তাকবীর বলা
122. আশ্চর্যজনক ও আনন্দজনক বিষয়ের পর দো‘আ
123. আনন্দদায়ক কোনো সংবাদ আসলে যা করবে
124. শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব করলে যা করবে ও বলবে
125. কোনো কিছুর উপর নিজের চোখ লাগার ভয় থাকলে দো‘আ
126. ভীত অবস্থায় যা বলবে
127. পশু যবেহ বা নাহর করার সময় যা বলবে
128. দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে
129. ক্ষমা প্রার্থনা ও তাওবা করা
130. তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত
131. কীভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাসবীহ পাঠ করতেন?
132. বিবিধ কল্যাণ ও সামষ্টিক কিছু আদব
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ
(দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে)
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তাঁর নিকটেই সাহায্য চাই, আর তাঁর কাছেই ক্ষমা চাই। আমরা আমাদের হৃদয়ের দুষ্ট প্রবৃত্তিসমূহ এবং আমাদের মন্দ আচরণ থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেই নেই, আর যাকে বিপথগামী করেন তাকে সৎপথে আনার কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দেই যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাঁর প্রতি এবং তাঁর বংশধর, তাঁর সাহাবীগণ ও কিয়ামত পর্যন্ত যতো লোক এ সৎ পথের অনসরণ করবে তাদের সকলের প্রতি অগণিত দরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন। তারপর,
এ-বইটি আমার
ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﻼﺝ ﺑﺎﻟﺮﻗﻰ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
-নামক কিতাব [1] থেকে সংক্ষেপিত। এতে আমি শুধুমাত্র যিক্রের অংশটি সংক্ষেপ করেছি; যাতে ভ্রমণপথে তা বহন করা সহজ হয়।
এখানে যিক্রের মূল অংশটি শুধু উল্লেখ করেছি। আর হাদীসগুলোর বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল গ্রন্থের একটি বা দু’টি সূত্র উল্লেখ করাই যথেষ্ট মনে করেছি। যিনি সাহাবীগণ সম্পর্কে অবগত হতে চান অথবা হাদীসের অতিরিক্ত সূত্র জানতে চান, তিনি মূল গ্রন্থটি দেখে নিতে পারেন।
মহান আল্লাহ্র নিকট তাঁর উত্তম নামসমূহ এবং সর্বোচ্চ গুণাবলীর ওসীলায় প্রার্থনা করি, তিনি যেন এ আমল তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য একান্ত করে কবুল করে নেন, আর এর দ্বারা যেন তিনি আমাকে আমার জীবনে ও মরণের পরে উপকৃত করেন। আর যে ব্যক্তি এ বইটি পড়বে, ছাপাবে অথবা এর প্রচারের কারণ হবে তাকেও যেন তিনি উপকৃত করেন। নিশ্চয় পবিত্র মহান সত্ত্বা এ কাজের অধিকারী এবং তার ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।
আল্লাহ দরূদ ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর উপর; আর তাঁর বংশধর, তাঁর সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা সুন্দরভাবে তাঁদের অনুসরণ করবে তাদের উপরও।
লেখক
সফর, ১৪০৯ হিজরি।
যিক্রের ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ﻓَﺎﺫْﻛُﺮُﻭْﻧِﻲْٓ ﺍَﺫْﻛُﺮْﻛُﻢْ ﻭَﺍﺷْﻜُﺮُﻭْﺍ ﻟِﻲْ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜْﻔُﺮُﻭْﻥِ ١٥٢ۧ﴾
“অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং আমার প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ো না।” [2]
﴿ ﻳٰٓﺎَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺫِﻛْﺮًﺍ ﻛَﺜِﻴْﺮًﺍ 41ۙ ﴾
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর”। [3]
﴿ ﻭَﺍﻟﺬّٰﻛِﺮِﻳْﻦَ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﻛَﺜِﻴْﺮًﺍ ﻭَّﺍﻟﺬّٰﻛِﺮٰﺕِ ۙ ﺍَﻋَﺪَّ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَّﻐْﻔِﺮَﺓً ﻭَّﺍَﺟْﺮًﺍ ﻋَﻈِﻴْﻤًﺎ 35 ﴾
“আর আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণকারী পুরুষ ও নারী: আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন[4] ।”
﴿ﻭَﺍﺫْﻛُﺮْ ﺭَّﺑَّﻚَ ﻓِﻲْ ﻧَﻔْﺴِﻚَ ﺗَﻀَﺮُّﻋًﺎ ﻭَّﺧِﻴْﻔَﺔً ﻭَّﺩُﻭْﻥَ ﺍﻟْﺠَــﻬْﺮِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺑِﺎﻟْﻐُﺪُﻭِّ ﻭَﺍﻟْﺎٰﺻَﺎﻝِ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜُﻦْ ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﻐٰﻔِﻠِﻴْﻦَ ٢٠٥﴾
“আর আপনি আপনার রব্বকে স্মরণ করুন মনে মনে, মিনতি ও ভীতিসহকারে, অনুচ্চস্বরে; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।” [5]
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি তার রবের যিক্র (স্মরণ) করে, আর যে ব্যক্তি তার রবের যিক্র করে না— তারা যেন জীবিত আর মৃত” [6] ।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
“আমি কি তোমাদেরকে তা জানাবো না— আমলের মধ্যে যা সর্বোত্তম, তোমাদের মালিক (আল্লাহ্র) কাছে যা অত্যন্ত পবিত্র, তোমাদের জন্য যা অধিক মর্যাদা বৃদ্ধিকারী, (আল্লাহ্র পথে) সোনা-রূপা ব্যয় করার তুলনায় যা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা এবং তারা তোমাদের হত্যা করার চাইতেও অধিকতর শ্রেষ্ঠ?” সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ। তিনি বললেন, “আল্লাহ্ তা‘আলার যিক্র”[7]।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেরূপ ধারণা করে, আমাকে সে তদ্রূপই পাবে; আর যখন সে আমাকে স্মরণ করে, তখন আমি তার সাথে থাকি। সুতরাং যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে, আমিও আমার মনে তাকে স্মরণ করি। আর যদি সে কোনো সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে এর চাইতে উত্তম সমাবেশে স্মরণ করি। আর সে যদি আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ নিকটবর্তী হয়, তাহলে আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হই। সে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হলে আমি তার দিকে এক বাহু পরিমাণ নিকটবর্তী হই। আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দ্রুতবেগে যাই।[8]”
আব্দুল্লাহ ইবন বুসর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,
এক ব্যক্তি আরয করল, হে আল্লাহ্র রাসূল! ইসলামের বিধিবিধান আমার জন্য বেশি হয়ে গেছে। কাজেই আপনি আমাকে এমন একটি বিষয়ের খবর দিন, যা আমি শক্ত করে আঁকড়ে ধরব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা জিহ্বা যেনো সর্বক্ষণ আল্লাহ্র যিক্রে সজীব থাকে” [9] ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কিতাব (কুরআন) থেকে একটি হরফ পাঠ করে, সে তার বিনিময়ে একটি সওয়াব পায়; আর একটি সওয়াব হবে দশটি সওয়াবের সমান। আমি আলিফ, লাম ও মীমকে একটি হরফ বলছি না। বরং ‘আলিফ’ একটি হরফ, ‘লাম’ একটি হরফ এবং ‘মীম’ একটি হরফ”[10]।
উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন। আমরা তখন সুফ্ফায় (মসজিদে নববীর আঙ্গিনায়) অবস্থান করছিলাম। তিনি বললেন,
“তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে প্রতিদিন সকালে বুতহান বা আকীক উপত্যকায় গিয়ে সেখান থেকে কোনো প্রকার পাপ বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন না করে উঁচু কুঁজবিশিষ্ট দু’টো উষ্ট্রী নিয়ে আসতে পছন্দ করে”? আমরা বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা তা পছন্দ করি। তিনি বললেন: “তোমাদের কেউ কি এরূপ করতে পার না যে, সকালে মসজিদে গিয়ে মহান আল্লাহ্র কিতাব থেকে দুটো আয়াত জানবে অথবা পড়বে; এটা তার জন্য দু’টো উষ্ট্রীর তুলনায় উত্তম। আর তিনটি আয়াত তিনটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম, চারটি আয়াত চারটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম। আর (শুধু উষ্ট্রীই নয়, বরং একইসাথে) সমসংখ্যক উট লাভ করা থেকেও তা উত্তম হবে।”[11]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
“যে ব্যক্তি এমন কোনো বৈঠকে (মজলিসে) বসেছে যেখানে সে আল্লাহ্র যিক্র করে নি, তার সে বসাই আল্লাহ্র নিকট থেকে তার জন্য আফসোস ও নৈরাশ্যজনক হবে। আর যে ব্যক্তি এমন কোনো শয়নে শুয়েছে যেখানে সে আল্লাহ্র যিক্র করে নি, তার সে শোয়াই আল্লাহ্র নিকট থেকে তার জন্য আফসোস ও নৈরাশ্যজনক হবে।”[12]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
“যদি কোনো দল কোনো বৈঠকে বসে আল্লাহ্র যিক্র না করে এবং তাদের নবীর ওপর দরূদও পাঠ না করে, তাহলে তাদের সেই বৈঠক তাদের জন্য কমতি ও আফসোসের কারণ হবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দেবেন, অথবা তিনি চাইলে তাদের ক্ষমা করবেন।”[13]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন :
“যদি কোনো একদল লোক এমন কোনো বৈঠক থেকে উঠল, যেখানে তারা আল্লাহ্র নাম স্মরণ করে নি, তবে তারা যেন গাধার লাশের কাছ থেকে উঠে আসল। আর এরূপ মজলিস তাদের জন্য আফসোসের কারণ হবে”।[14]
১. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্রসমূহ
-1 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﺃَﺣْﻴَﺎﻧَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﺎ ﺃَﻣَﺎﺗَﻨَﺎ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨُّﺸُﻮْﺭُ » .
(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর)
১- (১) “হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান” [15]।
-2 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛﺒَﺮُ، ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ » « ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔﺮْ ﻟِﻲ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী)।
২- (২) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা করুন”। [16]
-3 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻋَﺎﻓَﺎﻧِﻲ ﻓِﻲ ﺟَﺴَﺪِﻱ، ﻭَﺭَﺩَّ ﻋَﻠَﻲَّ ﺭُﻭﺣِﻲ، ﻭَﺃَﺫِﻥَ ﻟﻲ ﺑِﺬِﻛْﺮِﻩِ » .
(আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী, ওয়ারদ্দা ‘আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী)
৩- (৩) “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিক্র করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন” [17] ।
-4 ﴿ﺍِﻥَّ ﻓِﻲْ ﺧَﻠْﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ﻭَﺍﺧْﺘِﻠَﺎﻑِ ﺍﻟَّﻴْﻞِ ﻭَﺍﻟﻨَّﮭَﺎﺭِ ﻟَﺎٰﻳٰﺖٍ ﻟِّﺎُﻭﻟِﻲ ﺍﻟْﺎَﻟْﺒَﺎﺏِ ١٩٠ﮄﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﺬْﻛُﺮُﻭْﻥَ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﻗِﻴٰﻤًﺎ ﻭَّﻗُﻌُﻮْﺩًﺍ ﻭَّﻋَﻠٰﻲ ﺟُﻨُﻮْﺑِﮭِﻢْ ﻭَﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭْﻥَ ﻓِﻲْ ﺧَﻠْﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻘْﺖَ ﻫٰﺬَﺍ ﺑَﺎﻃِﻠًﺎ ۚ ﺳُﺒْﺤٰﻨَﻚَ ﻓَﻘِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ١٩١ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺍِﻧَّﻚَ ﻣَﻦْ ﺗُﺪْﺧِﻞِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭَ ﻓَﻘَﺪْ ﺍَﺧْﺰَﻳْﺘَﻪٗ ۭ ﻭَﻣَﺎ ﻟِﻠﻈّٰﻠِﻤِﻴْﻦَ ِﻦْ ﺍَﻧْﺼَﺎﺭٍ ١٩٢ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺍِﻧَّﻨَﺎ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻣُﻨَﺎﺩِﻳًﺎ ﻳُّﻨَﺎﺩِﻱْ ﻟِﻠْﺎِﻳْﻤَﺎﻥِ ﺍَﻥْ ﺍٰﻣِﻨُﻮْﺍ ﺑِﺮَﺑِّﻜُﻢْ ﻓَﺎٰﻣَﻨَّﺎڰ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮْﺑَﻨَﺎ ﻭَﻛَﻔِّﺮْ ﻋَﻨَّﺎ ﺳَﻴِّﺎٰﺗِﻨَﺎ ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﺎَﺑْﺮَﺍﺭِ ١٩٣ۚﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺍٰﺗِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻭَﻋَﺪْﺗَّﻨَﺎ ﻋَﻠٰﻲ ﺭُﺳُﻠِﻚَ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺨْﺰِﻧَﺎ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۭ ﺍِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴْﻌَﺎﺩَ ١٩٤ﻓَﺎﺳْﺘَﺠَﺎﺏَ ﻟَﮭُﻢْ ﺭَﺑُّﮭُﻢْ ﺍَﻧِّﻰْ ﻟَﺎٓ ﺍُﺿِﻴْﻊُ ﻋَﻤَﻞَ ﻋَﺎﻣِﻞٍ ﻣِّﻨْﻜُﻢْ ﻣِّﻦْ ﺫَﻛَﺮٍ ﺍَﻭْ ﺍُﻧْﺜٰﻰ ۚ ﺑَﻌْﻀُﻜُﻢْ ﻣِّﻦْۢ ﺑَﻌْﺾٍ ۚ ﻓَﺎﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﮬَﺎﺟَﺮُﻭْﺍ ﻭَﺍُﺧْﺮِﺟُﻮْﺍ ﻣِﻦْ ﺩِﻳَﺎﺭِﮬِﻢْ ﻭَﺍُﻭْﺫُﻭْﺍ ﻓِﻲْ ﺳَﺒِﻴْﻠِﻲْ ﻭَﻗٰﺘَﻠُﻮْﺍ ﻭَﻗُﺘِﻠُﻮْﺍ ﻟَﺎُﻛَﻔِّﺮَﻥَّ ﻋَﻨْﮭُﻢْ ﺳَﻴِّﺎٰﺗِﮭِﻢْ ﻭَﻟَﺎُﺩْﺧِﻠَﻨَّﮭُﻢْ ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠْﺮِﻱْ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﮭَﺎ ﺍﻟْﺎَﻧْﮭٰﺮُ ۚ ﺛَﻮَﺍﺑًﺎ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨْﺪِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ۭ ﻭَﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗ ﺣُﺴْﻦُ ﺍﻟﺜَّﻮَﺍﺏِ ١٩٥ﻟَﺎ ﻳَﻐُﺮَّﻧَّﻚَ ﺗَﻘَﻠُّﺐُ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭْﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒِﻠَﺎﺩِ ١٩٦ۭ ﻣَﺘَﺎﻉٌ ﻗَﻠِﻴْﻞٌ ۣ ﺛُﻢَّ ﻣَﺎْﻭٰﻯﮭُﻢْ ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ۭ ﻭَﺑِﺌْﺲَ ﺍﻟْﻤِﮭَﺎﺩُ ١٩٧ﻟٰﻜِﻦِ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺍﺗَّﻘَﻮْﺍ ﺭَﺑَّﮭُﻢْ ﻟَﮭُﻢْ ﺟَﻨّٰﺖٌ ﺗَﺠْﺮِﻱْ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﮭَﺎ ﺍﻟْﺎَﻧْﮭٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪِﻳْﻦَ ﻓِﻴْﮭَﺎ ﻧُﺰُﻟًﺎ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨْﺪِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ۭ ﻭَﻣَﺎ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟِّﻠْﺎَﺑْﺮَﺍﺭِ ١٩٨ﻭَﺍِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍَﮬْﻞِ ﺍﻟْﻜِﺘٰﺐِ ﻟَﻤَﻦْ ﻳُّﺆْﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠّٰﻪِ ﻭَﻣَﺎٓ ﺍُﻧْﺰِﻝَ ﺍِﻟَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﻣَﺎٓ ﺍُﻧْﺰِﻝَ ﺍِﻟَﻴْﮭِﻢْ ﺧٰﺸِﻌِﻴْﻦَ ﻟِﻠّٰﻪِ ۙ ﻟَﺎ ﻳَﺸْﺘَﺮُﻭْﻥَ ﺑِﺎٰﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺛَـﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠِﻴْﻠًﺎ ۭ ﺍُﻭﻟٰۗﻯِٕﻚَ ﻟَﮭُﻢْ ﺍَﺟْﺮُﮬُﻢْ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﮭِﻢْ ۭ ﺍِﻥَّ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺳَﺮِﻳْﻊُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ ١٩٩ﻳٰٓﺎَﻳُّﮭَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺻْﺒِﺮُﻭْﺍ ﻭَﺻَﺎﺑِﺮُﻭْﺍ ﻭَﺭَﺍﺑِﻄُﻮْﺍ ۣ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮْﻥَ ٢٠٠ۧ﴾
(ইন্না ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি লাআয়া-তিল্ লিউলিল্ আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লাহা কিয়া-মাও ওয়াকু‘উদাঁও ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়াইয়াতাফাক্কারূনা ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ। ফাস্তাজাবা লাহুম রববুহুম আন্নী লা উদী‘উ আমালা ‘আমিলিম মিনকুম মিন যাকারিন ওয়া উনসা বা‘দুকুম মিন বা‘দ, ফাল্লাযীনা হা-জারূ ওয়া উখরিজূ মিন দিয়ারিহিম ওয়া ঊ-যূ ফী সাবীলী ওয়া কা-তালু ওয়া কু-তিলু লাউকাফফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালাউদখিলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ-তিহাল আনহারু, ছাওয়া-বাম্ মিন ‘ইনদিল্লাহি, ওয়াল্লা-হু ইনদাহু হুসনুছ ছাওয়া-ব। লা ইয়াগুররান্নাকা তাকল্লুবুল্লাযীনা কাফারূ ফিল্ বিলা-দ। মাতা‘উন কালীলুন ছুম্মা মা’ওয়াহুম জাহান্নামু ওয়া বি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খা-লিদীনা ফীহা নুযুলাম্ মিন ইনদিল্লাহি ওয়ামা ইনদাল্লাহি খাইরুল লিল্ আবরার। ওয়াইন্না মিন আহলিল কিতাবি লামইয়ূ’মিনু বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শিঈনা লিল্লা-হি লা ইয়াশতারূনা বিআ-য়া-তিল্লাহি ছামানান্ কালীলা। উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রববিহিম। ইন্নাল্লাহা সারী‘উল হিসাব। ইয়া আয়্যুহাল্লাযীনা আমানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়া রা-বিতু ওয়াত্তাকুল্লাহা লা‘আল্লাকুম তুফলিহুন)।
৪- (৪) নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহ্র স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে, ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।’ ‘হে আমাদের রব! আপনি কাউকেও আগুনে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন এবং যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ ‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন। ‘হে আমাদের রব! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদেরকে দান করুন এবং কেয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করবেন না। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’ তারপর তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে আমলকারী কোনো নর বা নারীর আমল বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহ্র কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্রই কাছে রয়েছে। যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই আপনাকে বিভ্রান্ত না করে। এ তো স্বল্পকালীন ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর ওটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এ হচ্ছে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আতিথেয়তা; আর আল্লাহ্র কাছে যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য উত্তম। আর নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা আল্লাহ্র প্রতি বিনয়াবনত হয়ে তাঁর প্রতি এবং তিনি যা তোমাদের ও তাদের প্রতি নাযিল করেছেন তাতে ঈমান আনে। তারা আল্লাহ্র আয়াত তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে না। তারাই, যাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার” [18]।
২. কাপড় পরিধানের দো‘আ
-5 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻛَﺴَﺎﻧِﻲ ﻫَﺬَﺍ ( ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ) ﻭَﺭَﺯَﻗَﻨِﻴﻪِ ﻣِﻦْ ﻏَﻴْﺮِ ﺣَﻮْﻝٍ ﻣِﻨِّﻲ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓ ... » .
(আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হা-যা (আসসাওবা) ওয়া রযাকানীহি মিন্ গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াতিন)।
৫- “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ছাড়াই তিনি আমাকে এটা দান করেছেন” [19]।
৩. নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ
-6 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﺴَﻮْﺗَﻨِﻴﻪِ، ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮِﻩِ ﻭَﺧَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺻُﻨِﻊَ ﻟَﻪُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻩِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻُﻨِﻊَ ﻟَﻪُ » .
(আল্লা-হুম্মা লাকাল-হামদু আনতা কাসাওতানীহি। আসআলুকা মিন খইরিহি ওয়া খইরি মা সুনি‘আ লাহু। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনি‘আ লাহু)।
৬- “হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সকল হাম্দ-প্রশংসা। আপনিই এটি আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ ও এটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর আমি এর অনিষ্ট এবং এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই” [20]।
৪. অপরকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দো‘আ
-7 « ﺗُﺒْﻠِﻲ ﻭَﻳُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ » .
(তুবলী ওয়া ইয়ুখলিফুল্লা-হু তা‘আলা)।
৭- (১) “তুমি পুরাতন করে ফেলবে, আর মহান আল্লাহ এর স্থলাভিষিক্ত করবেন” [21] ।
(ইলবাস জাদীদান, ওয়া ‘ইশ হামীদান, ওয়া মুত শাহীদান)।
৮- (২) “নতুন কাপড় পরিধান কর, প্রশংসিতরূপে দিনাতিপাত কর এবং শহীদ হয়ে মারা যাও” [22]।
৫. কাপড় খুলে রাখার সময় কী বলবে
-9 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ » .
(বিসমিল্লাহ)
৯- “আল্লাহ্র নামে (খুলে রাখলাম)” [23]।
৬. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ
-10 « [ ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ] ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨُﺒْﺚِ ﻭَﺍﻟْﺨَﺒﺎﺋِﺚ » .
([বিসমিল্লাহি] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্সি ওয়াল খাবা-ইসি)
১০- “[আল্লাহ্র নামে।] হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই” [24] ।
৭. পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ
-11 « ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ » .
(গুফরা-নাকা)
১১- “আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” [25]
৮. ওযুর পূর্বে যিক্র
-12 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ » .
(বিস্মিল্লাহ্)
১২- ‘আল্লাহ্র নামে’ [26] ।
৯. ওযু শেষ করার পর যিক্র
-13 « ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ .. » .
(আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)
১৩- (১) “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল” [27]।
-14 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺑِﻴﻦَ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮِﻳﻦَ » .
(আল্লা-হুম্মাজ‘আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ‘আলনী মিনাল মুতাতাহ্হিরীন)
১৪- (২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।” [28]
-15 « ﺳُﺒْﺤﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻭَﺃَﺗﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ » .
(সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়াআতূবু ইলাইকা)।
১৫- (৩) “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি” [29]
১০. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্র
-16 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻟَﺎَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ » .
(বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওয়া ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।
১৬- (১) “আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই” [30]।
-17 « ﺍﻟﻞّٰـﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃَﺿِﻞَّ، ﺃَﻭْ ﺃُﺿَﻞَّ، ﺃَﻭْ ﺃَﺯِﻝَّ، ﺃَﻭْ ﺃُﺯَﻝَّ، ﺃَﻭْ ﺃَﻇْﻠِﻢَ، ﺃَﻭْ ﺃُﻇْﻠَﻢَ، ﺃَﻭْ ﺃَﺟْﻬَﻞَ، ﺃَﻭْ ﻳُﺠْﻬَﻞَ ﻋَﻠَﻲَّ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা)।
১৭- (২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই; আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি, অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের উপর যুলম না করি অথবা আমার প্রতি যুলম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।” [31]
১১. ঘরে প্রবেশের সময় যিক্র
১৮- বলবে,
« ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺠْﻨَﺎ، ﻭَﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﺮَﺟْﻨَﺎ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﻨَﺎ »
(বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিস্মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)
“আল্লাহ্র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহ্র উপরই আমরা ভরসা করলাম”।
অতঃপর ঘরের লোকজনকে সালাম দিবে। [32]
১২. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ
-19 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﻟِﺴَﺎﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺳَﻤْﻌِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺑَﺼَﺮِﻱ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﺃَﻣَﺎﻣِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻲ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺃَﻋْﻈِﻢْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻋَﻈِّﻢ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋْﻄِﻨِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻲ ﻋَﺼَﺒِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﻟَﺤْﻤِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺩَﻣِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺷَﻌْﺮِﻱ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺑَﺸَﺮِﻱ ﻧُﻮﺭﺍً » .
« [ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً ﻓِﻲ ﻗَﺒْﺮِﻱ ... ﻭَﻧُﻮﺭﺍً ﻓِﻲ ﻋِﻈَﺎﻣِﻲ ] » [ « ﻭَﺯِﺩْﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺯِﺩْﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺯِﺩْﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً » ] [ « ﻭَﻫَﺐْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً ﻋَﻠَﻰ ﻧُﻮﺭٍ » ] .
(আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান।
[আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী] [ওয়া যিদ্নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান] [ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর]
১৯- “হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন
[33]।”
[“হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”]
[34], [“আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন”] [35] , [“আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন”] [36] ।
১৩. মসজিদে প্রবেশের দো‘আ
২০- ডান পা দিয়ে ঢুকবে [37] এবং বলবে,
« ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﻌَﻈِﻴﻢِ، ﻭَﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢِ، ﻭَﺳُﻠْﻄَﺎﻧِﻪِ ﺍﻟْﻘَﺪِﻳﻢِ، ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ » [ ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓُ ] [ ﻭَﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ] « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻓْﺘَﺢْ ﻟِﻲ ﺃَﺑْﻮَﺍﺏَ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ » .
(আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
[বিসমিল্লা-হি ওয়াসসালাতু] [ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হি], আল্লা-হুম্মাফ্তাহ লী আবওয়া-বা রাহ্মাতিক)।
“আমি মহান আল্লাহ্র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [38] [আল্লাহ্র নামে (প্রবেশ করছি), সালাত] [39] [ও সালাম আল্লাহ্র রাসূলের উপর।] [40] “হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন।” [41]
১৪. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ
২১- বাম পা দিয়ে শুরু করবে [42] এবং বলবে,
« ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺼّﻠَﺎﺓُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻚ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻋْﺼِﻤْﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ » .
(বিস্মিল্লা-হি ওয়াস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।)
“আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্র রাসুলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন” [43] ।
১৫. আযানের যিক্রসমূহ
২২- (১) মুয়াযযিন যা বলে শ্রোতাও তা বলবে, তবে ‘হাইয়্যা ‘আলাস্সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’ এর সময় বলবে,
« ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ »
(লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)
“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই [44] ।”
২৩- (২) বলবে,
« ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ، ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑَّﺎً، ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً، ﻭَﺑِﺎﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨَﺎً »
(ওয়া আনা আশ্হাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু, রাদীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলান, ওয়া বিলইসলা-মি দীনান)।
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব্ব, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রাসূল এবং ইসলামকে দীন হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট।” [45]
মুয়াযযিন তাশাহহুদ (তথা আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার...) উচ্চারণ করার পরই শ্রোতারা এ যিক্রটি বলবে।[46]
২৪- (৩) মুয়াযযিনের কথার জবাব দেওয়া শেষ করার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পড়বে। [47]
২৫- (৪) তারপর বলবে,
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔِ، ﺁﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﺍﻟْﻮَﺳِﻴﻠَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻔَﻀِﻴﻠَﺔَ، ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣَﺎً ﻣَﺤﻤُﻮﺩﺍً ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪُ، [ ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴﻌَﺎﺩَ ] » .
(আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ)।
“হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।” [48]
২৬- (৫) “আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের জন্য দো‘আ করবে। কেননা ঐ সময়ের দো‘আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না।” [49]
১৬. সালাতের শুরুতে দো‘আ
-27 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﻋِﺪْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻦَ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﻋَﺪْﺕَ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟْﻤَﺸْﺮِﻕِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻧَﻘِّﻨِﻲ ﻣِﻦْ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻛَﻤَﺎ ﻳُﻨَﻘَّﻰ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏُ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺪَّﻧَﺲِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﺴِﻠْﻨﻲ ﻣِﻦْ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ، ﺑِﺎﻟﺜَّﻠْﺞِ ﻭَﺍﻟْﻤﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﺒَﺮَﺩِ » .
(আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ)।
২৭- (১) “হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমন পরিষ্কার করে দিন, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার পাপসমূহ থেকে বরফ, পানি ও মেঘের শিলাখণ্ড দ্বারা ধৌত করে দিন।” [50]
-28 « ﺳُﺒْﺤﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﻭَﺗَﺒﺎﺭَﻙَ ﺍﺳْﻤُﻚَ، ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺟَﺪُّﻙَ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﻏَﻴْﺮُﻙَ » .
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলা-হা গাইরুকা)।
২৮- (২) “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই।” [51]
-29 « ﻭَﺟَّﻬْﺖُ ﻭَﺟْﻬِﻲَ ﻟِﻠَّﺬِﻱ ﻓَﻄَﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽَ ﺣَﻨِﻴﻔَﺎً ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ، ﺇِﻥَّ ﺻَﻼَﺗِﻲ، ﻭَﻧُﺴُﻜِﻲ، ﻭَﻣَﺤْﻴَﺎﻱَ، ﻭَﻣَﻤَﺎﺗِﻲ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ، ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺑِﺬَﻟِﻚَ ﺃُﻣِﺮْﺕُ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻤَﻠِﻚُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ، ﻇَﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻭَﺍﻋْﺘَﺮَﻓْﺖُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺫُﻧُﻮﺑﻲ ﺟَﻤِﻴﻌَﺎً ﺇِﻧَّﻪُ ﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧﻮﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ . ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ ﻟِﺄَﺣْﺴَﻦِ ﺍﻷَﺧْﻼﻕِ ﻻَ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﻟِﺄَﺣْﺴَﻨِﻬﺎ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﻭَﺍﺻْﺮِﻑْ ﻋَﻨِّﻲ ﺳَﻴِّﺌَﻬَﺎ، ﻻَ ﻳَﺼْﺮِﻑُ ﻋَﻨِّﻲ ﺳَﻴِّﺌَﻬَﺎ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﻟَﺒَّﻴْﻚَ ﻭَﺳَﻌْﺪَﻳْﻚَ، ﻭَﺍﻟﺨَﻴْﺮُ ﻛُﻠُّﻪُ ﺑِﻴَـــــــﺪَﻳْﻚَ، ﻭَﺍﻟﺸَّـــــﺮُّ ﻟَﻴْﺲَ ﺇِﻟَﻴْــــــﻚَ،
ﺃَﻧَﺎ ﺑِﻚَ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺗَﺒﺎﺭَﻛْﺖَ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻴْﺖَ، ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻭَﺃَﺗﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ » .
(ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালা-তী, ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়া-ইয়া ওয়া মামা-তী লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। লা শারীকা লাহু ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন।)
আল্লা-হুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আনতা রব্বী ওয়া আনা ‘আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযাম্বী। ফাগফির লী যুনূবী জামী‘আন ইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলা-ক্বি, লা ইয়াহ্দী লিআহ্সানিহা ইল্লা আনতা। ওয়াসরিফ ‘আন্নী সায়্যিআহা লা ইয়াসরিফু সায়্যিআহা ইল্লা আনতা। লাববাইকা ওয়া সা‘দাইকা ওয়াল-খাইরু কুল্লুহু বিয়াদাইকা, ওয়াশশাররু লাইসা ইলাইকা। আনা বিকা ওয়া ইলাইকা, তাবা-রাক্তা ওয়া তা‘আ-লাইতা। আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।
২৯- (৩) “যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আমি একনিষ্টভাবে আমার মুখমণ্ডল তাঁর দিকেই ফিরালাম, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী বা যাবতীয় ইবাদাত, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি এরই আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
“হে আল্লাহ! আপনিই অধিপতি, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনি আমার রব্ব, আমি আপনার বান্দা। আমি আমার নিজের প্রতি অন্যায় করেছি এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমার সমুদয় গুনাহ মাফ করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। আর আপনি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করুন, আপনি ছাড়া আর কেউ উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করতে পারে না। আর আপনি আমার থেকে আমার খারাপ চরিত্রগুলো দূরীভূত করুন, আপনি ব্যতীত আর কেউ সে খারাপ চরিত্রগুলো অপসারিত করতে পারে না। আমি আপনার হুকুম মানার জন্য সদা-সর্বদা হাজির, সকল কল্যাণই আপনার দু’ হাতে নিহিত। অকল্যাণ আপনার দিকে নয় (অর্থাৎ মন্দকে আপনার দিকে সম্পৃক্ত করা উচিত নয়, অথবা মন্দ দ্বারা আপনার নিকটবর্তী হওয়া যায় না, বা মন্দ আপনার দিকে উঠে না)। আমি আপনার দ্বারাই (প্রতিষ্ঠিত আছি, সহযোগিতা পেয়ে থাকি) এবং আপনার দিকেই (আমার সকল প্রবণতা, বা আমার প্রত্যাবর্তন)। আপনি বরকতময় এবং আপনি সুঊচ্চ। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছে তাওবাহ্ করছি।” [52]
-30 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺟِﺒْﺮَﺍﺋِﻴﻞَ، ﻭَﻣِﻴْﻜَﺎﺋِﻴﻞَ، ﻭَﺇِﺳْﺮَﺍﻓِﻴﻞَ، ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ، ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻧْﺖَ ﺗَﺤْﻜُﻢُ ﺑَﻴْﻦَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻳَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮﻥَ . ﺍﻫْﺪِﻧِﻲ ﻟِﻤَﺎ ﺍﺧْﺘُﻠِﻒَ ﻓِﻴﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻚَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗَﻬْﺪِﻱ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺎﺀُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُﺴْﺘَﻘﻴﻢٍ » .
(আল্লা-হুম্মা রববা জিব্রাঈলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইস্রা-ফীলা ফা-তিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি। আনতা তাহকুমু বাইনা ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখতালিফূন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাককি বিইযনিকা ইন্নাকা তাহ্দী তাশা-উ ইলা- সিরা-তিম মুস্তাকীম)।
৩০- (৪) “হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব্ব, আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, গায়েব ও প্রকাশ্য সব কিছুর জ্ঞানী, আপনার বান্দাগণ যেসব বিষয়ে মতভেদে লিপ্ত আপনিই তার মীমাংসা করে দিবেন। যেসব বিষয়ে মতভেদ হয়েছে তন্মধ্যে আপনি আপনার অনুমতিক্রমে আমাকে যা সত্য সেদিকে পরিচালিত করুন। নিশ্চয় আপনি যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন।” [53]
-31 « ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮَﺍً، ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮﺍً، ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮﺍً، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜﻴﺮﺍً، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜﻴﺮﺍً، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜﻴﺮﺍً، ﻭَﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑُﻜْﺮَﺓً ﻭَﺃَﺻِﻴﻼً » (তিনবার) « ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ : ﻣِﻦْ ﻧَﻔْﺨِﻪِ، ﻭَﻧَﻔْﺜِﻪِ، ﻭَﻫَﻤْﺰِﻩِ » .
(আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান। ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসী-রান ওয়াসুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাঁও ওয়া আসীলা [তিনবার]। আউযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়তানি, মিন নাফখিহী ওয়ানাফসিহী ওয়াহামযিহী)
৩১- (৫) “আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়। আর আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা। সকালে ও বিকালে আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার) “আমি শয়তান থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তার ফুঁ তথা দম্ভ-অহংকার থেকে, তার থুতু তথা কবিতা থেকে ও তার চাপ তথা পাগলামি থেকে” [54] ।
-32 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﺃَﻧْﺖَ ﻧُﻮﺭُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ، ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﻗَﻴِّﻢُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ، [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺏُّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ ] [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟَﻚَ ﻣُﻠْﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ ] [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﻣَﻠِﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ] [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ] [ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﻭَﻋْﺪُﻙَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﻗَﻮْﻟُﻚَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﻟِﻘﺎﺅُﻙَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺭُ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻴُّﻮﻥَ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﻣﺤَﻤَّﺪٌ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﺍﻟﺴّﺎﻋَﺔُ ﺣَﻖٌّ ] [ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤﺖُ، ﻭَﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ، ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻧَﺒْﺖُ، ﻭَﺑِﻚَ ﺧﺎﺻَﻤْﺖُ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺣﺎﻛَﻤْﺖُ . ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﺭْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻨْﺖُ ] [ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻤُﻘَﺪِّﻡُ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻤُﺆَﺧِّﺮُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ] [ ﺃَﻧْﺖَ ﺇِﻟَﻬِﻲ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ] » .
(আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আনতা নুরুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না ওয়া লাকাল হাম্দু। আনতা ক্বায়্যিমুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না, [ওয়া লাকাল হামদু আনতা রববুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না], [ওয়া লাকাল হাম্দু, লাকা মূলকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না], [ওয়ালাকাল হাম্দু, আনতা মালিকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি], [ওয়া লাকাল হামদু] [আনতাল হাক্কু, ওয়া ওয়া‘দুকাল হাক্কু, ওয়া ক্বাওলুকাল হাক্কু, ওয়া লিক্বা-উকাল হাক্কু, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান না-রু হাক্কুন, ওয়ান নাবিয়্যূনা হাক্কুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্কুন, ওয়াস্সা‘আতু হাক্কুন]। [আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়াবিকা আ--মানতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খা-সাম্তু, ওয়া ইলাইকা হা-কামতু, ফাগফির লী মা কাদ্দামতু, ওয়ামা আখখারতু, ওয়ামা আসরারতু, ওয়ামা আ‘লানতু], [আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আন্তাল্ মুআখখিরু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা] [আনতা ইলা-হী, লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা])।
৩২- (৬) “হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল হামদ-প্রশংসা[55] ; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এগুলোর নূর (আলো)। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা আছে আপনিই এসবের রক্ষণাবেক্ষণকারী-পরিচালক। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এসবের রব্ব। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’টির মাঝে যা আছে তার সার্বভৌমত্ব আপনারই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ ও যমীনের রাজা আপনিই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আপনিই হক্ব, আপনার ওয়াদা হক্ব (বাস্তব ও সঠিক), আপনার বাণী হক্ব, আপনার সাক্ষাৎ লাভ হক্ব, জান্নাত হক্ব, জাহান্নাম হক্ব, নবীগণ হক্ব, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হক্ব এবং কিয়ামত হক্ব। হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করি, আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উপরই ঈমান আনি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, আপনার সাহায্যেই বা আপনার জন্যই শত্রুর সাথে বিবাদে লিপ্ত হই, আর আপনার কাছেই বিচার পেশ করি; অতএব ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ— যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপন করেছি আর যা প্রকাশ্যে করেছি। আপনিই (কাউকে) করেন অগ্রগামী, আর আপনিই (কাউকে) করেন পশ্চাদগামী, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনিই আমার ইলাহ। আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।” [56]
১৭. রুকূ‘র দো‘আ
-33 « ﺳُﺒْﺤﺎﻥَ ﺭَﺑِّﻲَ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ » . .
(সুবহা-না রব্বিয়াল ‘আযীম)।
৩৩- (১) “আমার মহান রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার) [57]
-34 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ » .
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৩৪- (২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি আপনার প্রশংসাসহ। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।” [58]
-35 « ﺳُﺒُّﻮُﺡٌ، ﻗُﺪُّﻭﺱٌ، ﺭَﺏُّ ﺍﻟﻤَﻼَﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡِ » .
(“সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-’ইকাতি ওয়াররূহ)।
৩৫- (৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।” [59]
-36 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺭَﻛَﻌْﺖُ، ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ، ﻭَﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ، ﺧَﺸَﻊَ ﻟَﻚَ ﺳَﻤْﻌِﻲ، ﻭَﺑَﺼَﺮِﻱ، ﻭَﻣُﺨِّﻲ، ﻭَﻋَــــﻈْﻤِﻲ، ﻭَﻋَﺼَﺒِﻲ، [ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺳﺘَﻘَﻠَّﺖْ ﺑِﻪِ ﻗَﺪَﻣِﻲ ] » .
(আল্লা-হুম্মা লাকা রাকা‘তু, ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আস্লামতু। খাশা‘আ লাকা সাম‘ঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখ্খী ওয়া ‘আযমী ওয়া ‘আসাবী [ওয়ামাস্তাক্বাল্লাত বিহি কাদামী])।
৩৬- (৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রুকু করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছি। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড়, আমার পেশী, সবই আপনার জন্য বিনয়াবনত। [আর যা আমার পা বহন করে দাঁড়িয়ে আছে (আমার সমগ্র সত্তা) তাও (আপনার জন্য বিনয়াবনত)]” [60] ।
-37 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺫِﻱ ﺍﻟْﺠَﺒَﺮُﻭﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻤَﻠَﻜُﻮﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻜِﺒْﺮِﻳَﺎﺀِ، ﻭَﺍﻟْﻌَﻈَﻤَﺔِ » .
(সুবহা-নাযিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া’ই ওয়াল ‘আযামাতি)।
৩৭- (৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী” [61]।
১৮. রুকু থেকে উঠার দো‘আ
-38 « ﺳَﻤِﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻤَﻦْ ﺣَﻤِﺪَﻩُ » .
(সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ)।
৩৮- (১) “যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শুনুন (কবুল করুন)।” [62]
-39 « ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﺣَﻤْﺪﺍً ﻛَﺜﻴﺮﺍً ﻃَﻴِّﺒﺎً ﻣُﺒﺎﺭَﻛﺎً ﻓِﻴﻪِ » .
(রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি)
৩৯- (২) “হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” [63]
-40 « ﻣِﻞْﺀَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﻣِﻞْﺀَ ﺍﻷَﺭْﺽِ، ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ، ﻭَﻣِﻞْﺀَ ﻣَﺎ ﺷِﺌْﺖَ ﻣِﻦْ ﺷَﻲﺀٍ ﺑَﻌْﺪُ . ﺃَﻫﻞَ ﺍﻟﺜَّﻨﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺠْﺪِ، ﺃَﺣَﻖُّ ﻣَﺎ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪُ، ﻭَﻛُﻠُّﻨَﺎ ﻟَﻚَ ﻋَﺒْﺪٌ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻻَ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻣُﻌْﻄِﻲَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﺫَﺍ ﺍﻟﺠَﺪِّ ﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺠَﺪُّ » .
(মিল’আস সামা-ওয়া-তি ওয়া মিল’আল আরদি ওয়ামা বাইনাহুমা, ও মিল’আ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা‘দু, আহলাস সানা-য়ি ওয়াল মাজদি, আহাক্কু মা ক্বালাল ‘আবদু, ওয়া কুল্লুনা লাকা ‘আবদুন, আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘য়ু যাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
৪০- (৩) “(আপনার প্রশংসা করছি) আসমানসমূহ পূর্ণ করে, যমীন পূর্ণ করে ও যা এ দু’টির মাঝে রয়েছে (তাও পূর্ণ করে), আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে প্রশংসা ও সম্মান-মর্যাদার যোগ্য সত্ত্বা! বান্দা সবচেয়ে যে সঠিক কথাটি বলেছে তা হচ্ছে—আর আমরা সবাই আপনার বান্দা— হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো কাজে লাগবে না।” [64]
১৯. সিজদার দো‘আ
-41 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺭَﺑِّﻲَ ﺍﻷَﻋْﻠَﻰ » .
(সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা)
৪১- (১) “আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।” (তিনবার)
[65]
-42 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ » .
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৪২- (২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।” [66]
-43 « ﺳُﺒﻮﺡٌ، ﻗُﺪُّﻭﺱٌ، ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡِ » .
(সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ)।
৪৩- (৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।” [67]
-44 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺳَﺠَﺪْﺕُ ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ، ﻭَﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ، ﺳَﺠَﺪَ ﻭَﺟْﻬِﻲَ ﻟِﻠَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻪُ، ﻭَﺻَﻮَّﺭَﻩُ، ﻭَﺷَﻖَّ ﺳَﻤْﻌَﻪُ ﻭَﺑَﺼَﺮَﻩُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣْﺴﻦُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻘﻴﻦَ » .
(আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্সানুল খালিক্বীন)।
৪৪- (৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ অত্যন্ত বরকতময়।” [68]
-45 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺫِﻱ ﺍﻟْﺠَﺒَﺮُﻭﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻤَﻠَﻜُﻮﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻜِﺒْﺮِﻳَﺎﺀِ، ﻭَﺍﻟْﻌَﻈَﻤَﺔِ » .
(সুবহা-নাযিল জাবারূতি, ওয়াল মালাকুতি, ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি)।
৪৫- (৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।” [69]
-46 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒِﻲ ﻛُﻠَّﻪُ : ﺩِﻗَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَّﻪُ، ﻭَﺃَﻭَّﻟَﻪُ ﻭَﺁﺧِﺮَﻩُ، ﻭَﻋَﻼَﻧِﻴَّﺘَﻪُ ﻭَﺳِﺮَّﻩُ » .
(আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া ‘আখিরাহু, ওয়া ‘আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)।
৪৬- (৬) “হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন— তার ক্ষুদ্র অংশ, তার বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ।” [70]
-47 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮِﺿَﺎﻙَ ﻣِﻦْ ﺳَﺨَﻄِﻚَ، ﻭَﺑِﻤُﻌَﺎﻓَﺎﺗِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋُﻘﻮﺑَﺘِﻚَ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻨْﻚَ، ﻻَ ﺃُﺣْﺼِﻲ ﺛَﻨَﺎﺀً ﻋَﻠَﻴْﻚَ، ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﺛْﻨَﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻚَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা)।
৪৭- (৭) “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন”। [71]
২০. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ
-48 « ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ، ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ » .
(রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী)
৪৮- (১) হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।[72]
-49 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ، ﻭَﺍﺟْﺒُﺮْﻧِﻲ، ﻭَﻋَﺎﻓِﻨِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲ، ﻭَﺍﺭْﻓَﻌْﻨِﻲ » .
(আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী)
৪৯- (২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন” [73]।
২১. সিজদার আয়াত তেলাওয়াতের পর সিজদায় দো‘আ
-50 « ﺳَﺠَﺪَ ﻭَﺟْﻬِﻲَ ﻟِﻠَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻪُ، ﻭَﺷَﻖَّ ﺳَﻤْﻌَﻪُ ﻭَﺑَﺼَﺮَﻩُ ﺑِﺤَﻮْﻟِﻪِ ﻭَﻗُﻮَّﺗِﻪِ، ﴿ﻓَﺘَﺒﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻘِﻴﻦَ﴾ » .
(সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু, ওয়া শাক্কা সাম্‘আহু ওয়া বাসারাহু, বিহাওলিহি ওয়া কুওয়াতিহি, ফাতবারাকাল্লা-হু আহ্সানুল খা-লিক্বীন)।
৫০- (১) “আমার মুখমণ্ডল সিজদা করেছে সে সত্তার জন্য, যিনি একে সৃষ্টি করেছেন, আর নিজ শক্তি ও ক্ষমতাবলে এর কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সুতরাং সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ অত্যন্ত বরকতময়।” [74]
-51 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻛْﺘُﺐْ ﻟِﻲ ﺑِﻬَﺎ ﻋِﻨْﺪَﻙَ ﺃَﺟْﺮﺍً، ﻭَﺿَﻊْ ﻋَﻨِّﻲ ﺑِﻬَﺎ ﻭِﺯْﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻬَﺎ ﻟِﻲ ﻋِﻨْﺪَﻙَ ﺫُﺧْﺮﺍً، ﻭَﺗَﻘَﺒَّﻠْﻬَﺎ ﻣِﻨِّﻲ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﻘَﺒَّﻠْﺘَﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻋَﺒْﺪِﻙَ ﺩَﺍﻭُﺩَ » .
(আল্লা-হুম্মাক্তুব লী বিহা ‘ইনদাকা আজরান, ওয়াদা‘ ‘আন্নী বিহা উইযরান, ওয়াজ ‘আলহা লী ‘ইনদাকা যুখরান, ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতাহা মিন আবদিকা দাঊদ)।
৫১- (২) “হে আল্লাহ! এই সিজদার বদৌলতে আপনার নিকট আমার জন্য প্রতিদান লিখে রাখুন, এর দ্বারা আমার পাপসমূহ ফেলে দিন, এটাকে আপনার কাছে আমার জন্য সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখুন, আর একে আমার থেকে কবুল করুন যেমন কবুল করেছেন আপনার বান্দা দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর থেকে”। [75]
২২. তাশাহ্হুদ
-52 « ﺍﻟﺘَّﺤِﻴَّﺎﺕُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻠَﻮﺍﺕُ، ﻭَﺍﻟﻄَّﻴِّﺒﺎﺕُ، ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪُ، ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻋِﺒَﺎﺩِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ . ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳﻮﻟُﻪُ » .
(আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু আস্সালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আস্সালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস সা-লেহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু)।
৫২- “যাবতীয় অভিবাদন আল্লাহ্র জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং আল্লাহ্র সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক সালাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল”। [76]
২৩. তাশাহ্হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ
-53 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ » .
(আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ)।
৫৩- (১) “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত”। [77]
-54 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻪِ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻪِ، ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ . ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺃَﺯْﻭﺍﺟِﻪِ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻪِ، ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ . ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ » .
(আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা সাল্লাইতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা, ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা বা-রাক্তা ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ)।
৫৪- (২) “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর স্ত্রীগণ ও তাঁর বংশধরকেও, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনকে। আর আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর স্ত্রীগণ ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীমের পরিবার- পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত”। [78]
২৪. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দো‘আ
-55 « ﺍﻟﻠَّﻬُــﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ، ﻭَﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ، ﻭَﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺤْﻴَﺎ ﻭَﺍﻟْﻤَﻤَﺎﺕِ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল)।
৫৫- (১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে”। [79]
-56 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ، ﻭَﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ، ﻭَﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺤْﻴَﺎ ﻭَﺍﻟْﻤَﻤَﺎﺕِ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺄْﺛَﻢِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮَﻡِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন আযা-বিল ক্বাবরি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-লি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরামি)।
৫৬- (২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের বোঝা থেকে”। [80]
-57 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻇَﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻇُﻠْﻤﺎً ﻛَﺜِﻴﺮﺍً، ﻭَﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧﻮﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓً ﻣِﻦْ ﻋِﻨْﺪِﻙَ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻐَﻔﻮﺭُ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম)।
৫৭- (৩) “হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না। অতএব আমাকে আপনার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু”। [81]
-58 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﺭْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻨْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﻓْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻨِّﻲ . ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪِّﻡُ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﺆَﺧِّﺮُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লান্তু ওয়া মা আসরাফ্তু ওয়া মা আনতা আল’লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আনতা)।
৫৮- (৪) “হে আল্লাহ! ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ— যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপন করেছি, যা প্রকাশ্যে করেছি, যা সীমালঙ্ঘন করে করেছি, আর যা আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন। আপনিই (কাউকে) করেন অগ্রগামী, আর আপনিই (কাউকে) করেন পশ্চাদগামী, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।” [82]
-59 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋِﻨِّﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺫِﻛْﺮِﻙَ، ﻭَﺷُﻜْﺮِﻙَ، ﻭَﺣُﺴْﻦِ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻚَ » .
(আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ও শুকরিকা ওয়াহুসনি ইবা-দাতিকা)।
৫৯- (৫) “হে আল্লাহ! আপনার যিক্র করতে, আপনার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন”। [83]
-60 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ، ﻭَﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﺃُﺭَﺩَّ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺭْﺫَﻝِ ﺍﻟْﻌُﻤُﺮِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া ‘আউযু বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল্ ‘উমুরি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন্ ফিতনাতিদ দুনইয়া ও আযা-বিল ক্বাবরি)।
৬০- (৬) “হে আল্লাহ ! আমি আপনার আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই কাপুরুষতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই চরম বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে, আর আপনার আশ্রয় চাই দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে।”[84]
-61 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান্নার)।
৬১- (৭) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই”। [85]
-62 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﻌِﻠْﻤِﻚَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐَ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺨَﻠﻖِ ﺃَﺣْﻴِﻨِﻲ ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮﺍً ﻟِﻲ، ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨِﻲ ﺇِﺫَﺍ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﻮَﻓَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮﺍً ﻟِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﺸْﻴَﺘَﻚَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻛَﻠِﻤَﺔَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎ ﻭَﺍﻟْﻐَﻀَﺐِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻘَﺼْﺪَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻐِﻨَﻰ ﻭَﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻧَﻌِﻴﻤﺎً ﻻَ ﻳَﻨْﻔَﺪُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻗُﺮَّﺓَ ﻋَﻴْﻦٍ ﻻَ ﺗَﻨْﻘَﻄِﻊُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻘَﻀَﺎﺀِ، ﻭَﺃَﺳْــــﺄَﻟُﻚَ ﺑَﺮْﺩَ ﺍﻟْﻌَﻴْﺶِ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻟَﺬَّﺓَ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮِ ﺇِﻟَﻰ ﻭَﺟْﻬِﻚَ، ﻭَﺍﻟﺸَّﻮْﻕَ ﺇِﻟَﻰ ﻟِﻘﺎﺋِﻚَ ﻓِﻲ ﻏَﻴﺮِ ﺿَﺮَّﺍﺀَ ﻣُﻀِﺮَّﺓٍ، ﻭَﻻَ ﻓِﺘْﻨَﺔٍ ﻣُﻀِﻠَّﺔٍ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺯَﻳِّﻨَﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔِ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻫُﺪَﺍﺓً ﻣُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ » .
(আল্লা-হুম্মা বি‘ইলমিকাল গাইবি ওয়া কুদরাতিকা ‘আলাল খালক্বি আহয়িনী মা আলিম্তাল হায়া-তা খাইরাল্ লী ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা আলিম্তাল ওয়াফা-তা খাইরাল লী। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাশইয়াতাকা ফিল গাইবি ওয়াশ-শাহাদাতি ওয়া আসআলুকা কালিমাতাল হাক্বক্বি ফির-রিদা ওয়াল-গাদাবি। ওয়া আসআলুকাল কাসদা ফিল গিনা ওয়াল ফাক্বরি, ওয়া আসআলুকা না‘ঈমান লা ইয়ানফাদু, ওয়া আসআলুকা ক্বুররতা আইনিন লা তানকাতি‘উ, ওয়া আস্আলুকার-রিদা বা‘দাল কাদায়ে, ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশি বা‘দাল মাওতি, ওয়া আসআলুকা লাযযাতান-নাযারি ইলা ওয়াজহিকা, ওয়াশ-শাওক্বা ইলা লিক্বাইকা, ফী গাইরি দাররাআ মুদিররাতিন ওয়ালা ফিতনাতিম মুদিল্লাহ। আল্লা-হুম্মা যাইইন্না বিযীনাতিল ঈমানি ওয়াজ‘আলনা হুদাতাম মুহতাদীন)।
৬২- (৮) “হে আল্লাহ! আপনার গায়েবী জ্ঞান এবং সকল সৃষ্টির উপর আপনার সার্বভৌম ক্ষমতার অসিলায় (চাই), আমাকে আপনি জীবিত রাখুন সে-সময় পর্যন্ত, যে সময় পর্যন্ত জীবিত থাকা আপনার জ্ঞানে আমার জন্য কল্যাণকর; আর আমাকে মৃত্যু দিন যখন আপনি জানেন যে, মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট চাই গোপনে ও প্রকাশ্যে আপনাকে ভয় করা; আপনার নিকট চাই সন্তুষ্টি ও ক্রোধ উভয় অবস্থায় সত্য কথা বলা; আপনার নিকট চাই দারিদ্র্যে ও প্রাচুর্যে ভারসাম্যপূর্ণ (মধ্যম) পন্থা। আপনার নিকট চাই এমন নে‘আমত, যা কখনো শেষ হবে না; আপনার নিকট চাই এমন নয়নাভিরাম বস্তু, যা কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। আর আমি আপনার নিকট চাই (তাকদীরের) ফয়সালার পর সন্তোষ; আমি আপনার নিকট চাই মৃত্যুর পর প্রশান্ত জীবন। আমি আপনার নিকট চাই আপনার চেহারার প্রতি দৃষ্টিপাতের স্বাদ, আপনার নিকট চাই আপনার সাথে সাক্ষাৎ লাভের ব্যাকুলতা; এমন যে, তাতে থাকবে না কোনো ক্ষতিকর কষ্ট কিংবা ভ্রষ্টকারী ফেতনা। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ঈমানের সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত করুন এবং আমাদেরকে হেদায়াত-প্রাপ্ত পথপ্রদর্শক বানান”। [86]
-63 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻳَﺎ ﺃَﻟﻠَّﻪُ ﺑِﺄَﻧَّﻚَ ﺍﻟْﻮَﺍﺣِﺪُ ﺍﻟْﺄَﺣَﺪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳﻮﻟَﺪْ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮﺍً ﺃَﺣَﺪٌ، ﺃَﻥْ ﺗَﻐْﻔِﺮَ ﻟِﻲ ﺫُﻧُﻮﺑِﻲ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻐَﻔُﻮﺭُ ﺍﻟﺮَّﺣِّﻴﻢُ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইয়া আল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-হিদুল আহাদুস্ সমাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইয়ূলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফূওয়ান আহাদ, আন্ তাগফিরালী যুনূবী, ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রহীম)।
৬৩- (৯) “হে আল্লাহ! আপনিই একক, অদ্বিতীয়, অমুখাপেক্ষী; যিনি জন্ম দেন নি, জন্ম নেনও নি; আর যার সমকক্ষ কেউ নেই। তাই হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই, যেন আপনি আমার সকল গুনাহ্ ক্ষমা করে দেন; নিশ্চয় আপনি অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”।
[87]
-64 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪَ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﺣْﺪَﻙَ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻚَ، ﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ، ﻳَﺎ ﺑَﺪِﻳﻊَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛﺮَﺍﻡِ، ﻳَﺎ ﺣَﻲُّ ﻳَﺎ ﻗَﻴُّﻮﻡُ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকাল মান্না-নু, ইয়া বাদী‘আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদী, ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যূমু, ইন্নী আসআলুকাল্ জান্নাতা ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনান্না-র)।
৬৪- (১০) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই; কারণ, সকল প্রশংসা আপনার, কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, সীমাহীন অনুগ্রহকারী; হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্তার ধারক! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।” [88]
-65 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻲ ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺄَﺣَﺪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮﻟَﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮﺍً ﺃَﺣَﺪٌ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আশ্হাদু আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ূলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
৬৫- (১১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই। কেননা, আমি সাক্ষ্য দেই যে, নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই; আপনি একক সত্তা, অমুখাপেক্ষী—সকল কিছু আপনার মুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং জন্ম নেনও নি। আর যাঁর সমকক্ষ কেউ নেই”। [89]
২৫. সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ
-66 « ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ » ( তিনবার )
(আস্তাগফিরুল্লা-হ) (তিনবার)
৬৬- (১) “আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ » .
(আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম)।
“হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!” [90]
-67 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ [ তিনবার ] ،
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻻَ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻣُﻌْﻄِﻲَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﺪِّ ﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺠَﺪُّ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। [তিন বার]
আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
৬৭- (২) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (তিনবার)
হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না।” [91]
-68 « ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ، ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ . ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﻻَ ﻧَﻌْﺒُﺪُ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ , ﻟَﻪُ ﺍﻟﻨِّﻌْﻤَﺔُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﻔَﻀْﻞُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟﺜَّﻨَﺎﺀُ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ، ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥَ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যাহু। লাহুন নি‘মাতু ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুসসানাউল হাসান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ-দীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরূন)।
৬৮- (৩) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, যাবতীয় অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা তাঁর দেয়া দ্বীনকে একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে”। [92]
-69 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ » ( ৩৩ বার )
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ » .
(সুবহা-নাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লা-হু আকবার) (৩৩বার)
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)।
৬৯- (৪) “আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।” (৩৩ বার)
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।” [93]
৭০- (৫) প্রত্যেক সালাতের পর একবার, সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস:
-70 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺍَﺣَﺪٌ Ǻۚ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ Ąۚ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ڏ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮْﻟَﺪْ Ǽ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَّﻪٗ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺍَﺣَﺪٌ Ćۧ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ Ǻ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ Ą ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺍِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ Ǽ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﻨَّﻔّٰﺜٰﺖِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌُﻘَﺪِ Ć ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺍِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ Ĉ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǻ ﻣَﻠِﻚِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ą ﺍِﻟٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǽ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟْﻮَﺳْﻮَﺍﺱِ ڏ ﺍﻟْﺨَﻨَّﺎﺱِ Ć ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳُﻮَﺳْﻮِﺱُ ﻓِﻲْ ﺻُﺪُﻭْﺭِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ĉ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Čۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।” [94]
৭১- (৬) আয়াতুল কুরসী। প্রত্যেক সালাতের পর একবার। আর তা হচ্ছে,
-71 ﴿ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﺎٓ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﮬُﻮَ ۚ ﺍَﻟْـﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ڬ ﻟَﺎ ﺗَﺎْﺧُﺬُﻩٗ ﺳِـﻨَﺔٌ ﻭَّﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ۭ ﻟَﻪٗ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۭ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎِﺫْﻧِﻪٖ ۭ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﮭُﻢْ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴْﻄُﻮْﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪٖٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎۗﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِـﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽَ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳَـــــُٔـــﻮْﺩُﻩٗ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ۚ ﻭَﮬُﻮَ ْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢُ ٢٥٥ ﴾ .
