>>>> মুনকার ও নাকীর প্রসঙ্গ <<<<
হাদীসে এসেছে :
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﺇﺫﺍ ﻗﺒﺮ ﺍﻟﻤﻴﺖ ( ﺃﻭ ﻗﺎﻝ ﺃﺣﺪﻛﻢ ) ﺃﺗﺎﻩ ﻣﻠﻜﺎﻥ ﺃﺳﻮﺩﺍﻥ ﺃﺯﺭﻗﺎﻥ . ﻳﻘﺎﻝ ﻷﺣﺪﻫﻤﺎ : ﺍﻟﻤﻨﻜﺮ ﻭﺍﻵﺧﺮ ﺍﻟﻨﻜﻴﺮ . ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻣﺎ ﻛﻨﺖ ﺗﻘﻮﻝ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺮﺟﻞ ؟ ﻓﻴﻘﻮﻝ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻳﻘﻮﻝ : ﻫﻮ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ . ﺃﺷﻬﺪ ﺃﻥ ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺃﻥ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﻋﺒﺪﻩ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ . ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻗﺪ ﻛﻨﺎ ﻧﻌﻠﻢ ﺃﻧﻚ ﺗﻘﻮﻝ ﻫﺬﺍ . ﺛﻢ ﻳﻔﺴﺢ ﻟﻪ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﺳﺒﻌﻮﻥ ﺫﺭﺍﻋﺎ ﻓﻲ ﺳﺒﻌﻴﻦ . ﺛﻢ ﻳﻨﻮﺭ ﻟﻪ ﻓﻴﻪ . ﺛﻢ ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ : ﻧﻢ . ﻓﻴﻘﻮﻝ ﺃﺭﺟﻊ ﺇﻟﻰ ﺃﻫﻠﻲ ﻓﺄﺧﺒﺮﻫﻢ ؟ ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻧﻢ ﻛﻨﻮﻣﺔ ﺍﻟﻌﺮﻭﺱ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳﻮﻗﻈﻪ ﺇﻻ ﺃﺣﺐ ﺃﻫﻠﻪ ﺇﻟﻴﻪ ، ﺣﺘﻰ ﻳﺒﻌﺜﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻣﻀﺠﻌﻪ ﺫﻟﻚ . ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻣﻨﺎﻓﻘﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﻓﻘﻠﺖ ﻣﺜﻠﻪ . ﻻ ﺃﺩﺭﻱ . ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻗﺪ ﻛﻨﺎ ﻧﻌﻠﻢ ﺃﻧﻚ ﺗﻘﻮﻝ ﺫﻟﻚ . ﻓﻴﻘﺎﻝ ﻟﻸﺭﺽ : ﺍﻟﺘﺌﻤﻲ ﻋﻠﻴﻪ . ﻓﺘﻠﺘﺌﻢ ﻋﻠﻴﻪ . ﻓﺘﺨﺘﻠﻒ ﺃﺿﻼﻋﻪ . ﻓﻼ ﻳﺰﺍﻝ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻌﺬﺑﺎ ﺣﺘﻰ ﻳﺒﻌﺜﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻣﻀﺠﻌﻪ ﺫﻟﻚ .
ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ ﻏﺮﻳﺐ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺳﻨﺪﻩ ﺣﺴﻦ ﻭﻫﻮ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ، ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ 2/236
হাদীসে এসেছে :
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﺇﺫﺍ ﻗﺒﺮ ﺍﻟﻤﻴﺖ ( ﺃﻭ ﻗﺎﻝ ﺃﺣﺪﻛﻢ ) ﺃﺗﺎﻩ ﻣﻠﻜﺎﻥ ﺃﺳﻮﺩﺍﻥ ﺃﺯﺭﻗﺎﻥ . ﻳﻘﺎﻝ ﻷﺣﺪﻫﻤﺎ : ﺍﻟﻤﻨﻜﺮ ﻭﺍﻵﺧﺮ ﺍﻟﻨﻜﻴﺮ . ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻣﺎ ﻛﻨﺖ ﺗﻘﻮﻝ ﻓﻲ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺮﺟﻞ ؟ ﻓﻴﻘﻮﻝ ﻣﺎ ﻛﺎﻥ ﻳﻘﻮﻝ : ﻫﻮ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ . ﺃﺷﻬﺪ ﺃﻥ ﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺃﻥ ﻣﺤﻤﺪﺍ ﻋﺒﺪﻩ ﻭﺭﺳﻮﻟﻪ . ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻗﺪ ﻛﻨﺎ ﻧﻌﻠﻢ ﺃﻧﻚ ﺗﻘﻮﻝ ﻫﺬﺍ . ﺛﻢ ﻳﻔﺴﺢ ﻟﻪ ﻓﻲ ﻗﺒﺮﻩ ﺳﺒﻌﻮﻥ ﺫﺭﺍﻋﺎ ﻓﻲ ﺳﺒﻌﻴﻦ . ﺛﻢ ﻳﻨﻮﺭ ﻟﻪ ﻓﻴﻪ . ﺛﻢ ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ : ﻧﻢ . ﻓﻴﻘﻮﻝ ﺃﺭﺟﻊ ﺇﻟﻰ ﺃﻫﻠﻲ ﻓﺄﺧﺒﺮﻫﻢ ؟ ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻧﻢ ﻛﻨﻮﻣﺔ ﺍﻟﻌﺮﻭﺱ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳﻮﻗﻈﻪ ﺇﻻ ﺃﺣﺐ ﺃﻫﻠﻪ ﺇﻟﻴﻪ ، ﺣﺘﻰ ﻳﺒﻌﺜﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻣﻀﺠﻌﻪ ﺫﻟﻚ . ﻭﺇﻥ ﻛﺎﻥ ﻣﻨﺎﻓﻘﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻳﻘﻮﻟﻮﻥ ﻓﻘﻠﺖ ﻣﺜﻠﻪ . ﻻ ﺃﺩﺭﻱ . ﻓﻴﻘﻮﻻﻥ : ﻗﺪ ﻛﻨﺎ ﻧﻌﻠﻢ ﺃﻧﻚ ﺗﻘﻮﻝ ﺫﻟﻚ . ﻓﻴﻘﺎﻝ ﻟﻸﺭﺽ : ﺍﻟﺘﺌﻤﻲ ﻋﻠﻴﻪ . ﻓﺘﻠﺘﺌﻢ ﻋﻠﻴﻪ . ﻓﺘﺨﺘﻠﻒ ﺃﺿﻼﻋﻪ . ﻓﻼ ﻳﺰﺍﻝ ﻓﻴﻬﺎ ﻣﻌﺬﺑﺎ ﺣﺘﻰ ﻳﺒﻌﺜﻪ ﺍﻟﻠﻪ ﻣﻦ ﻣﻀﺠﻌﻪ ﺫﻟﻚ .
ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻭﻗﺎﻝ : ﺣﺪﻳﺚ ﺣﺴﻦ ﻏﺮﻳﺐ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻷﻟﺒﺎﻧﻲ ﺳﻨﺪﻩ ﺣﺴﻦ ﻭﻫﻮ ﻋﻠﻰ ﺷﺮﻁ ﻣﺴﻠﻢ، ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻊ 2/236
আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: যখন তোমাদের মধ্য হতে কোন মৃত ব্যক্তিকে কবর দেয়া হয় তখন নীল চোখের দু জন কালো ফেরেশতা আগমন করে। একজনের নাম মুনকার অন্যজনের নাম হল নাকীর। তারা তাকে জিজ্ঞেস করে, এই ব্যক্তি সম্পর্কে তোমরা কী বলতে? সে বলবে, সে আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দা ও রাসূল। তখন ফেরেশতাদ্বয় বলবে, আমরা আগেই জানতাম তুমি এ উত্তরই দেবে। এরপর তার কবরকে সত্তর হাত প্রশস্ত করে দেয়া হয়। সেখানে আলোর ব্যবস্থা করা হয়। এরপর তাকে বলা হয়, এখন তুমি নিদ্রা যাও। সে বলবে, আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যাবো, তাদেরকে (আমার অবস্থা সম্পর্কে) এ সংবাদ দেব। তখন ফেরেশতাদ্বয় তাকে বলে, তুমি ঘুমাও সেই নব বধুর মত যাকে তার প্রিয়জন ব্যতীত কেহ জাগ্রত করে না। এমনিভাবে একদিন আল্লাহ তাকে জাগ্রত করবেন।
আর যদি সে ব্যক্তি মুনাফেক হয়, সে উত্তর দেবে আমি তাঁর (রাসূলুল্লাহ) সম্পর্কে মানুষকে যা বলতে শুনেছি তাই বলতাম। বাস্তব অবস্থা আমি জানি না। তাকে ফেরেশ্তাদ্বয় বলবে, আমরা জানতাম, তুমি এই উত্তরই দেবে। তখন মাটিকে বলা হবে তার উপর চাপ সৃষ্টি করো। মাটি এমন চাপ সৃষ্টি করবে যে, তার হাড্ডিগুলো আলাদা হয়ে যাবে। কেয়ামত সংঘটনের সময় তার উত্থান পর্যন্ত এ শাস্তি অব্যাহত থাকবে।
তাহক্কীকঃ
বর্ণনায়: তিরমিজী, তিনি বলেছেন হাদীসটি হাসান গরীব। আলবানী রহ. বলেছেন হাদীসটির সুত্র হাসান। হাদীসটি ইমাম মুসলিমের বিশুদ্ধতার শর্তে উত্তীর্ণ।
>>>> হাদীস থেকে শিক্ষনীয় দিক <<<<
হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতাদের নাম ও তাদের বর্ণ আলোচনা হল।
২- ঈমানদারদের জন্য কবর প্রশস্ত করা হবে। কবরের অন্ধকার দূর করতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
