সাহাবীদের জুলুম-নির্যাতন সহ্যের কিছু দৃষ্টান্ত >>>
ইসলামের প্রথম শহীদ সুমাইয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)।
দুর্বৃত্ত আবু জাহল সুমাইয়া (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর লজ্জাস্থানে তীর দিয়ে আঘাত হানলে তৎক্ষনাৎ তিনি শাহাদত বরণ করেন।
তারা আম্মার (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)এর উপরও শাস্তি কঠোর করে, কখনও তাকে তারা উত্তপ্ত রোদ্রে ফেলে শাস্তি দিত, কখনও ভারি প্রস্তর তার উপরে চাপিয়ে রাখতো, আবার কখনও আগুনে দগ্ধ করে শাস্তি দিত। এবং বলতোঃ যতক্ষন তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে গালি না দিবে অথবা “লাত” ও “উয্যা” সম্পর্কে ভালো কথা না বলবে ততক্ষন আমরা তোমাকে ছাড়ব না।
তিনি বাধ্য হয়েই তখন তাদের কথায় সম্মতি দেন। এবং পরবর্তীতে ক্রন্দনরত অবস্থায় ও রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিকটে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য উপস্থিত হন। আল্লাহ্ তা’আলা তার প্রেক্ষিতে এই আয়াতটি নাযিল করেনঃ
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ وَلَٰكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ
কেহ ঈমান আনার পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং কুফরীর জন্য হৃদয় উন্মুক্ত রাখলে তার উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তার জন্য আছে মহাশাস্তি; তবে তার জন্য নয়, যাকে কুফরীর জন্য বাধ্য করা হয়, কিন্তু তার অন্তর ঈমানে অটল থাকে। (সূরা নাহলঃ ১০৬)
যে সমস্ত সাহাবী কাফেরদের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বেলাল (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাদের অন্যতম। তাকে আল্লাহর রাস্তায় কঠিন শাস্তি দেয়া হয়েছে। আল্লাহর জন্য নিজের জানকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন এবং স্বজাতির কাছে নিজেকে ছেড়ে রেখেছিলেন। মুশরিকরা তাঁকে দুষ্ট ছেলেদের হাতে তুলে দিয়েছিল। ওরা তাঁকে মক্কার গলিতে টেনে নিয়ে বেড়াত, আর তিনি বলতেন, আহাদ, আহাদ। ওরাকা বিন নাওফাল তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলতেনঃ হ্যাঁ, বেলাল। ঠিক বলছ। আহাদ, আহাদ। আল্লাহ্ এক, আল্লাহ্ এক। আল্লাহর শপথ! তোমরা যদি তাঁকে হত্যা করে ফেল আমি তাঁর হত্যায় মমতা প্রকাশ করব।
বেলাল (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উমাইয়া বিন খাল্ফের দাস ছিলেন। উমাইয়া তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করত, উত্তপ্ত রৌদ্রে অভূক্ত অবস্থায় ফেলে রাখত। যখন দ্বিপ্রহরের কঠিন রোদে বালু উত্তপ্ত হয়ে উঠতো তখন তাকে মক্কার মরুভূমিতে নিয়ে যেত, অতঃপর চিৎ করে শুইয়ে তার বক্ষদেশে বিশাল একটি পাথর চাপিয়ে দিত। তখন তিনি বলতেন, আহাদ, আহাদ - আল্লাহ্ এক, আল্লাহ্ এক। একদা আবু বকর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন, সে সময় তার শাস্তি হচ্ছিল। তিনি তাকে একটি কৃষ্ণ দাসের বিনিময়ে ক্রয় করেন। মতান্তরে তিনি তাকে পাঁচ উকিয়া (দু’শ দিরহাম) রৌপ্যের বিনিময়ে ক্রয় করে আযাদ করে দিয়েছিলেন।
যে সমস্ত সাহাবী কাফেরদের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বেলাল (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাদের অন্যতম। তাকে আল্লাহর রাস্তায় কঠিন শাস্তি দেয়া হয়েছে। আল্লাহর জন্য নিজের জানকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন এবং স্বজাতির কাছে নিজেকে ছেড়ে রেখেছিলেন। মুশরিকরা তাঁকে দুষ্ট ছেলেদের হাতে তুলে দিয়েছিল। ওরা তাঁকে মক্কার গলিতে টেনে নিয়ে বেড়াত, আর তিনি বলতেন, আহাদ, আহাদ। ওরাকা বিন নাওফাল তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলতেনঃ হ্যাঁ, বেলাল। ঠিক বলছ। আহাদ, আহাদ। আল্লাহ্ এক, আল্লাহ্ এক। আল্লাহর শপথ! তোমরা যদি তাঁকে হত্যা করে ফেল আমি তাঁর হত্যায় মমতা প্রকাশ করব।
বেলাল (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উমাইয়া বিন খাল্ফের দাস ছিলেন। উমাইয়া তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করত, উত্তপ্ত রৌদ্রে অভূক্ত অবস্থায় ফেলে রাখত। যখন দ্বিপ্রহরের কঠিন রোদে বালু উত্তপ্ত হয়ে উঠতো তখন তাকে মক্কার মরুভূমিতে নিয়ে যেত, অতঃপর চিৎ করে শুইয়ে তার বক্ষদেশে বিশাল একটি পাথর চাপিয়ে দিত। তখন তিনি বলতেন, আহাদ, আহাদ - আল্লাহ্ এক, আল্লাহ্ এক। একদা আবু বকর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) তাঁর নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন, সে সময় তার শাস্তি হচ্ছিল। তিনি তাকে একটি কৃষ্ণ দাসের বিনিময়ে ক্রয় করেন। মতান্তরে তিনি তাকে পাঁচ উকিয়া (দু’শ দিরহাম) রৌপ্যের বিনিময়ে ক্রয় করে আযাদ করে দিয়েছিলেন।
0 Comments