আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জাতিতে পরিণত হতে হবে
মহান আল্লাহ বলেন; كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ তোমরাই সর্বোত্তম উম্মত; (আলে ইমরান, ৩/১১০)। উক্ত আয়াতে তিনি বলেননি যে; তোমরা বিভক্ত জাতি; বরং বলেছেন, “সর্বোত্তম জাতি’। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন;
إِنَّ هَٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ
অতএব বিভক্তি-বিচ্ছিন্নতা নয় সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আর একমাত্র আল্লাহর দিকে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে; কোন দল, সংগঠন, মতবাদ, বা তরিকার দিকে দাওয়াত দেয়া যাবে না।
মহান আল্লাহ বলেন;
قُلْ هَٰذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ ۚ عَلَىٰ بَصِيرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
মহান আল্লাহ বলেন; كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ তোমরাই সর্বোত্তম উম্মত; (আলে ইমরান, ৩/১১০)। উক্ত আয়াতে তিনি বলেননি যে; তোমরা বিভক্ত জাতি; বরং বলেছেন, “সর্বোত্তম জাতি’। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন;
إِنَّ هَٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ
নিশ্চয় তোমাদের এই উম্মত একই উম্মত, আর আমি তোমাদের রব, তাই তোমরা আমারই ইবাদত কর; (আল-আম্বিয়া, ২১/৯২)।
অতএব বিভক্তি-বিচ্ছিন্নতা নয় সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে আর একমাত্র আল্লাহর দিকে মানুষকে দাওয়াত দিতে হবে; কোন দল, সংগঠন, মতবাদ, বা তরিকার দিকে দাওয়াত দেয়া যাবে না।
মহান আল্লাহ বলেন;
قُلْ هَٰذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ ۚ عَلَىٰ بَصِيرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ
(হে নবী) তুমি বল, এটা আমার পথ; আমি জেনে-বুঝে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেই এবং যারা আমার অনুসরণ করে তারাও আর আল্লাহ পবিত্র, মহান এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। (ইউসুফ, ১২/১০৮)
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِمَّنْ دَعَا إِلَى اللَّهِ وَعَمِلَ صَالِحًا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে আল্লাহর দিকে আহবান করে আর সৎকর্ম করে এবং বলে, নিশ্চয় আমি আত্মসমর্পণকারীদের (মুসলিমদের) অর্ন্তভুক্ত। (ফুসসিলাত, ৪১/৩৩)
قُلْ إِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ اللَّهَ وَلَا أُشْرِكَ بِهِ ۚ إِلَيْهِ أَدْعُو وَإِلَيْهِ مَآبِ
قُلْ إِنَّمَا أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ اللَّهَ وَلَا أُشْرِكَ بِهِ ۚ إِلَيْهِ أَدْعُو وَإِلَيْهِ مَآبِ
তুমি বল, আমাকে কেবল আদেশ দেয়া হয়েছে, যেন আমি আল্লাহর ইবাদত করি এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক না করি; আমি তাঁরই দিকে দাওয়াত দেই এবং তাঁরই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন। (আর-রাদ, ১৩/৩৬)
আল্লাহর দিকে দাওয়াতের পদ্ধতি!!
ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
আল্লাহর দিকে দাওয়াতের পদ্ধতি!!
ادْعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجَادِلْهُمْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
তুমি তোমার রবের পথের দিকে হিকমত ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সর্বোত্তম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর; নিশ্চয় তোমার রব খুব ভালভাবেই জানেন কে তার পথ ছেড়ে গুমরাহ হয়ে গেছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদেরকে তিনি খুব ভাল করেই জানেন। (আন্-নাহ্ল, ১৬/১২৫)
হকপন্থী দল কেবলমাত্র একটি!!
وَمِمَّنْ خَلَقْنَا أُمَّةٌ يَهْدُونَ بِالْحَقِّ وَبِهِ يَعْدِلُونَ
হকপন্থী দল কেবলমাত্র একটি!!
