Header Ads Widget

Responsive Advertisement

শয়তান ও তার শয়তানি কাজ-কারবারসমূহের কিছু বিবরণ


=== বিষয়ঃ শয়তান ও তার শয়তানি কাজ-কারবারসমূহের কিছু বিবরণ ===
أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাচ্ছি।

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

[শয়ত্বা-ন] شَيْطَان শব্দের অর্থ ইবলীস, দুরাচারী, দুরাত্মা, দুর্বৃত্ত। এর বহুবচন شَيَاطِين (শায়া-ত্বীন)। শয়তান বললে ইবলীসকে বুঝায়, আবার জিন ও মানুষের মধ্যেও শয়তান আছে।

>>> শয়তান এই কুরআন নিয়ে অবতরণ করেনি <<<
وَمَا تَنَزَّلَتْ بِهِ الشَّيَاطِينُ وَمَا يَنْبَغِي لَهُمْ وَمَا يَسْتَطِيعُونَ
আর শয়তানরা তা (কুরআন) নিয়ে অবতরণ করেনি। তারা এ কাজের যোগ্য নয় এবং তারা এর সামর্থ্যও রাখে না। আশ্-শু‘আরা, ২৬/২১০-২১১


وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَجِيمٍ فَأَيْنَ تَذْهَبُونَ إِنْ هُوَ إِلا ذِكْرٌ لِلْعَالَمِينَ لِمَنْ شَاءَ مِنْكُمْ أَنْ يَسْتَقِيمَ
আর তা (কুরআন) কোন অভিশপ্ত শয়তানের বাণী নয়। সুতরাং তোমরা কোথায় চলেছ? এটা তো কেবল বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ। তার জন্য- তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সরল সঠিক পথে চলতে চায়। আত-তাকভীর, ৮১/২৫-২৮

>>> বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে হবে <<<
فَإِذَا قَرَأْتَ الْقُرْآنَ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
সুতরাং যখন তুমি কুরআন পাঠ কর তখন আল্লাহর নিকট বিতাড়িত শয়তান হতে পানাহ চাও। আন্-নাহ্ল, ১৬/৯৮

وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
আর যদি শয়তানের পক্ষ হতে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর আশ্রয় চাও; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। আল-আ‘রাফ, ৭/২০০

وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
আর যদি শয়তানের পক্ষ হতে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তবে তুমি আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাও; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। ফুসফিলাত, ৪১/৩৬

رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ
রাব্বি আউ-যুবিকা মিন্ হামাযা-তিশ্ শাইয়া-ত্বি---ন্ ওয়া আউ-যুবিকা রাব্বি আই-ইয়াহদ্বুরু--ন
হে আমার রব! শয়তানের প্ররোচনা হতে আমি আপনার কাছে পানাহ চাই। আর হে আমার রব! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই, ওদের (শয়তানদের) উপস্থিতি হতে। মু’মিনুন, ২৩/৯৭-৯৮

>>> শয়তান মানুষের স্পষ্ট ও প্রকাশ্য শত্রু <<<
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
হে মুমিনগণ, তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর আর শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না, নিশ্চয় সে তোমাদের স্পষ্ট শত্রু। আল-বাকারাহ, ২/২০৮

إِنَّ الشَّيْطَانَ لِلإنْسَانِ عَدُوٌّ مُبِينٌ
নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। ইউসুফ, ১২/৫

قَالَ هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ
সে (মূসা) বলেছিল, ‘এটা শয়তানের কাজ, নিশ্চয় সে পথভ্রষ্টকারী প্রকাশ্য শত্রু’। আল-কাসাস, ২৮/১৫

>>> শয়তান ও মানুষ পরস্পর পরস্পরের শত্রু <<<
وَقُلْنَا يَا آدَمُ اسْكُنْ أَنْتَ وَزَوْجُكَ الْجَنَّةَ وَكُلا مِنْهَا رَغَدًا حَيْثُ شِئْتُمَا وَلا تَقْرَبَا هَذِهِ الشَّجَرَةَ فَتَكُونَا مِنَ الظَّالِمِينَ فَأَزَلَّهُمَا الشَّيْطَانُ عَنْهَا فَأَخْرَجَهُمَا مِمَّا كَانَا فِيهِ وَقُلْنَا اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الأرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ
আর আমি বললাম, ‘হে আদম, তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর এবং তা থেকে আহার কর স্বাচ্ছন্দ্যে, তোমাদের ইচ্ছানুযায়ী, কিন্তু এই গাছটির নিকটবর্তী হয়ো না, তাহলে তোমরা যালেমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। কিন্তু শয়তান তা থেকে তাদেরকে বিচ্যুত করল এবং তারা উভয়ে যেখানে ছিল সেখান থেকে তাদেরকে বের করলো; আর আমি বললাম, ‘তোমরা নেমে যাও, তোমরা পরস্পর পরস্পরের শত্রু; আর পৃথিবীতে তোমাদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবাস ও ভোগ-সামগ্রী’। আল-বাকারাহ, ২/৩৫-৩৬

قَالَ اهْبِطُوا بَعْضُكُمْ لِبَعْضٍ عَدُوٌّ وَلَكُمْ فِي الأرْضِ مُسْتَقَرٌّ وَمَتَاعٌ إِلَى حِينٍ
তিনি (আল্লাহ) বললেন, ‘তোমরা নেমে যাও, তোমরা পরস্পর পরস্পরের শত্রু; আর পৃথিবীতে তোমাদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবাস ও ভোগ-সামগ্রী’। আল-আ‘রাফ, ৭/২৪