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
“আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।” [95]
-72 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻳُﺤْﻴِﻲ ﻭَﻳُﻤِﻴﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ »
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
৭২- (৬) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”।
মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর উপরোক্ত যিকর ১০ বার করে করবে। [96]
-73 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻋِﻠْﻤﺎً ﻧﺎﻓِﻌﺎً، ﻭَﺭِﺯْﻗﺎً ﻃَﻴِّﺒﺎً، ﻭَﻋَﻤَﻼً ﻣُﺘَﻘَﺒَّﻼً » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আন্ ওয়া রিয্কান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান)।
৭৩- (৮) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।”
এটি ফজর নামাযের সালাম ফিরানোর পর পড়বে।[97]
২৬. ইসতিখারার সালাতের দো‘আ
জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রত্যেক কাজেই ইসতিখারা (তথা কল্যাণ কামনার নামায ও দো‘আ) শিক্ষা দিতেন, যেরূপ আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেনো ফরয সালাত ব্যতীত দুই রাক্আত নফল নামায পড়ে, অতঃপর যেন বলে,
-74 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺘَﺨِﻴﺮُﻙَ ﺑِﻌِﻠْﻤِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺘَﻘْﺪِﺭُﻙَ ﺑِﻘُﺪْﺭَﺗِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻚَ ﺍﻟﻌَﻈِﻴﻢِ؛ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺗَﻘْﺪِﺭُ ﻭَﻻَ ﺃَﻗْﺪِﺭُ، ﻭَﺗَﻌْﻠَﻢُ ﻭَﻻَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﻋَﻼَّﻡُ ﺍﻟﻐُﻴُﻮﺏِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻷﻣْﺮَ -
ﻭَﻳُﺴَﻤِّﻲ ﺣَﺎﺟَﺘَﻪُ - ﺧَﻴْﺮٌ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻲ ﻭَﻣَﻌَﺎﺷِﻲ ﻭَﻋَﺎﻗِﺒَﺔِ ﺃَﻣْﺮِﻱ – ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ : ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ - ﻓَﺎﻗْﺪُﺭْﻩُ ﻟِﻲ ﻭَﻳَﺴِّﺮْﻩُ ﻟِﻲ ﺛﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻟِﻲ ﻓِﻴﻪِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮَ ﺷَﺮٌّ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻲ ﻭَﻣَﻌَﺎﺷِﻲ ﻭَﻋَﺎﻗِﺒَﺔِ ﺃَﻣْﺮِﻱ – ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ : ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ – ﻓَﺎﺻْﺮِﻓْﻪُ ﻋَﻨِّﻲ ﻭَﺍﺻْﺮِﻓْﻨِﻲ ﻋَﻨْﻪُ ﻭَﺍﻗْﺪُﺭْ ﻟِﻲَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮَ ﺣَﻴْﺚُ ﻛَﺎﻥَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺭْﺿِﻨِﻲ ﺑِﻪِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিক্বুদরাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাদলিকাল আযীম। ফাইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু, ওয়া আনতা ‘আল্লামূল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আম্রা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) খাইরুন লী ফী দীনি ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, (অথবা বলেছেন) ‘আজিলিহী ও আজিলিহী, ফাকদুরহু লী, ওয়া ইয়াসসিরহু লী, ছুম্মা বা-রিক লী ফীহি। ওয়াইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) শাররুন লী ফী দীনী ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, (অথবা বলেছেন) ‘আজিলিহী ও আজিলিহী, ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফনী ‘আনহু, ওয়াকদুর লিয়াল-খাইরা হাইসু কা-না, সুম্মা আরদ্বিনী বিহ্)।
৭৪- “হে আল্লাহ! আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। আপনার কুদরতের সাহায্যে আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার মহান অনুগ্রহের প্রার্থনা করছি। কেননা আপনিই শক্তিধর, আমি শক্তিহীন। আপনি জ্ঞানবান, আমি জ্ঞানহীন এবং আপনি গায়েবী বিষয় সম্পর্কে মহাজ্ঞানী। হে আল্লাহ! এই কাজটি (এখানে উদ্দিষ্ট কাজ বা বিষয়টি মনে মনে উল্লেখ করবে) আপনার জ্ঞান অনুযায়ী যদি আমার দীন, আমার জীবিকা এবং আমার কাজের পরিণতির দিক দিয়ে, (অথবা বলেছেন) ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর হয়, তবে তা আমার জন্য নির্ধারিত করুন এবং তাকে আমার জন্য সহজলভ্য করে দিন, তারপর তাতে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর এই কাজটি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী যদি আমার দীন, আমার জীবিকা এবং আমার কাজের পরিণতির দিক দিয়ে, (অথবা বলেছেন) ইহকাল ও পরকালের জন্য ক্ষতিকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং যেখানেই কল্যাণ থাকুক আমার জন্য সেই কল্যাণ নির্ধারিত করে দিন। অতঃপর তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন।” [98]
আর যে ব্যক্তি স্রষ্টার কাছে কল্যাণ চাইবে, মুমিনদের সাথে পরামর্শ করবে এবং যে কোনো কাজ করার আগে খোঁজ-খবর নিয়ে করবে, সে কখনো অনুতপ্ত হবে না। কেননা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,
﴿ ﻭَﺷَﺎﻭِﺭْﮬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﻣْﺮِ ۚ ﻓَﺎِﺫَﺍ ﻋَﺰَﻣْﺖَ ﻓَﺘَﻮَﻛَّﻞْ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟﻠَّﻪِ﴾ .
“আর আপনি কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন, তারপর আপনি কোনো দৃঢ় সংকল্প হলে আল্লাহ্র উপর নির্ভর করুন।” [99]
২৭. সকাল ও বিকালের যিক্রসমূহ
কেবলমাত্র আল্লাহ্র জন্যই সকল প্রশংসা, আর সালাত ও সালাম পেশ করছি, এমন নবীর জন্য যার পরে আর কোনো নবী নেই। [100] অতঃপর,
৭৫- (১) আয়াতুল কুরসী:
-75 ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ ﴿ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﺎٓ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﮬُﻮَ ۚ ﺍَﻟْـﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ڬ ﻟَﺎ ﺗَﺎْﺧُﺬُﻩٗ ﺳِـﻨَﺔٌ ﻭَّﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ۭ ﻟَﻪٗ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۭ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎِﺫْﻧِﻪٖ ۭ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﮭُﻢْ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴْﻄُﻮْﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪٖٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎۗﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِـﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽَ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳَـــــُٔـــﻮْﺩُﻩٗ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ۚ ﻭَﮬُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢُ ٢٥٥ ﴾ .
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
“আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।” [101]
৭৬- (২) সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস (তিনবার করে পাঠ করবে): [102]
-76 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺍَﺣَﺪٌ Ǻۚ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ Ąۚ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ڏ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮْﻟَﺪْ Ǽ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَّﻪٗ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺍَﺣَﺪٌ Ćۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ Ǻ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ Ą ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺍِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ Ǽ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﻨَّﻔّٰﺜٰﺖِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌُﻘَﺪِ Ć ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺍِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ Ĉ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǻ ﻣَﻠِﻚِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ą ﺍِﻟٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǽ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟْﻮَﺳْﻮَﺍﺱِ ڏ ﺍﻟْﺨَﻨَّﺎﺱِ Ć ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳُﻮَﺳْﻮِﺱُ ﻓِﻲْ ﺻُﺪُﻭْﺭِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ĉ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Čۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”
-77 « ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨَﺎ ﻭَﺃَﺻْﺒَﺢَ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺭَﺏِّ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﻭَﺧَﻴﺮَ ﻣَﺎ ﺑَﻌْﺪَﻩُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺑَﻌْﺪَﻩُ، ﺭَﺏِّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺳُﻮﺀِ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮِ، ﺭَﺏِّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏٍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ » .
(আসবাহ্না ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লাহি [103] ওয়ালহাম্দু লিল্লাহি, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। রব্বি আস্আলুকা খাইরা মা ফী হা-যাল ইয়াউমি ওয়া খাইরা মা বা‘দাহু, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ফী হা-যাল ইয়াউমি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু। [104] রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূইল-কিবারি। রবিব আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্না-রি ওয়া আযাবিন্ ফিল ক্বাবরি)।
৭৭- (৩) “আমরা সকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়েছে, আল্লাহ্র জন্য। সমুদয় প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
হে রব্ব! এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু কল্যাণ আছে আমি আপনার নিকট তা প্রার্থনা করি। আর এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু অকল্যাণ আছে, তা থেকে আমি আপনার আশ্রয় চাই।
হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা ও খারাপ বার্ধক্য থেকে। হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামে আযাব হওয়া থেকে এবং কবরে আযাব হওয়া থেকে।” [105]
-78 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﻚَ ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨَﺎ، ﻭَﺑِﻚَ ﺃَﻣْﺴَﻴْﻨَﺎ، ﻭَﺑِﻚَ ﻧَﺤْﻴَﺎ، ﻭَﺑِﻚَ ﻧَﻤُﻮﺕُ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺍﻟﻨُّﺸُﻮﺭُ » .
(আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর) [106] ।
৭৮- (৪) “হে আল্লাহ! আমরা আপনার জন্য সকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা আমরা জীবিত থাকি, আপনার দ্বারাই আমরা মারা যাব; আর আপনার দিকেই উত্থিত হব।” [107]
৭৯- (৫) [সায়্যিদুল ইসতিগফার:]
-79 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ، ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ، ﻭَﺃَﺑُﻮﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧﻮﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আব্দুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্বা‘তু। আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা সানা‘তু, আবূউ [108] লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী। ফাগফির লী, ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা)।
“হে আল্লাহ্! আপনি আমার রব্ব, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আর আমি আমার সাধ্য মতো আপনার (তাওহীদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতির উপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই। আপনি আমাকে আপনার যে নিয়ামত দিয়েছেন তা আমি স্বীকার করছি, আর আমি স্বীকার করছি আমার অপরাধ। অতএব আপনি আমাকে মাফ করুন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করে না।” [109]
-80 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺻْﺒَﺤْﺖُ ﺃُﺷْﻬِﺪُﻙَ، ﻭَﺃُﺷْﻬِﺪُ ﺣَﻤَﻠَﺔَ ﻋَﺮْﺷِﻚَ، ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘِﻚَ، ﻭَﺟَﻤِﻴﻊَ ﺧَﻠْﻘِﻚَ، ﺃَﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﺣْﺪَﻙَ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻚَ، ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻚَ » ( ৪ বার ) .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসবাহ্তু[110] উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা ‘আরশিকা ওয়া মালা-ইকাতিকা ওয়া জামী‘আ খালক্বিকা, আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়াহ্দাকা লা শারীকা লাকা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আব্দুকা ওয়া রাসূলুকা) [৪ বার]
৮০- (৬) “হে আল্লাহ! আমি সকালে উপনীত হয়েছি। আপনাকে আমি সাক্ষী রাখছি, আরও সাক্ষী রাখছি আপনার ‘আরশ বহনকারীদেরকে, আপনার ফেরেশতাগণকে ও আপনার সকল সৃষ্টিকে, (এর উপর) যে— নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই; আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার বান্দা ও রাসূল।” (৪ বার) [111]
-81 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻣَﺎ ﺃَﺻْﺒَﺢَ ﺑِﻲ ﻣِﻦْ ﻧِﻌْﻤَﺔٍ ﺃَﻭْ ﺑِﺄَﺣَﺪٍ ﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻘِﻚَ ﻓَﻤِﻨْﻚَ ﻭَﺣْﺪَﻙَ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻚَ، ﻓَﻠَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟﺸُّﻜْﺮُ » .
(আল্লা-হুম্মা মা আসবাহা বী [112] মিন নি‘মাতিন আউ বিআহাদিন মিন খালক্বিকা ফামিনকা ওয়াহ্দাকা লা শারীকা লাকা, ফালাকাল হাম্দু ওয়ালাকাশ্ শুক্রু)।
৮১- (৭) “হে আল্লাহ! যে নেয়ামত আমার সাথে সকালে উপনীত হয়েছে, অথবা আপনার সৃষ্টির অন্য কারও সাথে; এসব নেয়ামত কেবলমাত্র আপনার নিকট থেকেই; আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য।” [113]
-82 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻲ ﻓِﻲ ﺑَﺪَﻧِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻲ ﻓِﻲ ﺳَﻤْﻌِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻲ
ﻓِﻲ ﺑَﺼَﺮِﻱ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜُﻔْﺮِ، ﻭَﺍﻟﻔَﻘْﺮِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟﻘَﺒْﺮِ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ » ( ৩ বার ) .
(আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম্‘ঈ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী। লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল-ফাক্বরি ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা)। (৩ বার)
৮২- (৮) “হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শরীরে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শ্রবণশক্তিতে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কুফরি ও দারিদ্র্য থেকে। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে। আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।” [114] (৩ বার)
-83 « ﺣَﺴْﺒِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ » (৭ বার) .
(হাসবিয়াল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম) (৭ বার)
৮৩- (৯) “আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি তাঁর উপরই ভরসা করি। আর তিনি মহান আরশের রব্ব।” [115] (৭ বার)
-84 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ : ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻲ ﻭَﺩُﻧْﻴَﺎﻱَ ﻭَﺃَﻫْﻠِﻲ، ﻭَﻣَﺎﻟِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺳْﺘُﺮْ ﻋَﻮْﺭَﺍﺗِﻲ، ﻭَﺁﻣِﻦْ ﺭَﻭْﻋَﺎﺗِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺣْﻔَﻈْﻨِﻲ ﻣِﻦْ ﺑَﻴﻦِ ﻳَﺪَﻱَّ، ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻲ، ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻲ، ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻲ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻌَﻈَﻤَﺘِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃُﻏْﺘَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻲ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল- ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাতি। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল-‘আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়াদুনইয়াইয়া, ওয়া আহ্লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আ-তি। আল্লা-হুম্মাহফাযনী মিম্বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া শিমা-লী ওয়া মিন ফাওকী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্তী)।
৮৪- (১০) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নীচ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে”। [116]
-85 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ، ﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻭَﻣَﻠِﻴﻜَﻪُ، ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻧَﻔْﺴِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄﺎﻥِ ﻭَﺷَﺮَﻛِﻪِ، ﻭَﺃَﻥْ ﺃَﻗْﺘَﺮِﻑَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﺳُﻮﺀﺍً، ﺃَﻭْ ﺃَﺟُﺮَّﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ » .
(আল্লা-হুম্মা আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ্শাহা-দাতি ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল-লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফ্সী ওয়া মিন শাররিশ শাইত্বা-নি ওয়াশিরকিহী/ওয়াশারাকিহী ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফ্সী সূওআন আউ আজুররাহূ ইলা মুসলিম)।
৮৫- (১১) “হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে ও তার শির্ক বা তার ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।”[117]
-86 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻻَ ﻳَﻀُﺮُّ ﻣَﻊَ ﺍﺳْﻤِﻪِ ﺷَﻲْﺀٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻻَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴّﻤَﺎﺀِ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ » . (৩ বার)
(বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম)। (৩ বার)
৮৬- (১২) “আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।” [118] (৩ বার)
-87 « ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑَّﺎً، ﻭَﺑِﺎﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨﺎً، ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﷺ ﻧَﺒِﻴّﺎً » . (৩ বার)
(রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যান)। (৩ বার)
৮৭- (১৩) “আল্লাহকে রব, ইসলামকে দীন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবীরূপে গ্রহণ করে আমি সন্তুষ্ট।” [119] (৩ বার)
-88 « ﻳَﺎ ﺣَﻲُّ ﻳَﺎ ﻗَﻴُّﻮﻡُ ﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﺃَﺳْﺘَﻐﻴﺚُ ﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻲ ﺷَﺄْﻧِﻲَ ﻛُﻠَّﻪُ ﻭَﻻَ ﺗَﻜِﻠْﻨِﻲ ﺇِﻟَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻃَﺮْﻓَﺔَ ﻋَﻴْﻦٍ » .
(ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যূমু বিরহ্মাতিকা আস্তাগীসু, আসলিহ্ লী শা’নী কুল্লাহু, ওয়ালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন)।
৮৮- (১৪) “হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের অসীলায় আপনার কাছে উদ্ধার কামনা করি, আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন, আর আমাকে আমার নিজের কাছে নিমেষের জন্যও সোপর্দ করবেন না।” [120]
-89 « ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨَﺎ ﻭَﺃَﺻْﺒَﺢَ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ، ﺍﻟﻠَّﻬُـﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ : ﻓَﺘْﺤَﻪُ، ﻭَﻧَﺼْﺮَﻩُ، ﻭَﻧﻮﺭَﻩُ، ﻭَﺑَﺮَﻛَﺘَﻪُ، ﻭَﻫُﺪَﺍﻩُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻓِﻴﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺑَﻌْﺪَﻩُ » .
(আসবাহ্না ওয়া আসবাহাল-মূলকু লিল্লা-হি রব্বিল ‘আলামীন। [121] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খাইরা হাযাল ইয়াওমি
[122] ফাতহাহু ওয়া নাসরাহু ওয়া নুরাহু ওয়া বারাকাতাহু ওয়া হুদা-হু। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ফীহি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু)।
৮৯- (১৫) “আমরা সকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়েছে সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র জন্য। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কামনা করি এই দিনের কল্যাণ: বিজয়, সাহায্য, নূর, রবকত ও হেদায়াত। আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই এ দিনের এবং এ দিনের পরের অকল্যাণ থেকে।” [123]
-90 « ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻓِﻄْﺮَﺓِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻛَﻠِﻤَﺔِ ﺍﻟْﺈِﺧْﻼَﺹِ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺩِﻳﻦِ ﻧَﺒِﻴِّﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﷺ ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻣِﻠَّﺔِ ﺃَﺑِﻴﻨَﺎ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺣَﻨِﻴﻔﺎً ﻣُﺴْﻠِﻤﺎً ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺸﺮِﻛِﻴﻦَ » .
(আসবাহনা ‘আলা ফিত্বরাতিল ইসলামি
[124] ওয়া আলা কালিমাতিল ইখলাসি ওয়া আলা দ্বীনি নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়া আলা মিল্লাতি আবীনা ইবরা-হীমা হানীফাম মুসলিমাও ওয়ামা কা-না মিনাল মুশরিকীন)।
৯০- (১৬) “আমরা সকালে উপনীত হয়েছি ইসলামের ফিত্বরাতের উপর, নিষ্ঠাপূর্ণ বাণী (তাওহীদ) এর উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীনের উপর, আর আমাদের পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম-এর মিল্লাতের উপর—যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম এবং যিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না”। [125]
-91 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ » . (১০০ বার)
(সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী)। (১০০ বার)
৯১- (১৭) “আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।” (১০০ বার) [126]
-92 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ » . (১০ বার)
অথবা (অলসতা লাগলে ১ বার)
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)। (১০ বার) অথবা (অলসতা লাগলে ১ বার)
৯২- (১৮) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
(১০ বার) [127] অথবা (অলসতা লাগলে ১ বার)
[128]
-93 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
৯৩- (১৯) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (সকালবেলা ১০০ বার বলবে) [129]
-94 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ : ﻋَﺪَﺩَ ﺧَﻠْﻘِﻪِ، ﻭَﺭِﺿَﺎ ﻧَﻔْﺴِﻪِ، ﻭَﺯِﻧَﺔَ ﻋَﺮْﺷِﻪِ، ﻭَﻣِﺪَﺍﺩَ ﻛَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ » . (৩ বার)
(সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়া রিদা নাফসিহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী)। (৩ বার)
৯৪- (২০) “আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি— তাঁর সৃষ্ট বস্তুসমূহের সংখ্যার সমান, তাঁর নিজের সন্তোষের সমান, তাঁর আরশের ওজনের সমান ও তাঁর বাণীসমূহ লেখার কালি পরিমাণ (অগণিত অসংখ্য)”। [130] (৩ বার)
-95 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻋِﻠْﻤﺎً ﻧَﺎﻓِﻌﺎً، ﻭَﺭِﺯْﻗﺎً ﻃَﻴِّﺒﺎً، ﻭَﻋَﻤَﻼً ﻣُﺘَﻘَﺒَّﻼً » .
(সকালবেলা বলবে)
(আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফে‘আন ওয়া রিয্কান তাইয়্যেবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান) (সকালবেলা বলবে)
৯৫- (২১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।” (সকালবেলা বলবে) [131]
-96 « ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ » .
(আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি)।
৯৬- (২২) “আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা করছি”। (প্রতি দিন ১০০ বার) [132]
-97 « ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ » .
(বিকালে ৩ বার)
(আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা)। (বিকালে ৩ বার)
৯৭- (২৩) “আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।” [133] (বিকালে ৩ বার)
-98 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻭَﺳَﻠِّﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﺒَﻴِّﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ » .
[সকাল-বিকাল ১০ বার করে]
(আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ) [সকাল-বিকাল ১০ বার করে]
৯৮- (২৪) “হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।” [সকাল-বিকাল ১০ বার করে] [134]
২৮. ঘুমানোর যিক্রসমূহ
৯৯- (১) দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে নিম্নোক্ত সূরাগুলো পড়ে তাতে ফুঁ দিবে:
-99 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺍَﺣَﺪٌ Ǻۚ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ Ąۚ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ڏ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮْﻟَﺪْ Ǽ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَّﻪٗ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺍَﺣَﺪٌ Ćۧ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ Ǻ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ Ą ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺍِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ Ǽ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﻨَّﻔّٰﺜٰﺖِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌُﻘَﺪِ Ć ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺍِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ Ĉ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǻ ﻣَﻠِﻚِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ą ﺍِﻟٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǽ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟْﻮَﺳْﻮَﺍﺱِ ڏ ﺍﻟْﺨَﻨَّﺎﺱِ Ć ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳُﻮَﺳْﻮِﺱُ ﻓِﻲْ ﺻُﺪُﻭْﺭِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ĉ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Čۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”
তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবে। মাসেহ আরম্ভ করবে তার মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবে।)
[135]
-100 ﴿ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﺎٓ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﮬُﻮَ ۚ ﺍَﻟْـﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ڬ ﻟَﺎ ﺗَﺎْﺧُﺬُﻩٗ ﺳِـﻨَﺔٌ ﻭَّﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ۭ ﻟَﻪٗ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۭ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎِﺫْﻧِﻪٖ ۭ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﮭُﻢْ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴْﻄُﻮْﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪٖٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎۗﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِـﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽَ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳَـــــُٔـــﻮْﺩُﻩٗ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ۚ ﻭَﮬُﻮَ ْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢُ ٢٥٥ ﴾ .
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
১০০- (২) “আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।” [136]
-101 ﴿ﺍٰﻣَﻦَ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮْﻝُ ﺑِﻤَﺎٓ ﺍُﻧْﺰِﻝَ ﺍِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﺭَّﺑِّﻪٖ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮْﻥَ ۭ ﻛُﻞٌّ ﺍٰﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠّٰﻪِ ﻭَﻣَﻠٰۗﻯِٕﻜَﺘِﻪٖ ﻭَﻛُﺘُﺒِﻪٖ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪٖ ۣ ﻟَﺎ ﻧُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦْ ﺭُّﺳُﻠِﻪٖ ۣ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻭَﺍَﻃَﻌْﻨَﺎ ﯓ ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺍِﻟَﻴْﻚَ ﺍﻟْﻤَﺼِﻴْﺮُ ٢٨٥ﻟَﺎ ﻳُﻜَﻠِّﻒُ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻧَﻔْﺴًﺎ ﺍِﻟَّﺎ ﻭُﺳْﻌَﻬَﺎ ۭ ﻟَﻬَﺎ ﻣَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖْ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺍﻛْﺘَﺴَﺒَﺖْ ۭ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬْﻧَﺎٓ ﺍِﻥْ ﻧَّﺴِﻴْﻨَﺎٓ ﺍَﻭْ ﺍَﺧْﻄَﺎْﻧَﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤْﻤِﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎٓ ﺍِﺻْﺮًﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠْﺘَﻪٗ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻨَﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺤَﻤِّﻠْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪٖ ۚ ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ۪ ﻭَﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ۪ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨَﺎ ۪ ﺍَﻧْﺖَ ﻣَﻮْﻟٰﻯﻨَﺎ ﻓَﺎﻧْــﺼُﺮْﻧَﺎ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻜٰﻔِﺮِﻳْﻦَ ٢٨٦ۧ ﴾ .
(আ-মানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহি মির রব্বিহী ওয়াল মু’মিনূন। কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ, লা নুফাররিক্বু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহ, ওয়া ক্বালু সামি‘না ওয়া আতা‘না গুফ্রা-নাকা রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা ইয়ুকাল্লিফুল্লাহু নাফ্সান ইল্লা উস‘আহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাক্তাসাবাত রব্বানা লা তুআখিয্না ইন নাসীনা আও আখ্ত্বা’না। রব্বনা ওয়ালা তাহ্মিল ‘আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা। রব্বনা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা-লা ত্বা-ক্বাতা লানা বিহী। ওয়া‘ফু আন্না ওয়াগফির লানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলা-না ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাউমিল কাফিরীন)।
১০১-(৩) “রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহ্র উপর, তাঁর ফেরেশ্তাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের রব! আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। আল্লাহ্ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই, আর মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বর্তায়। ‘হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।” [137]
-102 « ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺭَﺑِّﻲ ﻭَﺿَﻌْﺖُ ﺟَﻨْﺒِﻲ، ﻭَﺑِﻚَ ﺃَﺭْﻓَﻌُﻪُ، ﻓَﺈِﻥ ﺃَﻣْﺴَﻜْﺖَ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻓﺎﺭْﺣَﻤْﻬَﺎ، ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﺭْﺳَﻠْﺘَﻬَﺎ ﻓَﺎﺣْﻔَﻈْﻬَﺎ، ﺑِﻤَﺎ ﺗَﺤْﻔَﻆُ ﺑِﻪِ ﻋِﺒَﺎﺩَﻙَ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ » .
(বিইসমিকা [138] রব্বী ওয়াদা‘তু জাম্বী, ওয়া বিকা আরফা‘উহু। ফাইন্ আম্সাক্তা নাফ্সী ফারহামহা, ওয়াইন আরসালতাহা ফাহ্ফায্হা বিমা তাহ্ফাযু বিহী ‘ইবা-দাকাস সা-লিহীন)।
১০২-(৪) “আমার রব! আপনার নামে আমি আমার পার্শ্বদেশ রেখেছি (শুয়েছি) এবং আপনারই নাম নিয়ে আমি তা উঠাবো। যদি আপনি (ঘুমন্ত অবস্থায়) আমার প্রাণ আটকে রাখেন, তবে আপনি তাকে দয়া করুন। আর যদি আপনি তা ফেরত পাঠিয়ে দেন, তাহলে আপনি তার হেফাযত করুন যেভাবে আপনি আপনার সৎকর্মশীল বান্দাগণকে হেফাযত করে থাকেন।” [139]
-103 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺧَﻠَﻘْﺖَ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺗَﻮَﻓَّﺎﻫَﺎ، ﻟَﻚَ ﻣَﻤَﺎﺗُﻬَﺎ ﻭَﻣَﺤْﻴﺎﻫَﺎ، ﺇِﻥْ ﺃَﺣْﻴَﻴْﺘَﻬَﺎ ﻓَﺎﺣْﻔَﻈْﻬَﺎ، ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﻣَﺘَّﻬَﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻬَﺎ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা খালাক্তা নাফসী ওয়া আন্তা তাওয়াফ্ফাহা। লাকা মামা-তুহা ওয়া মাহ্ইয়া-হা। ইন্ আহ্ইয়াইতাহা ফাহ্ফায্হা ওয়াইন আমাত্তাহা ফাগফির লাহা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল ‘আ-ফিয়াতা)।
১০৩-(৫) “হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি আমার আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনি তার মৃত্যু ঘটাবেন। তার মৃত্যু ও তার জীবন আপনার মালিকানায়। যদি তাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে আপনি তার হেফাযত করুন, আর যদি তার মৃত্যু ঘটান তবে তাকে মাফ করে দিন। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে নিরাপত্তা চাই।” [140]
-104 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻗِﻨِﻲ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ ﻳَﻮْﻡَ ﺗَﺒْﻌَﺚُ ﻋِﺒَﺎﺩَﻙَ » .
(আল্লা-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব‘আছু ‘ইবা-দাকা)।
১০৪-(৬) “হে আল্লাহ! [141] আমাকে আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন।” [142]
-105 « ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ » .
(বিস্মিকাল্লা-হুম্মা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
১০৫-(৭) “হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।” [143]
-106 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ( ﺛﻼﺛﺎً ﻭﺛﻼﺛﻴﻦ ) ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ( ﺛﻼﺛﺎً ﻭﺛﻼﺛﻴﻦ ) ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ( ﺃﺭﺑﻌﺎً ﻭﺛﻼﺛﻴﻦَ »
(সুবহা-নাল্লাহ, (৩৩ বার) আলহামদুলিল্লা-হ (৩৩ বার) আল্লা-হু আকবার (৩৪ বার)-)
১০৬-(৮) আল্লাহ অতি-পবিত্র (৩৩ বার), সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য (৩৩ বার), আল্লাহ অতি-মহান (৩৪ বার)। [144]
-107 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﺍﻟﺴَّﺒْﻊِ ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻷَﺭْﺽِ، ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ، ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ، ﻓَﺎﻟِﻖَ ﺍﻟْﺤَﺐِّ ﻭَﺍﻟﻨَّﻮَﻯ، ﻭَﻣُﻨْﺰِﻝَ ﺍﻟﺘَّﻮْﺭَﺍﺓِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻧْﺠِﻴﻞِ، ﻭَﺍﻟْﻔُﺮْﻗَﺎﻥِ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﺃَﻧْﺖَ ﺁﺧِﺬٌ ﺑِﻨَﺎﺻِﻴَﺘِﻪِ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻷَﻭَّﻝُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻗَﺒْﻠَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻵﺧِﺮُ ﻓَﻠَﻴﺲَ ﺑَﻌْﺪَﻙَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺩُﻭﻧَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﺍﻗْﺾِ ﻋَﻨَّﺎ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦَ ﻭَﺃَﻏْﻨِﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ » .
(আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস্ সাব‘ই ওয়া রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, রব্বনা ওয়া রব্বা কুল্লি শাই’ইন্, ফা-লিক্বাল হাব্বি ওয়ান-নাওয়া, ওয়া মুনযিলাত্-তাওরা-তি ওয়াল ইনজীলি ওয়াল ফুরক্বা-ন, আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি কুল্লি শাই’ইন্ আনতা আ-খিযুম-বিনা-সিয়াতিহি। আল্লা-হুম্মা আনতাল আউওয়ালু ফালাইসা ক্বাবলাকা শাইউন। ওয়া আনতাল আ-খিরু ফালাইসা বা‘দাকা শাইউন। ওয়া আনতায যা-হিরু ফালাইসা ফাওক্বাকা শাইউন। ওয়া আনতাল বা-ত্বিনু ফালাইসা দূনাকা শাইউন। ইক্বদ্বি ‘আন্নাদ্-দাইনা ওয়া আগনিনা মিনাল ফাক্বরি)।
১০৭-(৯) হে আল্লাহ! হে সপ্ত আকাশের রব্ব, যমিনের রব্ব, মহান ‘আরশের রব্ব, আমাদের রব্ব ও প্রত্যেক বস্তুর রব্ব, হে শস্য-বীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী, হে তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন নাযিলকারী, আমি প্রত্যেক এমন বস্তুর অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি, যার (মাথার) অগ্রভাগ আপনি ধরে রেখেছেন (নিয়ন্ত্রণ করছেন)। হে আল্লাহ! আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছুই ছিল না; আপনি সর্বশেষ, আপনার পরে কোনো কিছু থাকবে না; আপনি সব কিছুর উপরে, আপনার উপরে কিছুই নেই; আপনি সর্বনিকটে, আপনার চেয়ে নিকটবর্তী কিছু নেই, আপনি আমাদের সমস্ত ঋণ পরিশোধ করে দিন এবং আমাদেরকে অভাবগ্রস্ততা থেকে অভাবমুক্ত করুন।” [145]
-108 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻃْﻌَﻤَﻨَﺎ ﻭَﺳَﻘَﺎﻧَﺎ، ﻭَﻛَﻔَﺎﻧَﺎ، ﻭَﺁﻭَﺍﻧَﺎ، ﻓَﻜَﻢْ ﻣِﻤَّﻦْ ﻻَ ﻛَﺎﻓِﻲَ ﻟَﻪُ ﻭَﻻَ ﻣُﺆْﻭِﻱَ » .
(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানা, ওয়া সাক্বা-না, ওয়া কাফা-না, ওয়া আ-ওয়ানা, ফাকাম্ মিম্মান লা কা-ফিয়া লাহু, ওয়ালা মু’উইয়া)।
১০৮-(১০) “সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। কেননা, এমন বহু লোক আছে যাদের প্রয়োজনপূর্ণকারী কেউ নেই এবং যাদের আশ্রয়দানকারীও কেউ নেই।” [146]
-109 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ، ﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻭَﻣَﻠِﻴﻜَﻪُ، ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻧَﻔْﺴِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄﺎﻥِ ﻭَﺷِﺮْﻛِﻪِ، ﻭَﺃَﻥْ ﺃَﻗْﺘَﺮِﻑَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﺳُﻮﺀﺍً، ﺃَﻭْ ﺃَﺟُﺮَّﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ » .
(আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রাব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়ামিন শাররিশ শাইত্বা-নী ওয়াশিরকিহী/ওয়াশারাকিহী, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফসী সূ’আন আউ আজুররাহু ইলা মুসলিম)
১০৯-(১১) “হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে ও তার শির্ক বা তার ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।”[147]
১১০-(১২) আলিফ লাম মীম তানযীলায সাজদাহ ও তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক’ সূরাদ্বয় পড়বে। [148]
-111 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﻓَﻮَّﺿْﺖُ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﻭَﺟَّﻬْﺖُ ﻭَﺟْﻬِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﺃَﻟْﺠَﺄْﺕُ ﻇَﻬْﺮِﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺭَﻏْﺒَﺔً ﻭَﺭَﻫْﺒَﺔً ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻻَ ﻣَﻠْﺠَﺄَ ﻭَﻻَ ﻣَﻨْﺠَﺎ ﻣِﻨْﻚَ ﺇِﻻَّ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺁﻣَﻨْﺖُ ﺑِﻜِﺘَﺎﺑِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻧْﺰَﻟْﺖَ، ﻭَﺑِﻨَﺒِﻴِّﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺭْﺳَﻠْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মা আস্লামতু নাফ্সী ইলাইকা, ওয়া ফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া ইলাইকা, ওয়াআলজা’তু যাহ্রী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা। লা মালজা’আ ওয়ালা মান্জা মিনকা ইল্লা ইলাইকা। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা)।
১১১-(১৩) “হে আল্লাহ! [149] আমি নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় আপনার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারা আপনার দিকেই ফিরালাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকে আপনার দিকেই ন্যস্ত করলাম; আপনার প্রতি অনুরাগী হয়ে এবং আপনার ভয়ে ভীত হয়ে। একমাত্র আপনার নিকট ছাড়া আপনার (পাকড়াও) থেকে বাঁচার কোনো আশ্রয়স্থল নেই এবং কোনো মুক্তির উপায় নেই। আমি ঈমান এনেছি আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর।” [150]
২৯. রাতে যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করে তখন পড়ার দো‘আ
-112 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺣِﺪُ ﺍﻟْﻘَﻬّﺎﺭُ، ﺭَﺏُّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﺍﻟْﻌَﺰﻳﺰُ ﺍﻟْﻐَﻔَّﺎﺭُ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়াহিদুল কাহ্হারু রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি ওয়ামা বাইনাহুমাল-‘আযীযুল গাফ্ফার)।
১১২- “মহাপ্রতাপশালী এক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। (তিনি) আসমানসমূহ, যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যস্থিত সবকিছুর রব্ব, প্রবলপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।” [151]
৩০. ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় এবং একাকিত্বের অস্বস্তিতে পড়ার দো‘আ
-113 « ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ، ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ » .
(আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তা-ম্মাতি মিন্ গাদ্বাবিহি ওয়া ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহি ওয়ামিন হামাযা-তিশ্শায়া-ত্বীনি ওয়া আন ইয়াহ্দুরূন)।
১১৩- “আমি আশ্রয় চাই আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালামসমূহের অসীলায় তাঁর ক্রোধ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং তাদের উপস্থিতি থেকে।” [152]
৩১. খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে
১১৪- (১) “তার বাম দিকে হাল্কা থুতু ফেলবে।” (৩ বার) [153]
(২) “শয়তান থেকে এবং যা দেখেছে তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে প্রার্থনা করবে।” (৩ বার)
[ 154 ]
(৩) “কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না।” [ 155 ]
(৪) “অতঃপর যে পার্শ্বে সে ঘুমিয়েছিল তা পরিবর্তন করবে।” [ 156 ]
১১৫- (৫) “যদি ইচ্ছা করে তবে উঠে সালাত আদায় করবে।” [157]
৩২.বিত্রের কুনুতের দো‘আ
-116 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻫْﺪِﻧِﻲ ﻓِﻴﻤَﻦْ ﻫَﺪَﻳْﺖَ، ﻭَﻋَﺎﻓِﻨِﻲ ﻓِﻴﻤَﻦْ ﻋَﺎﻓَﻴْﺖَ، ﻭَﺗَﻮَﻟَّﻨِﻲ ﻓِﻴﻤَﻦْ ﺗَﻮَﻟَّﻴْﺖَ، ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻟِﻲ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻗِﻨِﻲ ﺷَﺮَّ ﻣَﺎ ﻗَﻀَﻴْﺖَ؛ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺗَﻘْﻀِﻲ ﻭَﻻَ ﻳُﻘْﻀَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻚَ، ﺇِﻧَّﻪُ ﻻَ ﻳَﺬِﻝُّ ﻣَﻦْ ﻭَﺍﻟَﻴْﺖَ، [ ﻭَﻻَ ﻳَﻌِﺰُّ ﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَﻳْﺖَ ] ، ﺗَﺒﺎﺭَﻛْﺖَ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻴْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্দ্বা ‘আলাইকা। ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, [ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা।] তাবা-রক্তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)।
১১৬-(১) “হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হেদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চুড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না [এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না।] আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের রব্ব! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান” [158] ।
-117 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮِﺿَﺎﻙَ ﻣِﻦْ ﺳَﺨَﻄِﻚَ، ﻭَﺑِﻤُﻌَﺎﻓَﺎﺗِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋُﻘُﻮﺑَﺘِﻚَ، ﻭَﺃَﻋُــــﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻨْﻚَ، ﻻَ ﺃُﺣْﺼِﻲ ﺛَﻨَﺎﺀً ﻋَﻠَﻴْﻚَ، ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﺛْﻨَﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻚَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা)।
১১৭-(২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।” [159]
-118 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻳَّﺎﻙَ ﻧﻌْﺒُﺪُ، ﻭَﻟَﻚَ ﻧُﺼَﻠِّﻲ ﻭَﻧَﺴْﺠُﺪُ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻧَﺴْﻌَﻰ ﻭَﻧَﺤْﻔِﺪُ، ﻧَﺮْﺟُﻮ ﺭَﺣْﻤَﺘَﻚَ، ﻭَﻧَﺨْﺸَﻰ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ، ﺇِﻥَّ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ ﺑِﺎﻟﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ ﻣُﻠْﺤَﻖٌ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺴْﺘَﻌﻴﻨُﻚَ، ﻭَﻧَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ، ﻭَﻧُﺜْﻨِﻲ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮَ، ﻭَﻻَ ﻧَﻜْﻔُﺮُﻙَ، ﻭَﻧُﺆْﻣِﻦُ ﺑِﻚَ، ﻭَﻧَﺨْﻀَﻊُ ﻟَﻚَ، ﻭَﻧَﺨْﻠَﻊُ ﻣَﻦْ ﻳَﻜْﻔﺮُﻙَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা না‘বুদু, ওয়ালাকা নুসাল্লী, ওনাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস‘আ, ওয়া নাহ্ফিদু, নারজূ রাহ্মাতাকা, ওয়া নাখশা ‘আযা-বাকা, ইন্না ‘আযা-বাকা বিলকাফিরীনা মুলহাক্ব। আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসতা‘ঈনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা, ওয়া নুসনী ‘আলাইকাল খাইরা, ওয়ালা- নাকফুরুকা, ওয়ানূ’মিনু বিকা, ওয়া নাখদ্বা‘উ লাকা, ওয়ানাখলা‘উ মাই ইয়াকফুরুকা।)
১১৮-(৩) “হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদত করি; আপনার জন্যই সালাত আদায় করি ও সিজদা করি; আমরা আপনার দিকেই দৌড়াই এবং দ্রুত অগ্রসর হই; আমরা আপনার করুণা লাভের আকাঙ্ক্ষা করি এবং আপনার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয় আপনার শাস্তি কাফেরদেরকে পাবে।”
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা আপনার কাছে সাহায্য চাই, আপনার কাছে ক্ষমা চাই, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার সাথে কুফরি করি না, আপনার উপর ঈমান আনি, আপনার প্রতি অনুগত হই, আর যে আপনার সাথে কুফরি করে আমরা তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি।” [160]
৩৩. বিত্রের নামায থেকে সালাম ফিরানোর পরের যিক্র
-119 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻤَﻠِﻚِ ﺍﻟﻘُﺪُّﻭﺱِ »
(সুবহা-নাল মালিকিল ক্বুদ্দূস)
১১৯- “কতই না পবিত্র-মহান সেই মহাপবিত্র বাদশা!”
তিনবার বলতেন; তৃতীয়বারে উচ্চস্বরে টেনে টেনে পড়ে বলতেন,
« [ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻤَﻼَﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡِ ] » .
([রাব্বিল মালা-ইকাতি ওয়ার-রূহ])।
“[যিনি ফেরেশতা ও রূহ -এর রব।]” [161]
2য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সূচিপত্র
ক্রম বিষয়সূচি
ভূমিকা
যিক্রের ফযীলত
যিক্র ও দো‘আসমূহ
1. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্রসমূহ
2. কাপড় পরিধানের দো‘আ
3. নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ
4. অপরকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দো‘আ
5. কাপড় খুলে রাখার সময় কী বলবে
6. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ
7. পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ
8. ওযুর পূর্বে যিক্র
9. ওযু শেষ করার পর যিক্র
10. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্র
11. ঘরে প্রবেশের সময় যিক্র
12. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ
13. মসজিদে প্রবেশের দো‘আ
14. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ
15. আযানের যিক্রসমূহ
16. সালাতের শুরুতে দো‘আ
17. রুকূ‘র দো‘আ
18. রুকু থেকে উঠার দো‘আ
19. সিজদার দো‘আ
20. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ
21. সিজদার আয়াত তেলাওয়াতের পর সিজদায় দো‘আ
22. তাশাহ্হুদ
23. তাশাহ্হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ
24. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দো‘আ
25. সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ
26. ইসতিখারার সালাতের দো‘আ
27. সকাল ও বিকালের যিক্রসমূহ
28. ঘুমানোর যিক্রসমূহ
29. রাতে যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করে তখন পড়ার দো‘আ
30. ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় এবং একাকিত্বের অস্বস্তিতে পড়ার দো‘আ
31. খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে
32. বিত্রের কুনুতের দো‘আ
33. বিত্রের নামায থেকে সালাম ফিরানোর পরের যিক্র
34. দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো‘আ
35. দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দো‘আ
36. শত্রু এবং শক্তিধর ব্যক্তির সাক্ষাতকালে দো‘আ
37. শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে পড়ার দো‘আ
38. শত্রুর উপর বদ-দো‘আ
39. কোনো সম্প্রদায়কে ভয় করলে যা বলবে
40. ঈমানের মধ্যে সন্দেহে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
41. ঋণ মুক্তির জন্য দো‘আ
42. সালাতে ও কেরাআতে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তির দো‘আ
43. কঠিন কাজে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
44. পাপ করে ফেললে যা বলবে এবং যা করবে
45. শয়তান ও তার কুমন্ত্রণা দূর করার দো‘আ
46. যখন অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটে, বা যা করতে চায় তাতে বাধাপ্রাপ্ত হয়, তখন পড়ার দো‘আ
47. সন্তান লাভকারীকে অভিনন্দন ও তার জবাব
48. যা দ্বারা শিশুদের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়
49. রোগী দেখতে গিয়ে তার জন্য দো‘আ
50. রোগী দেখতে যাওয়ার ফযিলত
51. জীবনের আশা ছেড়ে দেওয়া রোগীর দো‘আ
52. মরণাপন্ন ব্যক্তিকে তালক্বীন (কালেমা স্মরণ করিয়ে দেওয়া)
53. কোনো মুসিবতে পতিত ব্যক্তির দো‘আ
54. মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর দো‘আ
55. মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
56. নাবালক শিশুদের জন্য জানাযার সালাতে দো‘আ
57. শোকার্তদের সান্ত্বনা দেওয়ার দো‘আ
58. মৃতকে কবরে প্রবেশ করানোর দো‘আ
59. মৃতকে দাফন করার পর দো‘আ
60. কবর যিয়ারতের দো‘আ
61. বায়ূ প্রবাহিত হলে পড়ার দো‘আ
62. মেঘের গর্জন শুনলে পড়ার দো‘আ
63. বৃষ্টি চাওয়ার কিছু দো‘আ
64. বৃষ্টি দেখলে দো‘আ
65. বৃষ্টি বর্ষণের পর যিকর
66. অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য কিছু দো‘আ
67. নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দো‘আ
68. ইফতারের সময় রোযাদারের দো‘আ
69. খাওয়ার পূর্বে দো‘আ
70. আহার শেষ করার পর দো‘আ
71. আহারের আয়োজনকারীর জন্য মেহমানের দো‘আ
72. দো‘আর মাধ্যমে খাবার বা পানীয় চাওয়ার ইঙ্গিত করা
73. কোনো পরিবারের কাছে ইফতার করলে তাদের জন্য দো‘আ
74. রোযাদারের নিকট যদি খাবার উপস্থিত হয়, আর সে রোযা না ভাঙ্গে তখন তার দো‘আ করা
75. রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবে
76. ফলের কলি দেখলে পড়ার দো‘আ
77. হাঁচির দো‘আ
78. কাফের ব্যক্তি হাঁচি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ বললে তার জবাবে যা বলা হবে
79. নব বিবাহিতের জন্য দো‘আ
80. বিবাহিত ব্যক্তির দো‘আ এবং বাহন ক্রয়ের পর দো‘আ
81. স্ত্রী-সহবাসের পুর্বের দো‘আ
82. ক্রোধ দমনের দো‘আ
83. বিপন্ন লোক দেখলে পড়ার দো‘আ
84. মজলিসে যা বলতে হয়
85. বৈঠকের কাফ্ফারা (ক্ষতিপূরণ)
86. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন’, তার জন্য দো‘আ
87. কেউ আপনার সাথে সদাচারণ করলে তার জন্য দো‘আ
88. আল্লাহ যা দ্বারা দাজ্জাল থেকে হেফাযত করবেন
89. যে ব্যক্তি বলবে, ‘আমি আপনাকে আল্লাহ্র জন্য ভালোবাসি’— তার জন্য দো‘আ
90. আপনাকে কেউ তার সম্পদ দান করার জন্য পেশ করলে তার জন্য দো‘আ
91. কেউ ঋণ দিলে তা পরিশোধের সময় দো‘আ
92. শির্কের ভয়ে দো‘আ
93. কেউ যদি বলে, ‘আল্লাহ আপনার উপর বরকত দিন’, তার জন্য দো‘আ
94. অশুভ লক্ষণ গ্রহণকে অপছন্দ করে দো‘আ
95. বাহনে আরোহণের দো‘আ
96. সফরের দো‘আ
97. গ্রাম বা শহরে প্রবেশের দো‘আ
98. বাজারে প্রবেশের দো‘আ
99. বাহন হোঁচট খেলে পড়ার দো‘আ
100. মুক্বীম বা অবস্থানকারীদের জন্য মুসাফিরের দো‘আ
101. মুসাফিরের জন্য মুক্বীম বা অবস্থানকারীর দো‘আ
102. সফরে চলার সময় তাকবীর ও তাসবীহ
103. রাত্রির শেষ প্রহরে মুসাফিরের দো‘আ
104. সফরে বা অন্য অবস্থায় কোনো ঘরে নামলে পড়ার দো‘আ
105. সফর থেকে ফেরার যিক্র
106. আনন্দদায়ক অথবা অপছন্দনীয় কিছুর সম্মুখীন হলে যা বলবে
107. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ পাঠের ফযীলত
108. সালামের প্রসার
109. কাফের সালাম দিলে কীভাবে জবাব দিবে
110. মোরগের ডাক ও গাধার স্বর শুনলে পড়ার দো‘আ
111. রাতের বেলায় কুকুরের ডাক শুনলে দো‘আ
112. যাকে আপনি গালি দিয়েছেন তার জন্য দো‘আ
113. কোনো মুসলিম অপর মুসলিমকে প্রশংসা করলে যা বলবে
114. কোনো মুসলিমের প্রশংসা করা হলে সে যা বলবে
115. হজ্জ বা উমরায় মুহরিম ব্যক্তি কিভাবে তালবিয়াহ পড়বে
116. হাজরে আসওয়াদের কাছে আসলে তাকবীর বলা
117. রুকনে ইয়ামানী ও হাজরে আসওয়াদের মাঝে দো‘আ
118. সাফা ও মারওয়ায় দাঁড়িয়ে যা পড়বে
119. আরাফাতের দিনে দো‘আ
120. মাশ‘আরুল হারাম তথা মুযদালিফায় যিক্র
121. জামরাসমূহে প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপকালে তাকবীর বলা
122. আশ্চর্যজনক ও আনন্দজনক বিষয়ের পর দো‘আ
123. আনন্দদায়ক কোনো সংবাদ আসলে যা করবে
124. শরীরে কোনো ব্যথা অনুভব করলে যা করবে ও বলবে
125. কোনো কিছুর উপর নিজের চোখ লাগার ভয় থাকলে দো‘আ
126. ভীত অবস্থায় যা বলবে
127. পশু যবেহ বা নাহর করার সময় যা বলবে
128. দুষ্ট শয়তানদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে যা বলবে
129. ক্ষমা প্রার্থনা ও তাওবা করা
130. তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর -এর ফযীলত
131. কীভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাসবীহ পাঠ করতেন?
132. বিবিধ কল্যাণ ও সামষ্টিক কিছু আদব
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ
(দয়াময়, পরম দয়ালু আল্লাহ্র নামে)
ভূমিকা
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আমরা তাঁরই প্রশংসা করি, তাঁর নিকটেই সাহায্য চাই, আর তাঁর কাছেই ক্ষমা চাই। আমরা আমাদের হৃদয়ের দুষ্ট প্রবৃত্তিসমূহ এবং আমাদের মন্দ আচরণ থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, তাকে পথভ্রষ্ট করার কেই নেই, আর যাকে বিপথগামী করেন তাকে সৎপথে আনার কেউ নেই। আর আমি সাক্ষ্য দেই যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহ তাঁর প্রতি এবং তাঁর বংশধর, তাঁর সাহাবীগণ ও কিয়ামত পর্যন্ত যতো লোক এ সৎ পথের অনসরণ করবে তাদের সকলের প্রতি অগণিত দরূদ ও সালাম বর্ষণ করুন। তারপর,
এ-বইটি আমার
ﺍﻟﺬﻛﺮ ﻭﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﻼﺝ ﺑﺎﻟﺮﻗﻰ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻭﺍﻟﺴﻨﺔ
-নামক কিতাব [1] থেকে সংক্ষেপিত। এতে আমি শুধুমাত্র যিক্রের অংশটি সংক্ষেপ করেছি; যাতে ভ্রমণপথে তা বহন করা সহজ হয়।
এখানে যিক্রের মূল অংশটি শুধু উল্লেখ করেছি। আর হাদীসগুলোর বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে মূল গ্রন্থের একটি বা দু’টি সূত্র উল্লেখ করাই যথেষ্ট মনে করেছি। যিনি সাহাবীগণ সম্পর্কে অবগত হতে চান অথবা হাদীসের অতিরিক্ত সূত্র জানতে চান, তিনি মূল গ্রন্থটি দেখে নিতে পারেন।
মহান আল্লাহ্র নিকট তাঁর উত্তম নামসমূহ এবং সর্বোচ্চ গুণাবলীর ওসীলায় প্রার্থনা করি, তিনি যেন এ আমল তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য একান্ত করে কবুল করে নেন, আর এর দ্বারা যেন তিনি আমাকে আমার জীবনে ও মরণের পরে উপকৃত করেন। আর যে ব্যক্তি এ বইটি পড়বে, ছাপাবে অথবা এর প্রচারের কারণ হবে তাকেও যেন তিনি উপকৃত করেন। নিশ্চয় পবিত্র মহান সত্ত্বা এ কাজের অধিকারী এবং তার ওপর পূর্ণ ক্ষমতাবান।
আল্লাহ দরূদ ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর উপর; আর তাঁর বংশধর, তাঁর সাহাবীগণ এবং কিয়ামত পর্যন্ত যারা সুন্দরভাবে তাঁদের অনুসরণ করবে তাদের উপরও।
লেখক
সফর, ১৪০৯ হিজরি।
যিক্রের ফযীলত
মহান আল্লাহ বলেন,
﴿ ﻓَﺎﺫْﻛُﺮُﻭْﻧِﻲْٓ ﺍَﺫْﻛُﺮْﻛُﻢْ ﻭَﺍﺷْﻜُﺮُﻭْﺍ ﻟِﻲْ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜْﻔُﺮُﻭْﻥِ ١٥٢ۧ﴾
“অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব। আর তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর এবং আমার প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়ো না।” [2]
﴿ ﻳٰٓﺎَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺫْﻛُﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺫِﻛْﺮًﺍ ﻛَﺜِﻴْﺮًﺍ 41ۙ ﴾
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর”। [3]
﴿ ﻭَﺍﻟﺬّٰﻛِﺮِﻳْﻦَ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﻛَﺜِﻴْﺮًﺍ ﻭَّﺍﻟﺬّٰﻛِﺮٰﺕِ ۙ ﺍَﻋَﺪَّ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَّﻐْﻔِﺮَﺓً ﻭَّﺍَﺟْﺮًﺍ ﻋَﻈِﻴْﻤًﺎ 35 ﴾
“আর আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণকারী পুরুষ ও নারী: আল্লাহ তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট পুরস্কার প্রস্তুত করে রেখেছেন[4] ।”
﴿ﻭَﺍﺫْﻛُﺮْ ﺭَّﺑَّﻚَ ﻓِﻲْ ﻧَﻔْﺴِﻚَ ﺗَﻀَﺮُّﻋًﺎ ﻭَّﺧِﻴْﻔَﺔً ﻭَّﺩُﻭْﻥَ ﺍﻟْﺠَــﻬْﺮِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻘَﻮْﻝِ ﺑِﺎﻟْﻐُﺪُﻭِّ ﻭَﺍﻟْﺎٰﺻَﺎﻝِ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﻜُﻦْ ﻣِّﻦَ ﺍﻟْﻐٰﻔِﻠِﻴْﻦَ ٢٠٥﴾
“আর আপনি আপনার রব্বকে স্মরণ করুন মনে মনে, মিনতি ও ভীতিসহকারে, অনুচ্চস্বরে; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর উদাসীনদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।” [5]
তাছাড়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“যে ব্যক্তি তার রবের যিক্র (স্মরণ) করে, আর যে ব্যক্তি তার রবের যিক্র করে না— তারা যেন জীবিত আর মৃত” [6] ।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
“আমি কি তোমাদেরকে তা জানাবো না— আমলের মধ্যে যা সর্বোত্তম, তোমাদের মালিক (আল্লাহ্র) কাছে যা অত্যন্ত পবিত্র, তোমাদের জন্য যা অধিক মর্যাদা বৃদ্ধিকারী, (আল্লাহ্র পথে) সোনা-রূপা ব্যয় করার তুলনায় যা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা এবং তারা তোমাদের হত্যা করার চাইতেও অধিকতর শ্রেষ্ঠ?” সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ। তিনি বললেন, “আল্লাহ্ তা‘আলার যিক্র”[7]।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
“আল্লাহ তা‘আলা বলেন: আমার বান্দা আমার সম্পর্কে যেরূপ ধারণা করে, আমাকে সে তদ্রূপই পাবে; আর যখন সে আমাকে স্মরণ করে, তখন আমি তার সাথে থাকি। সুতরাং যদি সে মনে মনে আমাকে স্মরণ করে, আমিও আমার মনে তাকে স্মরণ করি। আর যদি সে কোনো সমাবেশে আমাকে স্মরণ করে, তাহলে আমি তাকে এর চাইতে উত্তম সমাবেশে স্মরণ করি। আর সে যদি আমার দিকে এক বিঘত পরিমাণ নিকটবর্তী হয়, তাহলে আমি তার দিকে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হই। সে এক হাত পরিমাণ নিকটবর্তী হলে আমি তার দিকে এক বাহু পরিমাণ নিকটবর্তী হই। আর সে যদি আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দ্রুতবেগে যাই।[8]”
আব্দুল্লাহ ইবন বুসর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত,
এক ব্যক্তি আরয করল, হে আল্লাহ্র রাসূল! ইসলামের বিধিবিধান আমার জন্য বেশি হয়ে গেছে। কাজেই আপনি আমাকে এমন একটি বিষয়ের খবর দিন, যা আমি শক্ত করে আঁকড়ে ধরব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “তোমরা জিহ্বা যেনো সর্বক্ষণ আল্লাহ্র যিক্রে সজীব থাকে” [9] ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কিতাব (কুরআন) থেকে একটি হরফ পাঠ করে, সে তার বিনিময়ে একটি সওয়াব পায়; আর একটি সওয়াব হবে দশটি সওয়াবের সমান। আমি আলিফ, লাম ও মীমকে একটি হরফ বলছি না। বরং ‘আলিফ’ একটি হরফ, ‘লাম’ একটি হরফ এবং ‘মীম’ একটি হরফ”[10]।
উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন। আমরা তখন সুফ্ফায় (মসজিদে নববীর আঙ্গিনায়) অবস্থান করছিলাম। তিনি বললেন,
“তোমাদের মধ্যে কে আছে, যে প্রতিদিন সকালে বুতহান বা আকীক উপত্যকায় গিয়ে সেখান থেকে কোনো প্রকার পাপ বা আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন না করে উঁচু কুঁজবিশিষ্ট দু’টো উষ্ট্রী নিয়ে আসতে পছন্দ করে”? আমরা বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমরা তা পছন্দ করি। তিনি বললেন: “তোমাদের কেউ কি এরূপ করতে পার না যে, সকালে মসজিদে গিয়ে মহান আল্লাহ্র কিতাব থেকে দুটো আয়াত জানবে অথবা পড়বে; এটা তার জন্য দু’টো উষ্ট্রীর তুলনায় উত্তম। আর তিনটি আয়াত তিনটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম, চারটি আয়াত চারটি উষ্ট্রী থেকে উত্তম। আর (শুধু উষ্ট্রীই নয়, বরং একইসাথে) সমসংখ্যক উট লাভ করা থেকেও তা উত্তম হবে।”[11]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
“যে ব্যক্তি এমন কোনো বৈঠকে (মজলিসে) বসেছে যেখানে সে আল্লাহ্র যিক্র করে নি, তার সে বসাই আল্লাহ্র নিকট থেকে তার জন্য আফসোস ও নৈরাশ্যজনক হবে। আর যে ব্যক্তি এমন কোনো শয়নে শুয়েছে যেখানে সে আল্লাহ্র যিক্র করে নি, তার সে শোয়াই আল্লাহ্র নিকট থেকে তার জন্য আফসোস ও নৈরাশ্যজনক হবে।”[12]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
“যদি কোনো দল কোনো বৈঠকে বসে আল্লাহ্র যিক্র না করে এবং তাদের নবীর ওপর দরূদও পাঠ না করে, তাহলে তাদের সেই বৈঠক তাদের জন্য কমতি ও আফসোসের কারণ হবে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাদেরকে শাস্তি দেবেন, অথবা তিনি চাইলে তাদের ক্ষমা করবেন।”[13]
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন :
“যদি কোনো একদল লোক এমন কোনো বৈঠক থেকে উঠল, যেখানে তারা আল্লাহ্র নাম স্মরণ করে নি, তবে তারা যেন গাধার লাশের কাছ থেকে উঠে আসল। আর এরূপ মজলিস তাদের জন্য আফসোসের কারণ হবে”।[14]
১. ঘুম থেকে জেগে উঠার সময়ের যিক্রসমূহ
-1 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﺃَﺣْﻴَﺎﻧَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﻣَﺎ ﺃَﻣَﺎﺗَﻨَﺎ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨُّﺸُﻮْﺭُ » .
(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহ্ইয়া-না- বা‘দা মা- আমা-তানা- ওয়া ইলাইহিন্ নুশূর)
১- (১) “হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি (নিদ্রারূপ) মৃত্যুর পর আমাদেরকে জীবিত করলেন, আর তাঁরই নিকট সকলের পুনরুত্থান” [15]।
-2 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛﺒَﺮُ، ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ » « ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔﺮْ ﻟِﻲ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকালাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল হামদু, ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল ‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী)।
২- (২) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা করুন”। [16]
-3 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻋَﺎﻓَﺎﻧِﻲ ﻓِﻲ ﺟَﺴَﺪِﻱ، ﻭَﺭَﺩَّ ﻋَﻠَﻲَّ ﺭُﻭﺣِﻲ، ﻭَﺃَﺫِﻥَ ﻟﻲ ﺑِﺬِﻛْﺮِﻩِ » .
(আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী, ওয়ারদ্দা ‘আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী)
৩- (৩) “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিক্র করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন” [17] ।
-4 ﴿ﺍِﻥَّ ﻓِﻲْ ﺧَﻠْﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ﻭَﺍﺧْﺘِﻠَﺎﻑِ ﺍﻟَّﻴْﻞِ ﻭَﺍﻟﻨَّﮭَﺎﺭِ ﻟَﺎٰﻳٰﺖٍ ﻟِّﺎُﻭﻟِﻲ ﺍﻟْﺎَﻟْﺒَﺎﺏِ ١٩٠ﮄﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻳَﺬْﻛُﺮُﻭْﻥَ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﻗِﻴٰﻤًﺎ ﻭَّﻗُﻌُﻮْﺩًﺍ ﻭَّﻋَﻠٰﻲ ﺟُﻨُﻮْﺑِﮭِﻢْ ﻭَﻳَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭْﻥَ ﻓِﻲْ ﺧَﻠْﻖِ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻘْﺖَ ﻫٰﺬَﺍ ﺑَﺎﻃِﻠًﺎ ۚ ﺳُﺒْﺤٰﻨَﻚَ ﻓَﻘِﻨَﺎ ﻋَﺬَﺍﺏَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ١٩١ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺍِﻧَّﻚَ ﻣَﻦْ ﺗُﺪْﺧِﻞِ ﺍﻟﻨَّﺎﺭَ ﻓَﻘَﺪْ ﺍَﺧْﺰَﻳْﺘَﻪٗ ۭ ﻭَﻣَﺎ ﻟِﻠﻈّٰﻠِﻤِﻴْﻦَ ِﻦْ ﺍَﻧْﺼَﺎﺭٍ ١٩٢ﺭَﺑَّﻨَﺎٓ ﺍِﻧَّﻨَﺎ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻣُﻨَﺎﺩِﻳًﺎ ﻳُّﻨَﺎﺩِﻱْ ﻟِﻠْﺎِﻳْﻤَﺎﻥِ ﺍَﻥْ ﺍٰﻣِﻨُﻮْﺍ ﺑِﺮَﺑِّﻜُﻢْ ﻓَﺎٰﻣَﻨَّﺎڰ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ﺫُﻧُﻮْﺑَﻨَﺎ ﻭَﻛَﻔِّﺮْ ﻋَﻨَّﺎ ﺳَﻴِّﺎٰﺗِﻨَﺎ ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨَﺎ ﻣَﻊَ ﺍﻟْﺎَﺑْﺮَﺍﺭِ ١٩٣ۚﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺍٰﺗِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻭَﻋَﺪْﺗَّﻨَﺎ ﻋَﻠٰﻲ ﺭُﺳُﻠِﻚَ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺨْﺰِﻧَﺎ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴٰﻤَﺔِ ۭ ﺍِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴْﻌَﺎﺩَ ١٩٤ﻓَﺎﺳْﺘَﺠَﺎﺏَ ﻟَﮭُﻢْ ﺭَﺑُّﮭُﻢْ ﺍَﻧِّﻰْ ﻟَﺎٓ ﺍُﺿِﻴْﻊُ ﻋَﻤَﻞَ ﻋَﺎﻣِﻞٍ ﻣِّﻨْﻜُﻢْ ﻣِّﻦْ ﺫَﻛَﺮٍ ﺍَﻭْ ﺍُﻧْﺜٰﻰ ۚ ﺑَﻌْﻀُﻜُﻢْ ﻣِّﻦْۢ ﺑَﻌْﺾٍ ۚ ﻓَﺎﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﮬَﺎﺟَﺮُﻭْﺍ ﻭَﺍُﺧْﺮِﺟُﻮْﺍ ﻣِﻦْ ﺩِﻳَﺎﺭِﮬِﻢْ ﻭَﺍُﻭْﺫُﻭْﺍ ﻓِﻲْ ﺳَﺒِﻴْﻠِﻲْ ﻭَﻗٰﺘَﻠُﻮْﺍ ﻭَﻗُﺘِﻠُﻮْﺍ ﻟَﺎُﻛَﻔِّﺮَﻥَّ ﻋَﻨْﮭُﻢْ ﺳَﻴِّﺎٰﺗِﮭِﻢْ ﻭَﻟَﺎُﺩْﺧِﻠَﻨَّﮭُﻢْ ﺟَﻨّٰﺖٍ ﺗَﺠْﺮِﻱْ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﮭَﺎ ﺍﻟْﺎَﻧْﮭٰﺮُ ۚ ﺛَﻮَﺍﺑًﺎ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨْﺪِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ۭ ﻭَﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗ ﺣُﺴْﻦُ ﺍﻟﺜَّﻮَﺍﺏِ ١٩٥ﻟَﺎ ﻳَﻐُﺮَّﻧَّﻚَ ﺗَﻘَﻠُّﺐُ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻛَﻔَﺮُﻭْﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺒِﻠَﺎﺩِ ١٩٦ۭ ﻣَﺘَﺎﻉٌ ﻗَﻠِﻴْﻞٌ ۣ ﺛُﻢَّ ﻣَﺎْﻭٰﻯﮭُﻢْ ﺟَﻬَﻨَّﻢُ ۭ ﻭَﺑِﺌْﺲَ ﺍﻟْﻤِﮭَﺎﺩُ ١٩٧ﻟٰﻜِﻦِ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺍﺗَّﻘَﻮْﺍ ﺭَﺑَّﮭُﻢْ ﻟَﮭُﻢْ ﺟَﻨّٰﺖٌ ﺗَﺠْﺮِﻱْ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﮭَﺎ ﺍﻟْﺎَﻧْﮭٰﺮُ ﺧٰﻠِﺪِﻳْﻦَ ﻓِﻴْﮭَﺎ ﻧُﺰُﻟًﺎ ﻣِّﻦْ ﻋِﻨْﺪِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ۭ ﻭَﻣَﺎ ﻋِﻨْﺪَ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺧَﻴْﺮٌ ﻟِّﻠْﺎَﺑْﺮَﺍﺭِ ١٩٨ﻭَﺍِﻥَّ ﻣِﻦْ ﺍَﮬْﻞِ ﺍﻟْﻜِﺘٰﺐِ ﻟَﻤَﻦْ ﻳُّﺆْﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠّٰﻪِ ﻭَﻣَﺎٓ ﺍُﻧْﺰِﻝَ ﺍِﻟَﻴْﻜُﻢْ ﻭَﻣَﺎٓ ﺍُﻧْﺰِﻝَ ﺍِﻟَﻴْﮭِﻢْ ﺧٰﺸِﻌِﻴْﻦَ ﻟِﻠّٰﻪِ ۙ ﻟَﺎ ﻳَﺸْﺘَﺮُﻭْﻥَ ﺑِﺎٰﻳٰﺖِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺛَـﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠِﻴْﻠًﺎ ۭ ﺍُﻭﻟٰۗﻯِٕﻚَ ﻟَﮭُﻢْ ﺍَﺟْﺮُﮬُﻢْ ﻋِﻨْﺪَ ﺭَﺑِّﮭِﻢْ ۭ ﺍِﻥَّ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺳَﺮِﻳْﻊُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ ١٩٩ﻳٰٓﺎَﻳُّﮭَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮﺍ ﺍﺻْﺒِﺮُﻭْﺍ ﻭَﺻَﺎﺑِﺮُﻭْﺍ ﻭَﺭَﺍﺑِﻄُﻮْﺍ ۣ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮْﻥَ ٢٠٠ۧ﴾
(ইন্না ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি লাআয়া-তিল্ লিউলিল্ আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লাহা কিয়া-মাও ওয়াকু‘উদাঁও ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়াইয়াতাফাক্কারূনা ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ। ফাস্তাজাবা লাহুম রববুহুম আন্নী লা উদী‘উ আমালা ‘আমিলিম মিনকুম মিন যাকারিন ওয়া উনসা বা‘দুকুম মিন বা‘দ, ফাল্লাযীনা হা-জারূ ওয়া উখরিজূ মিন দিয়ারিহিম ওয়া ঊ-যূ ফী সাবীলী ওয়া কা-তালু ওয়া কু-তিলু লাউকাফফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালাউদখিলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ-তিহাল আনহারু, ছাওয়া-বাম্ মিন ‘ইনদিল্লাহি, ওয়াল্লা-হু ইনদাহু হুসনুছ ছাওয়া-ব। লা ইয়াগুররান্নাকা তাকল্লুবুল্লাযীনা কাফারূ ফিল্ বিলা-দ। মাতা‘উন কালীলুন ছুম্মা মা’ওয়াহুম জাহান্নামু ওয়া বি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খা-লিদীনা ফীহা নুযুলাম্ মিন ইনদিল্লাহি ওয়ামা ইনদাল্লাহি খাইরুল লিল্ আবরার। ওয়াইন্না মিন আহলিল কিতাবি লামইয়ূ’মিনু বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শিঈনা লিল্লা-হি লা ইয়াশতারূনা বিআ-য়া-তিল্লাহি ছামানান্ কালীলা। উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রববিহিম। ইন্নাল্লাহা সারী‘উল হিসাব। ইয়া আয়্যুহাল্লাযীনা আমানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়া রা-বিতু ওয়াত্তাকুল্লাহা লা‘আল্লাকুম তুফলিহুন)।
৪- (৪) নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহ্র স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে, ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।’ ‘হে আমাদের রব! আপনি কাউকেও আগুনে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন এবং যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ ‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন। ‘হে আমাদের রব! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদেরকে দান করুন এবং কেয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করবেন না। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’ তারপর তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে আমলকারী কোনো নর বা নারীর আমল বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহ্র কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্রই কাছে রয়েছে। যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই আপনাকে বিভ্রান্ত না করে। এ তো স্বল্পকালীন ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর ওটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এ হচ্ছে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে আতিথেয়তা; আর আল্লাহ্র কাছে যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য উত্তম। আর নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা আল্লাহ্র প্রতি বিনয়াবনত হয়ে তাঁর প্রতি এবং তিনি যা তোমাদের ও তাদের প্রতি নাযিল করেছেন তাতে ঈমান আনে। তারা আল্লাহ্র আয়াত তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে না। তারাই, যাদের জন্য আল্লাহ্র কাছে পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্র তাকওয়া অবলম্বন কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার” [18]।
২. কাপড় পরিধানের দো‘আ
-5 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻛَﺴَﺎﻧِﻲ ﻫَﺬَﺍ ( ﺍﻟﺜَّﻮْﺏَ ) ﻭَﺭَﺯَﻗَﻨِﻴﻪِ ﻣِﻦْ ﻏَﻴْﺮِ ﺣَﻮْﻝٍ ﻣِﻨِّﻲ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓ ... » .
(আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী কাসানী হা-যা (আসসাওবা) ওয়া রযাকানীহি মিন্ গইরি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা কুওওয়াতিন)।
৫- “সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য; যিনি আমাকে এ (কাপড়)টি পরিধান করিয়েছেন এবং আমার শক্তি-সামর্থ্য ছাড়াই তিনি আমাকে এটা দান করেছেন” [19]।
৩. নতুন কাপড় পরিধানের দো‘আ
-6 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﺴَﻮْﺗَﻨِﻴﻪِ، ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﺧَﻴْﺮِﻩِ ﻭَﺧَﻴْﺮِ ﻣَﺎ ﺻُﻨِﻊَ ﻟَﻪُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻩِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻُﻨِﻊَ ﻟَﻪُ » .
(আল্লা-হুম্মা লাকাল-হামদু আনতা কাসাওতানীহি। আসআলুকা মিন খইরিহি ওয়া খইরি মা সুনি‘আ লাহু। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি মা সুনি‘আ লাহু)।
৬- “হে আল্লাহ্! আপনারই জন্য সকল হাম্দ-প্রশংসা। আপনিই এটি আমাকে পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ ও এটি যে উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করি। আর আমি এর অনিষ্ট এবং এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই” [20]।
৪. অপরকে নতুন কাপড় পরিধান করতে দেখলে তার জন্য দো‘আ
-7 « ﺗُﺒْﻠِﻲ ﻭَﻳُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺗَﻌَﺎﻟَﻰ » .
(তুবলী ওয়া ইয়ুখলিফুল্লা-হু তা‘আলা)।
৭- (১) “তুমি পুরাতন করে ফেলবে, আর মহান আল্লাহ এর স্থলাভিষিক্ত করবেন” [21] ।
(ইলবাস জাদীদান, ওয়া ‘ইশ হামীদান, ওয়া মুত শাহীদান)।
৮- (২) “নতুন কাপড় পরিধান কর, প্রশংসিতরূপে দিনাতিপাত কর এবং শহীদ হয়ে মারা যাও” [22]।
৫. কাপড় খুলে রাখার সময় কী বলবে
-9 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ » .
(বিসমিল্লাহ)
৯- “আল্লাহ্র নামে (খুলে রাখলাম)” [23]।
৬. পায়খানায় প্রবেশের দো‘আ
-10 « [ ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ] ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨُﺒْﺚِ ﻭَﺍﻟْﺨَﺒﺎﺋِﺚ » .
([বিসমিল্লাহি] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্সি ওয়াল খাবা-ইসি)
১০- “[আল্লাহ্র নামে।] হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই” [24] ।
৭. পায়খানা থেকে বের হওয়ার দো‘আ
-11 « ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ » .
(গুফরা-নাকা)
১১- “আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” [25]
৮. ওযুর পূর্বে যিক্র
-12 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ » .
(বিস্মিল্লাহ্)
১২- ‘আল্লাহ্র নামে’ [26] ।
৯. ওযু শেষ করার পর যিক্র
-13 « ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ .. » .
(আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ)
১৩- (১) “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল” [27]।
-14 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺑِﻴﻦَ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺘَﻄَﻬِّﺮِﻳﻦَ » .
(আল্লা-হুম্মাজ‘আলনী মিনাত্ তাওয়াবীনা ওয়াজ‘আলনী মিনাল মুতাতাহ্হিরীন)
১৪- (২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন এবং পবিত্রতা অর্জনকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করুন।” [28]
-15 « ﺳُﺒْﺤﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻭَﺃَﺗﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ » .
(সুবহানাকা আল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা ওয়াআতূবু ইলাইকা)।
১৫- (৩) “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনার নিকট তওবা করছি” [29]
১০. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্র
-16 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻟَﺎَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ » .
(বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওয়া ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)।
১৬- (১) “আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই” [30]।
-17 « ﺍﻟﻞّٰـﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃَﺿِﻞَّ، ﺃَﻭْ ﺃُﺿَﻞَّ، ﺃَﻭْ ﺃَﺯِﻝَّ، ﺃَﻭْ ﺃُﺯَﻝَّ، ﺃَﻭْ ﺃَﻇْﻠِﻢَ، ﺃَﻭْ ﺃُﻇْﻠَﻢَ، ﺃَﻭْ ﺃَﺟْﻬَﻞَ، ﺃَﻭْ ﻳُﺠْﻬَﻞَ ﻋَﻠَﻲَّ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা)।
১৭- (২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই; আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি, অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের উপর যুলম না করি অথবা আমার প্রতি যুলম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।” [31]
১১. ঘরে প্রবেশের সময় যিক্র
১৮- বলবে,
« ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺠْﻨَﺎ، ﻭَﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺧَﺮَﺟْﻨَﺎ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑِّﻨَﺎ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﻨَﺎ »
(বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়াবিস্মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা)
“আল্লাহ্র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহ্র উপরই আমরা ভরসা করলাম”।
অতঃপর ঘরের লোকজনকে সালাম দিবে। [32]
১২. মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দো‘আ
-19 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻲ ﻗَﻠْﺒِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﻟِﺴَﺎﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺳَﻤْﻌِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺑَﺼَﺮِﻱ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﺃَﻣَﺎﻣِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻲ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺃَﻋْﻈِﻢْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻋَﻈِّﻢ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋْﻄِﻨِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻞْ ﻓِﻲ ﻋَﺼَﺒِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﻟَﺤْﻤِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺩَﻣِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺷَﻌْﺮِﻱ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﻓِﻲ ﺑَﺸَﺮِﻱ ﻧُﻮﺭﺍً » .
« [ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺟْﻌَﻞْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً ﻓِﻲ ﻗَﺒْﺮِﻱ ... ﻭَﻧُﻮﺭﺍً ﻓِﻲ ﻋِﻈَﺎﻣِﻲ ] » [ « ﻭَﺯِﺩْﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺯِﺩْﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً، ﻭَﺯِﺩْﻧِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً » ] [ « ﻭَﻫَﺐْ ﻟِﻲ ﻧُﻮﺭﺍً ﻋَﻠَﻰ ﻧُﻮﺭٍ » ] .
(আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান।
[আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী] [ওয়া যিদ্নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান] [ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর]
১৯- “হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর (বা আলো) দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নীচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন
[33]।”
[“হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”]
[34], [“আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূরে বৃদ্ধি করে দিন”] [35] , [“আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন”] [36] ।
১৩. মসজিদে প্রবেশের দো‘আ
২০- ডান পা দিয়ে ঢুকবে [37] এবং বলবে,
« ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﻌَﻈِﻴﻢِ، ﻭَﺑِﻮَﺟْﻬِﻪِ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢِ، ﻭَﺳُﻠْﻄَﺎﻧِﻪِ ﺍﻟْﻘَﺪِﻳﻢِ، ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ » [ ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓُ ] [ ﻭَﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ] « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻓْﺘَﺢْ ﻟِﻲ ﺃَﺑْﻮَﺍﺏَ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ » .
(আ‘ঊযু বিল্লা-হিল ‘আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়াসুলতা-নিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বা-নির রাজীম।
[বিসমিল্লা-হি ওয়াসসালাতু] [ওয়াসসালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লা-হি], আল্লা-হুম্মাফ্তাহ লী আবওয়া-বা রাহ্মাতিক)।
“আমি মহান আল্লাহ্র কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারা ও প্রাচীন ক্ষমতার ওসীলায় বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।” [38] [আল্লাহ্র নামে (প্রবেশ করছি), সালাত] [39] [ও সালাম আল্লাহ্র রাসূলের উপর।] [40] “হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ খুলে দিন।” [41]
১৪. মসজিদ থেকে বের হওয়ার দো‘আ
২১- বাম পা দিয়ে শুরু করবে [42] এবং বলবে,
« ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟﺼّﻠَﺎﺓُ ﻭَﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﻋَﻠَﻰ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻚ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻋْﺼِﻤْﻨِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ » .
(বিস্মিল্লা-হি ওয়াস্সালা-তু ওয়াস্সালা-মু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা মিন ফাদ্বলিকা, আল্লা-হুম্মা আ‘সিমনি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম।)
“আল্লাহ্র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহ্র রাসুলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাসমূহ মাফ করে দিন এবং আমার জন্য আপনার দয়ার দরজাগুলো খুলে দিন। হে আল্লাহ, আমাকে বিতাড়িত শয়তান থেকে হেফাযত করুন” [43] ।
১৫. আযানের যিক্রসমূহ
২২- (১) মুয়াযযিন যা বলে শ্রোতাও তা বলবে, তবে ‘হাইয়্যা ‘আলাস্সালাহ’ এবং ‘হাইয়্যা ‘আলাল ফালাহ’ এর সময় বলবে,
« ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ »
(লা-হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ)
“আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই [44] ।”
২৩- (২) বলবে,
« ﻭَﺃَﻧَﺎ ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻪُ، ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑَّﺎً، ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﺭَﺳُﻮﻻً، ﻭَﺑِﺎﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨَﺎً »
(ওয়া আনা আশ্হাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান ‘আবদুহূ ওয়া রাসূলুহু, রাদীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলান, ওয়া বিলইসলা-মি দীনান)।
“আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসূল। আমি আল্লাহকে রব্ব, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রাসূল এবং ইসলামকে দীন হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট।” [45]
মুয়াযযিন তাশাহহুদ (তথা আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার...) উচ্চারণ করার পরই শ্রোতারা এ যিক্রটি বলবে।[46]
২৪- (৩) মুয়াযযিনের কথার জবাব দেওয়া শেষ করার পর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পড়বে। [47]
২৫- (৪) তারপর বলবে,
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺪَّﻋْﻮَﺓِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺔِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﺍﻟْﻘَﺎﺋِﻤَﺔِ، ﺁﺕِ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﺍﻟْﻮَﺳِﻴﻠَﺔَ ﻭَﺍﻟْﻔَﻀِﻴﻠَﺔَ، ﻭَﺍﺑْﻌَﺜْﻪُ ﻣَﻘَﺎﻣَﺎً ﻣَﺤﻤُﻮﺩﺍً ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻭَﻋَﺪْﺗَﻪُ، [ ﺇِﻧَّﻚَ ﻟَﺎ ﺗُﺨْﻠِﻒُ ﺍﻟْﻤِﻴﻌَﺎﺩَ ] » .
(আল্লা-হুম্মা রববা হা-যিহিদ্ দা‘ওয়াতিত্ তা-ম্মাতি ওয়াস সালা-তিল ক্বা-’ইমাতি আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসীলাতা ওয়াল ফাদীলাতা ওয়াব্‘আছহু মাক্বা-মাম মাহমূদানিল্লাযী ওয়া‘আদতাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ)।
“হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান এবং প্রতিষ্ঠিত সালাতের রব্ব! মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ওসীলা তথা জান্নাতের একটি স্তর এবং ফযীলত তথা সকল সৃষ্টির উপর অতিরিক্ত মর্যাদা দান করুন। আর তাঁকে মাকামে মাহমূদে (প্রশংসিত স্থানে) পৌঁছে দিন, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাঁকে দিয়েছেন। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন না।” [48]
২৬- (৫) “আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে নিজের জন্য দো‘আ করবে। কেননা ঐ সময়ের দো‘আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না।” [49]
১৬. সালাতের শুরুতে দো‘আ
-27 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﻋِﺪْ ﺑَﻴْﻨِﻲ ﻭَﺑَﻴْﻦَ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﻋَﺪْﺕَ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟْﻤَﺸْﺮِﻕِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮِﺏِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻧَﻘِّﻨِﻲ ﻣِﻦْ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ ﻛَﻤَﺎ ﻳُﻨَﻘَّﻰ ﺍﻟﺜَّﻮْﺏُ ﺍﻟْﺄَﺑْﻴَﺾُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺪَّﻧَﺲِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﺴِﻠْﻨﻲ ﻣِﻦْ ﺧَﻄَﺎﻳَﺎﻱَ، ﺑِﺎﻟﺜَّﻠْﺞِ ﻭَﺍﻟْﻤﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﺒَﺮَﺩِ » .
(আল্লা-হুম্মা বা-‘ইদ বাইনী ওয়া বাইনা খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা বা-‘আদতা বাইনাল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিব। আল্লা-হুম্মা নাক্বক্বিনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া কামা ইয়ুনাক্কাস্ ছাওবুল আবইয়াদু মিনাদ দানাসি। আল্লা-হুম্মাগসিলনী মিন খাত্বা-ইয়া-ইয়া বিস্সালজি ওয়াল মা-’ই ওয়াল বারাদ)।
২৭- (১) “হে আল্লাহ! আপনি আমার এবং আমার গুনাহসমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেরূপ দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার গুনাহসমূহ থেকে এমন পরিষ্কার করে দিন, যেমন সাদা কাপড় ময়লা থেকে পরিষ্কার করা হয়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আমার পাপসমূহ থেকে বরফ, পানি ও মেঘের শিলাখণ্ড দ্বারা ধৌত করে দিন।” [50]
-28 « ﺳُﺒْﺤﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﻭَﺗَﺒﺎﺭَﻙَ ﺍﺳْﻤُﻚَ، ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻰ ﺟَﺪُّﻙَ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﻏَﻴْﺮُﻙَ » .
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবা-রাকাসমুকা ওয়া তা‘আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা- ইলা-হা গাইরুকা)।
২৮- (২) “হে আল্লাহ! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বড়ই বরকতময়, আপনার প্রতিপত্তি অতি উচ্চ। আর আপনি ব্যতীত অন্য কোনো হক্ব ইলাহ্ নেই।” [51]
-29 « ﻭَﺟَّﻬْﺖُ ﻭَﺟْﻬِﻲَ ﻟِﻠَّﺬِﻱ ﻓَﻄَﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽَ ﺣَﻨِﻴﻔَﺎً ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺸْﺮِﻛِﻴﻦَ، ﺇِﻥَّ ﺻَﻼَﺗِﻲ، ﻭَﻧُﺴُﻜِﻲ، ﻭَﻣَﺤْﻴَﺎﻱَ، ﻭَﻣَﻤَﺎﺗِﻲ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ، ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ ﻭَﺑِﺬَﻟِﻚَ ﺃُﻣِﺮْﺕُ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺴْﻠِﻤِﻴﻦَ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻤَﻠِﻚُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ، ﻇَﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻭَﺍﻋْﺘَﺮَﻓْﺖُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺫُﻧُﻮﺑﻲ ﺟَﻤِﻴﻌَﺎً ﺇِﻧَّﻪُ ﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧﻮﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ . ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ ﻟِﺄَﺣْﺴَﻦِ ﺍﻷَﺧْﻼﻕِ ﻻَ ﻳَﻬْﺪِﻱ ﻟِﺄَﺣْﺴَﻨِﻬﺎ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﻭَﺍﺻْﺮِﻑْ ﻋَﻨِّﻲ ﺳَﻴِّﺌَﻬَﺎ، ﻻَ ﻳَﺼْﺮِﻑُ ﻋَﻨِّﻲ ﺳَﻴِّﺌَﻬَﺎ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﻟَﺒَّﻴْﻚَ ﻭَﺳَﻌْﺪَﻳْﻚَ، ﻭَﺍﻟﺨَﻴْﺮُ ﻛُﻠُّﻪُ ﺑِﻴَـــــــﺪَﻳْﻚَ، ﻭَﺍﻟﺸَّـــــﺮُّ ﻟَﻴْﺲَ ﺇِﻟَﻴْــــــﻚَ،
ﺃَﻧَﺎ ﺑِﻚَ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺗَﺒﺎﺭَﻛْﺖَ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻴْﺖَ، ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻭَﺃَﺗﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ » .
(ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাত্বারাস্ সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্বা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালা-তী, ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়া-ইয়া ওয়া মামা-তী লিল্লা-হি রাব্বিল ‘আ-লামীন। লা শারীকা লাহু ওয়াবিযা-লিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন।)
আল্লা-হুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আনতা রব্বী ওয়া আনা ‘আবদুকা। যালামতু নাফসী ওয়া‘তারাফতু বিযাম্বী। ফাগফির লী যুনূবী জামী‘আন ইন্নাহু লা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ওয়াহদিনী লিআহসানিল আখলা-ক্বি, লা ইয়াহ্দী লিআহ্সানিহা ইল্লা আনতা। ওয়াসরিফ ‘আন্নী সায়্যিআহা লা ইয়াসরিফু সায়্যিআহা ইল্লা আনতা। লাববাইকা ওয়া সা‘দাইকা ওয়াল-খাইরু কুল্লুহু বিয়াদাইকা, ওয়াশশাররু লাইসা ইলাইকা। আনা বিকা ওয়া ইলাইকা, তাবা-রাক্তা ওয়া তা‘আ-লাইতা। আসতাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা)।
২৯- (৩) “যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন আমি একনিষ্টভাবে আমার মুখমণ্ডল তাঁর দিকেই ফিরালাম, আর আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী বা যাবতীয় ইবাদাত, আমার জীবন ও আমার মরণ সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র জন্য। তাঁর কোনো শরীক নেই। আর আমি এরই আদেশ প্রাপ্ত হয়েছি এবং আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
“হে আল্লাহ! আপনিই অধিপতি, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনি আমার রব্ব, আমি আপনার বান্দা। আমি আমার নিজের প্রতি অন্যায় করেছি এবং আমি আমার পাপসমূহ স্বীকার করছি। সুতরাং আপনি আমার সমুদয় গুনাহ মাফ করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করতে পারে না। আর আপনি আমাকে সর্বোত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করুন, আপনি ছাড়া আর কেউ উত্তম চরিত্রের পথে পরিচালিত করতে পারে না। আর আপনি আমার থেকে আমার খারাপ চরিত্রগুলো দূরীভূত করুন, আপনি ব্যতীত আর কেউ সে খারাপ চরিত্রগুলো অপসারিত করতে পারে না। আমি আপনার হুকুম মানার জন্য সদা-সর্বদা হাজির, সকল কল্যাণই আপনার দু’ হাতে নিহিত। অকল্যাণ আপনার দিকে নয় (অর্থাৎ মন্দকে আপনার দিকে সম্পৃক্ত করা উচিত নয়, অথবা মন্দ দ্বারা আপনার নিকটবর্তী হওয়া যায় না, বা মন্দ আপনার দিকে উঠে না)। আমি আপনার দ্বারাই (প্রতিষ্ঠিত আছি, সহযোগিতা পেয়ে থাকি) এবং আপনার দিকেই (আমার সকল প্রবণতা, বা আমার প্রত্যাবর্তন)। আপনি বরকতময় এবং আপনি সুঊচ্চ। আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাই এবং আপনার কাছে তাওবাহ্ করছি।” [52]
-30 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺟِﺒْﺮَﺍﺋِﻴﻞَ، ﻭَﻣِﻴْﻜَﺎﺋِﻴﻞَ، ﻭَﺇِﺳْﺮَﺍﻓِﻴﻞَ، ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ، ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﺃَﻧْﺖَ ﺗَﺤْﻜُﻢُ ﺑَﻴْﻦَ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻓِﻴﻤَﺎ ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻓِﻴﻪِ ﻳَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮﻥَ . ﺍﻫْﺪِﻧِﻲ ﻟِﻤَﺎ ﺍﺧْﺘُﻠِﻒَ ﻓِﻴﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﺑِﺈِﺫْﻧِﻚَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺗَﻬْﺪِﻱ ﻣَﻦْ ﺗَﺸَﺎﺀُ ﺇِﻟَﻰ ﺻِﺮَﺍﻁٍ ﻣُﺴْﺘَﻘﻴﻢٍ » .
(আল্লা-হুম্মা রববা জিব্রাঈলা ওয়া মীকাঈলা ওয়া ইস্রা-ফীলা ফা-তিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি। আনতা তাহকুমু বাইনা ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখতালিফূন। ইহদিনী লিমাখতুলিফা ফীহি মিনাল হাককি বিইযনিকা ইন্নাকা তাহ্দী তাশা-উ ইলা- সিরা-তিম মুস্তাকীম)।
৩০- (৪) “হে আল্লাহ! জিবরাঈল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব্ব, আসমান ও যমীনের স্রষ্টা, গায়েব ও প্রকাশ্য সব কিছুর জ্ঞানী, আপনার বান্দাগণ যেসব বিষয়ে মতভেদে লিপ্ত আপনিই তার মীমাংসা করে দিবেন। যেসব বিষয়ে মতভেদ হয়েছে তন্মধ্যে আপনি আপনার অনুমতিক্রমে আমাকে যা সত্য সেদিকে পরিচালিত করুন। নিশ্চয় আপনি যাকে ইচ্ছা সরল পথ প্রদর্শন করেন।” [53]
-31 « ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮَﺍً، ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮﺍً، ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ﻛَﺒِﻴﺮﺍً، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜﻴﺮﺍً، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜﻴﺮﺍً، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﻛَﺜﻴﺮﺍً، ﻭَﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺑُﻜْﺮَﺓً ﻭَﺃَﺻِﻴﻼً » (তিনবার) « ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ : ﻣِﻦْ ﻧَﻔْﺨِﻪِ، ﻭَﻧَﻔْﺜِﻪِ، ﻭَﻫَﻤْﺰِﻩِ » .
(আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, আল্লা-হু আকবার কাবীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান, ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসীরান। ওয়ালহামদু লিল্লা-হি কাসী-রান ওয়াসুবহা-নাল্লাহি বুকরাতাঁও ওয়া আসীলা [তিনবার]। আউযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়তানি, মিন নাফখিহী ওয়ানাফসিহী ওয়াহামযিহী)
৩১- (৫) “আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়, আল্লাহ সবচেয়ে বড় অতীব বড়। আর আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা, আল্লাহ্র জন্যই অনেক ও অজস্র প্রশংসা। সকালে ও বিকালে আল্লাহ্র পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার) “আমি শয়তান থেকে আল্লাহ্র নিকট আশ্রয় চাই। আশ্রয় চাই তার ফুঁ তথা দম্ভ-অহংকার থেকে, তার থুতু তথা কবিতা থেকে ও তার চাপ তথা পাগলামি থেকে” [54] ।
-32 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﺃَﻧْﺖَ ﻧُﻮﺭُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ، ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﻗَﻴِّﻢُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ، [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺏُّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ ] [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟَﻚَ ﻣُﻠْﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﻦْ ﻓِﻴﻬِﻦَّ ] [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﺃَﻧْﺖَ ﻣَﻠِﻚُ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻷَﺭْﺽِ ] [ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ] [ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﻭَﻋْﺪُﻙَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﻗَﻮْﻟُﻚَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﻟِﻘﺎﺅُﻙَ ﺍﻟْﺤَﻖُّ، ﻭَﺍﻟْﺠَﻨَّﺔُ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺭُ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﺍﻟﻨَّﺒِﻴُّﻮﻥَ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﻣﺤَﻤَّﺪٌ ﺣَﻖٌّ، ﻭَﺍﻟﺴّﺎﻋَﺔُ ﺣَﻖٌّ ] [ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤﺖُ، ﻭَﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ، ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻧَﺒْﺖُ، ﻭَﺑِﻚَ ﺧﺎﺻَﻤْﺖُ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺣﺎﻛَﻤْﺖُ . ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﺭْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻨْﺖُ ] [ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻤُﻘَﺪِّﻡُ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻤُﺆَﺧِّﺮُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ] [ ﺃَﻧْﺖَ ﺇِﻟَﻬِﻲ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ] » .
(আল্লা-হুম্মা লাকাল হামদু আনতা নুরুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না ওয়া লাকাল হাম্দু। আনতা ক্বায়্যিমুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না, [ওয়া লাকাল হামদু আনতা রববুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না], [ওয়া লাকাল হাম্দু, লাকা মূলকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি ওয়ামান ফীহিন্না], [ওয়ালাকাল হাম্দু, আনতা মালিকুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি], [ওয়া লাকাল হামদু] [আনতাল হাক্কু, ওয়া ওয়া‘দুকাল হাক্কু, ওয়া ক্বাওলুকাল হাক্কু, ওয়া লিক্বা-উকাল হাক্কু, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান না-রু হাক্কুন, ওয়ান নাবিয়্যূনা হাক্কুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্কুন, ওয়াস্সা‘আতু হাক্কুন]। [আল্লা-হুম্মা লাকা আসলামতু, ওয়া আলাইকা তাওয়াক্কালতু ওয়াবিকা আ--মানতু, ওয়া ইলাইকা আনাবতু, ওয়া বিকা খা-সাম্তু, ওয়া ইলাইকা হা-কামতু, ফাগফির লী মা কাদ্দামতু, ওয়ামা আখখারতু, ওয়ামা আসরারতু, ওয়ামা আ‘লানতু], [আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আন্তাল্ মুআখখিরু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা] [আনতা ইলা-হী, লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা])।
৩২- (৬) “হে আল্লাহ! আপনার জন্যই সকল হামদ-প্রশংসা[55] ; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এগুলোর নূর (আলো)। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা আছে আপনিই এসবের রক্ষণাবেক্ষণকারী-পরিচালক। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ-দুটির মাঝে যা কিছু আছে আপনিই এসবের রব্ব। আর আপনার জন্যই সব প্রশংসা; আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’টির মাঝে যা আছে তার সার্বভৌমত্ব আপনারই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আসমানসমূহ ও যমীনের রাজা আপনিই। আর আপনার জন্যই সকল প্রশংসা; আপনিই হক্ব, আপনার ওয়াদা হক্ব (বাস্তব ও সঠিক), আপনার বাণী হক্ব, আপনার সাক্ষাৎ লাভ হক্ব, জান্নাত হক্ব, জাহান্নাম হক্ব, নবীগণ হক্ব, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হক্ব এবং কিয়ামত হক্ব। হে আল্লাহ! আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করি, আপনার উপরই ভরসা করি, আপনার উপরই ঈমান আনি, আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তন করি, আপনার সাহায্যেই বা আপনার জন্যই শত্রুর সাথে বিবাদে লিপ্ত হই, আর আপনার কাছেই বিচার পেশ করি; অতএব ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ— যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপন করেছি আর যা প্রকাশ্যে করেছি। আপনিই (কাউকে) করেন অগ্রগামী, আর আপনিই (কাউকে) করেন পশ্চাদগামী, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনিই আমার ইলাহ। আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।” [56]
১৭. রুকূ‘র দো‘আ
-33 « ﺳُﺒْﺤﺎﻥَ ﺭَﺑِّﻲَ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ » . .
(সুবহা-না রব্বিয়াল ‘আযীম)।
৩৩- (১) “আমার মহান রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি” (তিনবার) [57]
-34 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ » .
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়াবিহামদিকা, আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৩৪- (২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি আপনার প্রশংসাসহ। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।” [58]
-35 « ﺳُﺒُّﻮُﺡٌ، ﻗُﺪُّﻭﺱٌ، ﺭَﺏُّ ﺍﻟﻤَﻼَﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡِ » .
(“সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-’ইকাতি ওয়াররূহ)।
৩৫- (৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।” [59]
-36 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺭَﻛَﻌْﺖُ، ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ، ﻭَﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ، ﺧَﺸَﻊَ ﻟَﻚَ ﺳَﻤْﻌِﻲ، ﻭَﺑَﺼَﺮِﻱ، ﻭَﻣُﺨِّﻲ، ﻭَﻋَــــﻈْﻤِﻲ، ﻭَﻋَﺼَﺒِﻲ، [ ﻭَﻣَﺎ ﺍﺳﺘَﻘَﻠَّﺖْ ﺑِﻪِ ﻗَﺪَﻣِﻲ ] » .
(আল্লা-হুম্মা লাকা রাকা‘তু, ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আস্লামতু। খাশা‘আ লাকা সাম‘ঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখ্খী ওয়া ‘আযমী ওয়া ‘আসাবী [ওয়ামাস্তাক্বাল্লাত বিহি কাদামী])।
৩৬- (৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যেই রুকু করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি এবং আপনার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছি। আমার কান, আমার চোখ, আমার মস্তিষ্ক, আমার হাড়, আমার পেশী, সবই আপনার জন্য বিনয়াবনত। [আর যা আমার পা বহন করে দাঁড়িয়ে আছে (আমার সমগ্র সত্তা) তাও (আপনার জন্য বিনয়াবনত)]” [60] ।
-37 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺫِﻱ ﺍﻟْﺠَﺒَﺮُﻭﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻤَﻠَﻜُﻮﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻜِﺒْﺮِﻳَﺎﺀِ، ﻭَﺍﻟْﻌَﻈَﻤَﺔِ » .
(সুবহা-নাযিল জাবারূতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া’ই ওয়াল ‘আযামাতি)।
৩৭- (৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী” [61]।
১৮. রুকু থেকে উঠার দো‘আ
-38 « ﺳَﻤِﻊَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻤَﻦْ ﺣَﻤِﺪَﻩُ » .
(সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ)।
৩৮- (১) “যে আল্লাহর হামদ-প্রশংসা করে, আল্লাহ তার প্রশংসা শুনুন (কবুল করুন)।” [62]
-39 « ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﺣَﻤْﺪﺍً ﻛَﺜﻴﺮﺍً ﻃَﻴِّﺒﺎً ﻣُﺒﺎﺭَﻛﺎً ﻓِﻴﻪِ » .
(রব্বানা ওয়া লাকাল হামদু, হামদান কাছীরান ত্বায়্যিবান মুবা-রাকান ফীহি)
৩৯- (২) “হে আমাদের রব্ব! আর আপনার জন্যই সমস্ত প্রশংসা; অঢেল, পবিত্র ও বরকত-রয়েছে-এমন প্রশংসা।” [63]
-40 « ﻣِﻞْﺀَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﻣِﻞْﺀَ ﺍﻷَﺭْﺽِ، ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ، ﻭَﻣِﻞْﺀَ ﻣَﺎ ﺷِﺌْﺖَ ﻣِﻦْ ﺷَﻲﺀٍ ﺑَﻌْﺪُ . ﺃَﻫﻞَ ﺍﻟﺜَّﻨﺎﺀِ ﻭَﺍﻟْﻤَﺠْﺪِ، ﺃَﺣَﻖُّ ﻣَﺎ ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟْﻌَﺒْﺪُ، ﻭَﻛُﻠُّﻨَﺎ ﻟَﻚَ ﻋَﺒْﺪٌ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻻَ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻣُﻌْﻄِﻲَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﺫَﺍ ﺍﻟﺠَﺪِّ ﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺠَﺪُّ » .
(মিল’আস সামা-ওয়া-তি ওয়া মিল’আল আরদি ওয়ামা বাইনাহুমা, ও মিল’আ মা শি’তা মিন শাইয়িন বা‘দু, আহলাস সানা-য়ি ওয়াল মাজদি, আহাক্কু মা ক্বালাল ‘আবদু, ওয়া কুল্লুনা লাকা ‘আবদুন, আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘ত্বাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘য়ু যাল-জাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
৪০- (৩) “(আপনার প্রশংসা করছি) আসমানসমূহ পূর্ণ করে, যমীন পূর্ণ করে ও যা এ দু’টির মাঝে রয়েছে (তাও পূর্ণ করে), আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে প্রশংসা ও সম্মান-মর্যাদার যোগ্য সত্ত্বা! বান্দা সবচেয়ে যে সঠিক কথাটি বলেছে তা হচ্ছে—আর আমরা সবাই আপনার বান্দা— হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো কাজে লাগবে না।” [64]
১৯. সিজদার দো‘আ
-41 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺭَﺑِّﻲَ ﺍﻷَﻋْﻠَﻰ » .
(সুবহা-না রব্বিয়াল আ‘লা)
৪১- (১) “আমার রব্বের পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি, যিনি সবার উপরে।” (তিনবার)
[65]
-42 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻙَ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ » .
(সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহামদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী)।
৪২- (২) “হে আল্লাহ! আমাদের রব্ব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মাফ করে দিন।” [66]
-43 « ﺳُﺒﻮﺡٌ، ﻗُﺪُّﻭﺱٌ، ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻤَﻠَﺎﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡِ » .
(সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ)।
৪৩- (৩) “(তিনি/আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত; ফেরেশতাগণ ও রূহ এর রব্ব।” [67]
-44 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻟَﻚَ ﺳَﺠَﺪْﺕُ ﻭَﺑِﻚَ ﺁﻣَﻨْﺖُ، ﻭَﻟَﻚَ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ، ﺳَﺠَﺪَ ﻭَﺟْﻬِﻲَ ﻟِﻠَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻪُ، ﻭَﺻَﻮَّﺭَﻩُ، ﻭَﺷَﻖَّ ﺳَﻤْﻌَﻪُ ﻭَﺑَﺼَﺮَﻩُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣْﺴﻦُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻘﻴﻦَ » .
(আল্লা-হুম্মা লাকা সাজাদতু ওয়াবিকা আ-মানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু ওয়া সাওয়্যারাহু ওয়া শাক্কা সাম‘আহু ওয়া বাসারাহু, তাবারাকাল্লাহু আহ্সানুল খালিক্বীন)।
৪৪- (৪) “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্যই সিজদা করেছি, আপনার উপরই ঈমান এনেছি, আপনার কাছেই নিজেকে সঁপে দিয়েছি। আমার মুখমণ্ডল সিজদায় অবনত সেই মহান সত্তার জন্য; যিনি একে সৃষ্টি করেছেন এবং আকৃতি দিয়েছেন, আর তার কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ অত্যন্ত বরকতময়।” [68]
-45 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺫِﻱ ﺍﻟْﺠَﺒَﺮُﻭﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻤَﻠَﻜُﻮﺕِ، ﻭَﺍﻟْﻜِﺒْﺮِﻳَﺎﺀِ، ﻭَﺍﻟْﻌَﻈَﻤَﺔِ » .
(সুবহা-নাযিল জাবারূতি, ওয়াল মালাকুতি, ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল ‘আযামাতি)।
৪৫- (৫) “পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি প্রবল প্রতাপ, বিশাল সাম্রাজ্য, বিরাট গৌরব-গরিমা এবং অতুলনীয় মহত্ত্বের অধিকারী।” [69]
-46 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒِﻲ ﻛُﻠَّﻪُ : ﺩِﻗَّﻪُ ﻭَﺟِﻠَّﻪُ، ﻭَﺃَﻭَّﻟَﻪُ ﻭَﺁﺧِﺮَﻩُ، ﻭَﻋَﻼَﻧِﻴَّﺘَﻪُ ﻭَﺳِﺮَّﻩُ » .
(আল্লা-হুম্মাগফির লী যাম্বী কুল্লাহু; দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু, ওয়া আউয়ালাহু ওয়া ‘আখিরাহু, ওয়া ‘আলানিয়্যাতাহু ওয়া সিররাহু)।
৪৬- (৬) “হে আল্লাহ! আমার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিন— তার ক্ষুদ্র অংশ, তার বড় অংশ, আগের গুনাহ, পরের গুনাহ, প্রকাশ্য ও গোপন গুনাহ।” [70]
-47 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮِﺿَﺎﻙَ ﻣِﻦْ ﺳَﺨَﻄِﻚَ، ﻭَﺑِﻤُﻌَﺎﻓَﺎﺗِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋُﻘﻮﺑَﺘِﻚَ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻨْﻚَ، ﻻَ ﺃُﺣْﺼِﻲ ﺛَﻨَﺎﺀً ﻋَﻠَﻴْﻚَ، ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﺛْﻨَﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻚَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা)।
৪৭- (৭) “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন”। [71]
২০. দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দো‘আ
-48 « ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ، ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ » .
(রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী)
৪৮- (১) হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব্ব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।[72]
-49 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﻭَﺍﻫْﺪِﻧِﻲ، ﻭَﺍﺟْﺒُﺮْﻧِﻲ، ﻭَﻋَﺎﻓِﻨِﻲ، ﻭَﺍﺭْﺯُﻗْﻨِﻲ، ﻭَﺍﺭْﻓَﻌْﻨِﻲ » .
(আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী)
৪৯- (২) “হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন” [73]।
২১. সিজদার আয়াত তেলাওয়াতের পর সিজদায় দো‘আ
-50 « ﺳَﺠَﺪَ ﻭَﺟْﻬِﻲَ ﻟِﻠَّﺬِﻱ ﺧَﻠَﻘَﻪُ، ﻭَﺷَﻖَّ ﺳَﻤْﻌَﻪُ ﻭَﺑَﺼَﺮَﻩُ ﺑِﺤَﻮْﻟِﻪِ ﻭَﻗُﻮَّﺗِﻪِ، ﴿ﻓَﺘَﺒﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﺣْﺴَﻦُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻘِﻴﻦَ﴾ » .
(সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাক্বাহু, ওয়া শাক্কা সাম্‘আহু ওয়া বাসারাহু, বিহাওলিহি ওয়া কুওয়াতিহি, ফাতবারাকাল্লা-হু আহ্সানুল খা-লিক্বীন)।
৫০- (১) “আমার মুখমণ্ডল সিজদা করেছে সে সত্তার জন্য, যিনি একে সৃষ্টি করেছেন, আর নিজ শক্তি ও ক্ষমতাবলে এর কান ও চোখ বিদীর্ণ করেছেন। সুতরাং সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ্ অত্যন্ত বরকতময়।” [74]
-51 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻛْﺘُﺐْ ﻟِﻲ ﺑِﻬَﺎ ﻋِﻨْﺪَﻙَ ﺃَﺟْﺮﺍً، ﻭَﺿَﻊْ ﻋَﻨِّﻲ ﺑِﻬَﺎ ﻭِﺯْﺭﺍً، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻬَﺎ ﻟِﻲ ﻋِﻨْﺪَﻙَ ﺫُﺧْﺮﺍً، ﻭَﺗَﻘَﺒَّﻠْﻬَﺎ ﻣِﻨِّﻲ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﻘَﺒَّﻠْﺘَﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﻋَﺒْﺪِﻙَ ﺩَﺍﻭُﺩَ » .
(আল্লা-হুম্মাক্তুব লী বিহা ‘ইনদাকা আজরান, ওয়াদা‘ ‘আন্নী বিহা উইযরান, ওয়াজ ‘আলহা লী ‘ইনদাকা যুখরান, ওয়া তাক্বাব্বালহা মিন্নী কামা তাক্বাব্বালতাহা মিন আবদিকা দাঊদ)।
৫১- (২) “হে আল্লাহ! এই সিজদার বদৌলতে আপনার নিকট আমার জন্য প্রতিদান লিখে রাখুন, এর দ্বারা আমার পাপসমূহ ফেলে দিন, এটাকে আপনার কাছে আমার জন্য সঞ্চয় হিসেবে জমা রাখুন, আর একে আমার থেকে কবুল করুন যেমন কবুল করেছেন আপনার বান্দা দাউদ (আলাইহিস সালাম) এর থেকে”। [75]
২২. তাশাহ্হুদ
-52 « ﺍﻟﺘَّﺤِﻴَّﺎﺕُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﺼَّﻠَﻮﺍﺕُ، ﻭَﺍﻟﻄَّﻴِّﺒﺎﺕُ، ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻭَﺭَﺣْﻤَﺔُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑَﺮَﻛَﺎﺗُﻪُ، ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻋِﺒَﺎﺩِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ . ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻩُ ﻭَﺭَﺳﻮﻟُﻪُ » .
(আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্সালাওয়া-তু ওয়াত্তায়্যিবা-তু আস্সালা-মু ‘আলাইকা আইয়্যূহান নাবিয়্যূ ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু। আস্সালা-মু ‘আলাইনা ওয়া ‘আলা ‘ইবাদিল্লা-হিস সা-লেহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু)।
৫২- “যাবতীয় অভিবাদন আল্লাহ্র জন্য, অনুরূপভাবে সকল সালাত ও পবিত্র কাজও। হে নবী! আপনার উপর বর্ষিত হোক সালাম, আল্লাহর রহমত ও বরকতসমূহ। আমাদের উপর এবং আল্লাহ্র সৎ বান্দাদের উপরও বর্ষিত হোক সালাম। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহ্র বান্দা ও রাসূল”। [76]
২৩. তাশাহ্হুদের পর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সালাত (দরুদ) পাঠ
-53 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ، ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ » .
(আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ)।
৫৩- (১) “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমকে ও তাঁর পরিবার-পরিজনদেরকে। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত। হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ ও তাঁর পরিবার পরিজনের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত”। [77]
-54 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻪِ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻪِ، ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ . ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺃَﺯْﻭﺍﺟِﻪِ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻪِ، ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ . ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴﺪٌ ﻣَﺠِﻴﺪٌ » .
(আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা সাল্লাইতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা, ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আযওয়াজিহি ওয়া যুররিয়্যাতিহি কামা বা-রাক্তা ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ)।
৫৪- (২) “হে আল্লাহ! আপনি (আপনার নিকটস্থ উচ্চসভায়) মুহাম্মাদকে সম্মানের সাথে স্মরণ করুন এবং তাঁর স্ত্রীগণ ও তাঁর বংশধরকেও, যেমন আপনি সম্মানের সাথে স্মরণ করেছেন ইবরাহীমের পরিবার-পরিজনকে। আর আপনি মুহাম্মাদ এবং তাঁর স্ত্রীগণ ও তাঁর বংশধরের উপর বরকত নাযিল করুন যেমন আপনি বরকত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীমের পরিবার- পরিজনের উপর। নিশ্চয় আপনি অত্যন্ত প্রশংসিত ও মহামহিমান্বিত”। [78]
২৪. সালামের আগে শেষ তাশাহহুদের পরের দো‘আ
-55 « ﺍﻟﻠَّﻬُــﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ، ﻭَﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺟَﻬَﻨَّﻢَ، ﻭَﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺤْﻴَﺎ ﻭَﺍﻟْﻤَﻤَﺎﺕِ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি ওয়া মিন ‘আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহ্ইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল)।
৫৫- (১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে”। [79]
-56 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ، ﻭَﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺴِﻴﺢِ ﺍﻟﺪَّﺟَّﺎﻝِ، ﻭَﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟْﻤَﺤْﻴَﺎ ﻭَﺍﻟْﻤَﻤَﺎﺕِ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤَﺄْﺛَﻢِ ﻭَﺍﻟْﻤَﻐْﺮَﻡِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিন আযা-বিল ক্বাবরি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাসীহিদ্ দাজ্জা-লি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহইয়া ওয়াল মামা-ত। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল মা’ছামি ওয়াল মাগরামি)।
৫৬- (২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় চাই মাসীহ দাজ্জালের ফিতনা থেকে এবং আশ্রয় চাই জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই পাপাচার ও ঋণের বোঝা থেকে”। [80]
-57 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﻇَﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻇُﻠْﻤﺎً ﻛَﺜِﻴﺮﺍً، ﻭَﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧﻮﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺓً ﻣِﻦْ ﻋِﻨْﺪِﻙَ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨِﻲ، ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻐَﻔﻮﺭُ ﺍﻟﺮَّﺣﻴﻢُ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরা। ওয়ালা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা। ফাগফির লী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রাহীম)।
৫৭- (৩) “হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের উপর অনেক যুলুম করেছি। আর আপনি ছাড়া গুনাহসমূহ কেউই ক্ষমা করতে পারে না। অতএব আমাকে আপনার পক্ষ থেকে বিশেষ ক্ষমা দ্বারা মাফ করে দিন, আর আমার প্রতি দয়া করুন; আপনিই তো ক্ষমাকারী, পরম দয়ালু”। [81]
-58 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻣَﺎ ﻗَﺪَّﻣْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺧَّﺮْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﺭْﺕُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻨْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺳْﺮَﻓْﺖُ، ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧْﺖَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺑِﻪِ ﻣِﻨِّﻲ . ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﻘَﺪِّﻡُ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻤُﺆَﺧِّﺮُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু ওয়া মা আখ্খারতু ওয়া মা আসরারতু ওয়া মা আ’লান্তু ওয়া মা আসরাফ্তু ওয়া মা আনতা আল’লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আনতা)।
৫৮- (৪) “হে আল্লাহ! ক্ষমা করে দিন আমার গুনাহসমূহ— যা পূর্বে করেছি, যা পরে করেছি, যা আমি গোপন করেছি, যা প্রকাশ্যে করেছি, যা সীমালঙ্ঘন করে করেছি, আর যা আপনি আমার চেয়ে বেশি জানেন। আপনিই (কাউকে) করেন অগ্রগামী, আর আপনিই (কাউকে) করেন পশ্চাদগামী, আপনি ব্যতীত আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।” [82]
-59 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻋِﻨِّﻲ ﻋَﻠَﻰ ﺫِﻛْﺮِﻙَ، ﻭَﺷُﻜْﺮِﻙَ، ﻭَﺣُﺴْﻦِ ﻋِﺒﺎﺩَﺗِﻚَ » .
(আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ও শুকরিকা ওয়াহুসনি ইবা-দাতিকা)।
৫৯- (৫) “হে আল্লাহ! আপনার যিক্র করতে, আপনার শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে এবং সুন্দরভাবে আপনার ইবাদত করতে আমাকে সাহায্য করুন”। [83]
-60 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞِ، ﻭَﺃَﻋﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠُﺒْﻦِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺃَﻥْ ﺃُﺭَﺩَّ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺭْﺫَﻝِ ﺍﻟْﻌُﻤُﺮِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔِ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া ‘আউযু বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল্ ‘উমুরি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন্ ফিতনাতিদ দুনইয়া ও আযা-বিল ক্বাবরি)।
৬০- (৬) “হে আল্লাহ ! আমি আপনার আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই কাপুরুষতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই চরম বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে, আর আপনার আশ্রয় চাই দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে।”[84]
-61 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ‘উযু বিকা মিনান্নার)।
৬১- (৭) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই”। [85]
-62 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﻌِﻠْﻤِﻚَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐَ ﻭَﻗُﺪْﺭَﺗِﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺨَﻠﻖِ ﺃَﺣْﻴِﻨِﻲ ﻣَﺎ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﺤَﻴَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮﺍً ﻟِﻲ، ﻭَﺗَﻮَﻓَّﻨِﻲ ﺇِﺫَﺍ ﻋَﻠِﻤْﺖَ ﺍﻟْﻮَﻓَﺎﺓَ ﺧَﻴْﺮﺍً ﻟِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﺸْﻴَﺘَﻚَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻛَﻠِﻤَﺔَ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎ ﻭَﺍﻟْﻐَﻀَﺐِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻘَﺼْﺪَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻐِﻨَﻰ ﻭَﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻧَﻌِﻴﻤﺎً ﻻَ ﻳَﻨْﻔَﺪُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻗُﺮَّﺓَ ﻋَﻴْﻦٍ ﻻَ ﺗَﻨْﻘَﻄِﻊُ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﺮِّﺿَﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻘَﻀَﺎﺀِ، ﻭَﺃَﺳْــــﺄَﻟُﻚَ ﺑَﺮْﺩَ ﺍﻟْﻌَﻴْﺶِ ﺑَﻌْﺪَ ﺍﻟْﻤَﻮْﺕِ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻟَﺬَّﺓَ ﺍﻟﻨَّﻈَﺮِ ﺇِﻟَﻰ ﻭَﺟْﻬِﻚَ، ﻭَﺍﻟﺸَّﻮْﻕَ ﺇِﻟَﻰ ﻟِﻘﺎﺋِﻚَ ﻓِﻲ ﻏَﻴﺮِ ﺿَﺮَّﺍﺀَ ﻣُﻀِﺮَّﺓٍ، ﻭَﻻَ ﻓِﺘْﻨَﺔٍ ﻣُﻀِﻠَّﺔٍ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺯَﻳِّﻨَﺎ ﺑِﺰِﻳﻨَﺔِ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥِ، ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻫُﺪَﺍﺓً ﻣُﻬْﺘَﺪِﻳﻦَ » .
(আল্লা-হুম্মা বি‘ইলমিকাল গাইবি ওয়া কুদরাতিকা ‘আলাল খালক্বি আহয়িনী মা আলিম্তাল হায়া-তা খাইরাল্ লী ওয়া তাওয়াফ্ফানী ইযা আলিম্তাল ওয়াফা-তা খাইরাল লী। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাশইয়াতাকা ফিল গাইবি ওয়াশ-শাহাদাতি ওয়া আসআলুকা কালিমাতাল হাক্বক্বি ফির-রিদা ওয়াল-গাদাবি। ওয়া আসআলুকাল কাসদা ফিল গিনা ওয়াল ফাক্বরি, ওয়া আসআলুকা না‘ঈমান লা ইয়ানফাদু, ওয়া আসআলুকা ক্বুররতা আইনিন লা তানকাতি‘উ, ওয়া আস্আলুকার-রিদা বা‘দাল কাদায়ে, ওয়া আসআলুকা বারদাল ‘আইশি বা‘দাল মাওতি, ওয়া আসআলুকা লাযযাতান-নাযারি ইলা ওয়াজহিকা, ওয়াশ-শাওক্বা ইলা লিক্বাইকা, ফী গাইরি দাররাআ মুদিররাতিন ওয়ালা ফিতনাতিম মুদিল্লাহ। আল্লা-হুম্মা যাইইন্না বিযীনাতিল ঈমানি ওয়াজ‘আলনা হুদাতাম মুহতাদীন)।
৬২- (৮) “হে আল্লাহ! আপনার গায়েবী জ্ঞান এবং সকল সৃষ্টির উপর আপনার সার্বভৌম ক্ষমতার অসিলায় (চাই), আমাকে আপনি জীবিত রাখুন সে-সময় পর্যন্ত, যে সময় পর্যন্ত জীবিত থাকা আপনার জ্ঞানে আমার জন্য কল্যাণকর; আর আমাকে মৃত্যু দিন যখন আপনি জানেন যে, মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট চাই গোপনে ও প্রকাশ্যে আপনাকে ভয় করা; আপনার নিকট চাই সন্তুষ্টি ও ক্রোধ উভয় অবস্থায় সত্য কথা বলা; আপনার নিকট চাই দারিদ্র্যে ও প্রাচুর্যে ভারসাম্যপূর্ণ (মধ্যম) পন্থা। আপনার নিকট চাই এমন নে‘আমত, যা কখনো শেষ হবে না; আপনার নিকট চাই এমন নয়নাভিরাম বস্তু, যা কখনো বিচ্ছিন্ন হবে না। আর আমি আপনার নিকট চাই (তাকদীরের) ফয়সালার পর সন্তোষ; আমি আপনার নিকট চাই মৃত্যুর পর প্রশান্ত জীবন। আমি আপনার নিকট চাই আপনার চেহারার প্রতি দৃষ্টিপাতের স্বাদ, আপনার নিকট চাই আপনার সাথে সাক্ষাৎ লাভের ব্যাকুলতা; এমন যে, তাতে থাকবে না কোনো ক্ষতিকর কষ্ট কিংবা ভ্রষ্টকারী ফেতনা। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে ঈমানের সৌন্দর্যে সৌন্দর্যমণ্ডিত করুন এবং আমাদেরকে হেদায়াত-প্রাপ্ত পথপ্রদর্শক বানান”। [86]
-63 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻳَﺎ ﺃَﻟﻠَّﻪُ ﺑِﺄَﻧَّﻚَ ﺍﻟْﻮَﺍﺣِﺪُ ﺍﻟْﺄَﺣَﺪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳﻮﻟَﺪْ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮﺍً ﺃَﺣَﺪٌ، ﺃَﻥْ ﺗَﻐْﻔِﺮَ ﻟِﻲ ﺫُﻧُﻮﺑِﻲ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﻐَﻔُﻮﺭُ ﺍﻟﺮَّﺣِّﻴﻢُ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা ইয়া আল্লা-হু বিআন্নাকাল ওয়া-হিদুল আহাদুস্ সমাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইয়ূলাদ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফূওয়ান আহাদ, আন্ তাগফিরালী যুনূবী, ইন্নাকা আনতাল গাফূরুর রহীম)।
৬৩- (৯) “হে আল্লাহ! আপনিই একক, অদ্বিতীয়, অমুখাপেক্ষী; যিনি জন্ম দেন নি, জন্ম নেনও নি; আর যার সমকক্ষ কেউ নেই। তাই হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই, যেন আপনি আমার সকল গুনাহ্ ক্ষমা করে দেন; নিশ্চয় আপনি অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”।
[87]
-64 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪَ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﺣْﺪَﻙَ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻚَ، ﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ، ﻳَﺎ ﺑَﺪِﻳﻊَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛﺮَﺍﻡِ، ﻳَﺎ ﺣَﻲُّ ﻳَﺎ ﻗَﻴُّﻮﻡُ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্না লাকাল হামদু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়াহদাকা লা শারীকা লাকাল মান্না-নু, ইয়া বাদী‘আস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদী, ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যূমু, ইন্নী আসআলুকাল্ জান্নাতা ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনান্না-র)।
৬৪- (১০) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই; কারণ, সকল প্রশংসা আপনার, কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, সীমাহীন অনুগ্রহকারী; হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্তার ধারক! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই।” [88]
-65 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺑِﺄَﻧَّﻲ ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺄَﺣَﺪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮﻟَﺪْ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَﻪُ ﻛُﻔُﻮﺍً ﺃَﺣَﺪٌ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিআন্নী আশ্হাদু আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা আনতাল আহাদুস সামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ূলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
৬৫- (১১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে চাই। কেননা, আমি সাক্ষ্য দেই যে, নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই; আপনি একক সত্তা, অমুখাপেক্ষী—সকল কিছু আপনার মুখাপেক্ষী, যিনি কাউকে জন্ম দেন নি এবং জন্ম নেনও নি। আর যাঁর সমকক্ষ কেউ নেই”। [89]
২৫. সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ
-66 « ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ » ( তিনবার )
(আস্তাগফিরুল্লা-হ) (তিনবার)
৬৬- (১) “আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।”
« ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ » .
(আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম)।
“হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!” [90]
-67 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ [ তিনবার ] ،
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻻَ ﻣَﺎﻧِﻊَ ﻟِﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻣُﻌْﻄِﻲَ ﻟِﻤَﺎ ﻣَﻨَﻌْﺖَ، ﻭَﻻَ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﺪِّ ﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺠَﺪُّ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। [তিন বার]
আল্লা-হুম্মা লা মানি‘আ লিমা আ‘তাইতা, ওয়ালা মু‘তিয়া লিমা মানা‘তা, ওয়ালা ইয়ানফা‘উ যালজাদ্দি মিনকাল জাদ্দু)।
৬৭- (২) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (তিনবার)
হে আল্লাহ, আপনি যা প্রদান করেছেন তা বন্ধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রুদ্ধ করেছেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আর কোনো ক্ষমতা-প্রতিপত্তির অধিকারীর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি আপনার কাছে কোনো উপকারে আসবে না।” [91]
-68 « ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ، ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ . ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﻻَ ﻧَﻌْﺒُﺪُ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ , ﻟَﻪُ ﺍﻟﻨِّﻌْﻤَﺔُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﻔَﻀْﻞُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟﺜَّﻨَﺎﺀُ ﺍﻟْﺤَﺴَﻦُ، ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺮِﻩَ ﺍﻟﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥَ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়ালা না‘বুদু ইল্লা ইয়্যাহু। লাহুন নি‘মাতু ওয়া লাহুল ফাদলু, ওয়া লাহুসসানাউল হাসান। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুখলিসীনা লাহুদ-দীন ওয়া লাও কারিহাল কাফিরূন)।
৬৮- (৩) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা কেবল তাঁরই ইবাদত করি, নেয়ামতসমূহ তাঁরই, যাবতীয় অনুগ্রহও তাঁর এবং উত্তম প্রশংসা তাঁরই। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আমরা তাঁর দেয়া দ্বীনকে একনিষ্ঠভাবে মান্য করি, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে”। [92]
-69 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ » ( ৩৩ বার )
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ » .
(সুবহা-নাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লা-হু আকবার) (৩৩বার)
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)।
৬৯- (৪) “আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।” (৩৩ বার)
“একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।” [93]
৭০- (৫) প্রত্যেক সালাতের পর একবার, সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস:
-70 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺍَﺣَﺪٌ Ǻۚ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ Ąۚ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ڏ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮْﻟَﺪْ Ǽ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَّﻪٗ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺍَﺣَﺪٌ Ćۧ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ Ǻ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ Ą ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺍِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ Ǽ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﻨَّﻔّٰﺜٰﺖِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌُﻘَﺪِ Ć ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺍِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ Ĉ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǻ ﻣَﻠِﻚِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ą ﺍِﻟٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǽ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟْﻮَﺳْﻮَﺍﺱِ ڏ ﺍﻟْﺨَﻨَّﺎﺱِ Ć ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳُﻮَﺳْﻮِﺱُ ﻓِﻲْ ﺻُﺪُﻭْﺭِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ĉ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Čۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।” [94]
৭১- (৬) আয়াতুল কুরসী। প্রত্যেক সালাতের পর একবার। আর তা হচ্ছে,
-71 ﴿ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﺎٓ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﮬُﻮَ ۚ ﺍَﻟْـﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ڬ ﻟَﺎ ﺗَﺎْﺧُﺬُﻩٗ ﺳِـﻨَﺔٌ ﻭَّﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ۭ ﻟَﻪٗ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۭ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎِﺫْﻧِﻪٖ ۭ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﮭُﻢْ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴْﻄُﻮْﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪٖٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎۗﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِـﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽَ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳَـــــُٔـــﻮْﺩُﻩٗ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ۚ ﻭَﮬُﻮَ ْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢُ ٢٥٥ ﴾ .
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
“আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।” [95]
-72 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻳُﺤْﻴِﻲ ﻭَﻳُﻤِﻴﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ »
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
৭২- (৬) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান”।
মাগরিব ও ফজরের নামাযের পর উপরোক্ত যিকর ১০ বার করে করবে। [96]
-73 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻋِﻠْﻤﺎً ﻧﺎﻓِﻌﺎً، ﻭَﺭِﺯْﻗﺎً ﻃَﻴِّﺒﺎً، ﻭَﻋَﻤَﻼً ﻣُﺘَﻘَﺒَّﻼً » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ‘ইলমান না-ফি‘আন্ ওয়া রিয্কান ত্বায়্যিবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান)।
৭৩- (৮) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।”
এটি ফজর নামাযের সালাম ফিরানোর পর পড়বে।[97]
২৬. ইসতিখারার সালাতের দো‘আ
জাবের ইবন আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে প্রত্যেক কাজেই ইসতিখারা (তথা কল্যাণ কামনার নামায ও দো‘আ) শিক্ষা দিতেন, যেরূপ আমাদেরকে কুরআনের সূরা শিক্ষা দিতেন। তিনি বলেন, যখন তোমাদের কেউ কোনো কাজ করার ইচ্ছা করে, তখন সে যেনো ফরয সালাত ব্যতীত দুই রাক্আত নফল নামায পড়ে, অতঃপর যেন বলে,
-74 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺘَﺨِﻴﺮُﻙَ ﺑِﻌِﻠْﻤِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺘَﻘْﺪِﺭُﻙَ ﺑِﻘُﺪْﺭَﺗِﻚَ، ﻭَﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻚَ ﺍﻟﻌَﻈِﻴﻢِ؛ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺗَﻘْﺪِﺭُ ﻭَﻻَ ﺃَﻗْﺪِﺭُ، ﻭَﺗَﻌْﻠَﻢُ ﻭَﻻَ ﺃَﻋْﻠَﻢُ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﻋَﻼَّﻡُ ﺍﻟﻐُﻴُﻮﺏِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻷﻣْﺮَ -
ﻭَﻳُﺴَﻤِّﻲ ﺣَﺎﺟَﺘَﻪُ - ﺧَﻴْﺮٌ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻲ ﻭَﻣَﻌَﺎﺷِﻲ ﻭَﻋَﺎﻗِﺒَﺔِ ﺃَﻣْﺮِﻱ – ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ : ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ - ﻓَﺎﻗْﺪُﺭْﻩُ ﻟِﻲ ﻭَﻳَﺴِّﺮْﻩُ ﻟِﻲ ﺛﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻟِﻲ ﻓِﻴﻪِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﺗَﻌْﻠَﻢُ ﺃَﻥَّ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﺄَﻣْﺮَ ﺷَﺮٌّ ﻟِﻲ ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻲ ﻭَﻣَﻌَﺎﺷِﻲ ﻭَﻋَﺎﻗِﺒَﺔِ ﺃَﻣْﺮِﻱ – ﺃَﻭْ ﻗَﺎﻝَ : ﻋَﺎﺟِﻠِﻪِ ﻭَﺁﺟِﻠِﻪِ – ﻓَﺎﺻْﺮِﻓْﻪُ ﻋَﻨِّﻲ ﻭَﺍﺻْﺮِﻓْﻨِﻲ ﻋَﻨْﻪُ ﻭَﺍﻗْﺪُﺭْ ﻟِﻲَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮَ ﺣَﻴْﺚُ ﻛَﺎﻥَ، ﺛُﻢَّ ﺃَﺭْﺿِﻨِﻲ ﺑِﻪِ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসতাখীরুকা বি‘ইলমিকা ওয়া আস্তাক্বদিরুকা বিক্বুদরাতিকা ওয়া আস্আলুকা মিন ফাদলিকাল আযীম। ফাইন্নাকা তাক্বদিরু ওয়ালা আক্বদিরু, ওয়া তা‘লামু ওয়ালা আ‘লামু, ওয়া আনতা ‘আল্লামূল গুয়ূব। আল্লা-হুম্মা ইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আম্রা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) খাইরুন লী ফী দীনি ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, (অথবা বলেছেন) ‘আজিলিহী ও আজিলিহী, ফাকদুরহু লী, ওয়া ইয়াসসিরহু লী, ছুম্মা বা-রিক লী ফীহি। ওয়াইন কুনতা তা‘লামু আন্না হা-যাল আমরা (মনে মনে প্রয়োজন উল্লেখ করুন) শাররুন লী ফী দীনী ওয়া মা‘আ-শী ওয়া ‘আ-ক্বিবাতি আমরী, (অথবা বলেছেন) ‘আজিলিহী ও আজিলিহী, ফাসরিফহু ‘আন্নী ওয়াসরিফনী ‘আনহু, ওয়াকদুর লিয়াল-খাইরা হাইসু কা-না, সুম্মা আরদ্বিনী বিহ্)।
৭৪- “হে আল্লাহ! আমি আপনার জ্ঞানের সাহায্যে আপনার নিকট কল্যাণ কামনা করছি। আপনার কুদরতের সাহায্যে আপনার নিকট শক্তি কামনা করছি এবং আপনার মহান অনুগ্রহের প্রার্থনা করছি। কেননা আপনিই শক্তিধর, আমি শক্তিহীন। আপনি জ্ঞানবান, আমি জ্ঞানহীন এবং আপনি গায়েবী বিষয় সম্পর্কে মহাজ্ঞানী। হে আল্লাহ! এই কাজটি (এখানে উদ্দিষ্ট কাজ বা বিষয়টি মনে মনে উল্লেখ করবে) আপনার জ্ঞান অনুযায়ী যদি আমার দীন, আমার জীবিকা এবং আমার কাজের পরিণতির দিক দিয়ে, (অথবা বলেছেন) ইহকাল ও পরকালের জন্য কল্যাণকর হয়, তবে তা আমার জন্য নির্ধারিত করুন এবং তাকে আমার জন্য সহজলভ্য করে দিন, তারপর তাতে আমার জন্য বরকত দান করুন। আর এই কাজটি আপনার জ্ঞান অনুযায়ী যদি আমার দীন, আমার জীবিকা এবং আমার কাজের পরিণতির দিক দিয়ে, (অথবা বলেছেন) ইহকাল ও পরকালের জন্য ক্ষতিকর হয়, তবে আপনি আমাকে তা থেকে দূরে সরিয়ে রাখুন এবং যেখানেই কল্যাণ থাকুক আমার জন্য সেই কল্যাণ নির্ধারিত করে দিন। অতঃপর তাতেই আমাকে সন্তুষ্ট রাখুন।” [98]
আর যে ব্যক্তি স্রষ্টার কাছে কল্যাণ চাইবে, মুমিনদের সাথে পরামর্শ করবে এবং যে কোনো কাজ করার আগে খোঁজ-খবর নিয়ে করবে, সে কখনো অনুতপ্ত হবে না। কেননা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,
﴿ ﻭَﺷَﺎﻭِﺭْﮬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﻣْﺮِ ۚ ﻓَﺎِﺫَﺍ ﻋَﺰَﻣْﺖَ ﻓَﺘَﻮَﻛَّﻞْ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟﻠَّﻪِ﴾ .
“আর আপনি কাজে কর্মে তাদের সাথে পরামর্শ করুন, তারপর আপনি কোনো দৃঢ় সংকল্প হলে আল্লাহ্র উপর নির্ভর করুন।” [99]
২৭. সকাল ও বিকালের যিক্রসমূহ
কেবলমাত্র আল্লাহ্র জন্যই সকল প্রশংসা, আর সালাত ও সালাম পেশ করছি, এমন নবীর জন্য যার পরে আর কোনো নবী নেই। [100] অতঃপর,
৭৫- (১) আয়াতুল কুরসী:
-75 ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺸَّﻴﻄَﺎﻥِ ﺍﻟﺮَّﺟِﻴﻢِ ﴿ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﺎٓ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﮬُﻮَ ۚ ﺍَﻟْـﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ڬ ﻟَﺎ ﺗَﺎْﺧُﺬُﻩٗ ﺳِـﻨَﺔٌ ﻭَّﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ۭ ﻟَﻪٗ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۭ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎِﺫْﻧِﻪٖ ۭ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﮭُﻢْ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴْﻄُﻮْﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪٖٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎۗﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِـﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽَ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳَـــــُٔـــﻮْﺩُﻩٗ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ۚ ﻭَﮬُﻮَ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢُ ٢٥٥ ﴾ .
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
“আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।” [101]
৭৬- (২) সূরা ইখলাস, সূরা আল-ফালাক ও সূরা আন-নাস (তিনবার করে পাঠ করবে): [102]
-76 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺍَﺣَﺪٌ Ǻۚ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ Ąۚ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ڏ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮْﻟَﺪْ Ǽ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَّﻪٗ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺍَﺣَﺪٌ Ćۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ Ǻ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ Ą ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺍِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ Ǽ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﻨَّﻔّٰﺜٰﺖِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌُﻘَﺪِ Ć ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺍِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ Ĉ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǻ ﻣَﻠِﻚِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ą ﺍِﻟٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǽ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟْﻮَﺳْﻮَﺍﺱِ ڏ ﺍﻟْﺨَﻨَّﺎﺱِ Ć ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳُﻮَﺳْﻮِﺱُ ﻓِﻲْ ﺻُﺪُﻭْﺭِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ĉ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Čۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”
-77 « ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨَﺎ ﻭَﺃَﺻْﺒَﺢَ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺭَﺏِّ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﻭَﺧَﻴﺮَ ﻣَﺎ ﺑَﻌْﺪَﻩُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺑَﻌْﺪَﻩُ، ﺭَﺏِّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜَﺴَﻞِ ﻭَﺳُﻮﺀِ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮِ، ﺭَﺏِّ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏٍ ﻓِﻲ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ ﻭَﻋَﺬَﺍﺏٍ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻘَﺒْﺮِ » .
(আসবাহ্না ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লাহি [103] ওয়ালহাম্দু লিল্লাহি, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। রব্বি আস্আলুকা খাইরা মা ফী হা-যাল ইয়াউমি ওয়া খাইরা মা বা‘দাহু, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ফী হা-যাল ইয়াউমি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু। [104] রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূইল-কিবারি। রবিব আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্না-রি ওয়া আযাবিন্ ফিল ক্বাবরি)।
৭৭- (৩) “আমরা সকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়েছে, আল্লাহ্র জন্য। সমুদয় প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই এবং প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
হে রব্ব! এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু কল্যাণ আছে আমি আপনার নিকট তা প্রার্থনা করি। আর এই দিনের মাঝে এবং এর পরে যা কিছু অকল্যাণ আছে, তা থেকে আমি আপনার আশ্রয় চাই।
হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা ও খারাপ বার্ধক্য থেকে। হে রব্ব! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামে আযাব হওয়া থেকে এবং কবরে আযাব হওয়া থেকে।” [105]
-78 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﻚَ ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨَﺎ، ﻭَﺑِﻚَ ﺃَﻣْﺴَﻴْﻨَﺎ، ﻭَﺑِﻚَ ﻧَﺤْﻴَﺎ، ﻭَﺑِﻚَ ﻧَﻤُﻮﺕُ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺍﻟﻨُّﺸُﻮﺭُ » .
(আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর) [106] ।
৭৮- (৪) “হে আল্লাহ! আমরা আপনার জন্য সকালে উপনীত হয়েছি এবং আপনারই জন্য আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি। আর আপনার দ্বারা আমরা জীবিত থাকি, আপনার দ্বারাই আমরা মারা যাব; আর আপনার দিকেই উত্থিত হব।” [107]
৭৯- (৫) [সায়্যিদুল ইসতিগফার:]
-79 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ، ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃَﺑُﻮﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ، ﻭَﺃَﺑُﻮﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧﻮﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আব্দুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্বা‘তু। আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা সানা‘তু, আবূউ [108] লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী। ফাগফির লী, ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা)।
“হে আল্লাহ্! আপনি আমার রব্ব, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আর আমি আমার সাধ্য মতো আপনার (তাওহীদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতির উপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই। আপনি আমাকে আপনার যে নিয়ামত দিয়েছেন তা আমি স্বীকার করছি, আর আমি স্বীকার করছি আমার অপরাধ। অতএব আপনি আমাকে মাফ করুন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করে না।” [109]
-80 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺻْﺒَﺤْﺖُ ﺃُﺷْﻬِﺪُﻙَ، ﻭَﺃُﺷْﻬِﺪُ ﺣَﻤَﻠَﺔَ ﻋَﺮْﺷِﻚَ، ﻭَﻣَﻼَﺋِﻜَﺘِﻚَ، ﻭَﺟَﻤِﻴﻊَ ﺧَﻠْﻘِﻚَ، ﺃَﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﺣْﺪَﻙَ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻚَ، ﻭَﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪﺍً ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟُﻚَ » ( ৪ বার ) .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসবাহ্তু[110] উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা ‘আরশিকা ওয়া মালা-ইকাতিকা ওয়া জামী‘আ খালক্বিকা, আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা আনতা ওয়াহ্দাকা লা শারীকা লাকা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আব্দুকা ওয়া রাসূলুকা) [৪ বার]
৮০- (৬) “হে আল্লাহ! আমি সকালে উপনীত হয়েছি। আপনাকে আমি সাক্ষী রাখছি, আরও সাক্ষী রাখছি আপনার ‘আরশ বহনকারীদেরকে, আপনার ফেরেশতাগণকে ও আপনার সকল সৃষ্টিকে, (এর উপর) যে— নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই; আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার বান্দা ও রাসূল।” (৪ বার) [111]
-81 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻣَﺎ ﺃَﺻْﺒَﺢَ ﺑِﻲ ﻣِﻦْ ﻧِﻌْﻤَﺔٍ ﺃَﻭْ ﺑِﺄَﺣَﺪٍ ﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻘِﻚَ ﻓَﻤِﻨْﻚَ ﻭَﺣْﺪَﻙَ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻚَ، ﻓَﻠَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻟَﻚَ ﺍﻟﺸُّﻜْﺮُ » .
(আল্লা-হুম্মা মা আসবাহা বী [112] মিন নি‘মাতিন আউ বিআহাদিন মিন খালক্বিকা ফামিনকা ওয়াহ্দাকা লা শারীকা লাকা, ফালাকাল হাম্দু ওয়ালাকাশ্ শুক্রু)।
৮১- (৭) “হে আল্লাহ! যে নেয়ামত আমার সাথে সকালে উপনীত হয়েছে, অথবা আপনার সৃষ্টির অন্য কারও সাথে; এসব নেয়ামত কেবলমাত্র আপনার নিকট থেকেই; আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য।” [113]
-82 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻲ ﻓِﻲ ﺑَﺪَﻧِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻲ ﻓِﻲ ﺳَﻤْﻌِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻓِﻨِﻲ
ﻓِﻲ ﺑَﺼَﺮِﻱ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻜُﻔْﺮِ، ﻭَﺍﻟﻔَﻘْﺮِ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋَﺬَﺍﺏِ ﺍﻟﻘَﺒْﺮِ، ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ » ( ৩ বার ) .
(আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম্‘ঈ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী। লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল-ফাক্বরি ওয়া আ‘উযু বিকা মিন ‘আযা-বিল ক্বাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা)। (৩ বার)
৮২- (৮) “হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শরীরে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার শ্রবণশক্তিতে। হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপত্তা দিন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কুফরি ও দারিদ্র্য থেকে। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই কবরের আযাব থেকে। আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই।” [114] (৩ বার)
-83 « ﺣَﺴْﺒِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ
ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ » (৭ বার) .
(হাসবিয়াল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়াহুয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম) (৭ বার)
৮৩- (৯) “আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি তাঁর উপরই ভরসা করি। আর তিনি মহান আরশের রব্ব।” [115] (৭ বার)
-84 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﻌَﻔْﻮَ ﻭَﺍﻟْﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ : ﻓِﻲ ﺩِﻳﻨِﻲ ﻭَﺩُﻧْﻴَﺎﻱَ ﻭَﺃَﻫْﻠِﻲ، ﻭَﻣَﺎﻟِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺳْﺘُﺮْ ﻋَﻮْﺭَﺍﺗِﻲ، ﻭَﺁﻣِﻦْ ﺭَﻭْﻋَﺎﺗِﻲ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﺣْﻔَﻈْﻨِﻲ ﻣِﻦْ ﺑَﻴﻦِ ﻳَﺪَﻱَّ، ﻭَﻣِﻦْ ﺧَﻠْﻔِﻲ، ﻭَﻋَﻦْ ﻳَﻤِﻴﻨِﻲ، ﻭَﻋَﻦْ ﺷِﻤَﺎﻟِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﻓَﻮْﻗِﻲ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻌَﻈَﻤَﺘِﻚَ ﺃَﻥْ ﺃُﻏْﺘَﺎﻝَ ﻣِﻦْ ﺗَﺤْﺘِﻲ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল- ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাতি। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল-‘আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়াদুনইয়াইয়া, ওয়া আহ্লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আ-তি। আল্লা-হুম্মাহফাযনী মিম্বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া শিমা-লী ওয়া মিন ফাওকী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্তী)।
৮৪- (১০) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নীচ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে”। [116]
-85 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ، ﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻭَﻣَﻠِﻴﻜَﻪُ، ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻧَﻔْﺴِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄﺎﻥِ ﻭَﺷَﺮَﻛِﻪِ، ﻭَﺃَﻥْ ﺃَﻗْﺘَﺮِﻑَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﺳُﻮﺀﺍً، ﺃَﻭْ ﺃَﺟُﺮَّﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ » .
(আল্লা-হুম্মা আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ্শাহা-দাতি ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল-লা ইলা-হা ইল্লা আনতা। আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফ্সী ওয়া মিন শাররিশ শাইত্বা-নি ওয়াশিরকিহী/ওয়াশারাকিহী ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফ্সী সূওআন আউ আজুররাহূ ইলা মুসলিম)।
৮৫- (১১) “হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে ও তার শির্ক বা তার ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।”[117]
-86 « ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻻَ ﻳَﻀُﺮُّ ﻣَﻊَ ﺍﺳْﻤِﻪِ ﺷَﻲْﺀٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻻَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴّﻤَﺎﺀِ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﺴَّﻤِﻴﻊُ ﺍﻟْﻌَﻠِﻴﻢُ » . (৩ বার)
(বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম)। (৩ বার)
৮৬- (১২) “আল্লাহ্র নামে; যাঁর নামের সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।” [118] (৩ বার)
-87 « ﺭَﺿِﻴﺖُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺑَّﺎً، ﻭَﺑِﺎﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ ﺩِﻳﻨﺎً، ﻭَﺑِﻤُﺤَﻤَّﺪٍ ﷺ ﻧَﺒِﻴّﺎً » . (৩ বার)
(রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যান)। (৩ বার)
৮৭- (১৩) “আল্লাহকে রব, ইসলামকে দীন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবীরূপে গ্রহণ করে আমি সন্তুষ্ট।” [119] (৩ বার)
-88 « ﻳَﺎ ﺣَﻲُّ ﻳَﺎ ﻗَﻴُّﻮﻡُ ﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﺃَﺳْﺘَﻐﻴﺚُ ﺃَﺻْﻠِﺢْ ﻟِﻲ ﺷَﺄْﻧِﻲَ ﻛُﻠَّﻪُ ﻭَﻻَ ﺗَﻜِﻠْﻨِﻲ ﺇِﻟَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻃَﺮْﻓَﺔَ ﻋَﻴْﻦٍ » .
(ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যূমু বিরহ্মাতিকা আস্তাগীসু, আসলিহ্ লী শা’নী কুল্লাহু, ওয়ালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন)।
৮৮- (১৪) “হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের অসীলায় আপনার কাছে উদ্ধার কামনা করি, আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন, আর আমাকে আমার নিজের কাছে নিমেষের জন্যও সোপর্দ করবেন না।” [120]
-89 « ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨَﺎ ﻭَﺃَﺻْﺒَﺢَ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ، ﺍﻟﻠَّﻬُـﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺧَﻴْﺮَ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ : ﻓَﺘْﺤَﻪُ، ﻭَﻧَﺼْﺮَﻩُ، ﻭَﻧﻮﺭَﻩُ، ﻭَﺑَﺮَﻛَﺘَﻪُ، ﻭَﻫُﺪَﺍﻩُ، ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﻓِﻴﻪِ ﻭَﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺑَﻌْﺪَﻩُ » .
(আসবাহ্না ওয়া আসবাহাল-মূলকু লিল্লা-হি রব্বিল ‘আলামীন। [121] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা খাইরা হাযাল ইয়াওমি
[122] ফাতহাহু ওয়া নাসরাহু ওয়া নুরাহু ওয়া বারাকাতাহু ওয়া হুদা-হু। ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ফীহি ওয়া শাররি মা বা‘দাহু)।
৮৯- (১৫) “আমরা সকালে উপনীত হয়েছি, অনুরূপ যাবতীয় রাজত্বও সকালে উপনীত হয়েছে সৃষ্টিকুলের রব্ব আল্লাহ্র জন্য। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কামনা করি এই দিনের কল্যাণ: বিজয়, সাহায্য, নূর, রবকত ও হেদায়াত। আর আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই এ দিনের এবং এ দিনের পরের অকল্যাণ থেকে।” [123]
-90 « ﺃَﺻْﺒَﺤْﻨﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻓِﻄْﺮَﺓِ ﺍﻟْﺈِﺳْﻼَﻡِ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻛَﻠِﻤَﺔِ ﺍﻟْﺈِﺧْﻼَﺹِ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺩِﻳﻦِ ﻧَﺒِﻴِّﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﷺ ، ﻭَﻋَﻠَﻰ ﻣِﻠَّﺔِ ﺃَﺑِﻴﻨَﺎ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ، ﺣَﻨِﻴﻔﺎً ﻣُﺴْﻠِﻤﺎً ﻭَﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻤُﺸﺮِﻛِﻴﻦَ » .
(আসবাহনা ‘আলা ফিত্বরাতিল ইসলামি
[124] ওয়া আলা কালিমাতিল ইখলাসি ওয়া আলা দ্বীনি নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়া আলা মিল্লাতি আবীনা ইবরা-হীমা হানীফাম মুসলিমাও ওয়ামা কা-না মিনাল মুশরিকীন)।
৯০- (১৬) “আমরা সকালে উপনীত হয়েছি ইসলামের ফিত্বরাতের উপর, নিষ্ঠাপূর্ণ বাণী (তাওহীদ) এর উপর, আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীনের উপর, আর আমাদের পিতা ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম-এর মিল্লাতের উপর—যিনি ছিলেন একনিষ্ঠ মুসলিম এবং যিনি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না”। [125]
-91 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ » . (১০০ বার)
(সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী)। (১০০ বার)
৯১- (১৭) “আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।” (১০০ বার) [126]
-92 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ » . (১০ বার)
অথবা (অলসতা লাগলে ১ বার)
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)। (১০ বার) অথবা (অলসতা লাগলে ১ বার)
৯২- (১৮) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।”
(১০ বার) [127] অথবা (অলসতা লাগলে ১ বার)
[128]
-93 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)।
৯৩- (১৯) “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর, আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।” (সকালবেলা ১০০ বার বলবে) [129]
-94 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ : ﻋَﺪَﺩَ ﺧَﻠْﻘِﻪِ، ﻭَﺭِﺿَﺎ ﻧَﻔْﺴِﻪِ، ﻭَﺯِﻧَﺔَ ﻋَﺮْﺷِﻪِ، ﻭَﻣِﺪَﺍﺩَ ﻛَﻠِﻤَﺎﺗِﻪِ » . (৩ বার)
(সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়া রিদা নাফসিহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী)। (৩ বার)
৯৪- (২০) “আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি— তাঁর সৃষ্ট বস্তুসমূহের সংখ্যার সমান, তাঁর নিজের সন্তোষের সমান, তাঁর আরশের ওজনের সমান ও তাঁর বাণীসমূহ লেখার কালি পরিমাণ (অগণিত অসংখ্য)”। [130] (৩ বার)
-95 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻋِﻠْﻤﺎً ﻧَﺎﻓِﻌﺎً، ﻭَﺭِﺯْﻗﺎً ﻃَﻴِّﺒﺎً، ﻭَﻋَﻤَﻼً ﻣُﺘَﻘَﺒَّﻼً » .
(সকালবেলা বলবে)
(আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফে‘আন ওয়া রিয্কান তাইয়্যেবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান) (সকালবেলা বলবে)
৯৫- (২১) “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি।” (সকালবেলা বলবে) [131]
-96 « ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺃَﺗُﻮﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ » .
(আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহি)।
৯৬- (২২) “আমি আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকটই তাওবা করছি”। (প্রতি দিন ১০০ বার) [132]
-97 « ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ » .
(বিকালে ৩ বার)
(আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা)। (বিকালে ৩ বার)
৯৭- (২৩) “আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের ওসিলায় আমি তাঁর নিকট তাঁর সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।” [133] (বিকালে ৩ বার)
-98 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻭَﺳَﻠِّﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﺒَﻴِّﻨَﺎ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ » .
[সকাল-বিকাল ১০ বার করে]
(আল্লা-হুম্মা সাল্লি ওয়াসাল্লিম ‘আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ) [সকাল-বিকাল ১০ বার করে]
৯৮- (২৪) “হে আল্লাহ! আপনি সালাত ও সালাম পেশ করুন আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর।” [সকাল-বিকাল ১০ বার করে] [134]
২৮. ঘুমানোর যিক্রসমূহ
৯৯- (১) দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে নিম্নোক্ত সূরাগুলো পড়ে তাতে ফুঁ দিবে:
-99 ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﺍَﺣَﺪٌ Ǻۚ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﺍﻟﺼَّﻤَﺪُ Ąۚ ﻟَﻢْ ﻳَﻠِﺪْ ڏ ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﻮْﻟَﺪْ Ǽ ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻜُﻦْ ﻟَّﻪٗ ﻛُﻔُﻮًﺍ ﺍَﺣَﺪٌ Ćۧ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ। আল্লাহুস্ সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, তিনি আল্লাহ্, এক-অদ্বিতীয়। আল্লাহ্ হচ্ছেন ‘সামাদ’ (তিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী)। তিনি কাউকেও জন্ম দেন নি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয় নি। আর তাঁর সমতুল্য কেউই নেই।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟْﻔَﻠَﻖِ Ǻ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺧَﻠَﻖَ Ą ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻏَﺎﺳِﻖٍ ﺍِﺫَﺍ ﻭَﻗَﺐَ Ǽ ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﻨَّﻔّٰﺜٰﺖِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌُﻘَﺪِ Ć ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺣَﺎﺳِﺪٍ ﺍِﺫَﺍ ﺣَﺴَﺪَ Ĉ ﴾،
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল আ‘উযু বিরব্বিল ফালাক্ব। মিন শাররি মা খালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গা-সিক্বিন ইযা ওয়াক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফফা-সা-তি ফিল ‘উক্বাদ। ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট হতে। ‘আর অনিষ্ট হতে রাতের অন্ধকারের, যখন তা গভীর হয়। আর অনিষ্ট হতে সমস্ত নারীদের, যারা গিরায় ফুঁক দেয়। আর অনিষ্ট হতে হিংসুকের, যখন সে হিংসা করে।”
ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴْﻢِ ﴿ﻗُﻞْ ﺍَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﺮَﺏِّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǻ ﻣَﻠِﻚِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ą ﺍِﻟٰﻪِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ǽ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟْﻮَﺳْﻮَﺍﺱِ ڏ ﺍﻟْﺨَﻨَّﺎﺱِ Ć ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳُﻮَﺳْﻮِﺱُ ﻓِﻲْ ﺻُﺪُﻭْﺭِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Ĉ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺠِﻨَّﺔِ ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱِ Čۧ ﴾
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম (ক্বুল ‘আউযু বিরাব্বিন্না-স। মালিকিন্না-সি, ইলা-হিন্নাসি, মিন শাররিল ওয়াসওয়া-সিল খান্না-স, আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফী সুদূরিন না-সি, মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।)।
রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। “বলুন, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি মানুষের রবের, মানুষের অধিপতির, মানুষের ইলাহের কাছে, আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে; যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জিনের মধ্য থেকে এবং মানুষের মধ্য থেকে।”
তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবে। মাসেহ আরম্ভ করবে তার মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবে।)
[135]
-100 ﴿ ﺍَﻟﻠّٰﻪُ ﻟَﺎٓ ﺍِﻟٰﻪَ ﺍِﻟَّﺎ ﮬُﻮَ ۚ ﺍَﻟْـﺤَﻲُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ڬ ﻟَﺎ ﺗَﺎْﺧُﺬُﻩٗ ﺳِـﻨَﺔٌ ﻭَّﻟَﺎ ﻧَﻮْﻡٌ ۭ ﻟَﻪٗ ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺎَﺭْﺽِ ۭ ﻣَﻦْ ﺫَﺍ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻳَﺸْﻔَﻊُ ﻋِﻨْﺪَﻩٗٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎِﺫْﻧِﻪٖ ۭ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﻳْﺪِﻳْﻬِﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﺧَﻠْﻔَﮭُﻢْ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺤِﻴْﻄُﻮْﻥَ ﺑِﺸَﻲْﺀٍ ﻣِّﻦْ ﻋِﻠْﻤِﻪٖٓ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﻤَﺎ ﺷَﺎۗﺀَ ۚ ﻭَﺳِﻊَ ﻛُﺮْﺳِـﻴُّﻪُ ﺍﻟﺴَّﻤٰﻮٰﺕِ ﻭَﺍﻟْﺎَﺭْﺽَ ۚ ﻭَﻟَﺎ ﻳَـــــُٔـــﻮْﺩُﻩٗ ﺣِﻔْﻈُﻬُﻤَﺎ ۚ ﻭَﮬُﻮَ ْﻌَﻠِﻲُّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴْﻢُ ٢٥٥ ﴾ .
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম। লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী। ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ। ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব। ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)।
১০০- (২) “আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়। আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন। আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে; আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না। আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।” [136]
-101 ﴿ﺍٰﻣَﻦَ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮْﻝُ ﺑِﻤَﺎٓ ﺍُﻧْﺰِﻝَ ﺍِﻟَﻴْﻪِ ﻣِﻦْ ﺭَّﺑِّﻪٖ ﻭَﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨُﻮْﻥَ ۭ ﻛُﻞٌّ ﺍٰﻣَﻦَ ﺑِﺎﻟﻠّٰﻪِ ﻭَﻣَﻠٰۗﻯِٕﻜَﺘِﻪٖ ﻭَﻛُﺘُﺒِﻪٖ ﻭَﺭُﺳُﻠِﻪٖ ۣ ﻟَﺎ ﻧُﻔَﺮِّﻕُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍَﺣَﺪٍ ﻣِّﻦْ ﺭُّﺳُﻠِﻪٖ ۣ ﻭَﻗَﺎﻟُﻮْﺍ ﺳَﻤِﻌْﻨَﺎ ﻭَﺍَﻃَﻌْﻨَﺎ ﯓ ﻏُﻔْﺮَﺍﻧَﻚَ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺍِﻟَﻴْﻚَ ﺍﻟْﻤَﺼِﻴْﺮُ ٢٨٥ﻟَﺎ ﻳُﻜَﻠِّﻒُ ﺍﻟﻠّٰﻪُ ﻧَﻔْﺴًﺎ ﺍِﻟَّﺎ ﻭُﺳْﻌَﻬَﺎ ۭ ﻟَﻬَﺎ ﻣَﺎ ﻛَﺴَﺒَﺖْ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻣَﺎ ﺍﻛْﺘَﺴَﺒَﺖْ ۭ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻟَﺎ ﺗُﺆَﺍﺧِﺬْﻧَﺎٓ ﺍِﻥْ ﻧَّﺴِﻴْﻨَﺎٓ ﺍَﻭْ ﺍَﺧْﻄَﺎْﻧَﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺤْﻤِﻞْ ﻋَﻠَﻴْﻨَﺎٓ ﺍِﺻْﺮًﺍ ﻛَﻤَﺎ ﺣَﻤَﻠْﺘَﻪٗ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟَّﺬِﻳْﻦَ ﻣِﻦْ ﻗَﺒْﻠِﻨَﺎ ۚ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺤَﻤِّﻠْﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﺎ ﻃَﺎﻗَﺔَ ﻟَﻨَﺎ ﺑِﻪٖ ۚ ﻭَﺍﻋْﻒُ ﻋَﻨَّﺎ ۪ ﻭَﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻨَﺎ ۪ ﻭَﺍﺭْﺣَﻤْﻨَﺎ ۪ ﺍَﻧْﺖَ ﻣَﻮْﻟٰﻯﻨَﺎ ﻓَﺎﻧْــﺼُﺮْﻧَﺎ ﻋَﻠَﻲ ﺍﻟْﻘَﻮْﻡِ ﺍﻟْﻜٰﻔِﺮِﻳْﻦَ ٢٨٦ۧ ﴾ .
(আ-মানার রাসূলু বিমা উনযিলা ইলাইহি মির রব্বিহী ওয়াল মু’মিনূন। কুল্লুন আ-মানা বিল্লা-হি ওয়া মালা-ইকাতিহী ওয়াকুতুবিহী ওয়া রুসুলিহ, লা নুফাররিক্বু বাইনা আহাদিম মির রুসুলিহ, ওয়া ক্বালু সামি‘না ওয়া আতা‘না গুফ্রা-নাকা রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর। লা ইয়ুকাল্লিফুল্লাহু নাফ্সান ইল্লা উস‘আহা লাহা মা কাসাবাত ওয়া আলাইহা মাক্তাসাবাত রব্বানা লা তুআখিয্না ইন নাসীনা আও আখ্ত্বা’না। রব্বনা ওয়ালা তাহ্মিল ‘আলাইনা ইসরান কামা হামালতাহু ‘আলাল্লাযীনা মিন ক্বাবলিনা। রব্বনা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা-লা ত্বা-ক্বাতা লানা বিহী। ওয়া‘ফু আন্না ওয়াগফির লানা ওয়ারহামনা আনতা মাওলা-না ফানসুরনা ‘আলাল ক্বাউমিল কাফিরীন)।
১০১-(৩) “রাসূল তার প্রভুর পক্ষ থেকে যা তার কাছে নাযিল করা হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছেন এবং মুমিনগণও। প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহ্র উপর, তাঁর ফেরেশ্তাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং তাঁর রাসূলগণের উপর। আমরা তাঁর রাসূলগণের কারও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা বলে, আমরা শুনেছি ও মেনে নিয়েছি। হে আমাদের রব! আপনার ক্ষমা প্রার্থনা করি এবং আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল। আল্লাহ্ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই, আর মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বর্তায়। ‘হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।” [137]
-102 « ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺭَﺑِّﻲ ﻭَﺿَﻌْﺖُ ﺟَﻨْﺒِﻲ، ﻭَﺑِﻚَ ﺃَﺭْﻓَﻌُﻪُ، ﻓَﺈِﻥ ﺃَﻣْﺴَﻜْﺖَ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻓﺎﺭْﺣَﻤْﻬَﺎ، ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﺭْﺳَﻠْﺘَﻬَﺎ ﻓَﺎﺣْﻔَﻈْﻬَﺎ، ﺑِﻤَﺎ ﺗَﺤْﻔَﻆُ ﺑِﻪِ ﻋِﺒَﺎﺩَﻙَ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ » .
(বিইসমিকা [138] রব্বী ওয়াদা‘তু জাম্বী, ওয়া বিকা আরফা‘উহু। ফাইন্ আম্সাক্তা নাফ্সী ফারহামহা, ওয়াইন আরসালতাহা ফাহ্ফায্হা বিমা তাহ্ফাযু বিহী ‘ইবা-দাকাস সা-লিহীন)।
১০২-(৪) “আমার রব! আপনার নামে আমি আমার পার্শ্বদেশ রেখেছি (শুয়েছি) এবং আপনারই নাম নিয়ে আমি তা উঠাবো। যদি আপনি (ঘুমন্ত অবস্থায়) আমার প্রাণ আটকে রাখেন, তবে আপনি তাকে দয়া করুন। আর যদি আপনি তা ফেরত পাঠিয়ে দেন, তাহলে আপনি তার হেফাযত করুন যেভাবে আপনি আপনার সৎকর্মশীল বান্দাগণকে হেফাযত করে থাকেন।” [139]
-103 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺧَﻠَﻘْﺖَ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺗَﻮَﻓَّﺎﻫَﺎ، ﻟَﻚَ ﻣَﻤَﺎﺗُﻬَﺎ ﻭَﻣَﺤْﻴﺎﻫَﺎ، ﺇِﻥْ ﺃَﺣْﻴَﻴْﺘَﻬَﺎ ﻓَﺎﺣْﻔَﻈْﻬَﺎ، ﻭَﺇِﻥْ ﺃَﻣَﺘَّﻬَﺎ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟَﻬَﺎ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻌَﺎﻓِﻴَﺔَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা খালাক্তা নাফসী ওয়া আন্তা তাওয়াফ্ফাহা। লাকা মামা-তুহা ওয়া মাহ্ইয়া-হা। ইন্ আহ্ইয়াইতাহা ফাহ্ফায্হা ওয়াইন আমাত্তাহা ফাগফির লাহা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাল ‘আ-ফিয়াতা)।
১০৩-(৫) “হে আল্লাহ! নিশ্চয় আপনি আমার আত্মাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আপনি তার মৃত্যু ঘটাবেন। তার মৃত্যু ও তার জীবন আপনার মালিকানায়। যদি তাকে বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে আপনি তার হেফাযত করুন, আর যদি তার মৃত্যু ঘটান তবে তাকে মাফ করে দিন। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে নিরাপত্তা চাই।” [140]
-104 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻗِﻨِﻲ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ ﻳَﻮْﻡَ ﺗَﺒْﻌَﺚُ ﻋِﺒَﺎﺩَﻙَ » .
(আল্লা-হুম্মা ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব‘আছু ‘ইবা-দাকা)।
১০৪-(৬) “হে আল্লাহ! [141] আমাকে আপনার আযাব থেকে রক্ষা করুন, যেদিন আপনি আপনার বান্দাদেরকে পুনর্জীবিত করবেন।” [142]
-105 « ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ » .
(বিস্মিকাল্লা-হুম্মা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।
১০৫-(৭) “হে আল্লাহ ! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।” [143]
-106 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ( ﺛﻼﺛﺎً ﻭﺛﻼﺛﻴﻦ ) ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ( ﺛﻼﺛﺎً ﻭﺛﻼﺛﻴﻦ ) ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ ( ﺃﺭﺑﻌﺎً ﻭﺛﻼﺛﻴﻦَ »
(সুবহা-নাল্লাহ, (৩৩ বার) আলহামদুলিল্লা-হ (৩৩ বার) আল্লা-হু আকবার (৩৪ বার)-)
১০৬-(৮) আল্লাহ অতি-পবিত্র (৩৩ বার), সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য (৩৩ বার), আল্লাহ অতি-মহান (৩৪ বার)। [144]
-107 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺭَﺏَّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﺍﻟﺴَّﺒْﻊِ ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻷَﺭْﺽِ، ﻭَﺭَﺏَّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ، ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ، ﻓَﺎﻟِﻖَ ﺍﻟْﺤَﺐِّ ﻭَﺍﻟﻨَّﻮَﻯ، ﻭَﻣُﻨْﺰِﻝَ ﺍﻟﺘَّﻮْﺭَﺍﺓِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻧْﺠِﻴﻞِ، ﻭَﺍﻟْﻔُﺮْﻗَﺎﻥِ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﺃَﻧْﺖَ ﺁﺧِﺬٌ ﺑِﻨَﺎﺻِﻴَﺘِﻪِ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻷَﻭَّﻝُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻗَﺒْﻠَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻵﺧِﺮُ ﻓَﻠَﻴﺲَ ﺑَﻌْﺪَﻙَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺩُﻭﻧَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ، ﺍﻗْﺾِ ﻋَﻨَّﺎ ﺍﻟﺪَّﻳْﻦَ ﻭَﺃَﻏْﻨِﻨَﺎ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﻔَﻘْﺮِ » .
(আল্লা-হুম্মা রব্বাস্ সামা-ওয়া-তিস্ সাব‘ই ওয়া রব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, রব্বনা ওয়া রব্বা কুল্লি শাই’ইন্, ফা-লিক্বাল হাব্বি ওয়ান-নাওয়া, ওয়া মুনযিলাত্-তাওরা-তি ওয়াল ইনজীলি ওয়াল ফুরক্বা-ন, আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি কুল্লি শাই’ইন্ আনতা আ-খিযুম-বিনা-সিয়াতিহি। আল্লা-হুম্মা আনতাল আউওয়ালু ফালাইসা ক্বাবলাকা শাইউন। ওয়া আনতাল আ-খিরু ফালাইসা বা‘দাকা শাইউন। ওয়া আনতায যা-হিরু ফালাইসা ফাওক্বাকা শাইউন। ওয়া আনতাল বা-ত্বিনু ফালাইসা দূনাকা শাইউন। ইক্বদ্বি ‘আন্নাদ্-দাইনা ওয়া আগনিনা মিনাল ফাক্বরি)।
১০৭-(৯) হে আল্লাহ! হে সপ্ত আকাশের রব্ব, যমিনের রব্ব, মহান ‘আরশের রব্ব, আমাদের রব্ব ও প্রত্যেক বস্তুর রব্ব, হে শস্য-বীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী, হে তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন নাযিলকারী, আমি প্রত্যেক এমন বস্তুর অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি, যার (মাথার) অগ্রভাগ আপনি ধরে রেখেছেন (নিয়ন্ত্রণ করছেন)। হে আল্লাহ! আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছুই ছিল না; আপনি সর্বশেষ, আপনার পরে কোনো কিছু থাকবে না; আপনি সব কিছুর উপরে, আপনার উপরে কিছুই নেই; আপনি সর্বনিকটে, আপনার চেয়ে নিকটবর্তী কিছু নেই, আপনি আমাদের সমস্ত ঋণ পরিশোধ করে দিন এবং আমাদেরকে অভাবগ্রস্ততা থেকে অভাবমুক্ত করুন।” [145]
-108 « ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻃْﻌَﻤَﻨَﺎ ﻭَﺳَﻘَﺎﻧَﺎ، ﻭَﻛَﻔَﺎﻧَﺎ، ﻭَﺁﻭَﺍﻧَﺎ، ﻓَﻜَﻢْ ﻣِﻤَّﻦْ ﻻَ ﻛَﺎﻓِﻲَ ﻟَﻪُ ﻭَﻻَ ﻣُﺆْﻭِﻱَ » .
(আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আত‘আমানা, ওয়া সাক্বা-না, ওয়া কাফা-না, ওয়া আ-ওয়ানা, ফাকাম্ মিম্মান লা কা-ফিয়া লাহু, ওয়ালা মু’উইয়া)।
১০৮-(১০) “সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমাদেরকে আহার করিয়েছেন, পান করিয়েছেন, আমাদের প্রয়োজন পূর্ণ করেছেন এবং আমাদেরকে আশ্রয় দিয়েছেন। কেননা, এমন বহু লোক আছে যাদের প্রয়োজনপূর্ণকারী কেউ নেই এবং যাদের আশ্রয়দানকারীও কেউ নেই।” [146]
-109 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﻋَﺎﻟِﻢَ ﺍﻟﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻓَﺎﻃِﺮَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ، ﺭَﺏَّ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻭَﻣَﻠِﻴﻜَﻪُ، ﺃَﺷْﻬَﺪُ ﺃَﻥْ ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ، ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻧَﻔْﺴِﻲ، ﻭَﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄﺎﻥِ ﻭَﺷِﺮْﻛِﻪِ، ﻭَﺃَﻥْ ﺃَﻗْﺘَﺮِﻑَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﺳُﻮﺀﺍً، ﺃَﻭْ ﺃَﺟُﺮَّﻩُ ﺇِﻟَﻰ ﻣُﺴْﻠِﻢٍ » .
(আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রাব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফসী, ওয়ামিন শাররিশ শাইত্বা-নী ওয়াশিরকিহী/ওয়াশারাকিহী, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফসী সূ’আন আউ আজুররাহু ইলা মুসলিম)
১০৯-(১১) “হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে ও তার শির্ক বা তার ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।”[147]
১১০-(১২) আলিফ লাম মীম তানযীলায সাজদাহ ও তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক’ সূরাদ্বয় পড়বে। [148]
-111 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺳْﻠَﻤْﺖُ ﻧَﻔْﺴِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﻓَﻮَّﺿْﺖُ ﺃَﻣْﺮِﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﻭَﺟَّﻬْﺖُ ﻭَﺟْﻬِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻭَﺃَﻟْﺠَﺄْﺕُ ﻇَﻬْﺮِﻱ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺭَﻏْﺒَﺔً ﻭَﺭَﻫْﺒَﺔً ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﻻَ ﻣَﻠْﺠَﺄَ ﻭَﻻَ ﻣَﻨْﺠَﺎ ﻣِﻨْﻚَ ﺇِﻻَّ ﺇِﻟَﻴْﻚَ، ﺁﻣَﻨْﺖُ ﺑِﻜِﺘَﺎﺑِﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﻧْﺰَﻟْﺖَ، ﻭَﺑِﻨَﺒِﻴِّﻚَ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﺃَﺭْﺳَﻠْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মা আস্লামতু নাফ্সী ইলাইকা, ওয়া ফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইকা, ওয়া ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজহিয়া ইলাইকা, ওয়াআলজা’তু যাহ্রী ইলাইকা, রাগবাতান ওয়া রাহবাতান ইলাইকা। লা মালজা’আ ওয়ালা মান্জা মিনকা ইল্লা ইলাইকা। আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা ওয়াবিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা)।
১১১-(১৩) “হে আল্লাহ! [149] আমি নিজেকে আপনার কাছে সঁপে দিলাম। আমার যাবতীয় বিষয় আপনার কাছেই সোপর্দ করলাম, আমার চেহারা আপনার দিকেই ফিরালাম, আর আমার পৃষ্ঠদেশকে আপনার দিকেই ন্যস্ত করলাম; আপনার প্রতি অনুরাগী হয়ে এবং আপনার ভয়ে ভীত হয়ে। একমাত্র আপনার নিকট ছাড়া আপনার (পাকড়াও) থেকে বাঁচার কোনো আশ্রয়স্থল নেই এবং কোনো মুক্তির উপায় নেই। আমি ঈমান এনেছি আপনার নাযিলকৃত কিতাবের উপর এবং আপনার প্রেরিত নবীর উপর।” [150]
২৯. রাতে যখন পার্শ্ব পরিবর্তন করে তখন পড়ার দো‘আ
-112 « ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﻮَﺍﺣِﺪُ ﺍﻟْﻘَﻬّﺎﺭُ، ﺭَﺏُّ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻣَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﺍﻟْﻌَﺰﻳﺰُ ﺍﻟْﻐَﻔَّﺎﺭُ » .
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ওয়াহিদুল কাহ্হারু রব্বুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি ওয়ামা বাইনাহুমাল-‘আযীযুল গাফ্ফার)।
১১২- “মহাপ্রতাপশালী এক আল্লাহ ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। (তিনি) আসমানসমূহ, যমীন এবং এ দু’য়ের মধ্যস্থিত সবকিছুর রব্ব, প্রবলপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।” [151]
৩০. ঘুমন্ত অবস্থায় ভয় এবং একাকিত্বের অস্বস্তিতে পড়ার দো‘আ
-113 « ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻜَﻠِﻤَﺎﺕِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟﺘَّﺎﻣَّﺎﺕِ ﻣِﻦْ ﻏَﻀَﺒِﻪِ ﻭَﻋِﻘَﺎﺑِﻪِ، ﻭَﺷَﺮِّ ﻋِﺒَﺎﺩِﻩِ، ﻭَﻣِﻦْ ﻫَﻤَﺰَﺍﺕِ ﺍﻟﺸَّﻴﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﺃَﻥْ ﻳَﺤْﻀُﺮُﻭﻥِ » .
(আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তা-ম্মাতি মিন্ গাদ্বাবিহি ওয়া ইক্বা-বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা-দিহি ওয়ামিন হামাযা-তিশ্শায়া-ত্বীনি ওয়া আন ইয়াহ্দুরূন)।
১১৩- “আমি আশ্রয় চাই আল্লাহ্র পরিপূর্ণ কালামসমূহের অসীলায় তাঁর ক্রোধ থেকে, তাঁর শাস্তি থেকে, তাঁর বান্দাদের অনিষ্ট থেকে, শয়তানদের কুমন্ত্রণা থেকে এবং তাদের উপস্থিতি থেকে।” [152]
৩১. খারাপ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখে যা করবে
১১৪- (১) “তার বাম দিকে হাল্কা থুতু ফেলবে।” (৩ বার) [153]
(২) “শয়তান থেকে এবং যা দেখেছে তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবে প্রার্থনা করবে।” (৩ বার)
[ 154 ]
(৩) “কাউকে এ ব্যাপারে কিছু বলবে না।” [ 155 ]
(৪) “অতঃপর যে পার্শ্বে সে ঘুমিয়েছিল তা পরিবর্তন করবে।” [ 156 ]
১১৫- (৫) “যদি ইচ্ছা করে তবে উঠে সালাত আদায় করবে।” [157]
৩২.বিত্রের কুনুতের দো‘আ
-116 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍﻫْﺪِﻧِﻲ ﻓِﻴﻤَﻦْ ﻫَﺪَﻳْﺖَ، ﻭَﻋَﺎﻓِﻨِﻲ ﻓِﻴﻤَﻦْ ﻋَﺎﻓَﻴْﺖَ، ﻭَﺗَﻮَﻟَّﻨِﻲ ﻓِﻴﻤَﻦْ ﺗَﻮَﻟَّﻴْﺖَ، ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻟِﻲ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺃَﻋْﻄَﻴْﺖَ، ﻭَﻗِﻨِﻲ ﺷَﺮَّ ﻣَﺎ ﻗَﻀَﻴْﺖَ؛ ﻓَﺈِﻧَّﻚَ ﺗَﻘْﻀِﻲ ﻭَﻻَ ﻳُﻘْﻀَﻰ ﻋَﻠَﻴْﻚَ، ﺇِﻧَّﻪُ ﻻَ ﻳَﺬِﻝُّ ﻣَﻦْ ﻭَﺍﻟَﻴْﺖَ، [ ﻭَﻻَ ﻳَﻌِﺰُّ ﻣَﻦْ ﻋَﺎﺩَﻳْﺖَ ] ، ﺗَﺒﺎﺭَﻛْﺖَ ﺭَﺑَّﻨﺎ ﻭَﺗَﻌَﺎﻟَﻴْﺖَ » .
(আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্দ্বা ‘আলাইকা। ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, [ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা।] তাবা-রক্তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)।
১১৬-(১) “হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে হেদায়াত করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও হেদায়াত দিন, আপনি যাদেরকে নিরাপত্তা প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে আমাকেও নিরাপত্তা দিন, আপনি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ করুন, আপনি আমাকে যা দিয়েছেন তাতে বরকত দিন। আপনি যা ফয়সালা করেছেন তার অকল্যাণ থেকে আমাকে রক্ষা করুন। কারণ আপনিই চুড়ান্ত ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীতে ফয়সালা দেওয়া হয় না। আপনি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছেন সে অবশ্যই অপমানিত হয় না [এবং আপনি যার সাথে শত্রুতা করেছেন সে সম্মানিত হয় না।] আপনি বরকতপূর্ণ হে আমাদের রব্ব! আর আপনি সুউচ্চ-সুমহান” [158] ।
-117 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﺮِﺿَﺎﻙَ ﻣِﻦْ ﺳَﺨَﻄِﻚَ، ﻭَﺑِﻤُﻌَﺎﻓَﺎﺗِﻚَ ﻣِﻦْ ﻋُﻘُﻮﺑَﺘِﻚَ، ﻭَﺃَﻋُــــﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻨْﻚَ، ﻻَ ﺃُﺣْﺼِﻲ ﺛَﻨَﺎﺀً ﻋَﻠَﻴْﻚَ، ﺃَﻧْﺖَ ﻛَﻤَﺎ ﺃَﺛْﻨَﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﻔْﺴِﻚَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিরিদ্বা-কা মিন সাখাত্বিকা, ওয়া বিমু‘আ-ফা-তিকা মিন ‘উক্বুবাতিকা, ওয়া আঊযু বিকা মিনকা, লা উহ্সী সানা-আন আলাইকা, আনতা কামা আসনাইতা ‘আলা নাফসিকা)।
১১৭-(২) “হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টির মাধ্যমে অসন্তুষ্টি থেকে, আর আপনার নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই। আর আমি আপনার নিকটে আপনার (পাকড়াও) থেকে আশ্রয় চাই। আমি আপনার প্রশংসা গুনতে সক্ষম নই; আপনি সেরূপই, যেরূপ প্রশংসা আপনি নিজের জন্য করেছেন।” [159]
-118 « ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻳَّﺎﻙَ ﻧﻌْﺒُﺪُ، ﻭَﻟَﻚَ ﻧُﺼَﻠِّﻲ ﻭَﻧَﺴْﺠُﺪُ، ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻧَﺴْﻌَﻰ ﻭَﻧَﺤْﻔِﺪُ، ﻧَﺮْﺟُﻮ ﺭَﺣْﻤَﺘَﻚَ، ﻭَﻧَﺨْﺸَﻰ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ، ﺇِﻥَّ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ ﺑِﺎﻟﻜَﺎﻓِﺮِﻳﻦَ ﻣُﻠْﺤَﻖٌ . ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺴْﺘَﻌﻴﻨُﻚَ، ﻭَﻧَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ، ﻭَﻧُﺜْﻨِﻲ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮَ، ﻭَﻻَ ﻧَﻜْﻔُﺮُﻙَ، ﻭَﻧُﺆْﻣِﻦُ ﺑِﻚَ، ﻭَﻧَﺨْﻀَﻊُ ﻟَﻚَ، ﻭَﻧَﺨْﻠَﻊُ ﻣَﻦْ ﻳَﻜْﻔﺮُﻙَ » .
(আল্লা-হুম্মা ইয়্যাকা না‘বুদু, ওয়ালাকা নুসাল্লী, ওনাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস‘আ, ওয়া নাহ্ফিদু, নারজূ রাহ্মাতাকা, ওয়া নাখশা ‘আযা-বাকা, ইন্না ‘আযা-বাকা বিলকাফিরীনা মুলহাক্ব। আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসতা‘ঈনুকা ওয়া নাসতাগফিরুকা, ওয়া নুসনী ‘আলাইকাল খাইরা, ওয়ালা- নাকফুরুকা, ওয়ানূ’মিনু বিকা, ওয়া নাখদ্বা‘উ লাকা, ওয়ানাখলা‘উ মাই ইয়াকফুরুকা।)
১১৮-(৩) “হে আল্লাহ! আমরা আপনারই ইবাদত করি; আপনার জন্যই সালাত আদায় করি ও সিজদা করি; আমরা আপনার দিকেই দৌড়াই এবং দ্রুত অগ্রসর হই; আমরা আপনার করুণা লাভের আকাঙ্ক্ষা করি এবং আপনার শাস্তিকে ভয় করি। নিশ্চয় আপনার শাস্তি কাফেরদেরকে পাবে।”
“হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা আপনার কাছে সাহায্য চাই, আপনার কাছে ক্ষমা চাই, আপনার উত্তম প্রশংসা করি, আপনার সাথে কুফরি করি না, আপনার উপর ঈমান আনি, আপনার প্রতি অনুগত হই, আর যে আপনার সাথে কুফরি করে আমরা তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি।” [160]
৩৩. বিত্রের নামায থেকে সালাম ফিরানোর পরের যিক্র
-119 « ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻤَﻠِﻚِ ﺍﻟﻘُﺪُّﻭﺱِ »
(সুবহা-নাল মালিকিল ক্বুদ্দূস)
১১৯- “কতই না পবিত্র-মহান সেই মহাপবিত্র বাদশা!”
তিনবার বলতেন; তৃতীয়বারে উচ্চস্বরে টেনে টেনে পড়ে বলতেন,
« [ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻤَﻼَﺋِﻜَﺔِ ﻭَﺍﻟﺮُّﻭﺡِ ] » .
([রাব্বিল মালা-ইকাতি ওয়ার-রূহ])।
“[যিনি ফেরেশতা ও রূহ -এর রব।]” [161]
0 Comments