وَمِمَّنْ خَلَقْنَا أُمَّةٌ يَهْدُونَ بِالْحَقِّ وَبِهِ يَعْدِلُونَ
আর আমি যাদেরকে সৃষ্টি করেছি তাদের মধ্যে এমন একদল আছে যারা (হকের) সত্য পথের দাওয়াত দেয় এবং এবং তা দ্বারা ইনসাফ করে। (আল-আরাফ, ৭/১৮১)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
أُمَّتِي عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هُمْ قَالَ الْجَمَاعَةُ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
أُمَّتِي عَلَى ثَلَاثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ وَثِنْتَانِ وَسَبْعُونَ فِي النَّارِ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ هُمْ قَالَ الْجَمَاعَةُ
আমার উম্মত তেহাত্তর দলে বিভক্ত হবে, তাদের একদল জান্নাতী এবং বাহাত্তর দল জাহান্নামী। জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা? তিনি বললেন, তারা হল الْجَمَاعَةُ (আল-জামা‘আহ) একটি দল। (ইবনে মাজা: ২/৩২১)
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً কেবলমাত্র একটি দল (যারা জান্নাতী), সাহাবীগণ বললেন, وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা ? উত্তরে তিনি বললেন- ما أنا عليه وأصحابي যারা আমার এবং আমার সাহাবায়ে কেরামের অনুসারী। (আত-তিরমিযী: ২৬৪১)
সুতরাং ইসলামী দলগুলি যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামের বিজয় চায়, তাহলে পরস্পরে বিচ্ছিন্ন না হয়ে তাদের শুধুমাত্র একটি দলে সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ, যে দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর ছাহাবায়ে কেরামের পথের দল। কুরআনে দলাদলি কঠোরভাবে নিন্দা করা হয়েছে। সকল মুসলিমদের উচিৎ, সবাই এক হয়ে যাওয়া। দলে দলে বিচ্ছিন্ন হওয়া কুরআনের পরিপন্থী। আল্লাহ বলেন;
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً কেবলমাত্র একটি দল (যারা জান্নাতী), সাহাবীগণ বললেন, وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ হে আল্লাহর রাসূল! তারা কারা ? উত্তরে তিনি বললেন- ما أنا عليه وأصحابي যারা আমার এবং আমার সাহাবায়ে কেরামের অনুসারী। (আত-তিরমিযী: ২৬৪১)
সুতরাং ইসলামী দলগুলি যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামের বিজয় চায়, তাহলে পরস্পরে বিচ্ছিন্ন না হয়ে তাদের শুধুমাত্র একটি দলে সীমাবদ্ধ থাকা উচিৎ, যে দল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর ছাহাবায়ে কেরামের পথের দল। কুরআনে দলাদলি কঠোরভাবে নিন্দা করা হয়েছে। সকল মুসলিমদের উচিৎ, সবাই এক হয়ে যাওয়া। দলে দলে বিচ্ছিন্ন হওয়া কুরআনের পরিপন্থী। আল্লাহ বলেন;
وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا
আর তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে একযোগে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। (আলে ইমরান, ৩/১০৩)
তাফসিরে ইবনে কাছির এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন; “ঐ রজ্জু হচ্ছে কুরআন।”
মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন;
شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ
তাফসিরে ইবনে কাছির এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন; “ঐ রজ্জু হচ্ছে কুরআন।”
মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন;
شَرَعَ لَكُمْ مِنَ الدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِ نُوحًا وَالَّذِي أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ وَمَا وَصَّيْنَا بِهِ إِبْرَاهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰ ۖ أَنْ أَقِيمُوا الدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُوا فِيهِ
তিনি তোমাদের জন্য দীন বিধিবদ্ধ করে দিয়েছেন; যে বিষয়ে তিনি নূহকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আর আমি তোমার কাছে যে ওহী পাঠিয়েছি এবং ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে যে নির্দেশ দিয়েছিলাম তা হল, তোমরা দীন কায়েম করবে এবং এতে বিভক্তি সৃষ্টি করো না। (আশ-শূরা, ৪২/১৩)
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا لَسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ ۚ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُمْ بِمَا كَانُوا يَفْعَلُونَ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا لَسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ ۚ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللَّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُمْ بِمَا كَانُوا يَفْعَلُونَ
নিশ্চয় যারা নিজেদের দীনকে খণ্ড-বিখণ্ড করেছে এবং দলে দলে বিভক্ত ভাগ হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের বিষয় আল্লাহ নিকট সমর্পিত। অতঃপর তারা যা করত, তিনি তাদেরকে সে বিষয়ে অবগত করবেন। (আল-আন‘আম, ৬/১৫৯)
মাযহাবী বিভক্তি, রাজনৈতিক বিভক্তি, আহলে হাদীস বিভক্তি এসব কোন বিভক্তি বা দলাদলী কুরআন-হাদীস সম্মত নয় বরং দলাদলী ইমান আনার পর কুফরী!! !!
وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ تَفَرَّقُوا وَاخْتَلَفُوا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْبَيِّنَاتُ ۚ وَأُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ ۚ فَأَمَّا الَّذِينَ اسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
মাযহাবী বিভক্তি, রাজনৈতিক বিভক্তি, আহলে হাদীস বিভক্তি এসব কোন বিভক্তি বা দলাদলী কুরআন-হাদীস সম্মত নয় বরং দলাদলী ইমান আনার পর কুফরী!! !!
وَلَا تَكُونُوا كَالَّذِينَ تَفَرَّقُوا وَاخْتَلَفُوا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْبَيِّنَاتُ ۚ وَأُولَٰئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ ۚ فَأَمَّا الَّذِينَ اسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ
আর তাদের মতো হয়ো না যাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণ আসার পরও বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে গেছে ও পরস্পর মতভেদে লিপ্ত রয়েছে; তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। সেদিন কতক চেহারা সাদা হবে এবং কতক চেহারা হবে কালো। আর যাদের চেহারা কালো হবে (তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা কি ঈমান আনার পর কুফরী করেছিলে? সুতরাং তোমরা আযাব আস্বাদন কর। কারণ তোমরা কুফরী করতে’। (আলে ইমরান, ৩/১০৫-১০৬)
দলাদলি ইসলাম পরিপন্থী।
وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنَ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا ۖ كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ
দলাদলি ইসলাম পরিপন্থী।
وَلَا تَكُونُوا مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنَ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعًا ۖ كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ
আর তোমরা মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত’। (আর-রূম ৩১-৩২)
মুসলীম জাতি একটি জাতি। ইসলামে দলাদলীর স্থান নেই।
وَإِنَّ هَٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّقُونِ فَتَقَطَّعُوا أَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ زُبُرًا ۖ كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ فَذَرْهُمْ فِي غَمْرَتِهِمْ حَتَّىٰ حِينٍ
মুসলীম জাতি একটি জাতি। ইসলামে দলাদলীর স্থান নেই।
وَإِنَّ هَٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاتَّقُونِ فَتَقَطَّعُوا أَمْرَهُمْ بَيْنَهُمْ زُبُرًا ۖ كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ فَذَرْهُمْ فِي غَمْرَتِهِمْ حَتَّىٰ حِينٍ
তোমাদের এসব উম্মত তো একই উম্মত, আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমাকে ভয় কর। কিন্তু মানুষ নিজেদের মধ্যে তাদের দীনকে বহুধা বিভক্ত করেছে; প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট। সুতরাং কিছুকালের জন্য তাদেরকে স্বীয় বিভ্রান্তিতে থাকতে দাও। (মুমিনূন, ২৩/৫২-৫৪)
এই আয়াতগুলো দ্বারা বুঝা যায়; যারা কোন নামে দল তৈরী করে দলাদলী করছে তারা তাদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে আছে। আর এসব দলকে আল্লাহ কিছুকালের জন্য বিভ্রান্তিতে পড়ে থাকতে বলেছেন। তাই আপনারা বিভ্রান্তিতেই থাকুন। মানুষদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি করা এবং তাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের জন্ম দেয় এমন কোনো কাজ করা কোনো মুসলিমের উচিৎ নয়। বরং তারা সবাই ভাই ভাই হয়ে থাকবে এবং পরস্পরে সৎ ও তাক্বওয়ার কাজে সহযোগিতা করবে।
মহান আল্লাহ বলেন; إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। (আল-হুজুরাত; ৪৯/১০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন; الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই’। সহীহুল বুখারী: ২৪৪২, ৬৯৫১
মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন;
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