>>> আমাদের আদি পিতার সাথে শয়তানের প্রতারণা <<<
فَوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطَانُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وُورِيَ عَنْهُمَا مِنْ سَوْآتِهِمَا وَقَالَ مَا نَهَاكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلا أَنْ تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ
অতঃপর শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল, যাতে সে তাদের জন্য প্রকাশ করে দেয় তাদের লজ্জাস্থান, যা তাদের থেকে গোপন রাখা হয়েছিল এবং সে (শয়তান) বলল, ‘তোমাদের রব তোমাদেরকে কেবল এ জন্য এ গাছ থেকে নিষেধ করেছেন যে, (তা খেলে) তোমরা ফেরেশতা হয়ে যাবে অথবা তোমরা চিরস্থায়ীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে’। আল-আ‘রাফ, ৭/২০

فَوَسْوَسَ إِلَيْهِ الشَّيْطَانُ قَالَ يَا آدَمُ هَلْ أَدُلُّكَ عَلَى شَجَرَةِ الْخُلْدِ وَمُلْكٍ لا يَبْلَى
অতঃপর শয়তান তাকে কুমন্ত্রণা দিল, বলল, ‘হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব চিরস্থায়ী- জীবনদায়ী গাছের কথা আর অক্ষয় রাজ্যের কথা যা কোনদিন ক্ষয় হবে না? ত্ব-হা, ২০/১২০

فَدَلاهُمَا بِغُرُورٍ فَلَمَّا ذَاقَا الشَّجَرَةَ بَدَتْ لَهُمَا سَوْآتُهُمَا وَطَفِقَا يَخْصِفَانِ عَلَيْهِمَا مِنْ وَرَقِ الْجَنَّةِ وَنَادَاهُمَا رَبُّهُمَا أَلَمْ أَنْهَكُمَا عَنْ تِلْكُمَا الشَّجَرَةِ وَأَقُلْ لَكُمَا إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمَا عَدُوٌّ مُبِينٌ
অতঃপর সে তাদেরকে প্রতারণার মাধ্যমে পদস্খলিত করল, যখন তারা সেই নিষিদ্ধ গাছের ফলের স্বাদ গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়ল আর তারা জান্নাতের পাতা দিয়ে নিজেদেরকে ঢাকতে লাগল এবং তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে ঐ গাছটি থেকে নিষেধ করিনি এবং তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয় শয়তান তোমাদের জন্য স্পষ্ট শত্রু’? আল-আ‘রাফ, ৭/২২

>>> কেয়ামত দিবস পর্যন্ত শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করবে <<<
وَإِنَّ عَلَيْكَ اللَّعْنَةَ إِلَى يَوْمِ الدِّينِ قَالَ رَبِّ فَأَنْظِرْنِي إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُونَ قَالَ فَإِنَّكَ مِنَ الْمُنْظَرِينَ إِلَى يَوْمِ الْوَقْتِ الْمَعْلُومِ
‘আর নিশ্চয় বিচার দিবস পর্যন্ত তোর উপর লা‘নত। সে (ইবলীস) বলল, ‘হে আমার রব, পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন। আল্লাহ বললেন, তোকে অবকাশ দেয়া হল। ‘নির্ধারিত সময়ের দিন পর্যন্ত’। আল-হিজ্র, ১৫/৩৫-৩৮

قَالَ فَبِمَا أَغْوَيْتَنِي لأقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيمَ ثُمَّ لآتِيَنَّهُمْ مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَائِلِهِمْ وَلا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِينَ
সে (ইবলীস) বলল, ‘যেহেতু তার কারণে আপনি আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, অবশ্যই আমি তাদের বিরুদ্ধে আপনার সরল-সোজা পথে ওৎ পেতে বসে থাকব। তারপর অবশ্যই তাদের নিকট উপস্থিত হব, তাদের সামনে থেকে ও তাদের পেছন থেকে এবং তাদের ডান দিক থেকে ও তাদের বাম দিক থেকে আর আপনি তাদের অধিকাংশকেই কৃতজ্ঞ পাবেন না’। আল-আ‘রাফ, ৭/১৬-১৭

>>> শয়তান সঠিক-সরল পথে চলতে বাধা দেয় <<<
وَلا يَصُدَّنَّكُمُ الشَّيْطَانُ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
তোমাদের যেন শয়তান কিছুতেই (সরল পথে চলতে) বাধা দিতে না পারে নিশ্চয় সে তোমাদের স্পষ্ট শত্রু। আয্-যুখরুফ, ৪৩/৬২

>>> মানুষের মধ্য থেকেই শয়তান তার অনুসারী বানায় <<<
لَعَنَهُ اللَّهُ وَقَالَ لأتَّخِذَنَّ مِنْ عِبَادِكَ نَصِيبًا مَفْرُوضًا
আল্লাহ তাকে লা‘নত করেছেন এবং শয়তান বলেছিল, ‘অবশ্যই আমি তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী হিসেবে গ্রহণ করব’। আন-নিসা, ৪/১১৮

قَالَ فَبِعِزَّتِكَ لأغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ إِلا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
সে (শয়তান) বলল, ‘আপনার ইজ্জতের কসম! আমি তাদের সবাইকে অবশ্যই পথভ্রষ্ট করব। তবে তাদের মধ্য থেকে আপনার একনিষ্ঠ বান্দাদেরকে ছাড়া’। সোয়াদ, ৩৮/৮২-৮৩