৩- ঈমানদার কবরের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর পরিবারের কাছে ফিরে আসতে চাবে তার নিজের সফলতার সুসংবাদ শুনানোর জন্য ও পরিবারের লোকেরা যেন এ সফলতা অর্জনের জন্য সৎকর্ম করে সে ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য।
৪- ঈমানদার ব্যক্তি বরযখের জীবনে সুখ-নিদ্রায় বিভোর থাকবে। যখন কেয়ামত সংঘটিত হবে তখন তার নিদ্রা ভেঙ্গে যাবে ফলে সে অনেকটা বিরক্তির স্বরে বলবে :
ﻳَﺎ ﻭَﻳْﻠَﻨَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻌَﺜَﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﻣَﺮْﻗَﺪِﻧَﺎ ﻫَﺬَﺍ ﻣَﺎ ﻭَﻋَﺪَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ ﻭَﺻَﺪَﻕَ ﺍﻟْﻤُﺮْﺳَﻠُﻮﻥَ ( ﺳﻮﺭﺓ ﻳﺲ 52 : )
হায়! কে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো? (তাদের বলা হবে) এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুণাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন। (সূরা ইয়াসীন, আয়াত ৫২)
৫- কাফের ও মুনাফেকরা কবরে শাস্তি ভোগ করবে।
আর যদি সে ব্যক্তি মুনাফেক হয়, সে উত্তর দেবে আমি তাঁর (রাসূলুল্লাহ) সম্পর্কে মানুষকে যা বলতে শুনেছি তাই বলতাম। বাস্তব অবস্থা আমি জানি না। তাকে ফেরেশ্তাদ্বয় বলবে, আমরা জানতাম, তুমি এই উত্তরই দেবে। তখন মাটিকে বলা হবে তার উপর চাপ সৃষ্টি করো। মাটি এমন চাপ সৃষ্টি করবে যে, তার হাড্ডিগুলো আলাদা হয়ে যাবে। কেয়ামত সংঘটনের সময় তার উত্থান পর্যন্ত এ শাস্তি অব্যাহত থাকবে।
তাহক্কীকঃ
বর্ণনায়: তিরমিজী, তিনি বলেছেন হাদীসটি হাসান গরীব। আলবানী রহ. বলেছেন হাদীসটির সুত্র হাসান। হাদীসটি ইমাম মুসলিমের বিশুদ্ধতার শর্তে উত্তীর্ণ।
>>>> হাদীস থেকে শিক্ষনীয় দিক <<<<
হাদীসটি থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম :
১- কবরে প্রশ্নকারী ফেরেশতাদের নাম ও তাদের বর্ণ আলোচনা হল।
২- ঈমানদারদের জন্য কবর প্রশস্ত করা হবে। কবরের অন্ধকার দূর করতে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।
৩- ঈমানদার কবরের প্রশ্নোত্তর পর্বের পর পরিবারের কাছে ফিরে আসতে চাবে তার নিজের সফলতার সুসংবাদ শুনানোর জন্য ও পরিবারের লোকেরা যেন এ সফলতা অর্জনের জন্য সৎকর্ম করে সে ব্যাপারে উৎসাহিত করার জন্য।
৪- ঈমানদার ব্যক্তি বরযখের জীবনে সুখ-নিদ্রায় বিভোর থাকবে। যখন কেয়ামত সংঘটিত হবে তখন তার নিদ্রা ভেঙ্গে যাবে ফলে সে অনেকটা বিরক্তির স্বরে বলবে :
ﻳَﺎ ﻭَﻳْﻠَﻨَﺎ ﻣَﻦْ ﺑَﻌَﺜَﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﻣَﺮْﻗَﺪِﻧَﺎ ﻫَﺬَﺍ ﻣَﺎ ﻭَﻋَﺪَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ ﻭَﺻَﺪَﻕَ ﺍﻟْﻤُﺮْﺳَﻠُﻮﻥَ ( ﺳﻮﺭﺓ ﻳﺲ 52 : )
হায়! কে আমাদের নিদ্রাস্থল থেকে উঠালো? (তাদের বলা হবে) এটা তো তা যার ওয়াদা পরম করুণাময় করেছিলেন এবং রাসূলগণ সত্য বলেছিলেন। (সূরা ইয়াসীন, আয়াত ৫২)
৫- কাফের ও মুনাফেকরা কবরে শাস্তি ভোগ করবে।
0 Comments