এই আয়াতগুলো দ্বারা বুঝা যায়; যারা কোন নামে দল তৈরী করে দলাদলী করছে তারা তাদের দল নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে আছে। আর এসব দলকে আল্লাহ কিছুকালের জন্য বিভ্রান্তিতে পড়ে থাকতে বলেছেন। তাই আপনারা বিভ্রান্তিতেই থাকুন। মানুষদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি করা এবং তাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষের জন্ম দেয় এমন কোনো কাজ করা কোনো মুসলিমের উচিৎ নয়। বরং তারা সবাই ভাই ভাই হয়ে থাকবে এবং পরস্পরে সৎ ও তাক্বওয়ার কাজে সহযোগিতা করবে।
মহান আল্লাহ বলেন; إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ নিশ্চয়ই মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই। (আল-হুজুরাত; ৪৯/১০)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন; الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ، ‘এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই’। সহীহুল বুখারী: ২৪৪২, ৬৯৫১
মহান আল্লাহ অন্যত্র বলেন;
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও তাকওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরের সহযোগিতা কর না আর আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর। (আল-মায়িদাহ, ৫/২)
কোনো বিষয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে বিবাদীয় বিষয় কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন;
فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلا
কোনো বিষয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হলে বিবাদীয় বিষয় কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন;
فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلا
অতঃপর যদি কোন বিষয়ে তোমরা মতবিরোধ কর তাহলে তা আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও; যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখ, এটাই কল্যাণকর এবং শ্রেষ্ঠতর সমাধান। (আন-নিসা, ৪/৫৯)
সুতরাং বিভিন্ন দল, জামা‘আত ও মাযহাবের অনুসারীদের উচিৎ বিবাদীয় যে কোনো বিষয়কে কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে ফিরিয়ে দেওয়া। কারো জন্য বৈধ নয় যে, সে কাউকে ফায়ছালাকারী নিযুক্ত করে হক-বাতিল সবকিছুতে তার অনুসরণ করে চলবে; বরং কুরআন ও সুন্নাহকে চূড়ান্ত ফায়ছালাকারী হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। সকল মুসলিম দলাদলি পরিহার করে কুরআন ও সুন্নাহ্র পথে পরিচালিত হওয়া যরূরী। এক্ষেত্রে সবাই পরস্পরকে একনিষ্ঠভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করবে আর এ পদ্ধতিতে তারা আল্লাহ্র দলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।
মহান আল্লাহ বলেন;
أَلا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
সুতরাং বিভিন্ন দল, জামা‘আত ও মাযহাবের অনুসারীদের উচিৎ বিবাদীয় যে কোনো বিষয়কে কুরআন ও সুন্নাহ্র দিকে ফিরিয়ে দেওয়া। কারো জন্য বৈধ নয় যে, সে কাউকে ফায়ছালাকারী নিযুক্ত করে হক-বাতিল সবকিছুতে তার অনুসরণ করে চলবে; বরং কুরআন ও সুন্নাহকে চূড়ান্ত ফায়ছালাকারী হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। সকল মুসলিম দলাদলি পরিহার করে কুরআন ও সুন্নাহ্র পথে পরিচালিত হওয়া যরূরী। এক্ষেত্রে সবাই পরস্পরকে একনিষ্ঠভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করবে আর এ পদ্ধতিতে তারা আল্লাহ্র দলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।
মহান আল্লাহ বলেন;
أَلا إِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
জেনে রাখ, নিশ্চয় আল্লাহর দলই সফলকাম। (আল-মুজাদালাহ, ৫৮/২২)
তিনি তাদের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী তুলে ধরে বলেন;
لا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
তিনি তাদের বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী তুলে ধরে বলেন;
لا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ
যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাদেরকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণকারীদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবেন না। (আল-মুজাদালাহ, ৫৮/২২)
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ وَمَنْ يَتَوَلَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا فَإِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْغَالِبُونَ
إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ وَمَنْ يَتَوَلَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُوا فَإِنَّ حِزْبَ اللَّهِ هُمُ الْغَالِبُونَ
তোমাদের বন্ধু কেবলমাত্র আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আর মুমিনগণ যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহর কাছে অবনত হয়। আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল আর মুমিনদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তবে নিশ্চয় সেটি আল্লাহর দল আর তারাই বিজয়ী হবে। (আল-মায়িদাহ, ৫/৫৫-৫৬)
এগুলিই হচ্ছে আল্লাহ্র দলের সদস্যদের বৈশিষ্ট্য; তারা কুরআন-সুন্নাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষাবলম্বন করে না। কুরআন-সুন্নাহ্র দিকে মানুষকে দা‘ওয়াত দেওয়া এবং ছাহাবায়ে কেরাম, সালাফে ছালেহীন ও তাদের অনুসারীদের পথে চলা ছাড়া তারা অন্য কোনো দলে যোগদান করে না। আল্লাহ্র দলের লোকেরা অন্যান্য সকল দল ও সংগঠনের লোকদেরকে নছীহত করে এবং তারা তাদেরকে কিতাব ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এবং তাদের মধ্যে বিবাদীয় বিষয়কে এতদুভয়ের দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তারা বলে কুরআন-সুন্নাহ উভয়ের সাথে অথবা যে কোনো একটির সাথে যা মিলে যাবে, তা-ই হক। পক্ষান্তরে যা মিলবে না, তা পরিহার করা অপরিহার্য।
অতএব, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতির সাথে ঐক্যমত পোষণকারী দল, জামা‘আত বা সংগঠনগুলির কোনো একটির মধ্যে হক সীমাবদ্ধ বলে মনে করা যাবে না। আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। প্রত্যেকটি মুমিন অন্যান্য মুমিনের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলবে। নিকটের হোক বা দূরের হোক সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং অন্যায় কাজে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবে।
সংকলন: মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
এম.এ. (ইসলামিক স্টাডিজ)
এগুলিই হচ্ছে আল্লাহ্র দলের সদস্যদের বৈশিষ্ট্য; তারা কুরআন-সুন্নাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষাবলম্বন করে না। কুরআন-সুন্নাহ্র দিকে মানুষকে দা‘ওয়াত দেওয়া এবং ছাহাবায়ে কেরাম, সালাফে ছালেহীন ও তাদের অনুসারীদের পথে চলা ছাড়া তারা অন্য কোনো দলে যোগদান করে না। আল্লাহ্র দলের লোকেরা অন্যান্য সকল দল ও সংগঠনের লোকদেরকে নছীহত করে এবং তারা তাদেরকে কিতাব ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এবং তাদের মধ্যে বিবাদীয় বিষয়কে এতদুভয়ের দিকে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তারা বলে কুরআন-সুন্নাহ উভয়ের সাথে অথবা যে কোনো একটির সাথে যা মিলে যাবে, তা-ই হক। পক্ষান্তরে যা মিলবে না, তা পরিহার করা অপরিহার্য।
অতএব, আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতির সাথে ঐক্যমত পোষণকারী দল, জামা‘আত বা সংগঠনগুলির কোনো একটির মধ্যে হক সীমাবদ্ধ বলে মনে করা যাবে না। আল্লাহর পথে দা‘ওয়াতের ক্ষেত্রে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রয়োজন। প্রত্যেকটি মুমিন অন্যান্য মুমিনের সাথে বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতা বজায় রেখে চলবে। নিকটের হোক বা দূরের হোক সৎকাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং অন্যায় কাজে সহযোগিতা থেকে বিরত থাকবে।
সংকলন: মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
এম.এ. (ইসলামিক স্টাডিজ)
0 Comments