>>> শয়তান থাকে মানুষের ও জিনের মধ্যে <<<
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
যে জিন ও মানুষের মধ্যে থেকে মানুষের অন্তরসমূহে কুমন্ত্রণা দেয়। আন-নাস, ১১৪/৫-৬

وَكَذَلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا شَيَاطِينَ الإنْسِ وَالْجِنِّ يُوحِي بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ زُخْرُفَ الْقَوْلِ غُرُورًا وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ مَا فَعَلُوهُ فَذَرْهُمْ وَمَا يَفْتَرُونَ
আর এভাবেই আমি প্রত্যেক নবীর জন্য শয়তানদেরকে শত্রু বানিয়েছি মানুষের ও জিনের মধ্য থেকে, তারা একে অপরকে চাকচিক্যপূর্ণ্ কথা দ্বারা ওয়াহী করে থাকে যেন একে অপরকে ধোঁকা দিতে পারে, আর যদি তোমার রব ইচ্ছা করতেন তাহলে তারা তা করতে পারত না, সুতরাং তাদেরকে এবং তারা যা রচনা করে, তা বর্জন কর। আল-আন‘আম, ৬/১১২

>>> মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট শয়তান নাযিল হয় <<<
هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَنْ تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ
‘আমি কি তোমাদেরকে জানাব, কাদের নিকট শয়তানরা অবতীর্ণ হয়’? তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেকটি চরম মিথ্যাবাদী ও পাপীর নিকট। তারা কান পেতে থাকে এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী। আশ্-শু‘আরা, ২৬/২২১-২২৩

>>> শয়তান মানুষের সঙ্গী হয় <<<
وَالَّذِينَ يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ رِئَاءَ النَّاسِ وَلا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَلا بِالْيَوْمِ الآخِرِ وَمَنْ يَكُنِ الشَّيْطَانُ لَهُ قَرِينًا فَسَاءَ قَرِينًا
আর যারা নিজ ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহর প্রতি ও আখেরাতের দিবসের প্রতি ঈমান আনে না আর শয়তান তার সঙ্গী হয়, সঙ্গী হিসেবে কতইনা নিকৃষ্ট সে! আন-নিসা, ৪/৩৮

>>> যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াত এড়িয়ে যায় তার পিছনে শয়তান লেগে যায় <<<
وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ الَّذِي آتَيْنَاهُ آيَاتِنَا فَانْسَلَخَ مِنْهَا فَأَتْبَعَهُ الشَّيْطَانُ فَكَانَ مِنَ الْغَاوِينَ
আর তুমি এদেরকে সেই ব্যক্তির বৃত্তান্ত শুনিয়ে দাও, যাকে আমি আমার আয়াতসমূহ দিয়েছিলাম, কিন্তু সে তা এড়িয়ে যায়, ফলে শয়তান তার পিছনে লেগে যায় আর সে পথভ্রষ্টদের মধ্যে শামিল হয়ে যায়। আল-আ‘রাফ, ৭/১৭৫

>>> আল্লাহর স্মরণ থেকে বিমুখ হলে শয়তান নিয়োজিত হয় <<<
وَمَنْ يَعْشُ عَنْ ذِكْرِ الرَّحْمَنِ نُقَيِّضْ لَهُ شَيْطَانًا فَهُوَ لَهُ قَرِينٌ
আর যে ব্যক্তি পরম করুণাময়ের স্মরণ থেকে বিমুখ হয়, আমি তার জন্য শয়তানকে নিয়োজিত করি অতঃপর সে হয় তার ঘনিষ্ঠ সহচর। আয্-যুখরুফ, ৪৩/৩৬

>>> শয়তান মানুষকে কষ্ট দেয় <<<
وَاذْكُرْ عَبْدَنَا أَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الشَّيْطَانُ بِنُصْبٍ وَعَذَابٍ
আর স্মরণ কর আমার বান্দা আইউবকে, যখন সে তার রবকে ডেকে বলেছিল, ‘শয়তান তো আমাকে কষ্ট ও আযাবের ছোঁয়া দিয়েছে’। সোয়াদ, ৩৮/৪১

يَا أَبَتِ لا تَعْبُدِ الشَّيْطَانَ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلرَّحْمَنِ عَصِيًّا يَا أَبَتِ إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَمَسَّكَ عَذَابٌ مِنَ الرَّحْمَنِ فَتَكُونَ لِلشَّيْطَانِ وَلِيًّا
(ইব্‌রাহীম বলেছিল) হে আমার পিতা! আপনি শয়তানের ইবাদাত করবেন না; নিশ্চয় শয়তান হল পরম করুণাময়ের অবাধ্য। হে আমার পিতা, আমি আশংকা করছি যে, পরম করুণাময়ের পক্ষ থেকে আপনাকে আযাব স্পর্শ করবে, ফলে আপনি শয়তানের সঙ্গী হয়ে যাবেন। মারইয়াম. ১৯/৪৪-৪৫

>>> আল্লাহর স্মরণ এর মাধ্যমে মুত্তাকীদের দৃষ্টি খুলে যায় <<<
إِنَّ الَّذِينَ اتَّقَوْا إِذَا مَسَّهُمْ طَائِفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ تَذَكَّرُوا فَإِذَا هُمْ مُبْصِرُونَ
নিশ্চয় যারা তাকওয়া অবলম্বন করে যখন তাদেরকে শয়তানের পক্ষ থেকে কোন কুমন্ত্রণা স্পর্শ করে তখন তারা আল্লাহকে স্মরণ করে, ফলে তাদের (ঈমানের) দৃষ্টি খুলে যায়। আল-আ‘রাফ, ৭/২০১

