*** বাংলা নববর্ষ, সম্রাট আকবর-এর সুন্নাহ ***
মোগল সম্রাট আকবর আজ থেকে প্রায় ৪৩৩ বছর আগে ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে বাংলা সনের প্রচলন করেন। আর ইসলাম এসেছে প্রায় ১৪৫০ বছর আগে। পহেলা বৈশাখ-এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। “বাংলা সন” হলো আকবরের সুন্নাহ। সম্রাট আকবর “দ্বীনে ইলাহি” নামে একটি নতুন দ্বীন চালু করেছিল। কিন্তু তার সেই “দ্বীনে ইলাহি” প্রচার-প্রসার লাভ করতে পারে নাই। কিন্তু তার প্রবর্তিত বাংলা সন ব্যাপক ভাবে প্রচার-প্রসার লাভ করে যা আজ পহেলা বৈশাখের অপসংস্কৃতিতে মানুষ গা ভাসিয়ে দিচ্ছে। পহেলা বৈশাখ উদযাপন হাজার বছরের নয়, সেটা বাঙ্গালির ৫০০ বছর কম বছরের সংস্কৃতি।
*** ছায়ানটঃ ***
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ছায়ানট। ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ছায়ানটের জন্মই যেখানে ৫৬ বছর আগে, সেখানে গানের মাধ্যমে রমনা বটমূলে বর্ষবরণ করাকে হাজার বছরের বাঙ্গালি সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেওয়া প্রথম শ্রেণির একটা কৌতুক।
*** মঙ্গল শোভাযাত্রাঃ ***
মঙ্গল শোভাযাত্রার বয়স মাত্র ২৮ বছর। ১৯৮৯ সালের আগে এরকম কিছু হতো না। ’আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান চালু করে চারুকলার কিছু ছাত্র, যা পরে নাম বদলে দেওয়া হলো ”মঙ্গল শোভাযাত্রা।” এর অন্যতম সংগঠক ছিলো শিল্পী তরুণ ঘোষ।
*** পান্তা-ইলিশঃ ***
পান্তা-ইলিশ বাংলাদেশে প্রথম চালু হয় ১৯৮৩ সালের বৈশাখের সময়। যার ইতিহাস মাত্র ৩৪ বছর। দৈনিক জনকণ্ঠের সাংবাদিক বোরহান আহমেদ, কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল সহ কিছু তরুণ সাংবাদিক কবি প্রথম পান্তা ইলিশের আয়োজন করে রমনার বটমুলে।
পরিশেষে বলবো; পহেলা বৈশাখকে উৎসব দিবসের মর্যাদা দিয়ে সর্বজনীননতার নামে ইদানিং যা হচ্ছে, তা আমাদের ঈমান ও ইবাদাতের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ; কুফুর ও শির্কে পরিপূর্ণ। বৈশাখ বরণের নামে এসব অনুষ্ঠান কখনো মুসলিম সংস্কৃতির অংশ হতে পারে না।
0 Comments