Header Ads Widget

Responsive Advertisement

জামাতের সাথে সালাতে তারাবির ফযিলত


● জামাতের সাথে সালাতে তারাবির ফযিলত ●

আবুযর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রমযানের সওম পালন করলাম। তিনি মাসের কোন অংশে আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করেননি, যখন সাত দিন বাকি, তিনি আমাদের নিয়ে দাঁড়ালেন, রাতের এক তৃতীয়াংশ চলে গেল। যখন ষষ্ঠ দিন বাকি, তিনি আমাদের সাথে দাঁড়ালেন না। যখন পাঁচ দিন বাকি, তিনি আমাদের নিয়ে দাঁড়ালেন রাতের অর্ধেক চলে গেল। আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, যদি রাতের বাকি অংশ আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করতেন! তিনি বললেন:
إنَّ الرَّجُلَ إذا صَلَّى مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنصَرِفَ حُسِبَ له قِيَامُ لَيلَةٍ،
“ব্যক্তি যখন ইমামের প্রস্থান পর্যন্ত তার সাথে সালাত আদায় করে, তার জন্য পূর্ণ রাতের সওয়াব লেখা হয়”।
তিনি বললেন: যখন চতুর্থ রাত বাকি, তিনি দাঁড়ালেন না। যখন তৃতীয় রাত বাকি, তিনি নিজ পরিবার, নারী ও লোকদের জমা করে আমাদের সাথে দাঁড়ালেন, অবশেষে আমরা আশঙ্কা করলাম, আমাদের থেকে ‘ফালাহ’ না ছুটে যায়। তিনি বলেন: আমি জিজ্ঞাসা করলাম: ‘ফালাহ’ কি? তিনি বললেন: সেহরি। অতঃপর মাসের অবশিষ্ট দিনে তিনি আমাদের সাথে দাঁড়াননি”। {আবু দাউদ: (১৩৭৫), তিরমিযি: (৮০৬), তিনি বলেছেন হাদিসটি হাসান। নাসায়ি: (৩/৮৩), ইব্‌ন মাজাহ: (১৩২৭), আহমদ: (৫/১৬৩), ইব্‌ন খুযাইমাহ: (২২০৫) ও ইব্‌ন হিব্বান: (২৫৪৭) হাদিসটি সহিহ বলেছেন।}




শিক্ষা ও মাসায়েল:

এক. এ হাদিস প্রমাণ করে সালাতে তারাবি সুন্নত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূচনা ফরয হওয়ার শঙ্কায় তা ত্যাগ করেন।

দুই. মসজিদে মুসলিমদের সাথে নারীদের তারাবি পড়া বৈধ, কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ পরিবার, স্ত্রী ও লোকদের জমা করে তাদের সাথে সালাত আদায় করেছেন।

তিন. ইমামের সাথে যে কিয়াম করল তার প্রস্থানের পূর্ব পর্যন্ত, তার জন্য পূর্ণ রাতের কিয়াম লেখা হবে। সুতরাং মুসলিমদের উচিত এ কল্যাণে অলসতা না করা। রমযানের প্রত্যেক রাতে মুসলিমদের সাথে তারাবি পূর্ণ করা। ইমাম আহমদ রহ.-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: “রমযানে জমাতের সাথে ব্যক্তির সালাত আপনার পছন্দ, না একাকী সালাত? তিনি বলেন: জামাতের সাথে সালাত আদায় করবে ও সুন্নত জীবিত করবে। তিনি আরো বলেন: আমার পছন্দ হচ্ছে ইমামের সাথে সালাত আদায় করা ও বেতর পড়া”।

চার. রাতের প্রথমে তারাবিহ পড়া সুন্নত, যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবায়ে কেরাম করেছেন। ইমাম আহমদ রহ.-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: “কিয়াম (তারাবি) কি শেষ রাত পর্যন্ত বিলম্ব করব? তিনি বললেন: না, মুসলিমদের সুন্নত আমার নিকট অধিক প্রিয়”। শায়খ ইব্‌ন বায রহ.-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: যদি সবাই শেষ রাতে বেতর পড়তে রাজি হয়? তিনি বললেন: সবার সাথে প্রথম রাতে সালাত আদায় করা অধিক উত্তম।

পাঁচ. ব্যক্তি যদি নিজের মধ্যে ইবাদতের আগ্রহ ও শক্তি দেখে, তাহলে মুসলিমদের সাথে প্রথম রাতে সালাত পূর্ণ করবে, অতঃপর শেষ রাতে নিজের জন্য যত ইচ্ছা সালাত আদায় করবে। তাহলে সে দু’টি কল্যাণ জমা করল: ইমামের সাথে সালাতের কল্যাণ ও শেষ রাতে সালাতের কল্যাণ।

ইবরাহিম ইব্‌ন মুহাম্মাদ আল-হাকিল
অনুবাদ : সানাউল্লাহ নজির আহমদ
সম্পাদনা : আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

Post a Comment

0 Comments