>>> শয়তান মানুষকে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দেয় <<<
وَقُلْ لِعِبَادِي يَقُولُوا الَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْزَغُ بَيْنَهُمْ إِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلإنْسَانِ عَدُوًّا مُبِينًا
আর আমার বান্দাদেরকে বল, তারা যেন এমন কথা বলে, যা অতি উত্তম, নিশ্চয় শয়তান তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দেয়; নিশ্চয় শয়তান মানুষের স্পষ্ট শত্রু। আল-ইস্‌রা, ১৭/৫৩

>>> শয়তানের কাজ কুফরিতে নিমজ্জিত করা <<<
كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلإنْسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِنْكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ
শয়তানের দৃষ্টান্ত হল, সে মানুষকে বলে, ‘কুফরি কর’, অতঃপর যখন মানুষ কুফরি করল তখন সে বলে, ‘তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই, জগতসমূহের রব আল্লাহকে আমি ভয় করি। আল-হাশর, ৫৯/১৬

>>> মদ ও জুয়া আর শিরকের প্রচলন করা শয়তানের কাজ <<<
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأنْصَابُ وَالأزْلامُ رِجْسٌ مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ ও জুয়া আর প্রতিমা-মূর্তি এবং ভাগ্য-নির্ধারক তীরসমূহ অপবিত্র শয়তানের কাজ, তাই তোমরা তা পরিহার কর যেন তোমরা সফলকাম হতে পার। আল-মায়িদাহ, ৫/৯০

إِنْ يَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ إِلا إِنَاثًا وَإِنْ يَدْعُونَ إِلا شَيْطَانًا مَرِيدًا
তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে কতগুলো নারীমূর্তিকে আহবান করে আর তারা কেবলমাত্র অবাধ্য শয়তানকে আহবান করে। আন-নিসা, ৪/১১৭

>>> মদ ও জুয়ার মাধ্যমে পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে <<<
إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُوقِعَ بَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةَ وَالْبَغْضَاءَ فِي الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ وَيَصُدَّكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَعَنِ الصَّلاةِ فَهَلْ أَنْتُمْ مُنْتَهُونَ
আসলে মদ ও জুয়ার মাধ্যমে শয়তান চায় তোমাদের পরস্পরের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করতে আর আল্লাহর স্মরণ ও সালাত থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে, তবুও তোমরা কি বিরত হবে না। আল-মায়িদাহ, ৫/৯১

>>> শয়তান মিথ্যা আশা দেয় <<<
يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيهِمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلا غُرُورًا
সে তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় আর তাদেরকে মিথ্যা আশা দেয় কিন্তু শয়তান প্রতারণা ছাড়া তাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করে না। আন-নিসা, ৪/১২০

وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلا غُرُورًا
আর শয়তান প্রতারণা ছাড়া তাদেরকে কোন ওয়াদাই দেয় না। আল-ইস্‌রা, ১৭/৬৪

وَلأضِلَّنَّهُمْ وَلأمَنِّيَنَّهُمْ وَلآمُرَنَّهُمْ فَلَيُبَتِّكُنَّ آذَانَ الأنْعَامِ وَلآمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللَّهِ وَمَنْ يَتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِنْ دُونِ اللَّهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُبِينًا
‘আর অবশ্যই আমি তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব, মিথ্যা আশ্বাস দেব এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে এবং অবশ্যই তাদেরকে আদেশ করব, ফলে অবশ্যই তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে’। আর যারা আল্লাহর পরিবর্তে শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, তারা তো স্পষ্টই ক্ষতিগ্রস্ত হল। আন-নিসা, ৪/১১৯

>>> শয়তানের কাজ পোশাক খুলে লজ্জাস্থান দেখানো <<<
يَا بَنِي آدَمَ لا يَفْتِنَنَّكُمُ الشَّيْطَانُ كَمَا أَخْرَجَ أَبَوَيْكُمْ مِنَ الْجَنَّةِ يَنْزِعُ عَنْهُمَا لِبَاسَهُمَا لِيُرِيَهُمَا سَوْآتِهِمَا إِنَّهُ يَرَاكُمْ هُوَ وَقَبِيلُهُ مِنْ حَيْثُ لا تَرَوْنَهُمْ إِنَّا جَعَلْنَا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاءَ لِلَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ
হে আদম সন্তান! শয়তান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই বিভ্রান্ত করতে না পারে যেমনভাবে সে তোমাদের পিতা-মাতাকে জান্নাত থেকে বের করেছিল এবং তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান দেখানোর জন্য তাদের পোশাক খুলে ফেলেছিল; সে (শয়তান) নিজে এবং তার দল তোমাদেরকে দেখতে পায় অথচ তোমরা তাদেরকে দেখতে পাও না; নিশ্চয় আমি শয়তানদেরকে তাদের জন্য অভিভাবক বানিয়েছি, যারা ঈমান গ্রহণ করে না। আল-আ‘রাফ, ৭/২৭

>>> শয়তান মন্দ কর্মে প্ররোচিত করে <<<
أَلَمْ تَرَ أَنَّا أَرْسَلْنَا الشَّيَاطِينَ عَلَى الْكَافِرِينَ تَؤُزُّهُمْ أَزًّا
তুমি কি লক্ষ্য করনি যে, আমি অবিশ্বাসীদের জন্য শয়তানদেরকে ছেড়ে রেখেছি; তাদেরকে মন্দ কর্ম করতে বিশেষভাবে প্ররোচিত করার জন্য। মারইয়াম, ১৯/৮৩

>>> শয়তান নির্লজ্জ ও অশ্লীল কাজের আদেশ করে <<<
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ وَمَنْ يَتَّبِعْ خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ فَإِنَّهُ يَأْمُرُ بِالْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ
হে মুমিনগণ, শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না আর যে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন সে নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজের আদেশ করবে। আন-নূর, ২৪/২১

إِنَّمَا يَأْمُرُكُمْ بِالسُّوءِ وَالْفَحْشَاءِ وَأَنْ تَقُولُوا عَلَى اللَّهِ مَا لا تَعْلَمُونَ
নিশ্চয় সে (শয়তান) তোমাদেরকে আদেশ দেয় মন্দ ও অশ্লীল কাজের এবং আল্লাহর ব্যাপারে এমন কিছু বলার, যা তোমরা জান না। আল-বাকারাহ, ২/১৬৯

>>> শয়তান দরিদ্রতার ভয় দেখায় <<<
الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمُ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاءِ وَاللَّهُ يَعِدُكُمْ مَغْفِرَةً مِنْهُ وَفَضْلا وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
শয়তান তোমাদেরকে দরিদ্রতার ভয় দেখায় আর অশ্লীলতার আদেশ করে এবং আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহের অংগীকার করেন আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। আল-বাকারাহ, ২/২৬৮

>>> শয়তান হারাম খেতে প্ররোচিত করে <<<
يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الأرْضِ حَلالا طَيِّبًا وَلا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
হে মানবজাতি, জমিনে যা আছে তা থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না, নিশ্চয় সে তোমাদের জন্য স্পষ্ট/প্রকাশ্য শত্রু। আল-বাকারাহ, ২/১৬৮

وَمِنَ الأنْعَامِ حَمُولَةً وَفَرْشًا كُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ وَلا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
আর চতুষ্পদ জন্তুগুলোর মধ্যে কতকগুলো (উঁচু আকৃতির) ভারবাহী রয়েছে; আর কতকগুলো রয়েছে ছোট আকৃতির, গোশত খাওয়ার ও চামড়া দ্বারা বিছানা বানানোর যোগ্য, আল্লাহ যা কিছু দান করেছেন তা থেকে তোমরা আহার কর আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না, নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। আল-আন‘আম, ৬/১৪২

>>> অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই <<<
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِرَبِّهِ كَفُورًا
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই আর শয়তান তার রবের প্রতি খুবই অকৃতজ্ঞ। আল-ইস্‌রা, ১৭/২৭

>>> শয়তান তাদের কর্মকে শোভনীয় করে দেখায় আর মিথ্যা আশা দেয় <<<
إِنَّ الَّذِينَ ارْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِهِمْ مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْهُدَى الشَّيْطَانُ سَوَّلَ لَهُمْ وَأَمْلَى لَهُمْ
নিশ্চয় সঠিক-সরল পথ সুস্পষ্ট হওয়ার পরও যারা তাদের পিছনের দিকে ফিরে যায়, শয়তান তাদের জন্য তাদের কাজকে শোভনীয় করে দেখায় আর তাদেরকে মিথ্যা আশা দিয়ে থাকে। মুহাম্মদ, ৪৭/২৫

>>> শয়তান যাদের কর্মকে তাদের চোখে সুশোভিত করেছিল <<<
تَاللَّهِ لَقَدْ أَرْسَلْنَا إِلَى أُمَمٍ مِنْ قَبْلِكَ فَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ فَهُوَ وَلِيُّهُمُ الْيَوْمَ وَلَهُمْ عَذَابٌ
আল্লাহর শপথ, আমি তোমার পূর্বে বহু জাতির নিকট রাসূল প্রেরণ করেছি অতঃপর শয়তান তাদের জন্য তাদের কার্যাবলীকে সুশোভিত করেছিল আর আজ সে-ই তাদের অভিভাবক আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আযাব। আন্‌-নাহ্‌ল, ১৬/৬৩

وَعَادًا وَثَمُودَ وَقَدْ تَبَيَّنَ لَكُمْ مِنْ مَسَاكِنِهِمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِيلِ وَكَانُوا مُسْتَبْصِرِينَ
আর আমি ‘আদ ও ছামূদকে ধ্বংস করেছিলাম; তাদের আবাসভূমি তোমাদের জন্য এর সুস্পষ্ট প্রমাণ আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের চোখে সুশোভিত করেছিল, তাদেরকে সৎপথ থেকে বিরত রেখেছিল, যদিও তারা ছিল বিচক্ষণ। আন-কাবুত, ২৯/৩৮

فَلَوْلا إِذْ جَاءَهُمْ بَأْسُنَا تَضَرَّعُوا وَلَكِنْ قَسَتْ قُلُوبُهُمْ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
সুতরাং তাদের উপর যখন আমার শাস্তি এসে পৌঁছল তখন তারা কেন নম্রতা ও বিনয় প্রকাশ করল না? বরং তাদের অন্তর আরও কঠিন হয়ে পড়ল আর তারা যা করছে সেগুলোকে শয়তান তাদের জন্য সুশোভিত করেছিল। আল-আন‘আম, ৬/৪৩

وَجَدْتُهَا وَقَوْمَهَا يَسْجُدُونَ لِلشَّمْسِ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَزَيَّنَ لَهُمُ الشَّيْطَانُ أَعْمَالَهُمْ فَصَدَّهُمْ عَنِ السَّبِيلِ فَهُمْ لا يَهْتَدُونَ
‘আমি তাকে ও তার কওমকে দেখতে পেলাম তারা আল্লাহর পরিবর্তে সূর্যকে সেজদা করছে আর শয়তান তাদের কার্যাবলীকে তাদের জন্য সৌন্দর্যমন্ডিত করে দিয়েছে এবং তাদেরকে সৎপথ থেকে নিবৃত করেছে, ফলে তারা হিদায়াত পায় না’। আন্-নাম্‌ল, ২৭/২৪

>>> সরল-সঠিক পথ থেকে পথভ্রষ্ট করার জন্য শয়তানের বন্ধুরা ঝগড়া-বিবাদ করে <<<
وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَى أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ
আর নিশ্চয় শয়তানেরা তাদের বন্ধুদেরকে প্ররোচনা দিতে থাকে যাতে তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে; আর যদি তোমরা তাদের (আকীদা-বিশ্বাসে ও কাজ-কর্মে) আনুগত্য কর তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরাও মুশরিক হয়ে যাবে। আল-আন‘আম, ৬/১২১

وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يُجَادِلُ فِي اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّبِعُ كُلَّ شَيْطَانٍ مَرِيدٍ
আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ সম্পর্কে তর্ক-বিতর্ক করে কোন জ্ঞান ছাড়া আর তারা প্রত্যেকে বিদ্রোহী শয়তানের অনুসরণ করে। আল-হাজ্জ, ২২/৩

وَإِخْوَانُهُمْ يَمُدُّونَهُمْ فِي الْغَيِّ ثُمَّ لا يُقْصِرُونَ
আর তাদের (অর্থাৎ শয়তানের) ভাইয়েরা ভ্রষ্টতায় তাদেরকে সহযোগিতা করে অতঃপর এ ব্যাপারে তারা চেষ্টার কোন ত্রুটি করে না। আল-আ‘রাফ, ৭/২০২

>>> ব্যাধির কারণে তর্ক করে <<<
لِيَجْعَلَ مَا يُلْقِي الشَّيْطَانُ فِتْنَةً لِلَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ مَرَضٌ وَالْقَاسِيَةِ قُلُوبُهُمْ وَإِنَّ الظَّالِمِينَ لَفِي شِقَاقٍ بَعِيدٍ
যাতে শয়তান যা মিশিয়ে দিয়েছে তা দ্বারা তিনি তাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন, যাদের অন্তরে (মুনাফেকীর) ব্যাধি আছে আর তাদের হৃদয় শক্ত আর নিশ্চয় অন্যায়কারীরা চরম মতভেদে লিপ্ত রয়েছে। আল-হাজ্জ, ২২/৫৩

>>> শয়তান তোমাদেরকে তার বন্ধুদের ভয় দেখায় <<<
إِنَّمَا ذَلِكُمُ الشَّيْطَانُ يُخَوِّفُ أَوْلِيَاءَهُ فَلا تَخَافُوهُمْ وَخَافُونِ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ
আসলে এই শয়তান তোমাদেরকে তার বন্ধুদের ভয় দেখায়, তাই তোমরা তাদেরকে ভয় করবে না বরং আমাকেই ভয় কর যদি তোমরা মুমিন হও। আলে‘ইমরান, ৩/১৭৫

>>> শয়তানের প্ররোচনায় তারা গোপন পরামর্শ করে <<<
إِنَّمَا النَّجْوَى مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلا بِإِذْنِ اللَّهِ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
আসলে গোপন পরামর্শ শয়তানের প্ররোচনায় হয় মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার জন্য; আর আল্লাহর অনুমতি ছাড়া সে তাদের কোন ক্ষতি করতে পারে না আর মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপরই ভরসা করা। আল-মুজাদালাহ, ৫৮/১০

>>> তারা বাপ-দাদাদের নীতি অনুসরণ করতে চায় <<<
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنْزَلَ اللَّهُ قَالُوا بَلْ نَتَّبِعُ مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا أَوَلَوْ كَانَ الشَّيْطَانُ يَدْعُوهُمْ إِلَى عَذَابِ السَّعِيرِ
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা তার অনুসরণ কর তারা বলে, ‘বরং আমরা তারই অনুসরণ করব যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি’; যদিও শয়তান তাদেরকে কঠোর শাস্তির দিকে ডাকে, তবুও কি? লুকমান, ৩১/২১

>>> শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে বহুদূরে নিয়ে যেতে চায় <<<
أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِينَ يَزْعُمُونَ أَنَّهُمْ آمَنُوا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيدُونَ أَنْ يَتَحَاكَمُوا إِلَى الطَّاغُوتِ وَقَدْ أُمِرُوا أَنْ يَكْفُرُوا بِهِ وَيُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُضِلَّهُمْ ضَلالا بَعِيدًا
তুমি কি তাদের প্রতি লক্ষ্য করনি যারা দাবী করে যে, নিশ্চয় তারা ঈমান এনেছে ঐ বিষয়ে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছিল; তারা যে তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায় অথচ তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা (তাগুতকে) প্রত্যাখ্যান করার জন্য কিন্তু শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্টতায় পথভ্রষ্ট করে বহুদূরে নিয়ে যেতে চায়। আন-নিসা, ৪/৬০

>>> শয়তানদের বন্ধুরা মনে করে তারা সঠিক পথে আছে <<<
فَرِيقًا هَدَى وَفَرِيقًا حَقَّ عَلَيْهِمُ الضَّلالَةُ إِنَّهُمُ اتَّخَذُوا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ مُهْتَدُونَ
একদলকে তিনি হেদায়াত দিয়েছেন এবং আরেক দলের জন্য পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়েছে, নিশ্চয় তারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে আর তারা মনে করে যে, তারা সঠিক পথপ্রাপ্ত। আল-আ‘রাফ, ৭/৩০

>>> শয়তান তার দলকে আহবান করে <<<
إِنَّ الشَّيْطَانَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَاتَّخِذُوهُ عَدُوًّا إِنَّمَا يَدْعُو حِزْبَهُ لِيَكُونُوا مِنْ أَصْحَابِ السَّعِيرِ
নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ কর, সে তার দলকে কেবল এ জন্যই আহবান করে যেন তারা হয় প্রজ্জ্বলিত আগুনের অধিবাসী। ফাত্বির, ৩৫/৬

>>> শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত <<<
اسْتَحْوَذَ عَلَيْهِمُ الشَّيْطَانُ فَأَنْسَاهُمْ ذِكْرَ اللَّهِ أُولَئِكَ حِزْبُ الشَّيْطَانِ أَلا إِنَّ حِزْبَ الشَّيْطَانِ هُمُ الْخَاسِرُونَ
শয়তান তাদের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করেছে ফলে তাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে, তারাই শয়তানের দল; সাবধান! শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত। আল-মুজাদালাহ, ৫৮/১৯

وَلَقَدْ أَضَلَّ مِنْكُمْ جِبِلا كَثِيرًا أَفَلَمْ تَكُونُوا تَعْقِلُونَ
আর অবশ্যই শয়তান তোমাদের বহু দলকে পথভ্রষ্ট করেছে তবুও কি তোমরা বুঝবে না? ইয়া-সীন, ৩৬/৬২

>>> শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল <<<
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে আর যারা কুফরী করেছে তারা তাগূতের পথে লড়াই করে; সুতরাং তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, নিশ্চয় শয়তানের চক্রান্ত দুর্বল। আন-নিসা, ৪/৭৬

>>> একটি মুমিন দল ব্যতীত সবাই ইবলীস এর অনুসারী <<<
وَلَقَدْ صَدَّقَ عَلَيْهِمْ إِبْلِيسُ ظَنَّهُ فَاتَّبَعُوهُ إِلا فَرِيقًا مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
আর অবশ্যই তাদের সম্বন্ধে ইবলীস তার ধারণাকে সত্য প্রমাণ করলো, ফলে তাদের মধ্যে একটি মুমিন দল ব্যতীত তারা সকলেই তার পথ অনুসরণ করল। সাবা, ৩৪/২০

>>> যাবতীয় বিষয়ের ফয়সালার পর শয়তান বলবে <<<
وَقَالَ الشَّيْطَانُ لَمَّا قُضِيَ الأمْرُ إِنَّ اللَّهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَوَعَدْتُكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ وَمَا كَانَ لِي عَلَيْكُمْ مِنْ سُلْطَانٍ إِلا أَنْ دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِي فَلا تَلُومُونِي وَلُومُوا أَنْفُسَكُمْ مَا أَنَا بِمُصْرِخِكُمْ وَمَا أَنْتُمْ بِمُصْرِخِيَّ إِنِّي كَفَرْتُ بِمَا أَشْرَكْتُمُونِي مِنْ قَبْلُ إِنَّ الظَّالِمِينَ لَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
আর যখন যাবতীয় বিষয়ের ফয়সালা হয়ে যাবে, তখন শয়তান বলবে, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলেন সত্য ওয়াদা, আমিও তোমাদেরকে ওয়াদা দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদেরকে দেয়া ওয়াদা ভঙ্গ করেছি; তোমাদের উপর আমার কোন আধিপত্য ছিল না, আমি তোমাদেরকে শুধু আহবান করেছিলাম এবং তোমরা আমার আহবানে সাড়া দিয়েছিলে; সুতরাং তোমরা আমাকে দোষারোপ কর না, বরং নিজেদেরকেই দোষারোপ কর। আমি তোমাদের উদ্ধারকারী নই আর তোমরাও আমার উদ্ধারকারী নয়। ইতঃপূর্বে তোমরা যে আমাকে (আল্লাহর) শরীক করেছ, নিশ্চয় আমি তা অস্বীকার করছি। নিশ্চয় যালিমদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।’। ইবরাহীম, ১৪/২২

قَالَ قَرِينُهُ رَبَّنَا مَا أَطْغَيْتُهُ وَلَكِنْ كَانَ فِي ضَلالٍ بَعِيدٍ
তার সঙ্গী (শয়তান) বলবে, ‘হে আমাদের রব, আমি তাকে বিদ্রোহী করে তুলিনি, বরং সে নিজেই সুদূর গুমরাহীর মধ্যে ছিল’। ক্কাফ, ৫০/২৭

>>> মানুষ সত্য স্বীকার করবে <<<
لَقَدْ أَضَلَّنِي عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَاءَنِي وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِلإنْسَانِ خَذُولا
‘অবশ্যই সে (শয়তান) আমাকে উপদেশবাণী থেকে বিভ্রান্ত করেছিল আমার কাছে তা আসার পর আর শয়তান তো মানুষের জন্য চরম প্রতারক’। আল-ফুরক্বান, ২৫/২৯

وَإِنَّهُمْ لَيَصُدُّونَهُمْ عَنِ السَّبِيلِ وَيَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ مُهْتَدُونَ حَتَّى إِذَا جَاءَنَا قَالَ يَا لَيْتَ بَيْنِي وَبَيْنَكَ بُعْدَ الْمَشْرِقَيْنِ فَبِئْسَ الْقَرِينُ
আর নিশ্চয় তারাই (শয়তানরাই) মানুষদেরকে হেদায়াতের পথে চলতে অবশ্যই বাধা দেয় আর মানুষ মনে করে যে, তারা সঠিক পথে রয়েছে। অবশেষে যখন সে আমার নিকট উপস্থিত হবে তখন সে শয়তানকে বলবে, ‘হায়, আমার ও তোমার মাঝে যদি পূর্ব-পশ্চিমের ব্যবধান থাকত’ সুতরাং কতইনা নিকৃষ্ট সহচর সে! আয্-যুখরুফ, ৪৩/৩৭-৩৮

>>> তাদের উপর শয়তানের কোন আধিপত্য নেই, আল্লাহর উদ্দেশ্য মানুষকে পরীক্ষা করা <<<
وَمَا كَانَ لَهُ عَلَيْهِمْ مِنْ سُلْطَانٍ إِلا لِنَعْلَمَ مَنْ يُؤْمِنُ بِالآخِرَةِ مِمَّنْ هُوَ مِنْهَا فِي شَكٍّ وَرَبُّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَفِيظٌ
আর তাদের উপর শয়তানের কোন আধিপত্য ছিল না, তবে কে আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে আর কে তাতে সন্দেহ পোষণ করে তা প্রকাশ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য আর তোমার রব সকল বিষয়ের হিফাযতকারী। সাবা, ৩৪/২১

فَوَرَبِّكَ لَنَحْشُرَنَّهُمْ وَالشَّيَاطِينَ ثُمَّ لَنُحْضِرَنَّهُمْ حَوْلَ جَهَنَّمَ جِثِيًّا ثُمَّ لَنَنْزِعَنَّ مِنْ كُلِّ شِيعَةٍ أَيُّهُمْ أَشَدُّ عَلَى الرَّحْمَنِ عِتِيًّا
অতএব তোমার রবের কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে ও শয়তানদেরকে সমবেত করব অতঃপর জাহান্নামের চারপাশে নতজানু অবস্থায় তাদেরকে হাযির করব। তারপর প্রত্যেক দল থেকে দয়াময়ের বিরুদ্ধে সর্বাধিক অবাধ্যকে আমি টেনে বের করবই। মারইয়াম, ১৯/৬৮-৬৯

>>> সেদিন বলা হবে <<<
أَلَمْ أَعْهَدْ إِلَيْكُمْ يَا بَنِي آدَمَ أَنْ لا تَعْبُدُوا الشَّيْطَانَ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُبِينٌ
হে আদম সন্তান! আমি কি তোমাদেরকে নির্দেশ দেইনি যে, ‘তোমরা শয়তানের উপাসনা কর না, নিঃসন্দেহে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’? ইয়া-সীন, ৩৬/৬০

মন্তব্যঃ শয়তানের অনেক কার্যাবলী রয়েছে যার কিছু সে নিজেই করে থাকে আর কিছু তার অনুসারীদের দ্বারা করিয়ে থাকে। শয়তান ও তার অনুসারীদের প্রথম উদ্দেশ্যই হল, যে ব্যক্তি সরল-সঠিক পথে আছে তাকে ভ্রান্ত পথে নিয়ে গিয়ে পথভ্রষ্ট করা। যে ব্যক্তি বিভ্রান্ত ও পথভ্রষ্ট তাকে নিয়ে ইবলীস শয়তানের মাথা ব্যথা নেই। শয়তান তার অনুসারীদের দ্বারাই সঠিক পথপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে পথভ্রষ্ট করার কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কিন্তু মুমিন ও মুত্তাকিদেরকে মহান আল্লাহ সরল-সঠিক পথে অবিচল রাখবেন। আল্লাহ বলেন-
وَلِيَعْلَمَ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكَ فَيُؤْمِنُوا بِهِ فَتُخْبِتَ لَهُ قُلُوبُهُمْ وَإِنَّ اللَّهَ لَهَادِ الَّذِينَ آمَنُوا إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
যাতে যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা জানতে পারে এটা আপনার রবের পক্ষ থেকে (প্রেরিত) সত্য, অতঃপর তারা যেন এতে বিশ্বাসী হয় এবং তাদের অন্তরসমূহ যেন এর প্রতি অনুগত হয় আর নিশ্চয়ই আল্লাহ মুমিনদেরকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আল-হাজ্জ, ২২/৫৪

তথ্যসূত্র :
বই: ওয়াহীর জ্ঞান। সংকলন: মোহাম্মদ সাইদুর রহমান; সম্পাদনা: অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক; প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স। নবম অধ্যায়ঃ ভ্রান্ত পথ ও মত; পৃষ্ঠাঃ ৩১৩ হতে ৩২৭ পর্যন্ত।

Post a Comment

0 Comments